অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16
  17. 17
  18. 18
  19. 19
  20. 20
  21. 21
  22. 22
  23. 23
  24. 24
  25. 25
  26. 26
  27. 27
  28. 28
  29. 29
  30. 30
  31. 31
  32. 32
  33. 33
  34. 34

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

দ্বিতীয় বিবরণ 28 কিতাবুল মোকাদ্দস (BACIB)

বাধ্যতার দোয়া

1. আমি তোমাকে আজ যেসব হুকুম দিচ্ছি, যদি যত্নপূর্বক সেসব পালন করার মধ্য দিয়ে তুমি তোমার আল্লাহ্‌ মাবুদের প্রতি বাধ্য হও, তবে তোমার আল্লাহ্‌ মাবুদ দুনিয়ার সমস্ত জাতির উপরে তোমাকে উন্নত করবেন;

2. আর তোমার আল্লাহ্‌ মাবুদের বাধ্য হও তবে এসব দোয়া তোমার উপরে বর্ষিত হবে ও তোমার সঙ্গে থাকবে।

3. তুমি নগরে ও ক্ষেতে দোয়াযুক্ত হবে।

4. তোমার শরীরের ফল, তোমার ভূমির ফল, তোমার পশুর ফল, তোমার বাছুর ও তোমার ভেড়ার বাচ্চাগুলো দোয়াযুক্ত হবে।

5. তোমার টুক্‌রী ও তোমার ময়দা মাখবার পাত্র দোয়াযুক্ত হবে।

6. ভিতরে আসার সময়ে তুমি দোয়াযুক্ত হবে এবং বাইরে যাবার সময়ে তুমি দোয়া যুক্ত হবে।

7. তোমার যে দুশমনেরা তোমার বিরুদ্ধে উঠবে, তাদেরকে মাবুদ তোমার সম্মুখে আঘাত করাবেন; তারা একটি পথ দিয়ে তোমার বিরুদ্ধে আসবে, কিন্তু সাতটি পথ দিয়ে তোমার সম্মুখ থেকে পালিয়ে যাবে।

8. মাবুদ হুকুম দিয়ে তোমার গোলাঘর সম্বন্ধে ও তুমি যে কোন কাজে হাত দাও, সে সম্বন্ধে দোয়াকে তোমার সহচর করবেন। তোমার আল্লাহ্‌ মাবুদ তোমাকে যে দেশ দিচ্ছেন, সেখানে তোমাকে দোয়া করবেন।

9. মাবুদ তাঁর কসম অনুসারে তোমাকে তাঁর পবিত্র লোক বলে স্থাপন করবেন; কেবল তোমার আল্লাহ্‌ মাবুদের হুকুম পালন ও তাঁর পথে গমন করতে হবে।

10. আর দুনিয়ার সমস্ত জাতি দেখতে পাবে যে, তোমার উপরে মাবুদের নাম কীর্তিত হয়েছে এবং তারা তোমাদের ভয় করে চলবে।

11. আর মাবুদ তোমাকে যে দেশ দিতে তোমার পূর্বপুরুষদের কাছে কসম খেয়েছেন, সেই দেশে তিনি মঙ্গলের নিমিত্ত তোমার শরীরের ফলে, তোমার পশুর ফলে ও তোমার ভূমির ফলে তোমাকে ঐশ্বর্যশালী করবেন।

12. সময়মত তোমার ভূমির জন্য বৃষ্টি দিতে ও তোমার সমস্ত কাজে দোয়া করতে মাবুদ তাঁর আকাশরূপ মঙ্গল-ভাণ্ডার খুলে দেবেন; এবং তুমি অনেক জাতিকে ঋণ দেবে, কিন্তু নিজে ঋণ নেবে না।

13. আর মাবুদ তোমাকে মস্তকস্বরূপ করবেন, পুচ্ছস্বরূপ করবেন না; তুমি অবনত না হয়ে কেবল উন্নত হবে; কেবল তোমার আল্লাহ্‌ মাবুদের এই যেসব হুকুম যত্নপূর্বক পালন করতে আমি তোমাকে আজ হুকুম করছি তা মান্য করতে হবে;

