অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16
  17. 17
  18. 18
  19. 19
  20. 20
  21. 21
  22. 22
  23. 23
  24. 24
  25. 25
  26. 26
  27. 27
  28. 28
  29. 29
  30. 30
  31. 31
  32. 32
  33. 33
  34. 34
  35. 35
  36. 36
  37. 37
  38. 38
  39. 39
  40. 40

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

হিজরত 26 Kitabul Mukkadas (MBCL)

আবাস-তাম্বু

1. “আমার আবাস-তাম্বু দশ টুকরা কাপড় দিয়ে তৈরী করাতে হবে। টুকরাগুলো পাকানো মসীনা সুতা এবং নীল, বেগুনে ও লাল রংয়ের সুতা দিয়ে তৈরী করাতে হবে। ওস্তাদ কারিগর দিয়ে তার মধ্যে কারুবীদের ছবি বুনিয়ে নেবে।

2. টুকরাগুলো সব একই মাপের হবে- লম্বায় আটাশ হাত এবং চওড়ায় চার হাত।

3. টুকরাগুলো পাঁচটা পাঁচটা করে একসংগে জুড়ে দু’টা বড় টুকরা করতে হবে।

4. প্রথম বড় টুকরাটার একপাশের চওড়ার দিকের কিনারা ধরে নীল সুতা দিয়ে কতগুলো ফাঁস তৈরী করাবে। দ্বিতীয় বড় টুকরাতেও ঠিক তা-ই করাতে হবে।

5. এইভাবে পঞ্চাশটা ফাঁস প্রথম বড় টুকরার কিনারায় এবং আরও পঞ্চাশটা ফাঁস দ্বিতীয় বড় টুকরার কিনারায় থাকবে। দুই বড় টুকরার এই ফাঁসগুলো একটা আর একটার ঠিক উল্টা দিকে থাকবে।

6. তারপর পঞ্চাশটা সোনার আংটা তৈরী করে সেগুলো ফাঁসের মধ্যে ঢুকিয়ে সেই বড় টুকরা দু’টা আট্‌কে দিতে হবে। তাতে দু’টা বড় টুকরা দিয়ে একটা আবাস-তাম্বু হবে।

7. “আবাস-তাম্বুর উপরের অংশ ঢেকে দেবার জন্য ছাগলের লোম দিয়ে চাদরের মত করে এগারটা টুকরা বুনিয়ে নিতে হবে।

8. টুকরাগুলো একই মাপের হবে- ত্রিশ হাত লম্বা ও চার হাত চওড়া।

9. তা থেকে পাঁচটা টুকরা একসংগে জুড়ে নিয়ে একটা বড় টুকরা করতে হবে। বাকী ছয়টা টুকরা একসংগে জুড়ে নিয়ে আর একটা বড় টুকরা করতে হবে। এই বড় টুকরার মধ্যে যে টুকরাটা বেশী থাকবে সেটা তাম্বুর সামনের দিকে দু’ভাঁজ করে দিতে হবে।

10. প্রথম বড় টুকরাটা একপাশের চওড়ার দিকের কিনারা ধরে পঞ্চাশটা ফাঁস তৈরী করাতে হবে; দ্বিতীয় বড় টুকরাতেও ঠিক তা-ই করাতে হবে।

11. তারপর ব্রোঞ্জ দিয়ে পঞ্চাশটা আংটা তৈরী করিয়ে তা ফাঁসের মধ্য দিয়ে ঢুকিয়ে সেই বড় টুকরা দু’টা একসংগে আট্‌কে দিতে হবে। তাতে বড় টুকরা দু’টা মিলে একটা তাম্বু-ঢাকন হবে।

12. প্রথম বড় টুকরাটার যে অর্ধেকটা পিছন দিকে ঝুলে পড়বে সেটা সেইভাবেই থাকবে।

13. ছাগলের লোমের টুকরাখানা তলার কাপড় থেকে দু’পাশে এক হাত করে বড় হবার দরুন তা দু’পাশে ঝুলে পড়ে গোটা আবাস-তাম্বুটা ঢেকে ফেলবে।

14. তার উপরটা ঢেকে দেবার জন্য লাল রং করা ভেড়ার চামড়া দিয়ে একটা ঢাকনি তৈরী করাতে হবে, আর তার উপরটা ঢেকে দিতে হবে শুশুকের চামড়ার ঢাকনি দিয়ে।

15. “আবাস-তাম্বুর জন্য বাব্‌লা কাঠ দিয়ে কতগুলো খাড়া ফ্রেম তৈরী করাতে হবে।

16. প্রত্যেকটা ফ্রেম দশ হাত লম্বা আর দেড় হাত চওড়া হবে।

17. প্রত্যেক ফ্রেমের দু’টা করে পায়া থাকবে। আবাস-তাম্বুর সব ফ্রেমগুলো একই রকম করে তৈরী করাতে হবে।

