অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16
  17. 17
  18. 18
  19. 19
  20. 20
  21. 21
  22. 22
  23. 23
  24. 24
  25. 25
  26. 26
  27. 27
  28. 28
  29. 29
  30. 30
  31. 31
  32. 32
  33. 33
  34. 34

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

দ্বিতীয় বিবরণ 5 কিতাবুল মোকাদ্দস (BACIB)

শরীয়তের দশটি বিশেষ হুকুম

1. তখন মূসা সমস্ত ইসরাইলকে ডেকে বললেন, হে ইসরাইল, আমি তোমাদের উদ্দেশে আজ যেসব বিধি ও অনুশাসনের কথা বলছি, সেসব শোন, তোমরা তা শিক্ষা কর ও যত্নপূর্বক পালন কর।

2. আমাদের আল্লাহ্‌ মাবুদ হোরেবে আমাদের সঙ্গে একটি নিয়ম করেছেন।

3. মাবুদ আমাদের পূর্বপুরুষদের সঙ্গে সেই নিয়ম করেন নি, কিন্তু আজ এই স্থানে সকলে জীবিত আছি যে আমরা, আমাদেরই সঙ্গে করেছেন।

4. মাবুদ পর্বতে আগুনের মধ্য থেকে তোমাদের সঙ্গে সম্মুখাসম্মুখি হয়ে কথা বললেন।

5. সেই সময়ে আমিই তোমাদেরকে মাবুদের কালাম জানাবার জন্য মাবুদ ও তোমাদের মধ্যে দণ্ডায়মান ছিলাম; কেননা আগুনের ভয়ে তোমরা পর্বতে উঠো নি।

6. তিনি বললেন, আমি তোমার আল্লাহ্‌ মাবুদ, যিনি মিসর দেশ থেকে, গোলাম-গৃহ থেকে তোমাকে বের করে আনলেন।

7. আমার সাক্ষাতে তোমার অন্য দেবতা না থাকুক।

8. তুমি তোমার জন্য খোদাই-করা মূর্তি তৈরি করো না; উপরিস্থ বেহেশতে, নিচস্থ দুনিয়াতে ও দুনিয়ার নিচস্থ পানিতে, যা যা আছে, তাদের কোন মূর্তি তৈরি করো না;

9. তুমি তাদের কাছে সেজ্‌দা করো না এবং তাদের সেবা করো না; কেননা তোমার আল্লাহ্‌ মাবুদ আমি স্বগৌরব রক্ষণে উদ্যোগী আল্লাহ্‌; আমি পিতৃগণের অপরাধের প্রতিফল সন্তানদের উপরে বর্তাই, যারা আমাকে অগ্রাহ্য করে, তাদের তৃতীয় ও চতুর্থ পুরুষ পর্যন্ত বর্তাই;

10. কিন্তু যারা আমাকে মহব্বত কর ও আমার সমস্ত হুকুম পালন করে, আমি তাদের হাজার হাজার পুরুষ পর্যন্ত অটল মহব্বত প্রকাশ করি।

11. তোমার আল্লাহ্‌ মাবুদের নাম অনর্থক নিও না, কেননা যে কেউ তাঁর নাম অনর্থক নেয়, মাবুদ তাকে নির্দোষ বলে গ্রহণ করবেন না।

12. তোমার আল্লাহ্‌ মাবুদের হুকুম অনুসারে বিশ্রামবার পালন করে পবিত্র বলে মান্য করো।

13. ছয় দিন পরিশ্রম করো, তোমার সমস্ত কাজ করো;

14. কিন্তু সপ্তম দিন তোমার আল্লাহ্‌ মাবুদের উদ্দেশে বিশ্রামবার; সেদিন তুমি, বা তোমার পুত্র, বা কন্যা, বা তোমার গোলাম বা বাঁদী, বা তোমার গরু, বা গাধা, বা অন্য কোন পশু, বা তোমার তোরণদ্বারের মধ্যবর্তী বিদেশী, কেউ কোন কাজ করো না; তোমার গোলাম ও তোমার বাঁদী যেন তোমার মত বিশ্রাম পায়।

15. স্মরণে রেখো, মিসর দেশে তুমি গোলাম ছিলে, কিন্তু তোমার আল্লাহ্‌ মাবুদ শক্তিশালী হাত ও বাড়িয়ে দেওয়া বাহু দ্বারা সেখান থেকে তোমাকে বের করে এনেছেন। এজন্য তোমার আল্লাহ্‌ মাবুদ বিশ্রামবার পালন করতে তোমাকে হুকুম করেছেন।

