অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16
  17. 17
  18. 18
  19. 19
  20. 20
  21. 21
  22. 22
  23. 23
  24. 24
  25. 25
  26. 26
  27. 27
  28. 28
  29. 29
  30. 30
  31. 31
  32. 32
  33. 33
  34. 34
  35. 35
  36. 36
  37. 37
  38. 38
  39. 39
  40. 40

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

হিজরত 21 Kitabul Mukkadas (MBCL)

ইসরাইলীয় গোলাম ও বাঁদীদের অধিকার

1. তারপর মাবুদ মূসাকে বললেন, “বনি-ইসরাইলদের সামনে তুমি আমার এই সব নিয়ম তুলে ধরবে।

2. “গোলাম হিসাবে যদি কোন ইবরানী লোককে তোমরা কিনে নাও, তবে ছয় বছর সে তোমাদের অধীনে কাজ করবে, কিন্তু সাত বছরের সময় তার কাছ থেকে কিছু না নিয়ে এমনিই তাকে ছেড়ে দিতে হবে।

3. যদি সে একা তোমাদের কাছে এসে থাকে তবে সে একাই চলে যাবে, কিন্তু যদি সে তার স্ত্রীকেও সংগে এনে থাকে তবে তাকেও তার সংগে যেতে দিতে হবে।

4. সেই গোলামের বিয়ে যদি তার মালিকই দিয়ে থাকে আর তার ছেলেমেয়ে হয়ে থাকে তবে সেই স্ত্রী ও ছেলেমেয়ে মালিকেরই থেকে যাবে; সে একাই বের হয়ে যাবে।

5. কিন্তু যদি সেই গোলাম স্পষ্ট করে জানায় যে, সে তার মালিক, তার স্ত্রী ও ছেলেমেয়েদের ভালবাসে এবং তাদের ছেড়ে চলে যাবার ইচ্ছা তার নেই,

6. তবে তার মালিক তাকে আল্লাহ্‌র কাছে উপস্থিত করবে। তারপর দরজা বা দরজার চৌকাঠের কাছে তাকে নিয়ে গিয়ে তুরপুন দিয়ে তার কানটা ফুটা করে দেবে। তাতে সে সারা জীবন তার মালিকের গোলাম হয়ে থাকবে।

7. “যদি কেউ তার মেয়েকে বাঁদী হিসাবে বিক্রি করে তবে গোলামের মত করে সেই বাঁদীকে ছেড়ে দেওয়া চলবে না।

8. কিন্তু যে মালিক তাকে নিজের জন্য পছন্দ করে নিয়েছে সে যদি তার উপর খুশী হতে না পারে তবে টাকার বদলে তাকে ছেড়ে দিতে হবে। অন্য জাতির কোন লোকের কাছে তাকে বিক্রি করা চলবে না, কারণ তার প্রতি মালিক তার কর্তব্য করে নি।

9. যদি মালিক তার ছেলের জন্য তাকে পছন্দ করে নিয়ে থাকে তবে নিজের মেয়ের মত সব অধিকার তাকে দিতে হবে।

10. সেই মালিক সেই বাঁদীকে বিয়ে করবার পরেও যদি অন্য কাউকে বিয়ে করে তবুও সে তার খোরাক-পোশাক দিতে বাধ্য থাকবে এবং শরীরের দিক থেকে তার যা পাওনা তা-ও তাকে দিতে হবে।

11. সে যদি এই সব কর্তব্য পালন না করে তবে কোন টাকা না নিয়েই তাকে চলে যেতে দিতে হবে।

আঘাতকারীর শাস্তি

12. “কোন লোককে আঘাত করবার ফলে যদি তার মৃত্যু হয় তবে আঘাতকারীকে অবশ্যই হত্যা করতে হবে।

13. কিন্তু খুন করবার মতলব যদি তার না থেকে থাকে, যদি এটা হঠাৎ ঘটে যাওয়া কোন ঘটনা হয় যাতে আমি বাধা দিই নি, তবে সে এমন একটা জায়গায় পালিয়ে যেতে পারবে যা আমি তোমাদের জন্য ঠিক করে দেব।

14. যদি কেউ আগে থেকে ভেবে-চিন্তে ইচ্ছা করেই অন্য কাউকে হত্যা করে কোরবানগাহের কাছে গিয়ে আশ্রয় নেয়, তবে সেখান থেকেও তাকে ধরে এনে হত্যা করতে হবে।

15. “পিতাকে কিংবা মাকে যে আঘাত করে তাকে অবশ্যই হত্যা করতে হবে।

16. “যদি কেউ কাউকে চুরি করে নিয়ে এসে বিক্রি করে দেয় কিংবা যদি তাকে তার সংগে পাওয়া যায়, তবে অবশ্যই তাকে হত্যা করতে হবে।

