অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16
  17. 17
  18. 18
  19. 19
  20. 20
  21. 21
  22. 22
  23. 23
  24. 24
  25. 25
  26. 26
  27. 27
  28. 28
  29. 29
  30. 30
  31. 31
  32. 32
  33. 33
  34. 34
  35. 35
  36. 36
  37. 37
  38. 38
  39. 39
  40. 40

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

হিজরত 1 Kitabul Mukkadas (MBCL)

মিসরে বনি-ইসরাইলদের উপর জুলুম

1-2. ইসরাইলের, অর্থাৎ ইয়াকুবের সংগে তাঁর যে সব ছেলে নিজের নিজের পরিবার নিয়ে মিসর দেশে গিয়েছিলেন তাদের নাম হল রূবেণ, শিমিয়োন, লেবি, এহুদা,

3-5. ইষাখর, সবূলূন, বিন্‌ইয়ামীন, দান, নপ্তালি, গাদ ও আশের। তা ছাড়া ইউসুফ আগেই মিসরে গিয়েছিলেন। ইয়াকুবের বংশের এই সব লোক সংখ্যায় ছিল মোট সত্তরজন।

6. পরে ইউসুফ, তাঁর ভাইয়েরা এবং তাঁদের সময়কার সবাই ইন্তেকাল করলেন।

7. কিন্তু বনি-ইসরাইলদের বংশবৃদ্ধির ক্ষমতা কম ছিল না; তারা সংখ্যায় বেড়ে উঠে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ল এবং খুব শক্তিশালী হয়ে উঠল, আর তাদের দিয়ে মিসর দেশটা ভরে গেল।

8. পরে এক সময় মিসর দেশের সমস্ত ক্ষমতা এমন একজন নতুন বাদশাহ্‌র হাতে গেল যিনি ইউসুফের বিষয় কিছুই জানতেন না।

9. তিনি তাঁর প্রজাদের বললেন, “দেখ, বনি-ইসরাইলরা আমাদের চেয়ে সংখ্যায় এবং শক্তিতে বেড়ে উঠেছে।

10. তাদের সংখ্যা যেন আর বাড়তে না পারে সেইজন্য এস, আমরা তাদের সংগে কৌশল খাটিয়ে চলি; তা না হলে যুদ্ধের সময়ে তারা হয়তো আমাদের শত্রুদের সংগে হাত মিলিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে এবং পরে দেশ ছেড়ে চলে যাবে।”

11. তাই কঠিন পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে বনি-ইসরাইলদের উপর জুলুম করবার উদ্দেশ্যে মিসরীয়রা তাদের উপর সর্দার নিযুক্ত করল। ফেরাউনের শস্য মজুদ করবার জন্য বনি-ইসরাইলরা পিথোম ও রামিষেষ নামে দু’টা শহর তৈরী করল।

12. কিন্তু তাদের উপর যতই জুলুম করা হল ততই তারা সংখ্যায় বেড়ে গিয়ে দেশের সব দিকে ছড়িয়ে পড়ল। এতে বনি-ইসরাইলদের দরুন মিসরীয়দের মনে খুব ভয় হল।

13. তারা তাদের আরও কঠিন পরিশ্রম করতে বাধ্য করল।

14. ক্ষেতের অন্য সব কাজের সংগে তারা তাদের উপর চুনসুরকি আর ইটের কাজের কঠিন পরিশ্রমও চাপিয়ে দিল এবং তাদের জীবন তেতো করে তুলল। এই সব কঠিন কাজ করাতে গিয়ে মিসরীয়রা তাদের প্রতি খুব নিষ্ঠুর ব্যবহার করত।

15. এছাড়া শিফ্রা ও পূয়া নামে দু’জন ইবরানী, অর্থাৎ ইসরাইলীয় ধাত্রীকে মিসরের বাদশাহ্‌ বলে দিলেন,

16. “সন্তান প্রসব করবার সময় ইবরানী স্ত্রীলোকদের সাহায্য করতে গিয়ে তোমরা ভাল করে লক্ষ্য করবে তাদের সন্তানেরা ছেলে না মেয়ে; ছেলে হলে তাদের মেরে ফেলবে আর মেয়ে হলে বাঁচিয়ে রাখবে।”

17. কিন্তু সেই ধাত্রীরা আল্লাহ্‌কে ভয় করে চলত। তাই মিসরের বাদশাহ্‌র হুকুম মত কাজ না করে তারা ছেলেদেরও বাঁচিয়ে রাখতে লাগল।

18. তখন বাদশাহ্‌ সেই ধাত্রীদের ডাকিয়ে এনে বললেন, “কেন তোমরা এই কাজ করছ? ছেলেদের বাঁচিয়ে রাখছ কেন?”

19. জবাবে তারা ফেরাউনকে বলল, “ইবরানী স্ত্রীলোকেরা মিসরীয় স্ত্রীলোকদের মত নয়। তাদের শক্তি এত বেশী যে, ধাই তাদের কাছে পৌঁছাবার আগেই তাদের সন্তান হয়ে যায়।”

20. আল্লাহ্‌ সেই ধাত্রীদের রহমত দান করলেন। বনি-ইসরাইলদের লোকসংখ্যা বাড়তেই থাকল এবং তারা খুব শক্তিশালী হয়ে উঠল।

21. সেই ধাত্রীরা আল্লাহ্‌কে ভয় করত বলে তিনি তাদের সন্তানদের দিয়ে বংশ গড়ে তুললেন।

22. পরে ফেরাউন তাঁর প্রজাদের উপর এই হুকুম জারি করলেন, “ইবরানীদের মধ্যে কোন ছেলের জন্ম হলে তোমরা তাকে নীল নদে ফেলে দেবে, কিন্তু মেয়েদের সবাইকে বাঁচিয়ে রাখবে।”