অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16
  17. 17
  18. 18
  19. 19
  20. 20
  21. 21
  22. 22
  23. 23
  24. 24
  25. 25
  26. 26
  27. 27
  28. 28
  29. 29
  30. 30
  31. 31
  32. 32
  33. 33
  34. 34

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

দ্বিতীয় বিবরণ 20 কিতাবুল মোকাদ্দস (BACIB)

যুদ্ধ বিষয়ক ব্যবস্থা

1. তুমি তোমার দুশমনদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়ে যদি তোমার চেয়ে বেশি ঘোড়া, রথ ও লোক দেখ, তবে সেসব থেকে ভয় পেয়ো না, কেননা তোমার আল্লাহ্‌ মাবুদ, যিনি মিসর দেশ থেকে তোমাকে উঠিয়ে এনেছেন, তিনিই তোমার সহবর্তী।

2. আর তোমরা যুদ্ধ করার জন্য বেরিয়ে যাওয়ার ইমাম এসে লোকদের কাছে কথা বলবে,

3. তাদেরকে বলবে, হে ইসরাইল, শোন, তোমরা আজ তোমাদের দুশমনদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে কাছে যাচ্ছ; তোমাদের অন্তর দুর্বল না হোক; ভয় করো না, ভয়ে কেঁপো না, বা ওদের থেকে মহাভয়ে ভীত হয়ো না।

4. কেননা তোমাদের আল্লাহ্‌ মাবুদই তোমাদের নিস্তার করার জন্য তোমাদের পক্ষে তোমাদের দুশমনদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে তোমাদের সঙ্গে সঙ্গে যাচ্ছেন।

5. পরে কর্মকর্তারা লোকদেরকে এই কথা বলবে, তোমাদের মধ্যে কে নতুন বাড়ি নির্মাণ করে তার প্রতিষ্ঠা করে নি? সে যুদ্ধে মারা পড়লে পাছে অন্য লোক তার প্রতিষ্ঠা করে, এজন্য সে নিজের বাড়িতে ফিরে যাক।

6. আর কে আঙ্গুরক্ষেত প্রস্তুত করে তার প্রথম ফল ভোগ করে নি? সে যুদ্ধে মারা পড়লে পাছে অন্য লোক তার প্রথম ফল ভোগ করে, এজন্য সে তার বাড়িতে ফিরে যাক।

7. আর বাগ্‌দান হলেও কে বিয়ে করে নি? সে যুদ্ধে মারা পড়লে পাছে অন্য লোক সেই কন্যাকে গ্রহণ করে, এজন্য সে তার বাড়িতে ফিরে যাক।

8. কর্মকর্তারা লোকদের কাছে আরও কথা বলবে, তারা বলবে, ভীত ও দুর্বল অন্তরের লোক কে আছে? সে তার বাড়িতে ফিরে যাক, পাছে তার অন্তরের মত তার ভাইদের অন্তর গলে যায়।

9. পরে কর্মকর্তারা লোকদের কাছে কথা বলা শেষ করার পর তারা লোকদের উপরে সেনাপতিদেরকে নিযুক্ত করবে।

10. যখন তুমি কোন নগরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে তার কাছে উপস্থিত হবে, তখন তার কাছে সন্ধির কথা ঘোষণা করবে।

11. তাতে যদি সে সন্ধি করতে সম্মত হয়ে তোমার জন্য দ্বার খুলে দেয়, তবে সেই নগরে যে সমস্ত লোক পাওয়া যায়, তারা তোমাকে কর দেবে ও তোমার গোলাম হবে।

12. কিন্তু যদি সে সন্ধি না করে তোমার সঙ্গে যুদ্ধ করে, তবে তুমি সেই নগর অবরোধ করবে।

13. পরে তোমার আল্লাহ্‌ মাবুদ তা তোমার হস্তগত করলে তুমি তার সমস্ত পুরুষকে তলোয়ারের আঘাতে হত্যা করবে,

14. কিন্তু স্ত্রীলোক, বালক-বালিকা ও সমস্ত পশু প্রভৃতি নগরের সর্বস্ব, সমস্ত লুণ্ঠিত দ্রব্য তোমার জন্য লুট হিসেবে গ্রহণ করবে, আর তোমার আল্লাহ্‌ মাবুদের দেওয়া দুশমনদের থেকে লুট করে আনা জিনিস ভোগ করবে।

15. এই নিকটবর্তী জাতিদের নগর ছাড়া যেসব নগর তোমার কাছ থেকে অনেক দূরে আছে, তাদেরই প্রতি এরকম করবে।

16. কিন্তু এই সমস্ত জাতির যেসব নগর তোমার আল্লাহ্‌ মাবুদ অধিকার হিসেবে তোমাকে দেবেন, সেগুলোর মধ্যে শ্বাস-বিশিষ্ট কাউকেও জীবিত রাখবে না;

17. তুমি তোমার আল্লাহ্‌ মাবুদের হুকুম অনুসারে তাদের— হিট্টিয়, আমোরীয়, কেনানীয়, পরিষীয়, হিব্বীয় ও যিবূষীয়দেরকে— নিঃশেষে বিনষ্ট করবে;

18. পাছে তারা নিজ নিজ দেবতাদের উদ্দেশে যেসব ঘৃণার কাজ করে, তেমনি করতে তোমাদেরকেও শেখায়, আর পাছে তোমরা তোমাদের আল্লাহ্‌ মাবুদের বিরুদ্ধে গুনাহ্‌ কর।

19. যখন তুমি কোন নগর হস্তগত করার জন্য যুদ্ধ করে বহুকাল পর্যন্ত তা অবরোধ কর, তখন কুড়াল দিয়ে সেখানকার কোন গাছ কাটবে না; তুমি তার ফল খেতে পার, কিন্তু তা কাটবে না; কেননা ক্ষেতের গাছ তো মানুষ নয় যে, তাও তোমার অবরোধের যোগ্য হবে?

20. কিন্তু যে যে গাছ থেকে খাদ্য জন্মে না বলে তোমার জানা আছে, সে সব তুমি নষ্ট করতে ও কাটতে পারবে; এবং তোমার সঙ্গে যুদ্ধকারী নগরের যতক্ষণ পতন না হয়, ততক্ষণ সেই নগরের বিরুদ্ধে জাঙ্গাল বাঁধতে পারবে।