অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16
  17. 17
  18. 18
  19. 19
  20. 20
  21. 21
  22. 22
  23. 23
  24. 24

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

লূক 13 কিতাবুল মোকাদ্দস (BACIB)

মন ফিরানো আবশ্যক

1. সেই সময়ে উপস্থিত কয়েক জন তাঁকে সেই গালীলীয়দের বিষয়ে সংবাদ দিল, যাদের রক্ত পীলাত তাদের কোরবানীর পশুর রক্তের সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছিলেন।

2. জবাবে তিনি তাদেরকে বললেন, তোমরা কি মনে করছো, সেই গালীলীয়দের এরকম দুর্গতি হয়েছে বলে তারা অন্য সকল গালীলীয় লোকের চেয়ে বেশি গুনাহ্‌গার ছিল?

3. আমি তোমাদেরকে বলছি, তা নয়; বরং যদি মন না ফিরাও, তোমরা সকলেই তেমনি বিনষ্ট হবে।

4. অথবা সেই আঠারো জন, যাদের উপরে শীলোহে অবস্থিত উচ্চগৃহ পড়ে গিয়ে তারা মারা পড়লো, তোমরা কি তাদের বিষয়ে মনে করছো যে, তারা জেরুশালেম-নিবাসী অন্য সকল লোকের চেয়ে বেশি অপরাধী ছিল?

5. আমি তোমাদেরকে বলছি, তা নয়; বরং যদি মন না ফিরাও, তোমরা সকলেই তেমনি বিনষ্ট হবে।

ফলহীন ডুমুর গাছের দৃষ্টান্ত

6. আর তিনি এই দৃষ্টান্তটি বললেন, কোন ব্যক্তির আঙ্গুর-ক্ষেতে তাঁর একটা ডুমুর গাছ ছিল; আর তিনি এসে সেই গাছে ফলের খোঁজ করলেন, কিন্তু পেলেন না।

7. তাতে তিনি আঙ্গুর ক্ষেতের রক্ষককে বললেন, দেখ, আজ তিন বছর ধরে এসে এই ডুমুর গাছে ফল খোঁজ করছি, কিন্তু কিছুই পাচ্ছি না। তুমি এটা কেটে ফেল; এটা কেন ভূমিও নষ্ট করবে।

8. সে জবাবে তাঁকে বললো, মালিক, এই বছরও ওটা থাকতে দিন, আমি ওর মূলের চারদিকে খুঁড়ে সার দেব,

9. তারপর যদি ওতে ফল ধরে তবে তো ভালই, নয় তো ওটা কেটে ফেলবেন।

এক জন কুঁজা স্ত্রীলোককে সুস্থ করা

10. তিনি বিশ্রামবারে কোন মজলিস-খানায় শিক্ষা দিচ্ছিলেন।

11. আর দেখ, এক জন স্ত্রীলোক, যাকে আঠারো বছর ধরে মন্দ রূহে পেয়েছিল, সে তাকে কুঁজা করে রেখেছে, কোন মতে সোজা হতে পারতো না।

12. তাকে দেখে ঈসা কাছে ডাকলেন, আর বললেন, হে নারী, তোমার দুর্বলতা থেকে মুক্ত হলে।

13. পরে তিনি তার উপরে হাত রাখলেন; তাতে সে তখনই সোজা হয়ে দাঁড়াল, আর আল্লাহ্‌র গৌরব করতে লাগল।

14. কিন্তু বিশ্রামবারে ঈসা সুস্থ করেছিলেন বলে মজলিস-খানার নেতা ক্রুদ্ধ হল, সে জবাবে লোকদেরকে বললো, ছয় দিন আছে, সেই সকল দিনে কাজ করা উচিত; অতএব ঐ সমস্ত দিনে এসে সুস্থ হয়ো, বিশ্রামবারে নয়।

15. কিন্তু প্রভু তাকে উত্তর দিয়ে বললেন, ভণ্ডরা, তোমাদের প্রত্যেক জন কি বিশ্রামবারে নিজ নিজ বলদ কিংবা গাধা যাবপাত্র থেকে খুলে পানি খাওয়াতে নিয়ে যায় না?

16. তবে এই স্ত্রীলোক, ইব্রাহিমের কন্যা, যাকে শয়তান, দেখ, আজ আঠারো বছর ধরে বেঁধে রেখেছিল, এর এই বন্ধন থেকে বিশ্রামবারে মুক্তি পাওয়া কি উচিত নয়?

17. তিনি এসব কথা বললে তাঁর বিপক্ষেরা সকলে লজ্জিত হল; কিন্তু তাঁর দ্বারা যে সমস্ত মহিমার কাজ হচ্ছিল, তাতে সমস্ত সাধারণ লোক আনন্দিত হল।

সরিষা-দানার দৃষ্টান্ত

18. তখন তিনি বললেন, আল্লাহ্‌র রাজ্য কিসের মত? আমি কিসের সঙ্গে তার তুলনা দেব?

