অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16
  17. 17
  18. 18
  19. 19
  20. 20
  21. 21
  22. 22
  23. 23
  24. 24
  25. 25
  26. 26
  27. 27
  28. 28
  29. 29
  30. 30
  31. 31
  32. 32
  33. 33
  34. 34
  35. 35
  36. 36

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

শুমারী 28 কিতাবুল মোকাদ্দস (BACIB)

প্রতিদিনের কোরবানীর নিয়ম

1. পরে মাবুদ মূসাকে বললেন,

2. তুমি বনি-ইসরাইলকে হুকুম কর, তাদেরকে বল, আমার উপহার, আমার উদ্দেশে খোশবুযুক্ত অগ্নিকৃত আমার শস্য-উৎসর্গ, যথা সময়ে আমার উদ্দেশে নিবেদন করতে হবে।

3. আর তুমি তাদেরকে এই কথা বল, তোমরা মাবুদের উদ্দেশে অগ্নিকৃত উপহার হিসেবে এসব নিবেদন করবে; প্রতিদিন আগুনে-দেওয়া কোরবানীর জন্য এক বছরের নিখুঁত দু’টি ভেড়ার বাচ্চা;

4. একটি ভেড়ার বাচ্চা খুব ভোরে ও আর একটি ভেড়ার বাচ্চা সন্ধ্যাবেলা কোরবানী করবে।

5. আর শস্য-উৎসর্গের জন্য এক হিনের চার ভাগের এক ভাগ ছেঁচা জলপাইয়ের তেল এক ঐফার দশ ভাগের এক ভাগ সুজির সঙ্গে মিশাবে।

6. এটা প্রতি-দিনের পোড়ানো-কোরবানী; মাবুদের উদ্দেশে খোশবুযুক্ত অগ্নিকৃত উপহার বলে এই তুর পর্বতে নিরূপিত হয়েছিল।

7. আর তার একটি ভেড়ার বাচ্চার জন্য এক হিনের চার ভাগের এক ভাগ পেয় উৎসর্গ হবে; তুমি পবিত্র স্থানে মাবুদের উদ্দেশে মদিরার পেয় উৎসর্গ ঢেলে দেবে।

8. আর একটি ভেড়ার বাচ্চা সন্ধ্যাবেলা কোরবানী করবে; সকাল বেলার শস্য-উৎসর্গের ও পেয় উৎসর্গের মত তাও মাবুদের উদ্দেশে খোশবুযুক্ত অগ্নিকৃত উপহার বলে উৎসর্গ করবে।

বিশ্রামবারের কোরবানী

9. আর বিশ্রামবারে এক বছর বয়সের নিখুঁত দু’টি ভেড়ার বাচ্চা ও তেল মিশানো (এক ঐফার) বিশ ভাগের এক ভাগ সুজির শস্য-উৎসর্গ ও তৎসম্বন্ধীয় পেয় উৎসর্গ নিবেদন করবে।

10. প্রতিদিনের পোড়ানো-কোরবানী ও তৎসংক্রান্ত পেয় উৎসর্গ ভিন্ন এটাই হচ্ছে প্রতি বিশ্রামবারের পোড়ানো-কোরবানী।

প্রতি মাসের কোরবানী

11. আর প্রতি মাসের সূচনায় তোমরা মাবুদের উদ্দেশে পোড়ানো-কোরবানীর জন্য নিখুঁত দু’টি ষাঁড়, একটি ভেড়া ও এক বছরের সাতটি ভেড়ার বাচ্চা কোরবানী করবে।

12. এক একটি বাছুরের জন্য তিন দশমাংশ তেল মিশানো সুজির শস্য-উৎসর্গ এবং সেই ভেড়ার জন্য বিশ ভাগের এক ভাগ তেল মিশানো সুজির ভক্ষ-নৈবেদ্য;

13. এবং এক একটি ভেড়ার বাচ্চার জন্য দশ ভাগের এক ভাগ তেল মিশানো সুজির শস্য-উৎসর্গ হবে; তাতে সেই পোড়ানো-কোরবানী মাবুদের উদ্দেশে খোশবুযুক্ত অগ্নিকৃত উপহার হবে।

