অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16
  17. 17
  18. 18
  19. 19
  20. 20
  21. 21
  22. 22
  23. 23
  24. 24
  25. 25
  26. 26
  27. 27
  28. 28
  29. 29
  30. 30
  31. 31
  32. 32
  33. 33
  34. 34
  35. 35
  36. 36
  37. 37
  38. 38
  39. 39
  40. 40

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

হিজরত 37 Kitabul Mukkadas (MBCL)

সাক্ষ্য-সিন্দুক

1. বৎসলেল বাব্‌লা কাঠ দিয়ে সাক্ষ্য-সিন্দুকটা তৈরী করলেন। সেটা আড়াই হাত লম্বা, দেড় হাত চওড়া এবং দেড় হাত উঁচু করে তৈরী করা হল।

2. তার ভিতর এবং বাইরে খাঁটি সোনা দিয়ে মুড়ানো হল এবং তার চার কিনারা ধরে রইল সোনার নক্‌শা।

3. ছাঁচে ফেলে চারটা সোনার কড়া তৈরী করে তার চারটা পায়ায় লাগানো হল- এপাশে দু’টা, ওপাশে দু’টা।

4. তারপর বাব্‌লা কাঠ দিয়ে দু’টা ডাণ্ডা তৈরী করে তা সোনা দিয়ে মুড়ানো হল।

5. সিন্দুকটা বয়ে নেবার জন্য তার দু’পাশের কড়ার মধ্য দিয়ে সেই দু’টা ডাণ্ডা ঢুকিয়ে দেওয়া হল।

6. তারপর বৎসলেল খাঁটি সোনা দিয়ে সিন্দুকের ঢাকনাটা তৈরী করলেন। সেটা লম্বায় হল আড়াই হাত এবং চওড়ায় দেড় হাত।

7. ঢাকনাটার কিনারার সোনা পিটিয়ে দু’টি কারুবী তৈরী করা হল।

8. কারুবী দু’টি সিন্দুকের দুই কিনারায় রইল। সেই কারুবী দু’টি ঢাকনা থেকে এমনভাবে তৈরী করা হল যাতে সমস্তটা মিলে মাত্র একটা জিনিসই হয়।

9. তাদের ডানাগুলো উপর দিকে মেলে দেওয়া হল এবং সেই ডানার ছায়ার নীচে রইল সিন্দুকের ঢাকনাটা। কারুবীরা সামনাসামনি দাঁড়িয়ে রইল এবং তাদের চোখ রইল ঢাকনাটার দিকে।

আবাস-তাম্বুর টেবিল

10. বৎসলেল বাব্‌লা কাঠ দিয়ে দুই হাত লম্বা, এক হাত চওড়া ও দেড় হাত উঁচু করে একটা টেবিল তৈরী করলেন।

11. তিনি সেটা খাঁটি সোনা দিয়ে মুড়িয়ে নিলেন এবং তার চার কিনারা ধরে রইল সোনার নক্‌শা।

12. টেবিলটার চারপাশের কিনারায় চার আংগুল উঁচু করে একটা বেড় তৈরী করা হল। সেই বেড়ের উপর সোনা দিয়ে নক্‌শার কাজ করা হল।

13. ছাঁচে ফেলে চারটা সোনার কড়া তৈরী করে টেবিলের চার কোণায় চারটা পায়ার উপরে লাগিয়ে দেওয়া হল।

14. সেই কড়াগুলো টেবিলের কিনারায় ঐ উঁচু বেড়ের কাছাকাছি লাগানো হল যাতে টেবিলটা বয়ে নেবার জন্য কড়ার মধ্য দিয়ে ডাণ্ডা ঢুকানো যায়।

15. টেবিলটা বয়ে নেবার ডাণ্ডাগুলো বাব্‌লা কাঠ দিয়ে তৈরী করে সোনা দিয়ে মুড়ানো হল।

