অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16
  17. 17
  18. 18
  19. 19
  20. 20
  21. 21
  22. 22
  23. 23
  24. 24
  25. 25
  26. 26
  27. 27
  28. 28
  29. 29
  30. 30
  31. 31
  32. 32
  33. 33
  34. 34
  35. 35
  36. 36
  37. 37
  38. 38
  39. 39
  40. 40

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

হিজরত 39 Kitabul Mukkadas (MBCL)

মহা-ইমামের পোশাক

1. পবিত্র তাম্বু-ঘরে এবাদত-কাজের সময় পরবার জন্য তারা নীল, বেগুনে ও লাল রংয়ের সুতা দিয়ে পোশাক বুনল। মাবুদ মূসাকে যেমন হুকুম দিয়েছিলেন সেই অনুসারেই তারা হারুনের জন্য ইমামের কাজের পবিত্র পোশাক তৈরী করল।

মহা-ইমামের এফোদ

2. সোনা আর নীল, বেগুনে ও লাল রংয়ের সুতা এবং পাকানো মসীনা সুতা দিয়ে বৎসলেল এফোদটা তৈরী করলেন।

3. তারা সোনা পিটিয়ে পাতলা পাত তৈরী করল এবং তা সুতার মত করে কেটে নিল যাতে নীল, বেগুনে ও লাল রংয়ের সুতা এবং মসীনা সুতার সংগে সোনার সুতাও ব্যবহার করা যায়। এটা একটা ওস্তাদী হাতের কাজ।

4. এফোদের কাঁধের অংশটা বেঁধে রাখবার জন্য ফিতা তৈরী করে এফোদের দুই কোণায় জুড়ে দেওয়া হল।

5. এফোদের সংগে জোড়া লাগানো কোমরের পটিটাও দেখতে এফোদের মতই হল। সেটাও সোনা এবং নীল, বেগুনে ও লাল রংয়ের সুতা এবং পাকানো মসীনা সুতা দিয়ে তৈরী করা হল। মাবুদ মূসাকে যেমন হুকুম দিয়েছিলেন সেইমতই সব কিছু করা হল।

6-7. তারপর তারা সোনার জালির উপর দু’টা বৈদূর্যমণি বসাল। যেমন করে সীলমোহর খোদাই করা হয় তেমনি করে সেই পাথরের উপর ইসরাইলের ছেলেদের নাম খোদাই করে তা এফোদের কাঁধের ফিতার সংগে বেঁধে দেওয়া হল। মাবুদ বনি-ইসরাইলদের প্রতি মনোযোগ দেবেন, এটাই হল এই পাথর দু’টার উদ্দেশ্য। মাবুদ মূসাকে যেমন হুকুম দিয়েছিলেন সেইমতই সব কিছু করা হল।

মহা-ইমামের বুক-ঢাকন

8. তারপর বুক-ঢাকনটা তৈরী করা হল। এটা একটা ওস্তাদী হাতের কাজ। এফোদের মতই সেটা সোনা এবং নীল, বেগুনে ও লাল রংয়ের সুতা এবং পাকানো মসীনা সুতা দিয়ে তৈরী করা হল।

9. এটা লম্বায় আধ হাত ও চওড়ায় আধ হাত একটা চারকোনা বিশিষ্ট দুই ভাঁজ করা কাপড়।

10. এর উপর তারা চার সারি দামী পাথর বসাল। প্রথম সারিতে রইল সার্দীয়মণি, পীতমণি ও পান্না;

11. দ্বিতীয় সারিতে চুণি, নীলকান্তমণি ও হীরা;

12. তৃতীয় সারিতে গোমেদ, অকীকমণি ও পদ্মরাগ,

13. আর চতুর্থ সারিতে পোখরাজ, বৈদূর্যমণি ও সূর্যকান্তমণি। পাথরগুলো সোনার জালির উপর বসানো হল।

14. ইসরাইলের বারোজন ছেলের জন্য মোট বারোটা পাথর বসানো হল। তার প্রত্যেকটির মধ্যে বারোটা গোষ্ঠীর একটি করে নাম খোদাই করা হয়েছিল, যেমন করে সীলমোহর খোদাই করা হয়।

15. বুক-ঢাকনের জন্য তারা খাঁটি সোনা দড়ির মত পাকিয়ে দু’টা শিকল তৈরী করল।

16. তারা দু’টা সোনার জালি ও দু’টা সোনার কড়া তৈরী করল এবং কড়া দু’টা বুক-ঢাকনের উপরের দুই কোণায় লাগিয়ে দিল,

17. আর শিকল দু’টা সেই কড়া দু’টার সংগে আট্‌কে দিল।

18. এফোদের সামনের দিকে কাঁধের ফিতার উপর সোনার জালির সংগে শিকলের অন্য দিকটা আট্‌কে দেওয়া হল।

19. তা ছাড়া তারা আরও দু’টা সোনার কড়া তৈরী করে বুক-ঢাকনের অন্য দুই কোণায় লাগিয়ে দিল। এই দু’টা রইল এফোদের কাছে বুক-ঢাকনের তলায়।

20. তা ছাড়া তারা আরও দু’টা সোনার কড়া তৈরী করে এফোদের কাঁধের ফিতার সোজাসুজি নীচের দিকে এফোদের কোমরের পটির ঠিক উপরে যে সেলাই আছে তার কাছে লাগিয়ে দিল।