14. আর আজ আমি তোমাদেরকে যেসব বিষয়ে হুকুম করছি, অন্য দেবতাদের সেবা করে তাদের অনুগামী হয়ে তেমরা সেসব কথার ডানে বা বামে ফিরবে না।

অবাধ্যতার জন্য বদদোয়া

15. কিন্তু যদি তুমি তোমার আল্লাহ্‌ মাবুদের কথা মান্য না কর, আমি আজ তোমাকে তাঁর যে সমস্ত হুকুম ও নির্দেশ হুকুম করছি, যত্নপূর্বক সেসব পালন না কর, তবে এসব বদদোয়া তোমার প্রতি নেমে আসবে ও তোমার সঙ্গে থাকবে।

16. তুমি নগরে ও ক্ষেতে বদদোয়াগ্রস্ত হবে।

17. তোমার টুক্‌রী ও তোমার ময়দা মাখবার পাত্র বদদোয়াগ্রস্ত হবে।

18. তোমার শরীরের ফল, তোমার ভূমির ফল এবং তোমার বাছুর ও তোমার ভেড়ার বাচ্চাগুলো বদদোয়াগ্রস্ত হবে।

19. ভিতরে আসার সময়ে তুমি বদ-দোয়াগ্রস্ত হবে ও বাইরে যাবার সময়ে তুমি বদদোয়াগ্রস্ত হবে।

20. যে পর্যন্ত তোমার সংহার ও হঠাৎ বিনাশ না হয়, সেই পর্যন্ত যে কাজেই তুমি হাত দাও, সেই কাজে মাবুদ তোমার উপরে বদদোয়া, উদ্বেগ ও ভৎর্সনা প্রেরণ করবেন; এর কারণ তোমার সেসব দুষ্ট কাজ, যা দ্বারা তুমি আমাকে পরিত্যাগ করেছ।

21. তুমি যে দেশ অধিকার করতে যাচ্ছ, সেই দেশ থেকে যতক্ষণ উচ্ছিন্ন না হও, ততক্ষণ মাবুদ তোমাকে মহামারীর আশ্রয় করাবেন।

22. মাবুদ ক্ষয়রোগ, জ্বর, জ্বালা, প্রচণ্ড উত্তাপ ও তলোয়ার এবং শস্যের শোষ ম্লানি রোগ দ্বারা তোমাকে আঘাত করবেন; তোমার বিনাশ না হওয়া পর্যন্ত সেসব তোমাকে তাড়া করবে।

23. আর তোমার মাথার উপরের আসমান ব্রোঞ্জ ও পায়ের নিচের ভূমি লোহার মত শক্ত হবে।

24. মাবুদ তোমার দেশে পানির পরিবর্তে ধূলি ও বালি বর্ষণ করবেন; যে পর্যন্ত তোমার বিনাশ না হয়, সেই পর্যন্ত তা আসমান থেকে নেমে তোমার উপরে পড়বে।

25. মাবুদ তোমার দুশমনদের সম্মুখে তোমাকে আঘাত করাবেন; তুমি এক পথ দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে যাবে, কিন্তু সাত পথ দিয়ে তাদের সম্মুখ থেকে পালিয়ে যাবে এবং দুনিয়ার সমস্ত রাজ্যের মধ্যে ভেসে বেড়াবে।

26. আর তোমার লাশ আসমানের পাখিদের ও ভূমির পশুদের খাবার হবে; কেউ তাদেরকে তাড়িয়ে দেবে না।

27. মাবুদ তোমাকে মিসরীয় স্ফোটক এবং মহামারীর স্ফোটক, পামা, চামড়ারোগ ইত্যাদি রোগ দ্বারা এমন আঘাত করবেন যে, তুমি সুস্থতা লাভ করতে পারবে না।

28. মাবুদ উন্মাদ, অন্ধতা ও অন্তরের স্তব্ধতা দ্বারা তোমাকে আঘাত করবেন।

29. অন্ধ যেমন অন্ধকারে হাতড়ে বেড়ায়, সেরকম তুমি মধ্যাহ্নকালে হাতড়ে বেড়াবে ও নিজের পথে কৃতকার্য হবে না এবং সব সময় কেবল নির্যাতিত ও লুণ্ঠিত হবে, কেউ তোমাকে উদ্ধার করবে না।