17. “যার কথায় মা-বাবার প্রতি অসম্মান থাকে তাকে অবশ্যই হত্যা করতে হবে।

18-19. “দু’জন লোক ঝগড়া করতে গিয়ে যদি একজন অন্যজনকে এমনভাবে পাথর বা ঘুষি মারে, যার ফলে সে মারা না গেলেও বিছানায় পড়ে থাকে আর শেষ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাইরে গিয়ে তাকে লাঠিতে ভর করে চলাফেরা করতে হয়, তবে সেই আঘাতকারীকে মৃত্যুর শাস্তি দেওয়া চলবে না; কিন্তু যাকে আঘাত করা হয়েছে তার সময় নষ্ট হওয়ার দরুন আঘাতকারীকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এবং তাকে সম্পূর্ণ সুস্থ করে তুলবার ব্যবস্থা করতে হবে।

20. “যদি কেউ তার গোলাম বা বাঁদীকে লাঠি দিয়ে মারে আর তার ফলে সে মারা যায় তবে আঘাতকারীকে শাস্তি দিতে হবে।

21. কিন্তু যদি সে তার পরে দু-এক দিন বেঁচে থাকে তবে আঘাতকারীকে শাস্তি দেওয়া চলবে না, কারণ সে তার নিজেরই সম্পত্তি।

22. “মারামারি করতে গিয়ে যদি কেউ কোন গর্ভবতী স্ত্রীলোককে এমনভাবে আঘাত করে যাতে তার গর্ভ নষ্ট হয়ে যায় কিন্তু আর কোন ক্ষতি না হয়, তবে সেই স্ত্রীলোকটির স্বামীর দাবি এবং বিচারকেরা যা ঠিক করে দেবে সেই অনুসারেই আঘাতকারীকে অবশ্যই ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

23. কিন্তু যদি এছাড়া অন্য কোন ক্ষতি হয় তবে এইভাবে তাকে শাস্তি দিতে হবে, যেমন প্রাণের বদলে প্রাণ,

24. চোখের বদলে চোখ, দাঁতের বদলে দাঁত, হাতের বদলে হাত, পায়ের বদলে পা;

25. পোড়ানোর বদলে পোড়ানো, ঘায়ের বদলে ঘা এবং কালশিরার বদলে কালশিরা।

26. “যদি কেউ তার গোলাম বা বাঁদীর কোন চোখে আঘাত করলে তা নষ্ট হয়ে যায় তবে তার বদলে তাকে এমনিই চলে যেতে দিতে হবে।

27. যদি সে আঘাত করে তার দাঁত ফেলে দেয় তবে তার বদলেও তাকে এমনি চলে যেতে দিতে হবে।

28. “যদি কোন গরু গুঁতিয়ে কোন পুরুষ বা স্ত্রীলোককে মেরে ফেলে তবে পাথর ছুঁড়ে সেই গরুটাকে অবশ্যই মেরে ফেলতে হবে। সেই গরুর গোশ্‌ত কেউ খাবে না এবং গরুর মালিক কোন শাস্তি পাবে না।

29. তবে গরুটার যদি গুঁতানোর অভ্যাস থাকে আর তার মালিককে সাবধান করে দেবার পরেও সে তাকে আট্‌কে না রাখে আর সেই গরুটা কোন পুরুষ বা স্ত্রীলোককে মেরে ফেলে, তবে পাথর ছুঁড়ে সেই গরুটাকে মেরে ফেলতে হবে এবং তার মালিককেও মেরে ফেলতে হবে।

30. কিন্তু যদি মালিকের কাছ থেকে কোন ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয় তবে সেই ক্ষতিপূরণের টাকা দিয়ে মালিক তার নিজের জীবন রক্ষা করতে পারবে।

31. সেই গরুটা যদি কোন ছেলে বা মেয়েকে গুঁতিয়ে মেরে ফেলে তবে তার বেলায়ও একই নিয়ম খাটবে।

32. কোন গরু যদি কোন গোলাম বা বাঁদীকে গুঁতিয়ে মেরে ফেলে তবে তার মালিককে সেই গরুর মালিক তিনশো ষাট গ্রাম রূপা দেবে, আর সেই গরুটাকে পাথর ছুঁড়ে মেরে ফেলতে হবে।

33. “যদি কোন জমির মালিক তার জমির কোন গর্তের মুখ খুলে রাখে কিংবা কোন গর্ত খুঁড়ে ঠিক মত তার মুখ ঢাকা দিয়ে না রাখে আর সেই গর্তে যদি কোন গরু বা গাধা পড়ে যায়,

34. তবে তাকেই তার ক্ষতিপুরণ দিতে হবে। সেই গরু বা গাধার মালিককে সেই ক্ষতিপুরণ দিতে হবে; তবে মরা গরু বা গাধাটা তার হয়ে যাবে।

35. “কোন লোকের গরু যদি অন্য কোন লোকের গরুকে গুঁতিয়ে মেরে ফেলে, তবে জীবিত গরুটাকে বিক্রি করে তার টাকা ও মরা গরুটা তারা দু’জনে সমান ভাগে ভাগ করে নেবে।

36. কিন্তু যদি আগে থেকে জানা থাকে যে, গরুটা গুঁতায় কিন্তু তার মালিক তাকে আট্‌কে না রেখে থাকে তবে সেই মালিককে গরুর বদলে গরু দিতে হবে এবং মরা গরুটা তার হয়ে যাবে।