অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16
  17. 17
  18. 18
  19. 19
  20. 20
  21. 21
  22. 22
  23. 23
  24. 24
  25. 25
  26. 26
  27. 27
  28. 28
  29. 29
  30. 30
  31. 31
  32. 32
  33. 33
  34. 34
  35. 35
  36. 36
  37. 37
  38. 38
  39. 39
  40. 40

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

হিজরত 9 Kitabul Mukkadas (MBCL)

মিসরের উপর পঞ্চম গজব- পশুর মহামারী

1. এর পরে মাবুদ মূসাকে বললেন, “ফেরাউনের কাছে গিয়ে বল যে, ইবরানীদের মাবুদ আল্লাহ্‌ বলছেন, ‘আমার এবাদত করবার জন্য আমার বান্দাদের যেতে দাও।

2. কিন্তু তা না দিয়ে যদি তুমি তাদের ধরেই রাখ,

3. তবে মাঠে তোমার ঘোড়া, গাধা, উট, গরু, ভেড়া, ছাগল, এক কথায় তোমার সব পশুপালের উপর আমি শীঘ্রই নিজের হাতে এক ভীষণ মহামারীর ব্যবস্থা করব।

4. কিন্তু আমি বনি-ইসরাইলদের পশুপালগুলোকে মিসরীয়দের পশুপাল থেকে আলাদা করে দেখব। তাদের যে সব পশু আছে তার একটাও মরবে না।’ ”

5. মহামারীটা কখন হবে তা-ও মাবুদ ঠিক করলেন। তিনি বললেন, “কালকেই এই দেশের উপর আমি এটা ঘটাব।”

6. পরের দিন মাবুদ তা-ই করলেন। তাতে মিসরীয়দের সব পশু মরে গেল, কিন্তু বনি-ইসরাইলদের পাল থেকে একটা পশুও মরল না।

7. ফেরাউন লোক পাঠিয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পারলেন যে, বনি-ইসরাইলদের একটা পশুও মরে নি। তবুও ফেরাউনের মন শক্ত হয়ে রইল; তিনি লোকদের যেতে দিলেন না।

মিসরের উপর ষষ্ঠ গজব- ফোড়া

8. তারপর মাবুদ মূসা ও হারুনকে বললেন, “চুলা থেকে তোমরা কয়েক মুঠো কালি নাও। ফেরাউনের চোখের সামনেই মূসা তা আকাশের দিকে ছুঁড়ে দিক।

9. সেগুলো মিহি ধুলার মত হয়ে সারা মিসর দেশে নেমে আসবে। তাতে সারা মিসর দেশের মানুষ ও পশুর গায়ে ফোড়া উঠে ঘা হয়ে যাবে।”

10. তখন মূসা ও হারুন চুলা থেকে কালি নিয়ে ফেরাউনের সামনে দাঁড়ালেন। মূসা তা আকাশে ছুঁড়ে দিলে পর মানুষ ও পশুর গায়ে ফোড়া উঠে ঘা হয়ে গেল।

11. জাদুকরেরা মূসার সামনে দাঁড়াতে পারল না, কারণ অন্যান্য মিসরীয়দের মত তাদেরও ফোড়া হয়েছিল।

12. কিন্তু মাবুদ ফেরাউনের মন কঠিন করলেন। তাতে মাবুদ যা বলেছিলেন তা-ই হল। মূসা ও হারুনের কথায় ফেরাউন কান দিলেন না।

মিসরের উপর সপ্তম গজব- শিলাবৃষ্টি

13. তখন মাবুদ মূসাকে বললেন, “তুমি খুব সকালে উঠে ফেরাউনের সামনে গিয়ে দাঁড়াবে, আর তাকে বলবে যে, ইবরানীদের মাবুদ আল্লাহ্‌ বলছেন, ‘আমার এবাদত করবার জন্য আমার বান্দাদের যেতে দাও,

14. কারণ এর পর তোমার উপরে এবং তোমার কর্মচারী ও লোকদের উপরে আমি আমার সমস্ত গজবের ব্যবস্থা করব। তখন তুমি বুঝতে পারবে যে, সারা দুনিয়াতে আমার মত কেউ নেই।

15. এর মধ্যেই আমি আমার কুদরত ব্যবহার করে তোমার ও তোমার লোকদের উপর এমন এক মহামারীর ব্যবস্থা করতে পারতাম যাতে তোমরা দুনিয়া থেকে ধ্বংস হয়ে যেতে।

16. কিন্তু আমি তোমাকে বাঁচিয়ে রেখেছি যেন তোমাকে আমার কুদরত দেখাতে পারি এবং সারা দুনিয়াতে যেন আমার নাম প্রচারিত হয়।

17. তুমি এখনও আমার বান্দাদের বিরুদ্ধে নিজেকে দাঁড় করিয়ে রেখেছ আর তাদের যেতে দিচ্ছ না।

