অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16
  17. 17
  18. 18
  19. 19
  20. 20
  21. 21
  22. 22
  23. 23
  24. 24
  25. 25
  26. 26
  27. 27
  28. 28
  29. 29
  30. 30
  31. 31
  32. 32
  33. 33
  34. 34
  35. 35
  36. 36

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

শুমারী 31 কিতাবুল মোকাদ্দস (BACIB)

মাদিয়ানীয়দের পরাজয় ও বিনাশ

1. মাবুদ মূসাকে বললেন,

2. তুমি বনি-ইসরাইলদের জন্য মাদিয়ানীয়দেরকে প্রতিফল দাও; তারপর তুমি তোমার পূর্বপুরুষদের কাছে গৃহীত হবে।

3. তখন মূসা লোকদেরকে বললেন, তোমাদের কিছু লোক যুদ্ধের জন্য সজ্জিত হোক, মাবুদের জন্য মাদিয়ানকে প্রতিফল দিতে মাদিয়ানের বিরুদ্ধে যাত্রা করুক।

4. তোমরা ইসরাইল-বংশগুলোর প্রত্যেক বংশ থেকে একেক হাজার লোক যুদ্ধে প্রেরণ করবে।

5. তাতে হাজার হাজার ইসরাইলের মধ্যে একেক বংশ থেকে একেক হাজার মনোনীত হলে যুদ্ধের জন্য বারো হাজার লোক সজ্জিত হল।

6. এভাবে মূসা একেক বংশের একেক হাজার লোককে এবং ইমাম ইলিয়াসরের পুত্র পীনহসকে যুদ্ধে প্রেরণ করলেন। পবিত্র স্থানের সমস্ত পাত্র ও রণবাদ্যের তুরী পীনহসের সঙ্গে ছিল।

7. পরে মূসার প্রতি মাবুদের দেওয়া হুকুম অনুসারে তারা মাদিয়ানের সঙ্গে যুদ্ধ করে তাদের সমস্ত পুরুষকে হত্যা করলো।

8. আর তারা মাদিয়ানের বাদশাহ্‌দেরকে তাদের অন্যান্য নিহত লোকদের সঙ্গে হত্যা করলো; ইবি, রেকম, সূর, হূর ও রেবা, মাদিয়ানের এই পাঁচ জন বাদশাহ্‌কে হত্যা করলো; বিয়োরের পুত্র বালামকেও তলোয়ার দ্বারা হত্যা করলো।

9. আর বনি-ইসরাইল মাদিয়ানের সকল স্ত্রীলোক ও বালক-বালিকাদেরকে বন্দী করে নিয়ে গেল এবং তাদের সমস্ত পশু, সমস্ত ভেড়ার পাল ও সমস্ত সম্পত্তি লুট করে নিল;

10. আর তাদের সমস্ত নিবাস-নগর ও সমস্ত ছাউনি পুড়িয়ে দিল।

11. আর তারা লুটদ্রব্য এবং মানুষ বা পশুপাল, সমস্ত ধৃত জীব সঙ্গে নিয়ে চললো।

12. তারা জেরিকোর নিকটবর্তী জর্ডানতীরস্থ মোয়াবের উপত্যকায় মূসার, ইলিয়াসর ইমামের ও বনি-ইসরাইলদের সমস্ত মণ্ডলীর কাছে বন্দীদেরকে ও যুদ্ধে ধৃত জীবগুলোকে এবং লুণ্ঠিত সমস্ত দ্রব্য শিবিরে নিয়ে গেল।

যুদ্ধ থেকে ফিরে আসা

13. মূসা, ইমাম ইলিয়াসর ও মণ্ডলীর সমস্ত নেতা তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে শিবিরের বাইরে গেলেন।

14. তখন যুদ্ধ থেকে প্রত্যাগত সেনাপতিদের, অর্থাৎ সহস্রপতি ও শতপতিদের উপরে মূসা ক্রুদ্ধ হলেন।

15. মূসা তাদেরকে বললেন, তোমরা কি সমস্ত স্ত্রীলোককে জীবিত রেখেছ?

