অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16
  17. 17
  18. 18
  19. 19
  20. 20
  21. 21
  22. 22
  23. 23
  24. 24
  25. 25
  26. 26
  27. 27
  28. 28
  29. 29
  30. 30
  31. 31
  32. 32
  33. 33
  34. 34

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

দ্বিতীয় বিবরণ 3 কিতাবুল মোকাদ্দস (BACIB)

বাশনের বাদশাহ্‌ উজের পরাজয়

1. পরে আমরা ফিরে বাশনের পথে চললাম; তাতে বাশনের বাদশাহ্‌ উজ এবং তাঁর সমস্ত লোক আমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য বের হয়ে ইদ্রিয়ীতে আসলেন।

2. তখন মাবুদ আমাকে বললেন, তুমি ওকে ভয় করো না, কেননা আমি ওকে, ওর সমস্ত লোক ও ওর দেশ তোমার হাতে তুলে দিলাম; তুমি যেমন হিষ্‌বোন-নিবাসী আমোরীয়দের বাদশাহ্‌ সীহোনের প্রতি করেছ, তেমনি ওর প্রতিও করবে।

3. এভাবে আমাদের আল্লাহ্‌ মাবুদ বাশনের বাদশাহ্‌ উজ ও তাঁর সমস্ত লোককে আমাদের হাতে তুলে দিলেন; তাতে আমরা তাঁকে এমন আঘাত করলাম যে তাঁর কেউ অবশিষ্ট থাকলো না।

4. সেই সময়ে আমরা তাঁর সমস্ত নগর অধিকার করলাম; এমন একটা নগরও থাকলো না, যা তাদের থেকে নেই নি; ষাটটি নগর, অর্গোবের সমস্ত অঞ্চল, বাশনস্থ উজের রাজ্য নিলাম।

5. সেসব নগর উঁচু প্রাচীর, দ্বার ও অর্গল দ্বারা সুরক্ষিত ছিল; আর প্রাচীর-বিহীন অনেক নগরও ছিল।

6. আমরা হিষ্‌বোনের বাদশাহ্‌ সীহোনের প্রতি যেমন করেছিলাম, সেভাবে তাদেরকে নিঃশেষে ধ্বংস করলাম, স্ত্রীলোক ও বালক-বালিকাসুদ্ধ তাদের সমস্ত বসতি নগর ধ্বংস করলাম।

7. কিন্তু তাদের সমস্ত পশু ও নগরের জিনিসপত্র লুট করে নিজেদের জন্য গ্রহণ করলাম।

8. সেই সময়ে আমরা জর্ডানের পূর্বপারস্থ আমোরীয়দের দুই বাদশাহ্‌র হাত থেকে অর্ণোন উপত্যকা থেকে হর্মোণ পর্বত পর্যন্ত সমস্ত দেশ হস্তগত করলাম।

9. (সীদোনীয়েরা ঐ হর্মোণকে সিরিয়োণ বলে এবং ইমোরীয়েরা তাকে বলে সনীর।)

10. আমরা সমভূমির সমস্ত নগর, সল্‌খা ও ইদ্রিয়ী পর্যন্ত সমস্ত গিলিয়দ এবং সমস্ত বাশন, বাশনস্থিত উজ-রাজ্যের নগরগুলো হস্তগত করলাম।

11. (ফলত অবশিষ্ট রফায়ীয়দের মধ্যে শুধু বাশনের বাদশাহ্‌ উজ অবশিষ্ট ছিলেন; দেখ, তাঁর পালঙ্ক লোহার তৈরি; তা কি অম্মোনীয়দের রব্বা নগরে নেই? মানুষের হাতের পরিমাণানুসারে তা লম্বায় নয় ও চওড়ায় চার হাত।)

12. সেই সময়ে আমরা এই দেশ অধিকার করলাম; অর্ণোন উপত্যকাস্থ অরোয়ের থেকে এবং পর্বতময় গিলিয়দ দেশের অর্ধেক ও সেখানকার সমস্ত নগর রূবেণীয় ও গাদীয়দেরকে দিলাম।

13. আর গিলিয়দের অবশিষ্ট অংশ ও সমস্ত বাশন অর্থাৎ উজের রাজ্য, সমস্ত বাশনের সঙ্গে অর্গোবের সমস্ত অঞ্চল আমি মানশার অর্ধেক বংশকে দিলাম। (তা-ই রফায়ীয় দেশ বলে বিখ্যাত।

14. মানশার সন্তান যায়ীর গশূরীয়দের ও মাখাথীয়দের সীমা পর্যন্ত অর্গোবের সমস্ত অঞ্চল নিয়ে তাদের নাম অনুসারে বাশন দেশের সেসব স্থানের নাম হবোৎ-যায়ীর রাখল; আজও সেই নাম প্রচলিত আছে।)

