অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16
  17. 17
  18. 18
  19. 19
  20. 20
  21. 21
  22. 22
  23. 23
  24. 24
  25. 25
  26. 26
  27. 27
  28. 28
  29. 29
  30. 30
  31. 31
  32. 32
  33. 33
  34. 34

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

দ্বিতীয় বিবরণ 31 কিতাবুল মোকাদ্দস (BACIB)

হযরত ইউসার কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর

1. পরে মূসা গিয়ে সমস্ত ইসরাইলকে এসব কথা বললেন।

2. আর তিনি তাদেরকে বললেন, আজ আমার বয়স এক শত বিশ বছর, আমি আর বাইরে যেতে ও ভিতরে আসতে পারি না এবং মাবুদ আমাকে বলেছেন, তুমি এই জর্ডান পার হবে না।

3. তোমার আল্লাহ্‌ মাবুদ নিজে তোমার অগ্রগামী হয়ে পার হয়ে যাবেন; তিনিই তোমার সম্মুখ থেকে সেই জাতিদেরকে বিনষ্ট করবেন, তাতে তুমি তাদেরকে অধিকারচ্যুত করবে। মাবুদ যেমন বলেছেন, তেমনি ইউসাই তোমার অগ্রগামী হয়ে পার হবে।

4. আর মাবুদ আমোরীয়দের সীহোন ও উজ নামক দুই বাদশাহ্‌কে বিনাশ করে তাদের ও তাদের দেশের প্রতি যেমন করেছেন, ওদের প্রতিও তেমনি করবেন।

5. মাবুদ তাদেরকে তোমাদের হাতে তুলে দেবেন, তখন তোমরা আমার দেওয়া সমস্ত হুকুম অনুসারে তাদের প্রতি ব্যবহার করবে।

6. তোমরা বলবান হও ও সাহস কর, ভয় করো না, তাদের থেকে মহাভয়ে ভীত হয়ো না; কেননা তোমার আল্লাহ্‌ মাবুদ নিজে তোমার সঙ্গে যাচ্ছেন, তিনি তোমাকে ছাড়বেন না, তোমাকে ত্যাগ করবেন না।

7. আর মূসা ইউসাকে ডেকে সমস্ত ইসরাইলের সাক্ষাতে বললেন, তুমি বলবান হও ও সাহস কর, কেননা মাবুদ এদেরকে যে দেশ দিতে এদের পূর্বপুরুষদের কাছে কসম খেয়েছেন, সেই দেশে এই লোকদের সঙ্গে তুমি প্রবেশ করবে এবং তুমি এদেরকে সেই দেশ অধিকার করাবে।

8. আর মাবুদ স্বয়ং তোমার অগ্রভাগে যাচ্ছেন; তিনিই তোমার সহবর্তী থাকবেন; তিনি তোমাকে ছাড়বেন না, তোমাকে ত্যাগ করবেন না; ভয় করো না, নিরাশ হয়ো না।

তৌরাত শরীফ পাঠ করার বিশেষ নিয়ম

9. পরে মূসা এই শরীয়ত লিখলেন এবং লেবি-বংশজাত ইমামেরা, যারা মাবুদের শরীয়ত-সিন্দুক বহন করতো তাদের ও ইসরাইলের সমস্ত প্রাচীনদের হাতে তা দিলেন।

10. আর মূসা তাদেরকে এই হুকুম করলেন, প্রতি সাত বছরের পরে, ঋণ মাফের বছরের কালে, কুটির উৎসব ঈদে,

11. যখন সমস্ত ইসরাইল তোমার আল্লাহ্‌ মাবুদের মনোনীত স্থানে তাঁর সম্মুখে উপস্থিত হবে, তখন তুমি সমস্ত ইসরাইলের সাক্ষাতে তাদের কর্ণগোচরে এই শরীয়ত পাঠ করবে।

12. তুমি লোকদেরকে, পুরুষ, স্ত্রী, বালক-বালিকা ও তোমার নগর-দ্বারের মধ্যবর্তী বিদেশী সকলকে একত্র করবে, যেন তারা শুনে শিক্ষা পায় ও তোমাদের আল্লাহ্‌ মাবুদকে ভয় করে এবং এই শরীয়তের সমস্ত কথা যত্নপূর্বক পালন করে;

13. আর তাদের যে সন্তানেরা এসব জানে না, তারা যেন শোনে এবং যে দেশ অধিকার করতে তোমরা জর্ডান পার হয়ে যাচ্ছ, সেই দেশে যত কাল প্রাণধারণ করে, তারা তত কাল যেন তোমাদের আল্লাহ্‌ মাবুদকে ভয় করতে শেখে।

অবাধ্যতার ভবিষ্যদ্বাণী

14. পরে মাবুদ মূসাকে বললেন, দেখ, তোমার ইন্তেকাল করার দিন আসন্ন, তুমি ইউসাকে ডাক এবং তোমরা উভয়ে জমায়েত-তাঁবুতে উপস্থিত হও, আমি তাকে হুকুম দেব। তাতে মূসা ও ইউসা গিয়ে জমায়েত-তাঁবুতে উপস্থিত হলেন।

15. আর মাবুদ সেই তাঁবুতে মেঘস্তম্ভে দর্শন দিলেন; সেই মেঘস্তম্ভ তাঁবুদ্বারের উপরে স্থির থাকলো।

