অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16
  17. 17
  18. 18
  19. 19
  20. 20
  21. 21
  22. 22
  23. 23
  24. 24
  25. 25
  26. 26
  27. 27
  28. 28
  29. 29
  30. 30
  31. 31
  32. 32
  33. 33
  34. 34
  35. 35
  36. 36

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

শুমারী 4 কিতাবুল মোকাদ্দস (BACIB)

কহাতীয়দের দায়িত্ব-কর্তব্য

1. আর মাবুদ মূসা ও হারুনকে বললেন,

2. তোমরা লেবির সন্তানদের মধ্যে নিজ নিজ গোষ্ঠী ও পিতৃকুল অনুসারে কহাতীয়দেরকে,

3. ত্রিশ বছর বয়স্ক থেকে পঞ্চাশ বছর বয়স্ক পর্যন্ত যত লোক জমায়েত-তাঁবুতে কর্মচারীদের শ্রেণীভুক্ত হয়, তাদেরকে গণনা কর।

4. জমায়েত-তাঁবুতে কহাতীয়দের সেবাকর্ম মহা-পবিত্র স্থান (সংক্রান্ত)।

5. যখন শিবিরের লোকেরা অগ্রসর হবে, তখন হারুন ও তার পুত্ররা ভেতরে যাবে এবং ব্যবধানের পর্দা নামিয়ে তা দ্বারা শরীয়ত-সিন্দুক ঢাকবে,

6. তার উপরে শুশুকের চামড়ার আচ্ছাদন দেবে ও তার উপরে সমপূর্ণ নীল রংয়ের এক কাপড় পাতবে এবং তার বহন-দণ্ড পরাবে।

7. আর দর্শন রুটির টেবিলের উপরে এক নীল রংয়ের কাপড় পাতবে ও তার উপরে থালা, চামচ, সেঁকপাত্র ও পেয় উৎসর্গের সমস্ত জগ রাখবে এবং প্রতিদিন তার উপরে রুটি থাকবে।

8. সেই সবের উপরে তারা একটি লাল রংয়ের কাপড় পাতবে এবং শুশুকের চামড়ার আচ্ছাদন দিয়ে তা ঢাকবে এবং তার বহন দণ্ড পরাবে।

9. আর একটি নীল রংয়ের কাপড় নিয়ে প্রদীপ-আসন ও তার সমস্ত দীপ, চিমটা এবং গুল্‌তরাশ ও সেসব কিছুর পরিচর্যার সমস্ত তৈলপাত্র আচ্ছাদন করবে।

10. আর তা ও তৎসংক্রান্ত সমস্ত পাত্র শুশুকের চামড়ার একটি আচ্ছাদনে রেখে দণ্ডের উপরে রাখবে।

11. পরে তারা সোনার ধূপগাহ্‌র উপরে নীল রংয়ের কাপড় পেতে তার উপরে শুশুকের চামড়ার আচ্ছাদন দেবে এবং তার বহন-দণ্ড পরাবে।

12. আর তারা পবিত্র স্থানের পরিচর্যার সমস্ত পাত্র নিয়ে নীল রংয়ের কাপড়ের মধ্যে রাখবে এবং শুশুকের চামড়া দিয়ে তা ঢেকে দণ্ডের উপরে রাখবে।

13. আর কোরবানগাহ্‌ থেকে ভস্ম ফেলে তার উপরে বেগুনী রংয়ের কাপড় পাতবে।

14. আর তার উপরে তার পরিচর্যার সমস্ত পাত্র, অঙ্গারদানী, ত্রিশূল, হাতা ও বাটি, কোরবানগাহ্‌র সমস্ত পাত্র রাখবে; আর তারা তার উপরে শুশুকের চামড়ার আচ্ছাদন দেবে এবং তার বহন-দণ্ড পরাবে।

15. এভাবে শিবিরের অগ্রসর হবার সময়ে হারুন ও তার পুত্ররা পবিত্র স্থান ও পবিত্র স্থানের সমস্ত পাত্রের আচ্ছাদন সমাপ্ত করার পর কহাতীয়রা তা বহন করতে আসবে; কিন্তু তারা পবিত্র বস্তু স্পর্শ করবে না, পাছে তাদের মৃত্যু হয়। এসব জমায়েত-তাঁবুতে কহাতীয়দের বহনীয় হবে।