18. দক্ষিণ দিকের জন্য বিশটা ফ্রেম তৈরী করাতে হবে।

19. ঐ ফ্রেমগুলোর প্রত্যেকটা পায়ার নীচে বসাবার জন্য চল্লিশটা রূপার পা-দানি তৈরী করাবে- প্রত্যেকটা ফ্রেমের জন্য দু’টা করে, অর্থাৎ প্রত্যেকটা পায়ার জন্য একটা করে।

20-21. আবাস-তাম্বুর অন্য দিকের জন্যও, অর্থাৎ উত্তর দিকের জন্যও বিশটা ফ্রেম এবং প্রত্যেকটা ফ্রেমের জন্য দু’টা করে মোট চল্লিশটা রূপার পা-দানি তৈরী করাবে।

22. তাম্বুর পশ্চিম দিকের জন্য, অর্থাৎ পিছন দিকের জন্য ছয়টা ফ্রেম,

23. আর পিছন দিকের দুই কোণার জন্যও আরও দু’টা ফ্রেম তৈরী করাবে।

24. এই ফ্রেম দু’টার প্রত্যেকটা দুই কোণার দু’টা ফ্রেমের সংগে একত্র করে নীচ থেকে উপর পর্যন্ত জোড়া দিতে হবে। প্রত্যেকটি কোণার দুই ফ্রেম ও পাশের ফ্রেমটা আংটা দিয়ে একসংগে জুড়ে দিতে হবে। দুই কোণা একই রকম হবে।

25. এতে পিছন দিকে আটটা ফ্রেম হবে এবং প্রত্যেকটা ফ্রেমের নীচে দেবার জন্য দু’টা করে মোট ষোলটা রূপার পা-দানি থাকবে।

26-27. “আবাস-তাম্বুর ফ্রেমগুলোর জন্য বাব্‌লা কাঠের হুড়কা তৈরী করাতে হবে। এর মধ্যে পাঁচটা হুড়কা হবে একদিকের ফ্রেমের জন্য এবং পাঁচটা অন্য দিকের ফ্রেমের জন্য আর পাঁচটা পিছনের, অর্থাৎ পশ্চিম দিকের ফ্রেমের জন্য।

28. উপর এবং নীচের হুড়কাগুলোর মধ্যেকার লম্বা হুড়কাটা ফ্রেমের মাঝখান দিয়ে এপাশ থেকে ওপাশ পর্যন্ত চলে যাবে।

29. ফ্রেমগুলো সোনা দিয়ে মুড়াতে হবে এবং হুড়কাগুলো ঢুকাবার জন্য সোনার কড়া তৈরী করে ফ্রেমে লাগাতে হবে। সেই হুড়কাগুলোও সোনা দিয়ে মুড়িয়ে নেবে।

30. “এই পাহাড়ের উপরে তোমাকে আবাস-তাম্বুর যে নমুনা দেখানো হল তুমি ঠিক সেইমত করেই সেটা তৈরী করাবে।

31. “নীল, বেগুনে ও লাল রংয়ের সুতা এবং পাকানো মসীনা সুতা দিয়ে একটা পর্দা তৈরী করাবে। ওস্তাদ কারিগর দিয়ে তার উপরে কারুবীদের ছবি বুনিয়ে নেবে।

32. সেই পর্দাটা বাব্‌লা কাঠের চারটা খুঁটির সংগে লাগানো সোনার হুক থেকে ঝুলিয়ে দিতে হবে। খুঁটিগুলো সোনা দিয়ে মুড়িয়ে দিতে হবে এবং সেগুলো রূপার পা-দানির উপর দাঁড়িয়ে থাকবে।

33. পর্দাটা উপরের মসীনার কাপড়ে লাগানো আংটার নীচে ঝুলানো থাকবে। এই পর্দার পিছনে সাক্ষ্য-সিন্দুকটি রাখবে। পর্দাটা মহাপবিত্র স্থান ও পবিত্র স্থানের মাঝখানে থেকে দু’টি স্থানকে আলাদা করে রাখবে।

34. এই মহাপবিত্র স্থানের ভিতরে সাক্ষ্য-সিন্দুকের উপরে তার ঢাকনাটা রাখবে।

35. এই পর্দাটার বাইরে পবিত্র স্থানের মধ্যে উত্তর পাশে টেবিলটা রাখতে হবে আর তার উল্টাদিকে দক্ষিণ পাশে থাকবে বাতিদানটা।

36. “তাম্বুর দরজার জন্যও একটা পর্দা তৈরী করাতে হবে। সেটা হবে নীল, বেগুনে ও লাল রংয়ের সুতা এবং পাকানো মসীনা সুতা দিয়ে সেলাই করে নক্‌শা করা জিনিস।

37. এই পর্দার জন্য সোনার হুক এবং বাব্‌লা কাঠের পাঁচটা খুঁটি তৈরী করাবে। খুঁটিগুলো সোনা দিয়ে মুড়িয়ে দিতে হবে। সেই খুঁটিগুলো বসাবার জন্য ব্রোঞ্জ দিয়ে পাঁচটা পা-দানি তৈরী করাবে।