30. তোমার সঙ্গে কন্যার বাগ্‌দান হবে, কিন্তু অন্য পুরুষ তাকে নিয়ে বিছানায় যাবে; তুমি বাড়ি নির্মাণ করবে, কিন্তু তাতে বাস করতে পারবে না; আঙ্গুরক্ষেত প্রস্তুত করবে, কিন্তু তার ফল ভোগ করতে পারবে না।

31. তোমার গরু তোমার সম্মুখে হত হবে, আর তুমি তার গোশ্‌ত ভোজন করতে পাবে না; তোমার গাধা তোমার সাক্ষাতে সবলে অপহৃত হব, তা তোমাকে ফিরিয়ে দেওয়া যাবে না; তোমার ভেড়ার পাল তোমার দুশমনদেরকে দেওয়া হবে, তোমার পক্ষে উদ্ধারকর্তা কেউ থাকবে না।

32. তোমার পুত্রকন্যাদের অন্য এক জাতিকে দেওয়া হবে ও সমস্ত দিন তাদের অপেক্ষায় চেয়ে থাকতে থাকতে তোমার চোখ ক্ষীণ হবে এবং তোমার হাতে কোন শক্তি থাকবে না।

33. তোমার অজ্ঞাত এক জাতি তোমার ভূমির ফসল ও তোমার শ্রমের সমস্ত ফল ভোগ করবে এবং তুমি সব সময় কেবল নির্যাতিত ও চূর্ণ হবে;

34. আর তোমার চোখ যা দেখবে, তাতে তুমি পাগল হয়ে যাবে।

35. মাবুদ তোমার জানু, জংঘা ও পায়ের তলা থেকে মাথার তালু পর্যন্ত দূরারোগ্য দুষ্ট স্ফোটক দ্বারা আঘাত করবেন।

36. মাবুদ তোমাকে এবং যে বাদশাহ্‌কে তুমি তোমার উপরে নিযুক্ত করবে, তাকে তোমার অজ্ঞাত এবং তোমার পূর্বপুরুষদের অজ্ঞাত এক জাতির কাছে নিয়ে যাবেন; সেই স্থানে তুমি অন্য কাঠ ও পাথরের মূর্তির সেবা করবে।

37. আর মাবুদ তোমাকে যেসব জাতির মধ্যে নিয়ে যাবেন, তাদের কাছে তুমি বিস্ময়, প্রবাদ ও উপহাসের পাত্র হবে।

38. তুমি বহু বীজ বয়ে ক্ষেতে নিয়ে যাবে, কিন্তু অল্প সংগ্রহ করবে; কেননা পঙ্গপাল তা বিনষ্ট করবে।

39. তুমি আঙ্গুরক্ষেত প্রস্তুত করে তা রোপন করবে, কিন্তু আঙ্গুর-রস পান করতে কি আঙ্গুর ফল চয়ন করতে পাবে না; কেননা কীটে তা খেয়ে ফেলবে।

40. তোমার সমস্ত অঞ্চলে জলপাই গাছ হবে, কিন্তু তুমি তেল মাখাতে পারবে না; কেননা তোমার জলপাই গাছের ফল ঝরে পড়বে।

41. তুমি পুত্রকন্যাদের জন্ম দেবে, কিন্তু তারা তোমার হবে না; কেননা তারা বন্দী হয়ে যাবে।

42. পঙ্গপাল তোমার সমস্ত গাছ ও ভূমির ফল অধিকার করবে।

43. তোমার মধ্যবর্তী বিদেশী তোমা থেকে উত্তরোত্তর উন্নত হবে ও তুমি উত্তরোত্তর অবনত হবে।

44. সে তোমাকে ঋণ দেবে, কিন্তু তুমি তাকে ঋণ দেবে না; সে মস্তকস্বরূপ হবে ও তুমি হবে পুচ্ছস্বরূপ।

