1. মাবুদ মূসাকে বললেন,
2. তুমি দু’টি রূপার তূরী তৈরি কর; পিটানো রূপা দিয়ে তা তৈরি করতে হবে; তুমি তা মণ্ডলীকে আহ্বান ও শিবির তুলে যাত্রার জন্য ব্যবহার করবে।
3. সেই দু’টি তূরী বাজলে সমস্ত মণ্ডলী জমায়েত-তাঁবুর দরজার কাছে তোমার কাছে জমায়েত হবে।
4. কিন্তু একটি তূরী বাজালে নেতৃবর্গ, ইসরাইলের সহস্রপতিরা, তোমার কাছে জমায়েত হবে।
5. তোমরা রণবাদ্য বাজালে পূর্বদিকের শিবিরের লোকেরা শিবির ওঠাবে।
6. তোমরা দ্বিতীয়বার রণবাদ্য বাজালে দক্ষিণ দিকের শিবিরের লোকেরা শিবির ওঠাবে; তাদের প্রস্থান করার জন্য রণবাদ্য বাজাতে হবে।
7. কিন্তু সমাজের সমাগমের জন্য তূরী বাজাবার সময়ে তোমরা রণবাদ্য বাজাবে না।
8. হারুনের ইমাম সন্তানগণ সেই তূরী বাজাবে, পুরুষানুক্রমে তোমরা চিরস্থায়ী নিয়ম হিসেবে তা পালন করবে।
9. আর তোমাদের দেশে তোমরা যখন আক্রমণকারী শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে যাবে, সেই সময় এই তূরীতে রণবাদ্য বাজাবে; তাতে তোমাদের আল্লাহ্ মাবুদের সম্মুখে তোমাদেরকে স্মরণ করা হবে ও তোমরা তোমাদের দুশমনদের হাত থেকে নিস্তার পাবে।
10. আর তোমাদের আনন্দের দিনে, ঈদের দিনে ও মাসের আরম্ভে তোমাদের পোড়ানো-কোরবানীর ও তোমাদের মঙ্গল-কোরবানী দেওয়া উপলক্ষে তোমরা সেই তূরী বাজাবে; তাতে তা তোমাদের আল্লাহ্র সম্মুখে তোমাদের স্মরণ করা হবে। আমি মাবুদ তোমাদের আল্লাহ্।
11. পরে দ্বিতীয় বছর দ্বিতীয় মাসের বিশতম দিনে সেই মেঘ সাক্ষ্যের শরীয়ত-তাঁবুর উপর থেকে উপরে উঠে গেল।
12. তাতে বনি-ইসরাইল তাদের যাত্রার নিয়ম অনুসারে সিনাই মরুভূমি থেকে যাত্রা করলো, পরে সেই মেঘ পারণ মরুভূমিতে অবস্থান গ্রহণ করলো।
13. মূসার মধ্য দিয়ে দেওয়া মাবুদের হুকুম অনুসারে তারা এই প্রথমবার যাত্রা করলো।
14. প্রথমে এহুদা বিভাগের সৈন্যদের সঙ্গে এহুদা সন্তানদের শিবিরের নিশান চললো; অম্মীনাদবের পুত্র নহশোন তাদের সেনাপতি ছিলেন।
15. আর সূয়ারের পুত্র নথনেল ইষাখর-বংশের লোকদের বংশের সেনাপতি ছিলেন।
16. হেলোনের পুত্র ইলীয়াব সবূলূন-বংশের লোকদের বংশের সেনাপতি ছিলেন।
17. পরে শরীয়ত-তাঁবু তোলা হল এবং গের্শোনীয়রা ও মরারীয়রা সেই শরীয়ত-তাঁবু বহন করে অগ্রসর হল।
18. তারপর রূবেণ বিভাগের সৈন্যদের সঙ্গে রূবেণের শিবিরের নিশান চললো; শদেয়ুরের পুত্র ইলীষূর তাদের সেনাপতি ছিলেন।