19. তা সরিষা-দানার মত, যা কোন ব্যক্তি নিয়ে নিজের বাগানে বপন করলো। পরে তা বেড়ে গাছ হয়ে উঠলো এবং আসমানের পাখিরা এসে তার শাখাতে বাস করলো।

খামির দৃষ্টান্ত

20. আবার তিনি বললেন, আমি কিসের সঙ্গে আল্লাহ্‌র রাজ্যের তুলনা দেব?

21. তা এমন খামির মত, যা কোন স্ত্রীলোক নিয়ে তিন মাণ ময়দার মধ্যে মিশালো, শেষে সমস্তই ফেঁপে উঠলো।

সঙ্কীর্ণ দ্বার

22. আর তিনি নগরে নগরে ও গ্রামে গ্রামে ভ্রমণ করে উপদেশ দিতে দিতে জেরুশালেমের দিকে গমন করছিলেন।

23. তখন এক ব্যক্তি তাঁকে বললো, প্রভু, যারা নাজাত পাচ্ছে, তাদের সংখ্যা কি অল্প?

24. তিনি তাদেরকে বললেন, সঙ্কীর্ণ দ্বার দিয়ে প্রবেশ করতে প্রাণপণ কর; কেননা আমি তোমাদেরকে বলছি, অনেকে প্রবেশ করতে চেষ্টা করবে, কিন্তু পারবে না।

25. গৃহকর্তা উঠে দরজা বন্ধ করলে পর তোমরা বাইরে দাঁড়িয়ে দরজায় আঘাত করতে আরম্ভ করবে, বলবে, প্রভু, আমাদেরকে দরজা খুলে দিন; আর জবাবে তিনি তোমাদেরকে বলবেন, আমি জানি না, তোমরা কোথাকার লোক;

26. তখন তোমরা বলতে আরম্ভ করবে, আমরা আপনার সাক্ষাতে ভোজন পান করেছি এবং আমাদের পথে পথে আপনি উপদেশ দিয়েছেন।

27. কিন্তু তিনি বলবেন, তোমাদেরকে বলছি, আমি জানি না, তোমরা কোথাকার লোক; হে দুর্বৃত্তরা, আমার কাছ থেকে দূর হও।

28. সেই স্থানে কান্নাকাটি করবে ও যন্ত্রণায় দাঁতে দাঁত ঘষবে; তখন তোমরা দেখবে, ইব্রাহিম, ইস্‌হাক ও ইয়াকুব এবং নবীরা সকলে আল্লাহ্‌র রাজ্যে রয়েছেন, আর তোমাদেরকে বাইরে ফেলে দেওয়া হচ্ছে।

29. আর পূর্ব ও পশ্চিম থেকে এবং উত্তর ও দক্ষিণ থেকে লোকেরা এসে আল্লাহ্‌র রাজ্যে বসবে।

30. আর দেখ, যারা শেষের, এমন কোন কোন লোক প্রথম হবে এবং যারা প্রথম, এমন কোন কোন লোক শেষে পড়বে।

জেরুশালেমের জন্য দুঃখ প্রকাশ

31. সেই সময়ে কয়েক জন ফরীশী কাছে এসে তাঁকে বললো, বের হও, এই স্থান থেকে চলে যাও; কেননা হেরোদ তোমাকে হত্যা করতে চাইছেন।

32. তিনি তাদেরকে বললেন, তোমরা গিয়ে সেই শিয়ালকে বল, দেখ, আজ এবং আগামীকাল আমি বদ-রূহ্‌ ছাড়াচ্ছি ও রোগীদের সুস্থ করছি এবং তৃতীয় দিনে আমার কাজ শেষ করবো।

33. যা হোক, আজ, আগামীকাল ও পরশু আমাকে গমন করতে হবে; কারণ এমন হতে পারে না যে, জেরুশালেমের বাইরে কোন নবী বিনষ্ট হয়।

34. জেরুশালেম, জেরুশালেম, তুমি নবীদেরকে হত্যা করে থাক ও তোমার কাছে যারা প্রেরিত হয়, তাদেরকে পাথর মেরে থাক! পাখির মা যেমন তার বাচ্চাদেরকে পাখার নিচে একত্র করে, আমি কত বার তেমনি তোমার সন্তানদেরকে একত্র করতে ইচ্ছা করেছি, কিন্তু তোমরা সম্মত হলে না।

35. দেখ, তোমাদের সেই বাড়ি তোমাদের জন্য উৎসন্ন হয়ে পড়ে রইলো। আর আমি তোমাদেরকে বলছি, যে সময় পর্যন্ত তোমরা না বলবে, “ধন্য তিনি, যিনি প্রভুর নামে আসছেন,” সেই সময় পর্যন্ত তোমরা আমাকে আর দেখতে পাবে না।