16. আর প্রদীপের জন্য তেল ও ধূপের জন্য সুগন্ধি দ্রব্য, প্রতিদিনের শস্য-উৎসর্গ ও অভিষেকের তেলের তত্ত্বাবধান, সমস্ত শরীয়ত-তাঁবু এবং যা কিছু তার মধ্যে আছে, পবিত্র স্থান ও তার দ্রব্যগুলোর তত্ত্বাবধান করা হারুনের পুত্র ইমাম ইলিয়াসরের কাজ হবে।

17. আর মাবুদ মূসা ও হারুনকে বললেন,

18. তোমরা লেবীয়দের মধ্য থেকে কহাতীয় গোষ্ঠীগুলোর বংশকে উচ্ছেদ করো না।

19. কিন্তু যখন তারা অতি পবিত্র বস্তুর কাছে যায়, তখন তারা যেন বেঁচে থাকে, মারা না পড়ে, সেজন্য তোমরা তাদের প্রতি এরকম করো; হারুন ও তার পুত্ররা ভিতরে গিয়ে ওদের প্রত্যেকজনকে নিজ নিজ সেবাকর্মে ও ভার বহনে নিযুক্ত করবে।

20. কিন্তু ওরা এক নিমিষের জন্যও পবিত্র বস্তু দেখতে ভিতরে যাবে না, গেলে মারা পড়বে।

গের্শোনীয়রা ও মরারিয়রা

21. আর মাবুদ মূসাকে বললেন,

22. তুমি গের্শোনীয়দের পিতৃকুল ও গোষ্ঠী অনুসারে তাদের সংখ্যা গ্রহণ কর।

23. ত্রিশ বছর বয়স্ক থেকে পঞ্চাশ বছর বয়স্ক পর্যন্ত যারা জমায়েত-তাঁবুতে সেবাকর্ম করার জন্য শ্রেণীভুক্ত হয়, তাদের গণনা কর।

24. সেবাকর্ম ও ভার বহনের মধ্যে গের্শোনীয় গোষ্ঠীগুলোর সেবাকর্ম এরকম:

25. তারা শরীয়ত-তাঁবুর সমস্ত পর্দা এবং জমায়েত-তাঁবু, তাঁবুর আবরণ, তার উপরিস্থ শুশুকের চামড়ার ছাদ,

26. জমায়েত-তাঁবুর দ্বারের আচ্ছাদনের কাপড়; প্রাঙ্গণের সমস্ত পর্দা এবং শরীয়ত-তাঁবুর ও কোরবানগাহ্‌র চারপাশের প্রাঙ্গণের দ্বারের আচ্ছাদনের কাপড়; তার দড়ি ও সেবাকর্মের সমস্ত দ্রব্য বহন করবে; আর এই সম্পর্কে আরও যা কিছু করার প্রয়োজন হয় তাও করবে।

27. হারুনের ও তার পুত্রদের হুকুম অনুসারে গের্শোনীয়রা নিজ নিজ ভার বহন ও সেবাকর্ম সম্পর্কিত সমস্ত কাজ করবে; তোমরা তাদের সমস্ত ভার বহনে তাদের নিযুক্ত করবে।

28. জমায়েত-তাঁবুতে এ-ই গের্শোনীয়দের গোষ্ঠীগুলোর সেবাকর্ম এবং তাদের কর্তব্য-কাজ ইমাম হারুনের পুত্র ঈথামরের হাতে থাকবে।

29. আর তুমি মরারিয়দের গোষ্ঠী ও পিতৃকুল অনুসারে তাদেরকে গণনা কর।

30. ত্রিশ বছর বয়স্ক থেকে পঞ্চাশ বছর বয়স্ক পর্যন্ত যারা জমায়েত-তাঁবুতে সেবাকর্ম করার জন্য শ্রেণীভুক্ত হয়, তাদেরকে গণনা কর।

31. আর জমায়েত-তাঁবুতে তাদের সমস্ত সেবাকর্ম সম্পর্কিত এই ভার তাদের বহন করতে হবে; শরীয়ত-তাঁবুর সমস্ত তক্তা, সেই সবের অর্গল, স্তম্ভ ও চুঙ্গি এবং