14. এক একটি বাছুরটির জন্য এক হিনের অর্ধেক ও সেই ভেড়ার জন্য এক হিনের তিন ভাগের এক ভাগ ও এক একটি ভেড়ার বাচ্চার জন্য এক হিনের চার ভাগের এক ভাগ আঙ্গুর-রস তার পেয় উৎসর্গ হবে। এই কোরবানী সারা বছর ধরে করার জন্য প্রতি মাসের মাসিক পোড়ানো-কোরবানী।

15. আর গুনাহ্‌-কোরবানীর জন্য মাবুদের উদ্দেশে একটি ছাগল; প্রতিদিনের পোড়ানো-কোরবানী ও তার পেয় উৎসর্গ ভিন্ন এই কোরবানী করতে হবে।

ঈদুল ফেসাখের কোরবানী

16. আর প্রথম মাসের চতুর্দশ দিনে মাবুদের ঈদুল ফেসাখ।

17. এই মাসের পঞ্চদশ দিনে উৎসব হবে; সাতদিন খামিহীন রুটি ভোজন করতে হবে।

18. প্রথম দিনে পবিত্র মিলন-মাহ্‌ফিল হবে; তোমরা কোন পরিশ্রমের কাজ করবে না।

19. কিন্তু মাবুদের উদ্দেশে অগ্নিকৃত উপহার বলে পোড়ানো-কোরবানীর জন্য দু’টি ষাঁড়, একটি ভেড়া ও এক বছর বয়সের সাতটি ভেড়ার বাচ্চা কোরবানী করবে, তোমাদের জন্য সেগুলো নিখুঁত হওয়া চাই;

20. এবং এক একটি বাছুরের জন্য তিন দশমাংশ ও সেই ভেড়ার জন্য বিশ ভাগের এক ভাগ,

21. এবং সাতটি ভেড়ার বাচ্চার মধ্যে এক একটি বাচ্চার জন্য দশ ভাগের এক ভাগ তেল মিশানো সুজির শস্য-উৎসর্গ,

22. এবং তোমাদের জন্য কাফ্‌ফারা করতে গুনাহ্‌-কোরবানী হিসেবে একটি ছাগল,

23. প্রাতঃকালীন পোড়ানো-কোরবানী ছাড়াও এ সব তোমরা নিবেদন করবে।

24. এই নিয়ম অনুযায়ী তোমরা সাত দিন যাবৎ প্রতিদিন মাবুদের উদ্দেশে খোশবুযুক্ত অগ্নিকৃত উপহাররূপ ভক্ষ্য-নিবেদন করবে; প্রতিদিনের পোড়ানো-কোরবানী ও তার পেয় উৎসর্গ ছাড়াও এসব নিবেদন করতে হবে।

25. আর সপ্তম দিনে তোমাদের পবিত্র মিলন-মাহ্‌ফিল হবে; তোমরা কোন পরিশ্রমের কাজ করবে না।

সাত সপ্তাহের উৎসবের কোরবানী

26. আবার অগ্রিমাংশের দিনে, যখন তোমরা তোমাদের সাত সপ্তাহের উৎসবে মাবুদের উদ্দেশে নতুন শস্য-উৎসর্গ আনবে, তখন তোমাদের পবিত্র মিলন-মাহ্‌ফিল হবে; তোমরা কোন পরিশ্রমের কাজ করবে না।

27. কিন্তু মাবুদের উদ্দেশে খোশবুযুক্ত পোড়ানো-কোরবানী হিসেবে দু’টি ষাঁড়, একটি ভেড়া ও এক বছর বয়সের সাতটি ভেড়ার বাচ্চা কোরবানী করবে;

28. এবং তাদের শস্য-উৎসর্গ বলে একেকটি বাছুরের জন্য তিন দশমাংশ,

29. একটি ভেড়ার জন্য বিশ ভাগের এক ভাগ এবং সাতটি ভেড়ার বাচ্চার মধ্যে একেক বাচ্চার জন্য দশ ভাগের এক ভাগ তেল মিশানো সুজি;

30. তোমাদের জন্য কাফ্‌ফারা করবার জন্য একটি ছাগল।

31. প্রতিদিনের পোড়ানো-কোরবানী ও তার শস্য-উৎসর্গ ছাড়াও পেয় উৎসর্গ নিবেদন করবে; এসব নিখুঁত হওয়া চাই।