45. এসব বদদোয়া তোমার উপরে আসবে, তোমার পেছনে পেছনে তাড়া করে তোমার বিনাশ পর্যন্ত তোমাকে ধরে ফেলবে; কেননা তোমার আল্লাহ্‌ মাবুদ তোমাকে যেসব হুকুম ও নির্দেশ দিয়েছেন, তুমি সেসব পালন করার জন্য তাঁর নির্দেশে কান দিলে না।

46. এসব তোমার ও যুগে যুগে তোমার বংশের উপরে চিহ্ন ও অদ্ভুত লক্ষণ-স্বরূপ থাকবে।

47. যেহেতু সমস্ত রকম সম্পত্তি পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকবার পরও তুমি আনন্দ-পূর্বক প্রফুল্লচিত্তে তোমার আল্লাহ্‌ মাবুদের গোলামী করতে না;

48. এজন্য মাবুদ তোমার বিরুদ্ধে যে দুশমনদেরকে পাঠাবেন, তুমি ক্ষুধায়, তৃষ্ণায়, উলঙ্গতায় ও সকল বিষয়ের অভাব ভোগ করতে করতে তাদের গোলামী করবে; এবং যে পর্যন্ত তিনি তোমার বিনাশ না করেন, সেই পর্যন্ত তোমার ঘাড়ে লোহার জোয়াল দিয়ে রাখবেন।

49. মাবুদ তোমার বিরুদ্ধে অনেক দূর থেকে, দুনিয়ার প্রান্ত থেকে এক জাতিকে আনবেন; যেমন ঈগল পাখি উড়ে আসে, সে সেভাবে উড়ে আসবে; সেই জাতির ভাষা তুমি বুঝতে পারবে না।

50. সেই জাতি ভয়ঙ্কর চেহারার, সে বৃদ্ধের মুখাপেক্ষা করবে না ও বালকের প্রতি কৃপা করবে না।

51. আর যে পর্যন্ত তোমার বিনাশ না হবে, সেই পর্যন্ত সে তোমার পশুর ও ভূমির ফল ভোজন করবে; যে পর্যন্ত সে তোমার বিনাশ সাধন না করবে, সেই পর্যন্ত তোমার জন্য শস্য, আঙ্গুর-রস কিংবা তেল, তোমার গরুর বাচ্চা কিংবা তোমার ভেড়ীর বাচ্চা অবশিষ্ট রাখবে না।

52. আর তোমার সমস্ত দেশে যেসব উঁচু ও সুরক্ষিত প্রাচীরে তুমি বিশ্বাস করতে, সেসব যে পর্যন্ত ভূমিসাৎ না হবে, সেই পর্যন্ত সে তোমার সমস্ত নগর-দ্বারে তোমাকে অবরোধ করবে; তোমার আল্লাহ্‌ মাবুদের দেওয়া তোমার সমস্ত দেশে সমস্ত নগর-দ্বারে সে তোমাকে অবরোধ করবে।

53. আর যখন তোমার দুশমনদের কর্তৃক তুমি অবরুদ্ধ ও ক্লিষ্ট হবে, তখন তুমি তোমার শরীরের ফল, তোমার আল্লাহ্‌ মাবুদের দেওয়া নিজের পুত্রকন্যাদের গোশ্‌ত, ভোজন করবে।

54. যখন সমস্ত নগর-দ্বারে দুশমনদের কর্তৃক তুমি অবরুদ্ধ ও ক্লিষ্ট হবে, তখন তোমার মধ্যে যে পুরুষ কোমল ও অতিশয় সুখ-ভোগী, আপন ভাইয়ের, বক্ষঃস্থিতা স্ত্রী ও অবশিষ্ট সন্তানদের প্রতি সে এমন ঈর্ষান্বিত হবে যে,

55. সে তাদের কাউকেও নিজের সন্তানদের মাংসের কিছুই দেবে না; তার কাছে কোন খাদ্য অবশিষ্ট না থাকবার দরুন সে তাদেরকে ভোজন করবে।

56. যখন সমস্ত নগর-দ্বারে দুশমনদের কর্তৃক তুমি অবরুদ্ধ ও ক্লিষ্ট হবে, তখন যে স্ত্রী কোমলতা ও সুখভোগের দরুন তার পা মাটিতে রাখতে সাহস করতো না, তোমার মধ্যবর্তিনী এমন কোমলাঙ্গী ও সুখভোগিনী মহিলার চোখ তার বক্ষঃস্থিত স্বামী, তার পুত্র ও কন্যার উপরে,