16. তোমার আল্লাহ্‌ মাবুদের হুকুম অনুসারে তোমার পিতা ও তোমার মাতাকে সমাদর করো; যেন তোমার আল্লাহ্‌ মাবুদ তোমাকে যে দেশ দেন, সেই দেশে তোমার দীর্ঘ পরমায়ু হয় ও তুমি মঙ্গল লাভ কর।

17. খুন করো না।

18. জেনা করো না।

19. চুরি করো না।

20. তুমি প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য দিও না।

21. তোমার প্রতিবেশীর স্ত্রীর উপর লোভ করো না; প্রতিবেশীর বাড়ি বা ক্ষেতের উপর, কিংবা তার গোলাম বা বাঁদীর উপর, কিংবা তার গরু বা গাধার উপর, প্রতিবেশীর কোন বস্তুর উপরই লোভ করো না।

হযরত মূসার মধ্যস্থতা

22. মাবুদ পর্বতে আগুন, মেঘ ও ঘোর অন্ধকারের মধ্য থেকে তোমাদের সমস্ত সমাজের কাছে এসব কালাম জোর উচ্চারণে বলেছিলেন, আর কিছুই বলেন নি। পরে তিনি এই সমস্ত কথা দু’টি পাথরের ফলকে লিখে আমাকে দিয়েছিলেন।

23. কিন্তু যখন তোমরা অন্ধকারের মধ্য থেকে সেই বাণী শুনতে পেলে এবং যখন আগুনে পর্বত জ্বলছিল তখন তোমরা, তোমাদের বংশের নেতৃবর্গ ও প্রাচীনবর্গরা সকলে আমার কাছে এসে বললে,

24. দেখ, আমাদের আল্লাহ্‌ মাবুদ আমাদের কাছে তাঁর প্রতাপ ও মহিমা দেখালেন এবং আমরা আগুনের মধ্য থেকে তাঁর বাণী শুনতে পেলাম; মানুষের সঙ্গে আল্লাহ্‌ কথা বললেও সে বাঁচতে পারে, এই আমরা আজ দেখলাম।

25. কিন্তু আমরা এখন কেন মরবো? ঐ মহান আগুন তো আমাদেরকে গ্রাস করবে; আমরা যদি আমাদের আল্লাহ্‌ মাবুদের কথা আবার শুনি, তবে মারা পড়বো।

26. কেননা যারা মাংসময়, তাদের মধ্যে এমন কে আছে যে, আমাদের মত আগুনের মধ্য থেকে জীবন্ত আল্লাহ্‌র, যাঁর মুখ থেকে বাণী নিঃসৃত হয়, আর তা শুনে বেঁচেছে?

27. তুমিই কাছে গিয়ে আমাদের আল্লাহ্‌ মাবুদ যে সমস্ত কথা বলেন, তা শোন; আমাদের আল্লাহ্‌ মাবুদ তোমাকে যা যা বলবেন, সেসব কথা তুমি আমাদের বলো; আমরা তা শুনে পালন করবো।

28. তোমরা যখন আমাকে এই কথা বললে, তখন মাবুদ তোমাদের সেসব আবেদন শুনলেন; আর মাবুদ আমাকে বললেন, এই লোকেরা তোমাকে যা যা বলেছে, সেই আবেদন আমি শুনলাম; তারা যা যা বলেছে, সেসব ভালই বলেছে।

29. আহা, সব সময় আমাকে ভয় ও আমার সমস্ত হুকুম পালন করতে যদি তাদের এরকম মন থাকে, তবে তাদের ও তাদের সন্তানদের চিরস্থায়ী মঙ্গল হবে।

30. তুমি যাও, তাদেরকে নিজ নিজ তাঁবুতে ফিরে যেতে বল।

31. কিন্তু তুমি আমার কাছে এই স্থানে দাঁড়াও, তুমি তাদেরকে যা যা শিক্ষা দেবে, আমি তোমাকে সেসব হুকুম, বিধি ও অনুশাসন বলে দেই, যেন আমি যে দেশ অধিকার হিসেবে তাদেরকে দিচ্ছি সেই দেশে তারা তা পালন করে চলে।

32. অতএব তোমাদের আল্লাহ্‌ মাবুদ তোমাদেরকে যেমন হুকুম করলেন, তা যত্নপূর্বক পালন করবে, তার ডানে বা বামে ফিরবে না।

33. তোমাদের আল্লাহ্‌ মাবুদ তোমাদেরকে যে যে পথে চলবার হুকুম দিলেন, সেসব পথে চলবে; যেন তোমরা বাঁচতে পার ও তোমাদের মঙ্গল হয় এবং যে দেশ তোমরা অধিকার করবে সেখানে তোমাদের দীর্ঘ পরমায়ু হয়।