15. আর আমি মাখীরকে গিলিয়দ দিলাম।

16. আর গিলিয়দ থেকে অর্ণোন উপত্যকা পর্যন্ত, উপত্যকার মধ্যস্থান ও তৎপরিসীমা এবং অম্মোনীয়দের সীমা যব্বোক নদী পর্যন্ত;

17. আর অরাবা উপত্যকা, জর্ডান ও তৎপরিসীমা, কিন্নেরৎ থেকে অরাবার সমুদ্র, অর্থাৎ পূর্ব দিকে পিস্‌গা পাহাড়শ্রেণীর ঢালু অংশের নিচে লবণ-সমুদ্র পর্যন্ত রূবেণীয় ও গাদীয়দেরকে দিলাম।

18. আর সেই সময়ে তোমাদেরকে এই হুকুম দিলাম, তোমাদের আল্লাহ্‌ মাবুদ অধিকার হিসেবে এই দেশ তোমাদেরকে দিয়েছেন। তোমাদের সমস্ত যোদ্ধা যুদ্ধাস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তোমাদের ভাইদের অর্থাৎ বনি-ইসরাইলদের সম্মুখে পার হয়ে যাবে।

19. আমি তোমাদেরকে যেসব নগর দিলাম, তোমাদের সেসব নগরে তোমাদের স্ত্রীলোক, পুত্রকন্যা ও সমস্ত পশু বাস করবে; আমি জানি, তোমাদের অনেক পশু আছে।

20. পরে মাবুদ তোমাদের ভাইদেরকে তোমাদের মত বিশ্রাম দিলে, জর্ডানের ওপারে যে দেশ তোমাদের আল্লাহ্‌ মাবুদ তাদেরকে দিচ্ছেন, তারাও সেই দেশ অধিকার করবে; তখন তোমরা প্রত্যেকে আমার দেওয়া নিজ নিজ অধিকারে ফিরে আসবে।

21. আর সেই সময়ে আমি ইউসাকে হুকুম দিলাম, তোমাদের আল্লাহ্‌ মাবুদ সেই দুই বাদশাহ্‌র প্রতি যা করেছেন, তা তুমি স্বচক্ষে দেখেছ; তুমি পার হয়ে যে যে রাজ্যের বিরুদ্ধে যাবে, সেসব রাজ্যের প্রতি মাবুদ সেরকম করবেন।

22. তোমরা তাদেরকে ভয় করো না; কেননা তোমাদের আল্লাহ্‌ মাবুদ নিজে তোমাদের জন্য যুদ্ধ করবেন।

পিসগার শৃঙ্গ থেকে হযরত মূসাকে কেনান দেশ দেখানো

23. সেই সময়ে আমি মাবুদকে সাধ্য-সাধনা করে বললাম,

24. হে সার্বভৌম মাবুদ, তুমি নিজের গোলামের কাছে নিজের মহিমা ও শক্তিশালী হাত প্রকাশ করতে আরম্ভ করলে; বেহেশতে বা দুনিয়াতে এমন আল্লাহ্‌ আর কে আছে যে তোমার কাজের মত কাজ ও তোমার বিক্রমী কাজের মত কাজ করতে পারে?

25. আরজ করি, আমাকে জর্ডান পার হয়ে গিয়ে সেই উত্তম দেশ, সেই রমণীয় পাহাড়ী দেশটি ও লেবানন দেখতে দাও।

26. কিন্তু মাবুদ তোমাদের জন্য আমার প্রতিকূলে ক্রুদ্ধ হওয়াতে আমার কথা শুনলেন না; মাবুদ আমাকে বললেন, তোমার পক্ষে এই যথেষ্ট, এই বিষয়ের কথা আমাকে আর বলো না।

27. পিস্‌গার শৃঙ্গে উঠ এবং পশ্চিম, উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্ব দিকে দৃষ্টিপাত কর; নিজের চোখে নিরীক্ষণ কর, কেননা তুমি এই জর্ডান পার হতে পারবে না।

28. কিন্তু তুমি ইউসাকে হুকুম কর, তাকে উৎসাহ দাও এবং তাকে শক্তিশালী কর, কেননা সে এই লোকদের অগ্রগামী হয়ে পার হবে, আর যে দেশ তুমি দেখবে, সেই দেশ সে তাদেরকে অধিকার করাবে।

29. এভাবে আমরা বৈৎ-পিয়োরের সম্মুখস্থিত উপত্যকায় বসবাস করলাম।