57. এমন কি, তার দুই পায়ের মধ্য থেকে বের হওয়া গর্ভফুল ও তার প্রসব করা শিশুদের উপরে ঈর্ষান্বিত হবে; কারণ অবরোধের সময়কার অভাবের দরুন সে এদেরকে গোপনে ভোজন করবে।

58. তুমি যদি এই কিতাবে লেখা শরীয়তের সমস্ত কথা যত্নপূর্বক পালন না কর; এভাবে যদি “তোমার আল্লাহ্‌ মাবুদ”—এই গৌরবান্বিত ও ভক্তিপূর্ণ ভয় জাগানো নামকে ভয় না কর;

59. তবে মাবুদ তোমাকে ও তোমার বংশকে অবিশ্বাস্যভাবে আঘাত করবেন; ফলত বহুকাল স্থায়ী মহাঘাত ও বহুকাল স্থায়ী ব্যথাজনক রোগ দ্বারা আঘাত করবেন।

60. আর তুমি মিসরীয়দের যে সব রোগ-ব্যাধি দেখে ভয় পেতে, সেই সমস্ত রোগ আবার তোমার উপরে আনবেন; সেসব তোমার সঙ্গের সাথী হবে।

61. আরও যা এই শরীয়ত-কিতাবে লেখা নেই, এমন প্রত্যেক রোগ ও আঘাত মাবুদ তোমার বিনাশ না হওয়া পর্যন্ত তোমার উপরে আনবেন।

62. তাতে আসমানের তারার মত বহুসংখ্যক ছিলে যে তোমরা, তোমরা অল্পসংখ্যক অবশিষ্ট থাকবে; কেননা তুমি তোমার আল্লাহ্‌ মাবুদের নির্দেশে কান দিতে না।

63. আর তোমাদের মঙ্গল ও বৃদ্ধি করতে যেমন মাবুদ তোমাদের সম্বন্ধে আনন্দ করতেন, সেভাবে তোমাদের বিনাশ ও লোপ করতে মাবুদ তোমাদের সম্বন্ধে আনন্দ করবেন এবং তুমি যে দেশ অধিকার করতে যাচ্ছ, সেখান থেকে তোমরা উচ্ছিন্ন হবে।

64. আর মাবুদ তোমাকে দুনিয়ার এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত সমস্ত জাতির মধ্যে ছিন্নভিন্ন করবেন; সেই স্থানে তুমি তোমার ও তোমার পূর্বপুরুষদের অজ্ঞাত অন্য দেবতাদের, কাঠ ও পাথরের, সেবা করবে।

65. আর তুমি সেই জাতিদের মধ্যে কোন শান্তি পাবে না ও তোমার পদতলের জন্য বিশ্রামস্থান থাকবে না, কিন্তু মাবুদ সেই স্থানে তোমাকে হৃৎকম্প, চোখের ক্ষীণতা ও প্রাণের শুষ্কতা দেবেন।

66. আর তোমার জীবন তোমার দৃষ্টিতে সংশয়ে দোলায়মান হবে এবং তুমি দিনরাত শঙ্কা করবে ও নিজের জীবনের বিষয়ে তোমার বিশ্বাস থাকবে না।

67. তুমি হৃদয়ে যে শঙ্কা করবে ও চোখে যে ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখবে, সেজন্য খুব ভোরে বলবে, হায় হায়, কখন সন্ধ্যা হবে এবং সন্ধ্যাবেলা বলবে, হায় হায়, কখন সকাল হবে?

68. আর যে পথের বিষয়ে আমি তোমাকে বলেছি, তুমি তা আর দেখবে না, মাবুদ সেই মিসর দেশের পথে জাহাজে করে তোমাকে পুনর্বার নিয়ে যাবেন এবং সেই স্থানে তোমরা গোলাম ও বাঁদী হিসেবে তোমাদের দুশমনদের কাছে বিক্রি হতে চাইবে; কিন্তু কেউ তোমাদের ক্রয় করবে না।