অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16
  17. 17
  18. 18
  19. 19
  20. 20
  21. 21
  22. 22
  23. 23
  24. 24
  25. 25
  26. 26
  27. 27
  28. 28
  29. 29
  30. 30
  31. 31
  32. 32
  33. 33
  34. 34
  35. 35
  36. 36
  37. 37
  38. 38
  39. 39
  40. 40

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

হিজরত 6 Kitabul Mukkadas (MBCL)

উদ্ধারের জন্য আল্লাহ্‌র ওয়াদা

1. মাবুদ মূসাকে বললেন, “তুমি দেখে নিয়ো, ফেরাউনের অবস্থা এবার আমি কি করি। আমার শক্ত হাতে পড়ে সে লোকদের ছেড়ে দেবে। হ্যাঁ, আমার শক্ত হাতে পড়ে সে তার দেশ থেকে তাদের তাড়িয়ে বের করবে।”

2. আল্লাহ্‌ মূসাকে আরও বললেন, “আমি মাবুদ।

3. সর্বশক্তিমান আল্লাহ্‌ হিসাবে আমি ইব্রাহিম, ইসহাক ও ইয়াকুবকে দেখা দিতাম, কিন্তু মাবুদ হিসাবে আমি যে কি, তা তাদের কাছে প্রকাশ করতাম না।

4. আমি তাদের জন্য আমার ব্যবস্থা স্থাপন করেছিলাম। সেই ব্যবস্থায় আমি বলেছিলাম যে, তারা বিদেশী হিসাবে যেখানে বাস করত সেই কেনান দেশটা আমি তাদের দেব।

5. মিসরীয়রা বনি-ইসরাইলদের গোলাম বানিয়ে রেখেছে। তাদের ফরিয়াদ শুনে সেই ব্যবস্থার কথা আমি ভাবলাম।

6. সেইজন্য তুমি বনি-ইসরাইলদের বল যে, মাবুদ বলছেন, ‘আমি মাবুদ। মিসরীয়দের চাপিয়ে দেওয়া বোঝার তলা থেকে আমি তোমাদের বের করে নিয়ে আসব। তাদের গোলামী থেকে আমি তোমাদের উদ্ধার করব। হাত বাড়িয়ে তাদের ভীষণ শাস্তি দিয়ে আমি তোমাদের মুক্ত করব।

7. তারপর আমার নিজের বান্দা হিসাবে আমি তোমাদের কবুল করব আর তোমাদের আল্লাহ্‌ হব। তখন তোমরা জানতে পারবে যে, আমি আল্লাহ্‌ই তোমাদের মাবুদ, আর মিসরীয়দের বোঝার তলা থেকে আমিই তোমাদের বের করে এনেছি।

8. যে দেশ দেবার কসম আমি ইব্রাহিম, ইসহাক ও ইয়াকুবের কাছে খেয়েছিলাম সেই দেশেই আমি তোমাদের নিয়ে যাব এবং সেই দেশের অধিকার আমি তোমাদের দেব। আমিই মাবুদ।’ ”

9. মূসা গিয়ে এই সব কথা বনি-ইসরাইলদের জানালেন, কিন্তু নিষ্ঠুরতার মধ্যে গোলামের কাজ করতে করতে মনমরা হয়ে পড়েছিল বলে তারা মূসার কথায় কান দিল না।

10. তখন মাবুদ মূসাকে বললেন,

11. “তুমি মিসরের বাদশাহ্‌ ফেরাউনকে গিয়ে বল যেন সে তার দেশ থেকে বনি-ইসরাইলদের যেতে দেয়।”

12. জবাবে মূসা মাবুদকে বললেন, “কিন্তু বনি-ইসরাইলরাই যদি আমার কথা না শোনে তবে ফেরাউন আমার কথায় কান দেবেন কেন, বিশেষ করে আমার কথা যখন জড়িয়ে যায়?”

