অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16
  17. 17
  18. 18
  19. 19
  20. 20
  21. 21
  22. 22
  23. 23
  24. 24
  25. 25
  26. 26
  27. 27
  28. 28
  29. 29
  30. 30
  31. 31
  32. 32
  33. 33
  34. 34
  35. 35
  36. 36

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

শুমারী 19 কিতাবুল মোকাদ্দস (BACIB)

লাল রংয়ের গাভী

1. মাবুদ মূসা ও হারুনকে বললেন,

2. মাবুদ যে কিতাবী নিয়ম হুকুম করেছেন তা হচ্ছে এই: বনি-ইসরাইলকে বল, তারা নিখুঁত ও নিষ্কলঙ্ক, জোয়াল বহন করে নি এমন একটি লাল রংয়ের গাভী তোমার কাছে আনুক।

3. পরে তোমরা ইমাম ইলিয়াসরকে সেই গাভী দেবে এবং সে তাকে শিবিরের বাইরে নিয়ে যাবে এবং তার সম্মুখে সেটি জবেহ্‌ করা যাবে।

4. পরে ইমাম ইলিয়াসর তার আঙ্গুল দিয়ে তার কিঞ্চিৎ রক্ত নিয়ে জমায়েত-তাঁবুর সম্মুখে সাতবার সেই রক্ত ছিটিয়ে দেবে।

5. আর তার দৃষ্টিগোচরে সেই গাভী পুড়িয়ে দেওয়া যাবে; তার গোময়ের সঙ্গে চামড়া, গোশ্‌ত ও রক্ত পুড়িয়ে দেওয়া যাবে।

6. পরে ইমাম এরস কাঠ, এসোব ও লাল রংয়ের লোম নিয়ে ঐ গোদাহের আগুনের মধ্যে ফেলে দেবে।

7. পরে ইমাম তার পোশাক ধুয়ে নেবে ও শরীর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবে; পরে শিবিরে প্রবেশ করতে পারবে; তবুও ইমাম সন্ধ্যা পর্যন্ত নাপাক থাকবে।

8. আর যে ব্যক্তি সেই গাভী পুড়িয়ে দেবে, সেও তার কাপড় ধুয়ে ফেলবে, শরীর ধুয়ে নেবে এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত নাপাক থাকবে।

9. পরে কোন পাক-পবিত্র ব্যক্তি ঐ গাভীর ভস্ম সংগ্রহ করে শিবিরের বাইরে কোন পাক-পবিত্র স্থানে রাখবে; তা বনি-ইসরাইলদের মণ্ডলীর পাক-পবিত্রকরণ পানির জন্য রাখা যাবে; এটি গুনাহ্‌-কোরবানী।

10. আর যে ব্যক্তি ঐ গাভীর ভস্ম সংগ্রহ করবে, সে নিজের কাপড় ধুয়ে ফেলবে এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত নাপাক থাকবে, এটি বনি-ইসরাইল এবং তাদের মধ্যে প্রবাসী বিদেশীর পালনীয় চিরস্থায়ী নিয়ম হবে।

11. যে কেউ কোন মানুষের লাশ স্পর্শ করে, সে সাত দিন নাপাক থাকবে।

12. সে তৃতীয় দিন ও সপ্তম দিনে ঐ পানি দ্বারা নিজেকে পাক-সাফ করার পরে পাক-সাফ হবে; কিন্তু যদি তৃতীয় দিন ও সপ্তম দিনে নিজেকে পাক-সাফ না করে, তবে পাক-সাফ হবে না।

13. যে কেউ কোন মানুষের লাশ স্পর্শ করার পরে নিজেকে যদি পাক-সাফ না করে, সে মাবুদের শরীয়ত-তাঁবু নাপাক করে। সেই লোক ইসরাইলের মধ্য থেকে উচ্ছিন্ন হবে; কেননা তার উপরে পাক-পবিত্রকরণ পানি ছিটানো হয় নি, এজন্য সে নাপাক হবে; তার নাপাকীতা দূর হয় নি।

14. কোন মানুষ যখন তাঁবুর মধ্যে মারা যায় তখন এই হবে ব্যবস্থা: সেই তাঁবুতে প্রবেশকারী সমস্ত লোক এবং সেই তাঁবুর মধ্যস্থিত সমস্ত লোক সাত দিন নাপাক থাকবে।

15. আর যাবতীয় খোলা পাত্র ও সুতায় বাধা ঢাকনিবিহীন পাত্র নাপাক হবে।

16. আর যে কেউ ক্ষেতে পড়ে থাকা তলোয়ার দ্বারা নিহত কিংবা মৃত লোকের দেহ কিংবা মানুষের অস্থি কিংবা কবর স্পর্শ করে, সে সাত দিন নাপাক থাকবে।

17. লোকেরা সেই নাপাক ব্যক্তির জন্য গুনাহ্‌-কোরবানীর পোড়ানো কিঞ্চিৎ ভস্ম নিয়ে পাত্রে রেখে তার উপরে স্রোতের পানি দেবে।

18. পরে কোন পাক-সাফ ব্যক্তি এসব নিয়ে সেই পানিতে ডুবিয়ে ঐ তাঁবুর উপরে ও সেই স্থানের সমস্ত সামগ্রী ও সমস্ত প্রাণীর উপরে এবং অস্থি কিংবা নিহত বা মৃত লোকের দেহ কিংবা কবর স্পর্শকারী ব্যক্তির উপরে তা ছিটিয়ে দেবে।

19. আর ঐ পাক-সাফ ব্যক্তি তৃতীয় দিন ও সপ্তম দিনে নাপাক ব্যক্তির উপরে সেই পানি ছিটিয়ে দেবে; পরে সপ্তম দিনে সে তাকে পাক-পবিত্র করবে। ঐ ব্যক্তি নিজের কাপড় ধুয়ে ফেলবে ও গোসল করবে; পরে সন্ধ্যাবেলা পাক-সাফ হবে।

20. কিন্তু যে ব্যক্তি নাপাক হয়ে নিজেকে পাক-সাফ না করে, সে সমাজের মধ্য থেকে উচ্ছিন্ন হবে, কেননা সে মাবুদের এবাদতখানা নাপাক করেছে; তার উপরে পাক-পবিত্রকরণ পানি ছিটানো হয় নি, সে নাপাক।

21. এই তাদের পালনীয় চিরস্থায়ী নিয়ম হবে এবং যে কেউ সেই পাক-পবিত্রকরণ পানি ছিটিয়ে দেয়, সে নিজের কাপড় ধুয়ে ফেলবে। যে জন সেই পাক-পবিত্রকরণ পানি স্পর্শ করে, সে সন্ধ্যা পর্যন্ত নাপাক থাকবে।

22. আর সেই নাপাক ব্যক্তি যা কিছু স্পর্শ করে, তা নাপাক হবে এবং যে প্রাণী তা স্পর্শ করে, সে সন্ধ্যা পর্যন্ত নাপাক থাকবে।