16. তখন মাবুদ মূসাকে বললেন, দেখ, তুমি তোমার পূর্বপুরুষদের সঙ্গে শায়িত হবে, আর এই লোকেরা উঠে যে দেশে প্রবেশ করতে যাচ্ছে, সেই দেশের বিজাতীয় দেবতাদের পিছনে চলে জেনা করবে এবং আমাকে ত্যাগ করবে ও তাদের সঙ্গে কৃত আমার নিয়ম ভঙ্গ করবে।

17. সেই সময়ে তাদের বিরুদ্ধে আমার ক্রোধ প্রজ্বলিত হবে, আমি তাদেরকে ত্যাগ করবো ও তাদের থেকে আমার মুখ আচ্ছাদন করবো; আর তারা পরাভূত হবে এবং তাদের উপরে বহুবিধ অমঙ্গল ও সঙ্কট ঘটবে; সেই সময়ে তারা বলবে, আমাদের উপর এসব অমঙ্গল ঘটেছে, এর কারণ কি এ-ই নয়, যে আমাদের আল্লাহ্‌ আমাদের সঙ্গে নেই?

18. বাস্তবিক তারা অন্য দেবতাদের কাছে ফিরে যেসব অপকর্ম করবে, সেজন্য সেই সময়ে আমি অবশ্য তাদের থেকে আমার মুখ আচ্ছাদন করবো।

19. এখন তোমরা নিজেদের জন্য এই গজল লিপিবদ্ধ কর এবং তুমি বনি-ইসরাইলকে এই শিক্ষা দাও ও তাদেরকে মুখস্থ করাও; যেন এই গজল বনি-ইসরাইলদের বিরুদ্ধে আমার সাক্ষী হয়।

20. কেননা আমি যে দেশ দিতে তাদের পূর্বপুরুষদের কাছে কসম খেয়েছি, সেই দুগ্ধ-মধু-প্রবাহী দেশে তাদেরকে নিয়ে যাওয়ার পর যখন তারা ভোজন করে তৃপ্ত ও হৃষ্টপুষ্ট হবে, তখন অন্য দেবতাদের কাছে ফিরবে এবং তাদের সেবা করবে, আমাকে অবজ্ঞা করবে ও আমার নিয়ম ভঙ্গ করবে।

21. আর যখন তাদের উপরে বহুবিধ অমঙ্গল ও সঙ্কট ঘটবে, সেই সময় এই গজল সাক্ষীস্বরূপ তাদের সম্মুখে সাক্ষ্য দেবে; কেননা তাদের বংশ মুখের এই গজল ভুলে যাবে না; বাস্তবিক আমি যে দেশের বিষয়ে কসম খেয়েছি, সেই দেশে তাদেরকে নিয়ে যাবার আগেই আমি জানি তাদের অন্তরে কি রয়েছে;

22. পরে মূসা সেই দিনে ঐ গজল লিপিবদ্ধ করে বনি-ইসরাইলদেরকে শিক্ষা দিলেন।

23. আর তিনি নূনের পুত্র ইউসাকে হুকুম দিয়ে বললেন, তুমি বলবান হও ও সাহস কর; কেননা আমি বনি-ইসরাইলদেরকে যে দেশ দিতে কসম খেয়েছি, সেই দেশে তুমি তাদেরকে নিয়ে যাবে এবং আমি তোমার সহবর্তী হবো।

24. আর মূসা সমাপ্তি পর্যন্ত এই শরীয়তের সমস্ত কথা কিতাবে লিখে নিলেন।

25. তারপর মাবুদের শরীয়ত-সিন্দুকবাহী লেবীয়দেরকে এই হুকুম করলেন,

26. তোমরা এই তৌরাত কিতাব নিয়ে তোমাদের আল্লাহ্‌ মাবুদের নিয়ম সিন্দুকের পাশে রাখ; এটি তোমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষীর জন্য সেই স্থানে থাকবে।

27. কেননা তোমার বিরুদ্ধাচারিতা ও তোমার একগুঁয়েমী আমি জানি; দেখ, তোমাদের সঙ্গে আমি জীবিত থাকতেই আজ তোমরা মাবুদের বিরুদ্ধাচারী হলে, তবে আমার ইন্তেকালের পরে কি না করবে?

28. তোমরা নিজ নিজ বংশের সমস্ত প্রাচীনবর্গকে ও কর্মকর্তাদেরকে আমার কাছে একত্র কর; আমি তাদের কর্ণগোচরে এসব কথা বলি এবং তাদের বিরুদ্ধে আসমান ও দুনিয়াকে সাক্ষী করি।

29. কেননা আমি জানি, আমার ইন্তেকালের পরে তোমরা একেবারে ভ্রষ্ট হয়ে পড়বে এবং আমার হুকুম করা পথ থেকে বিপথগামী হবে; আর উত্তরকালে তোমাদের অমঙ্গল ঘটবে, কারণ মাবুদের দৃষ্টিতে যা মন্দ, তা করে তোমরা নিজেদের হস্তকৃত কাজ দ্বারা তাঁকে অসন্তুষ্ট করবে।

হযরত মূসার গজল

30. পরে মূসা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ইসরাইলের সমস্ত সমাজের কর্ণগোচরে এই গজলের কথাগুলো বলতে লাগলেন।