32. প্রাঙ্গণের চারপাশের সমস্ত স্তম্ভ, সেই সবের চুঙ্গি, গোঁজ, দড়ি ও তৎসম্বন্ধীয় সমস্ত দ্রব্য ও কাজ। তোমরা নামে নামে তাদের বহনীয় ভারের সমস্ত দ্রব্য গণনা করবে।

33. জমায়েত-তাঁবুতে এই মরারি সন্তানদের গোষ্ঠীগুলোর সমস্ত সেবাকর্ম সম্পর্কিত কাজ; এটি ইমাম হারুনের পুত্র ঈথামরের হাতে থাকবে।

লেবীয় বংশগুলোর লোকসংখ্যা গণনা

34. পরে মূসা, হারুন ও মণ্ডলীর নেতৃবর্গ, কহাতীয় সন্তানদের গোষ্ঠী

35. ও পিতৃকুল অনুসারে তাদের মধ্যে ত্রিশ বছর বয়স্ক থেকে পঞ্চাশ বছর বয়স্ক পর্যন্ত যারা জমায়েত-তাঁবুতে সেবাকর্ম করার জন্য শ্রেণীভুক্ত হল, তাদেরকে গণনা করলেন,

36. আর তাদের গোষ্ঠী অনুসারে গণনা-করা লোক হল দুই হাজার সাত শত পঞ্চাশ জন।

37. এরা কহাতীয় গোষ্ঠীগুলোর গণনা-করা এবং জমায়েত-তাঁবুতে সেবাকর্মে নিযুক্ত লোক; মূসার মধ্য দিয়ে দেওয়া মাবুদের হুকুম অনুসারে মূসা ও হারুন এদেরকে গণনা করলেন।

38. গের্শোনীয়দের নিজ নিজ গোষ্ঠী ও পিতৃকুল অনুসারে গণনা করা হল।

39. ত্রিশ বছর বয়স্ক থেকে পঞ্চাশ বছর বয়স্ক পর্যন্ত যারা জমায়েত-তাঁবুতে সেবাকর্ম করার জন্য শ্রেণীভুক্ত হল,

40. তাদের নিজ নিজ গোষ্ঠী ও পিতৃকুল অনুসারে গণনা করা হলে দুই হাজার ছয় শত ত্রিশ জন হল।

41. এরা গের্শোনীয়দের গোষ্ঠীগুলোর গণনা-করা এবং জমায়েত-তাঁবুতে সেবাকর্মে নিযুক্ত লোক; মূসা ও হারুন মাবুদের হুকুম অনুসারে এদেরকে গণনা করলেন।

42. মরারিয়দের নিজ নিজ গোষ্ঠী ও পিতৃ-কুল অনুসারে গণনা করা হল।

43. ত্রিশ বছর বয়স্ক থেকে পঞ্চাশ বছর বয়স্ক পর্যন্ত যারা জমায়েত-তাঁবুতে সেবাকর্মের জন্য শ্রেণীভুক্ত হল,

44. তাদের নিজ নিজ গোষ্ঠী ও পিতৃকুল অনুসারে গণনা করা হলে তিন হাজার দুই শত জন হল।

45. এরা মরারিয়দের গোষ্ঠীগুলোর গণনা-করা লোক; মূসার মধ্য দিয়ে দেওয়া মাবুদের হুকুম অনুসারে মূসা ও হারুন এদেরকে গণনা করলেন।

46. এভাবে মূসা, হারুন ও ইসরাইলের নেতৃবর্গরা লেবীয়দের নিজ নিজ গোষ্ঠী ও পিতৃকুল অনুসারে গণনা করলেন।

47. ত্রিশ বছর বয়স্ক থেকে পঞ্চাশ বছর বয়স্ক পর্যন্ত যারা জমায়েত-তাঁবুতে সেবাকর্ম ও ভার বহনের কাজ করতে প্রবেশ করতো,

48. তাদের গণনা করলে পর তারা সংখ্যায় আট হাজার পাঁচ শত আশী জন হল।

49. মাবুদের হুকুম অনুসারেই মূসা তাদের প্রত্যেক জনকে নিজ নিজ সেবাকর্ম ও ভার বহন অনুসারে গণনা করলেন; এভাবে মূসার কাছে দেওয়া মাবুদের হুকুম অনুসারেই তিনি তাদের গণনা করলেন।