18. সেইজন্য কালকে ঠিক এই সময়ে আমি এমন এক ভয়ংকর শিলাবৃষ্টি পাঠিয়ে দেব যা মিসর দেশের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত আর কখনও হয় নি।

19. এইজন্য মাঠে তোমার যত পশু এবং মানুষ আছে লোক পাঠিয়ে তাদের আশ্রয়ের জায়গায় নিয়ে এস। কোন লোক বা পশু ঘরে না এসে যদি মাঠে থেকে যায় তবে শিলের আঘাতে তারা মারা যাবে।’ ”

20. তখন ফেরাউনের কর্মচারীদের মধ্যে যারা মাবুদের কথায় ভয় পেল তারা তাড়াতাড়ি তাদের গোলামদের ও পশুপাল ঘরে নিয়ে আসল।

21. কিন্তু যারা তা অগ্রাহ্য করল তারা তাদের গোলামদের ও পশুপাল মাঠেই রেখে দিল।

22. পরে মাবুদ মূসাকে বললেন, “আকাশের দিকে তোমার হাত বাড়িয়ে দাও। তাতে সারা মিসর দেশের মানুষ, পশু ও মাঠের গাছ-গাছড়ার উপর শিল পড়বে।”

23. তখন মূসা আকাশের দিকে তাঁর লাঠি উঁচু করে ধরলেন। তাতে মাবুদ এমন করলেন যার ফলে মেঘ গর্জন করতে ও শিলাবৃষ্টি হতে লাগল এবং মাটির উপর বাজ পড়তে লাগল। এইভাবেই মাবুদ মিসর দেশের উপর শিলাবৃষ্টি পাঠালেন।

24. শুধু যে কেবল শিল পড়ল তা নয়, তার সংগে সংগে অনবরত বিদ্যুৎ চম্‌কাতে লাগল। মিসর রাজ্যের শুরু থেকে এই পর্যন্ত সারা দেশে এই রকম ভীষণ ঝড় আর কখনও হয় নি।

25. মিসর দেশের মাঠগুলোতে যে সব মানুষ ও পশু ছিল শিল তাদের কাউকে রেহাই দিল না। শিলের আঘাতে মাঠের সব ফসল নষ্ট হয়ে গেল এবং গাছের ডালপালা ভেংগে পড়ল।

26. কিন্তু বনি-ইসরাইলরা যেখানে থাকত সেই গোশন এলাকায় শিল পড়ল না।

27. ফেরাউন তখন মূসা ও হারুনকে ডাকিয়ে এনে বললেন, “এবার আমি গুনাহ্‌ করেছি। মাবুদ ঠিক কাজ করেছেন। আমি আর আমার লোকেরাই দোষী।

28. তুমি মাবুদের কাছে মিনতি কর। মেঘের গর্জন ও শিল পড়া যথেষ্ট হয়েছে। এবার আমি তোমাদের যেতে দেব। এখানে আর তোমাদের থাকতে হবে না।”

29. মূসা তাঁকে বললেন, “শহর থেকে বের হয়ে গিয়েই আমি মাবুদের কাছে হাত তুলে মুনাজাত করব। তাতে মেঘের গর্জনও থেমে যাবে, শিলও আর পড়বে না। এতে আপনি বুঝতে পারবেন যে, দুনিয়াটা মাবুদেরই।

30. কিন্তু আমি জানি যে, আপনি এবং আপনার কর্মচারীরা মাবুদ আল্লাহ্‌কে এখনও ভয় করেন না।”

31. শিলাবৃষ্টির দরুন মিসরের সব মসীনা আর যব একেবারে নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। সেই সময় যবের শীষ বের হয়েছিল আর মসীনা গাছে ফুল এসেছিল,

32. কিন্তু সরস এবং নীরস গমের কোনটাই নষ্ট হয় নি কারণ তখনও সেগুলো পাকবার সময় হয় নি।

33. এর পর মূসা ফেরাউনের কাছ থেকে চলে গেলেন। শহর থেকে বের হয়ে তিনি মাবুদের কাছে হাত তুলে মুনাজাত করলেন। তখন মেঘের গর্জন ও শিল পড়া বন্ধ হল। মাটির উপর মুষলধারে বৃষ্টি পড়াও থেমে গেল।

34. কিন্তু ফেরাউন ও তাঁর কর্মচারীরা যখন দেখলেন যে, বৃষ্টি, শিল ও মেঘের গর্জন বন্ধ হয়ে গেছে তখন তাঁরা আবার গুনাহ্‌ করতে লাগলেন। তাঁরা আবার তাদের মন শক্ত করলেন।

35. মাবুদ মূসার মধ্য দিয়ে যেমন বলেছিলেন তেমনি ফেরাউনের মন কঠিন হয়ে রইল; তিনি বনি-ইসরাইলদের যেতে দিলেন না।