19. সূরীশদ্দয়ের পুত্র শল্লুমীয়েল শিমিয়োন-বংশের সেনাপতি ছিলেন।
20. দ্যুয়েলের পুত্র ইলীয়াসফ গাদ-বংশের লোকদের বংশের সেনাপতি ছিলেন।
21. পরে কহাতীয়েরা বায়তুল-মোকাদ্দসের পবিত্র দ্রব্যসামগ্রী নিয়ে যাত্রা করলো এবং গন্তব্য স্থানে তাদের উপস্থিত হবার আগে শরীয়ত-তাঁবু স্থাপিত হল।
22. পরে আফরাহীম বিভাগের সৈন্যদের সঙ্গে আফরাহীম সন্তানদের শিবিরের নিশান চললো; অম্মীহূদের পুত্র ইলীশামা তাদের সেনাপতি ছিলেন।
23. আর পদাহসূরের পুত্র গমলীয়েল মানশা-বংশের সেনাপতি ছিলেন।
24. গিদিয়োনির পুত্র অবীদান বিন্ইয়ামীন-বংশের লোকদের বংশের সেনাপতি ছিলেন।
25. পরে সমস্ত শিবিরের পিছনে দান বিভাগের সৈন্যের সঙ্গে দান-বংশের লোকদের শিবিরের নিশান চললো; অম্মীশদ্দয়ের পুত্র অহীয়েষর ছিলেন তাদের সেনাপতি।
26. আর অক্রণের পুত্র পগীয়েল আশের-বংশের লোকদের বংশের সেনাপতি ছিলেন।
27. ঐননের পুত্র অহীরঃ নপ্তালি-বংশের লোকদের বংশের সেনাপতি ছিলেন।
28. এই ছিল বনি-ইসরাইলদের যাত্রার নিয়ম; তারা এভাবে যাত্রা করতো।
29. আর মূসা তাঁর শ্বশুর মিদিয়োনীয় রূয়েলের পুত্র হোববকে বললেন, মাবুদ আমাদেরকে যে স্থান দিতে ওয়াদা করেছেন, আমরা সেই স্থানে যাত্রা করছি; তুমিও আমাদের সঙ্গে এসো, আমরা তোমার মঙ্গল করবো কেননা মাবুদ ইসরাইলের পক্ষে মঙ্গল সাধন করার ওয়াদা করেছেন।
30. তিনি তাঁকে বললেন, আমি যাব না, আমি আমার দেশে ও আমার জ্ঞাতিদের কাছে যাব।
31. মূসা বললেন, আরজ করি, আমাদেরকে ত্যাগ করো না, কেননা মরুভূমির মধ্যে আমাদের শিবির স্থাপনের বিষয় তুমি জান, আর তুমি হবে আমাদের চক্ষুস্বরূপ।
32. আর যদি তুমি আমাদের সঙ্গে যাও, তবে এই ফল হবে, মাবুদ আমাদের প্রতি যে মঙ্গল করবেন, আমরা তোমার প্রতি তা-ই করবো।
33. পরে তারা মাবুদের পর্বত থেকে তিন দিনের পথ গমন করলো এবং মাবুদের শরীয়ত-সিন্দুক তাদের জন্য বিশ্রাম-স্থানের খোঁজ করার জন্য তিন দিনের পথ তাদের অগ্রগামী হল।
34. আর শিবির থেকে অন্য স্থানে গমনের সময়ে মাবুদের মেঘ দিনে তাদের উপরে থাকতো।
35. আর সিন্দুকের অগ্রসর হবার সময়ে মূসা বলতেন, হে মাবুদ, উঠ, তোমার দুশমনেরা ছিন্নভিন্ন হোক, তোমার বিদ্বেষীরা তোমার সম্মুখ থেকে পালিয়ে যাক।
36. আর তার বিশ্রামকালে তিনি বলতেন, হে মাবুদ, ইসরাইলের হাজার হাজার অযুত অযুতের কাছে ফিরে এসো।