21. তারপর বুক-ঢাকনের তলার কড়ার সংগে কোমরের পটির কড়াটা নীল দড়ি দিয়ে বেঁধে দেওয়া হল। তাতে বুক-ঢাকনটা এফোদের উপর ঠিক জায়গায় রইল। মাবুদ মূসাকে যেমন হুকুম দিয়েছিলেন সেইমতই সব কিছু করা হল।

ইমামের অন্যান্য পোশাক

22. এফোদের নীচে পরবার লম্বা কোর্তাটার পুরোটাই তারা নীল সুতা দিয়ে বুনে নিল।

23. মাথা ঢুকাবার জন্য কোর্তার মাঝখানটা খোলা রইল এবং যাতে সেটা ছিঁড়ে না যায় সেইজন্য তার চারদিকে পটির মত করে বুনে নেওয়া হল।

24. নীল, বেগুনে ও লাল রংয়ের পাকানো সুতা দিয়ে ডালিম ফল তৈরী করে এই কোর্তাটার নীচের মুড়ির চারপাশে ঝুলিয়ে দেওয়া হল।

25. তারপর খাঁটি সোনা দিয়ে ঘণ্টা তৈরী করে সেই ডালিমগুলোর ফাঁকে ফাঁকে লাগিয়ে দেওয়া হল।

26. এবাদত-কাজের সময় পরবার এই কোর্তাটার নীচের সমস্ত মুড়ি ধরে রইল একটা করে ডালিম আর একটা করে ঘণ্টা। মাবুদ মূসাকে যেমন হুকুম দিয়েছিলেন সেইমতই সব কিছু করা হল।

27. হারুন ও তাঁর ছেলেদের জন্য মসীনা সুতা দিয়ে কোর্তা বোনা হল।

28. তাদের পাগড়ি ও মাথার টুপি মসীনা সুতা দিয়ে তৈরী করা হল আর জাংগিয়া তৈরী করা হল পাকানো মসীনা সুতা দিয়ে।

29. তাদের কোমর-বাঁধনি পাকানো মসীনা সুতা এবং নীল, বেগুনে ও লাল রংয়ের সুতা দিয়ে তৈরী করা হল। এটা একটা নক্‌শা করা জিনিস। মাবুদ মূসাকে যেমন হুকুম দিয়েছিলেন সেইমতই সব কিছু করা হল।

30. তারপর তারা খাঁটি সোনা দিয়ে একটা পাত তৈরী করল। এটা একটা পবিত্র তাজ। সীলমোহর খোদাই করবার মত করে সেই পাতের উপর এই কথা খোদাই করা হল, “মাবুদের উদ্দেশ্যে পাক-পবিত্র।”

31. মাবুদ মূসাকে যেমন হুকুম দিয়েছিলেন সেই অনুসারেই সেটা তারা নীল দড়ি দিয়ে পাগড়ির সংগে বেঁধে দিল।

সমাপ্ত-করা কাজের পরীক্ষা

32. এই রকম করেই আবাস-তাম্বুর, অর্থাৎ মিলন-তাম্বুর সব কিছু তৈরীর কাজ শেষ হল। মাবুদ মূসাকে যেমন হুকুম দিয়েছিলেন সেইমতই বনি-ইসরাইলরা সব কাজ করল।

33. তারপর তারা সেই আবাস-তাম্বুর জন্য তৈরী করা সব কিছু মূসার কাছে নিয়ে গেল। সেগুলো হল আবাস-তাম্বু ও তার সমস্ত সাজ-সরঞ্জাম, আংটা, ফ্রেম, হুড়কা, খুঁটি ও পা-দানি;

34. লাল রং করা ভেড়ার চামড়া ও শুশুকের চামড়ার ছাউনি দু’টা এবং মহাপবিত্র স্থান আড়াল করবার পর্দা;

35. ডাণ্ডাসুদ্ধ সাক্ষ্য-সিন্দুক এবং তার ঢাকনা;

36. টেবিল ও তার জিনিসপত্র এবং মাবুদের পবিত্র-রুটি;

37. বাতির সারি সুদ্ধ খাঁটি সোনার বাতিদান এবং তার জিনিসপত্র ও আলো জ্বালাবার তেল;

38. সোনার ধূপগাহ্‌, অভিষেকের তেল, খোশবু ধূপ ও আবাস-তাম্বুর দরজার পর্দা;

39. ব্রোঞ্জের ঝাঁঝরি ও ব্রোঞ্জের কোরবানগাহ্‌, তার ডাণ্ডাগুলো এবং তার সব বাসন-কোসন; গামলা ও তা বসাবার আসন;

40. উঠানের খুঁটি, পা-দানি ও তার পর্দা এবং উঠানে ঢুকবার দরজার পর্দা; উঠানের পর্দার গোঁজ ও দড়ি; আবাস-তাম্বুর, অর্থাৎ মিলন-তাম্বুর সব সাজ-সরঞ্জাম;

41. পবিত্র তাম্বু-ঘরে এবাদত-কাজের জন্য পোশাক, অর্থাৎ ইমাম হারুনের জন্য বুনানো পবিত্র পোশাক এবং তাঁর ছেলেদের ইমাম হিসাবে এবাদত-কাজের পোশাক।

42. মাবুদ মূসাকে যেমন হুকুম দিয়েছিলেন সেইমতই বনি-ইসরাইলরা সমস্ত কাজ করেছিল।

43. মূসা তাদের সব কাজ দেখে বুঝলেন যে, মাবুদের হুকুম মতই সব কাজ করা হয়েছে। এতে মূসা বনি-ইসরাইলদের দোয়া করলেন।