13. তখন মাবুদ মূসা ও হারুনকে বললেন, “তোমরা বনি-ইসরাইলদের এবং মিসরের বাদশাহ্‌ ফেরাউনকে জানাও যে, মাবুদ তোমাদের হুকুম দিয়েছেন যাতে তোমরা বনি-ইসরাইলদের মিসর থেকে বের করে নিয়ে যাও।”

হযরত মূসা ও হারুন (আঃ)-এর বংশ-তালিকা

14. এঁরাই ছিলেন রূবেণ, শিমিয়োন ও লেবি বংশের প্রধান:ইসরাইলের বড় ছেলে রূবেণের ছেলেরা হল হনোক, পল্লু, হিষ্রোণ ও কর্মি। এঁরা রূবেণের গোষ্ঠীর বংশ-পিতা ছিলেন।

15. শিমিয়োনের ছেলেরা হল যিমূয়েল, যামীন, ওহদ, যাখীন, সোহর ও তাঁর কেনানীয় স্ত্রীর গর্ভের ছেলে শৌল। এঁরা শিমিয়োনের গোষ্ঠীর বংশ-পিতা ছিলেন।

16. জন্ম অনুসারে পর পর লেবির ছেলেরা হল গের্শোন, কহাৎ ও মরারি। লেবি একশো সাঁইত্রিশ বছর বেঁচে ছিলেন।

17-19. লেবি-গোষ্ঠীর বিভিন্ন বংশের তালিকা অনুসারে এঁরাই ছিলেন বংশের প্রধান: গের্শোনের ছেলেরা লিব্‌নি ও শিমিয়ি; কহাতের ছেলেরা ইমরান, যিষ্‌হর, হেবরন ও উষীয়েল; মরারির ছেলেরা মহলি ও মূশি। কহাৎ একশো তেত্রিশ বছর বেঁচে ছিলেন। এঁরা সবাই লেবি-গোষ্ঠীর বংশ-পিতা ছিলেন।

20. ইমরানের ছেলেরা হল হারুন ও মূসা। ইমরান তাঁর পিতার বোন ইউখাবেজকে বিয়ে করেছিলেন এবং তাঁর গর্ভে এঁদের জন্ম হয়েছিল। ইমরান একশো সাঁইত্রিশ বছর বেঁচে ছিলেন।

21. যিষ্‌হরের ছেলেরা হল কারুন, নেফগ ও সিখ্রি।

22. উষীয়েলের ছেলেরা হল মীশায়েল, ইল্‌সাফন ও সিথ্রী।

23. হারুনের ছেলেরা হল নাদব, অবীহূ, ইলিয়াসর ও ঈথামর। হারুন অম্মীনাদবের মেয়ে নহশোনের বোন ইলীশেবাকে বিয়ে করেছিলেন এবং তাঁর গর্ভে এঁদের জন্ম হয়েছিল।

24. কারুনের ছেলেরা হল অসীর, ইল্‌কানা, অবীয়াসফ। এঁরা কারুনীয়দের বংশ-পিতা ছিলেন।

25. ইলিয়াসরের ছেলে হল পীনহস। হারুনের ছেলে ইলিয়াসর পূটীয়েলের মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন এবং তাঁর গর্ভে পীনহসের জন্ম হয়েছিল। এঁরাই ছিলেন লেবি-গোষ্ঠীর বিভিন্ন বংশের প্রধান লোক।

26. এই হারুন ও মূসাকেই মাবুদ বলেছিলেন যেন তাঁরা সৈন্যদলের মত করে বনি-ইসরাইলদের মিসর দেশ থেকে বের করে নিয়ে আসেন।

27. এই মূসা ও হারুনই মিসর দেশ থেকে বনি-ইসরাইলদের বের করে নিয়ে যাবার কথা মিসরের বাদশাহ্‌ ফেরাউনকে বলেছিলেন।

হযরত মূসা ও হারুন (আঃ)-এর প্রতি আল্লাহ্‌র হুকুম

28-29. মাবুদ মিসর দেশে মূসার সংগে কথা বলবার সময়ে বলেছিলেন, “আমি মাবুদ। আমি তোমাকে যা বলছি তা সবই তুমি মিসরের বাদশাহ্‌ ফেরাউনকে জানাবে।”

30. কিন্তু মূসা তখন মাবুদকে বলেছিলেন, “ফেরাউন আমার কথায় কান দেবেন কেন, বিশেষ করে আমার কথা যখন জড়িয়ে যায়?”