16. দেখ, বালামের পরামর্শে তারাই পিয়োর দেবতার ঘটনায় বনি-ইসরাইলকে মাবুদের বিরুদ্ধে বিশ্বাস ভঙ্গ করিয়েছিল, সেজন্যই মাবুদের মণ্ডলীতে মহামারী হয়েছিল।

17. অতএব তোমরা এখন বালক-বালিকাদের মধ্যে সমস্ত বালককে হত্যা কর এবং শয়নে পুরুষের পরিচয় পেয়েছে এমন সমস্ত স্ত্রীলোককেও হত্যা কর;

18. কিন্তু যে বালিকারা শয়নে পুরুষের পরিচয় পায় নি, তাদেরকে তোমাদের জন্য জীবিত রাখ।

19. আর তোমরা সাত দিন শিবিরের বাইরে ছাউনি করে থাক; তোমরা যত লোক মানুষ হত্যা করেছ ও নিহত লোককে স্পর্শ করেছ, সকলে তৃতীয় দিন ও সপ্তম দিনে নিজেদেরকে ও নিজ নিজ বন্দীদেরকে পাক-সাফ কর;

20. আর যাবতীয় কাপড়, চামড়া দিয়ে তৈরি যাবতীয় বস্তু, ছাগলের লোম দিয়ে তৈরি সমস্ত বস্তু ও কাঠ দিয়ে তৈরি যাবতীয় বস্তুর বিষয় নিজেদের পাক-সাফ কর।

21. যারা যুদ্ধে গিয়েছিল, ইমাম ইলিয়াসর সেই যোদ্ধাদেরকে বললেন, মাবুদ কর্তৃক মূসাকে দেওয়া শরীয়তের এই নিয়ম;

22. কেবল সোনা, রূপা, ব্রোঞ্জ, লোহা, রাঙ্গ ও সীসা প্রভৃতি

23. যেসব দ্রব্য আগুনে নষ্ট হয় না, সেসব আগুনের মধ্য দিয়ে চালাবে, তাতে তা পাক-সাফ হবে; তবুও তা পাক-পবিত্রকরণ পানি দিয়ে পাক-সাফ করতে হবে; কিন্তু যে যে দ্রব্য আগুনে নষ্ট হয়, তা তোমরা পানির মধ্য দিয়ে চালাবে।

24. আর সপ্তম দিনে তোমরা নিজ নিজ কাপড় ধুয়ে ফেলবে; তাতে পাক-সাফ হবে; পরে শিবিরে প্রবেশ করবে।

লুটের জিনিস ভাগ

25. পরে মাবুদ মূসাকে বললেন,

26. তুমি ও ইলিয়াসর ইমাম এবং মণ্ডলীর পিতৃকুল-পতিগণ যুদ্ধে ধৃত প্রাণীদের, অর্থাৎ বন্দী মানুষ ও পশুদের সংখ্যা গণনা কর।

27. আর যুদ্ধে ধৃত সেই প্রাণীদেরকে দুই অংশ করে, যে যোদ্ধারা যুদ্ধে গিয়েছিল, তাদের ও সমস্ত মণ্ডলীর মধ্যে ভাগ কর।

28. আর যুদ্ধে গমনকারী যোদ্ধাদের কাছ থেকে মাবুদের জন্য কর গ্রহণ কর; তাদের ভাগ থেকে মানুষ, গরু, গাধা ও ভেড়া,

29. এগুলোর মধ্যে প্রতি পাঁচ শত জীবের মধ্য থেকে একটি প্রাণীকে নিয়ে মাবুদের উদ্দেশে উত্তোলনীয় উপহার হিসেবে ইমাম ইলিয়াসরকে দাও।

30. আর তুমি বনি-ইসরাইলদের ভাগ থেকে মানুষ, গরু গাধা ও ছাগল-ভেড়া বা অন্য সমস্ত পশুর মধ্য থেকে প্রতি পঞ্চাশ প্রাণী থেকে একটি প্রাণী নাও এবং মাবুদের শরীয়ত-তাঁবুর প্রতি কর্তব্য পালনকারী লেবীয়দেরকে দাও।

31. মূসাকে মাবুদ যেমন হুকুম করলেন, মূসা ও ইমাম ইলিয়াসর সেভাবেই সমস্ত কিছু করলেন।