16. টেবিলের জিনিসপত্র খাঁটি সোনা দিয়ে তৈরী করা হল। সেগুলো হল বড় ও ছোট থালা আর ঢালন-কোরবানীর সব কলসী ও পেয়ালা।

বাতিদান

17. খাঁটি সোনা দিয়ে বৎসলেল একটা বাতিদান তৈরী করলেন। তার নীচের অংশ এবং তা থেকে উঠে যাওয়া ডাঁটিটা সোনা পিটিয়ে তৈরী করা হল। তার ফুলের মত পেয়ালাগুলো, কুঁড়ি ও ফুল বাতিদান থেকে বের হয়ে আসল এবং সমস্তটা মিলে মাত্র একটা জিনিসই হল।

18. বাতিদানের দু’পাশ দিয়ে তিনটা তিনটা করে মোট ছয়টা ডাল তৈরী করা হল।

19. প্রথম ডালের মাঝে মাঝে ফুল ও কুঁড়িসুদ্ধ বাদাম ফুলের মত দেখতে তিনটা পেয়ালা তৈরী করা হল। তার পরের ডালেও তা-ই করা হল। বাতিদান থেকে বের হয়ে আসা ছয়টা ডাল একই রকম হল।

20. বাতিদানের ডাঁটিটার মাঝে মাঝেও ফুল ও কুঁড়িসুদ্ধ বাদাম ফুলের মত দেখতে চারটা পেয়ালা তৈরী করা হল।

21. বাতিদান থেকে বের হয়ে আসা মোট ছয়টা ডালের মধ্যে প্রথম দু’টি যেখানে মিশেছে তার নীচে রইল একটা কুঁড়ি, দ্বিতীয় দু’টির নীচে আর একটা কুঁড়ি এবং তৃতীয় দু’টির নীচে আর একটা কুঁড়ি।

22. কুঁড়ি এবং ডাল সবই বাতিদান থেকে বের হয়ে আসল এবং সমস্তটা মিলে একটা জিনিসই হল। সবটাই খাঁটি সোনা পিটিয়ে তৈরী করা হল।

23. খাঁটি সোনা দিয়ে সাতটা বাতি, সল্‌তে পরিষ্কার করবার চিম্‌টা ও সল্‌তের পোড়া অংশ রাখবার জন্য কয়েকটা পাত্র তৈরী করা হল।

24. ত্রিশ কেজি খাঁটি সোনা দিয়ে এই বাতিদানটা ও তার সব জিনিসপত্র তৈরী করা হল।

ধূপগাহ্‌

25. বৎসলেল বাব্‌লা কাঠ দিয়ে চারকোনা বিশিষ্ট একটা ধূপগাহ্‌ তৈরী করলেন। এক হাত লম্বা, এক হাত চওড়া ও দুই হাত উঁচু করে ধূপগাহ্‌টা তৈরী করা হল। শিংসুদ্ধ গোটা ধূপগাহ্‌টা মাত্র একটা জিনিসই হল।

26. ধূপগাহের উপরটা, তার চারপাশ এবং শিংগুলো খাঁটি সোনা দিয়ে মুড়িয়ে দেওয়া হল। ধূপগাহ্‌টার চার কিনারা ধরে রইল সোনার নক্‌শা।

27. ধূপগাহের দু’পাশে নক্‌শার নীচে দু’টা করে সোনার কড়া লাগানো হল যাতে তার ভিতর দিয়ে ডাণ্ডা ঢুকিয়ে সেটা বয়ে নেওয়া যায়।

28. সেই ডাণ্ডাগুলো বাব্‌লা কাঠ দিয়ে তৈরী করে সোনা দিয়ে মুড়িয়ে নেওয়া হল।

29. এছাড়া খোশবু জিনিস তৈরী করবার মত করে খাঁটি খোশবু ধূপ এবং পবিত্র অভিষেক-তেলও তৈরী করা হল।