32. যোদ্ধাদের কর্তৃক লুণ্ঠিত বস্তুগুলো ছাড়া ঐ ধৃত প্রাণীগুলো ছয় লক্ষ পঁচাত্তর হাজার ভেড়া,

33. বাহাত্তর হাজার গরু,

34. একষট্টি হাজার গাধা,

35. আর বত্রিশ হাজার মানুষ, অর্থাৎ শয়নে পুরুষের পরিচয় পায় নি এমন স্ত্রীলোক ছিল।

36. তাতে যারা যুদ্ধে গিয়েছিল, তাদের প্রাপ্য অর্ধাংশের সংখ্যা হল তিন লক্ষ সাঁইত্রিশ হাজার পাঁচ শত ভেড়া;

37. সেই ভেড়া থেকে মাবুদের লভ্য কর হল ছয় শত পঁচাত্তরটি।

38. আর গরু ছিল ছত্রিশ হাজার, তাদের মধ্যে মাবুদের কর বাহাত্তরটি।

39. আর গাধা ছিল ত্রিশ হাজার পাঁচ শত, তাদের মধ্যে মাবুদের কর একষট্টিটি।

40. আর মানুষ ছিল ষোল হাজার, তাদের মধ্যে মাবুদের কর হল বত্রিশ জন।

41. মাবুদ মূসাকে যেমন হুকুম করলেন, সেই অনুসারে মূসা সেই কর অর্থাৎ মাবুদের উত্তোলনীয় উপহার ইমাম ইলিয়াসরকে দিলেন।

42. আর মূসা যে অর্ধেক ভাগ যোদ্ধাদের কাছ থেকে নিয়ে বনি-ইসরাইলকে দিয়েছিলেন,

43. মণ্ডলীর সেই অর্ধেক ভাগে তিন লক্ষ সাঁইত্রিশ হাজার পাঁচ শত ভেড়া,

44. ছত্রিশ হাজার গরু,

45. ত্রিশ হাজার পাঁচ শত গাধা,

46. ও ষোল হাজার মানুষ ছিল।

47. পরে মূসা বনি-ইসরাইলদের সেই অর্ধেক ভাগ থেকে মানুষ ও পশুর মধ্যে প্রতি পঞ্চাশটি প্রাণী থেকে একটি প্রাণী নিয়ে মাবুদের শরীয়ত-তাঁবুর প্রতি কর্তব্য পালনকারী লেবীয়দেরকে দিলেন, যেমন মাবুদ মূসাকে হুকুম করলেন।

48. পরে হাজার সৈন্যের উপরে কর্তৃত্বকারী সহস্রপতি ও শতপতিরা মূসার কাছে আসলেন;

49. তাঁরা মূসাকে বললেন, আপনার এই গোলামেরা আমাদের অধীন যোদ্ধাদের সংখ্যা গণনা করেছে, আমাদের মধ্যে এক জনও কমে নি।

50. আমরা প্রত্যেক জন সোনার অলংকার, নূপুর, বলয়, আংটি, কুণ্ডল ও হার, এই যেসব পেয়েছি, তা থেকে মাবুদের সম্মুখে আমাদের প্রাণের জন্য কাফ্‌ফারা করতে মাবুদের উদ্দেশে উপহার এনেছি।

51. তখন মূসা ও ইমাম ইলিয়াসর তাঁদের কাছ থেকে সেই সোনা, কারুকাজ করা গহনা নিলেন।

52. আর মাবুদের উদ্দেশে নিবেদিত সহস্রপতি ও শতপতিদের উত্তোলনীয় উপহারের সমস্ত সোনা ষোল হাজার সাত শত পঞ্চাশ শেকল পরিমিত হল।

53. যোদ্ধারা প্রত্যেকেই নিজের জন্য লুণ্ঠিত দ্রব্য গ্রহণ করেছিল।

54. পরে মূসা ও ইমাম ইলিয়াসর সহস্রপতি ও শতপতিদের কাছ থেকে সেই সোনা গ্রহণ করলেন এবং মাবুদের সম্মুখে বনি-ইসরাইলদের স্মরণ করার চিহ্ন হিসেবে তা জমায়েত-তাঁবুতে আনলেন।