অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16
  17. 17
  18. 18
  19. 19
  20. 20
  21. 21
  22. 22
  23. 23
  24. 24
  25. 25
  26. 26
  27. 27
  28. 28
  29. 29
  30. 30
  31. 31
  32. 32
  33. 33
  34. 34
  35. 35
  36. 36
  37. 37
  38. 38
  39. 39
  40. 40
  41. 41
  42. 42
  43. 43
  44. 44
  45. 45
  46. 46
  47. 47
  48. 48
  49. 49
  50. 50

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

পয়দায়েশ 5 Kitabul Mukkadas (MBCL)

হযরত আদম (আঃ)-এর বংশের কথা

1. এই হল আদমের বংশের কথা। মানুষ সৃষ্টি করবার সময় আল্লাহ্‌ তাঁকে তাঁর নিজের মত করে সৃষ্টি করলেন;

2. সৃষ্টি করলেন পুরুষ এবং স্ত্রীলোক করে এবং তাঁদের দোয়া করলেন। সৃষ্টির সময়ে তিনি তাঁদের নাম দিলেন “মানুষ”।

3. একশো ত্রিশ বছর বয়সে আদমের একটি ছেলের জন্ম হল। ছেলেটি বাইরে এবং ভিতরে তাঁরই মত হয়েছিল। আদম তার নাম দিলেন শিস।

4. শিসের জন্মের পর আদম আরও আটশো বছর বেঁচে ছিলেন। এর মধ্যে তাঁর আরও ছেলেমেয়ের জন্ম হয়েছিল।

5. মোট ন’শো ত্রিশ বছর বেঁচে থাকবার পর আদম ইন্তেকাল করলেন।

6. শিসের একশো পাঁচ বছর বয়সে তাঁর ছেলে আনুশের জন্ম হল।

7. আনুশের জন্মের পর শিস আরও আটশো সাত বছর বেঁচে ছিলেন। এর মধ্যে তাঁর আরও ছেলেমেয়ে হয়েছিল।

8. মোট ন’শো বারো বছর বেঁচে থাকবার পর শিস ইন্তেকাল করলেন।

9. আনুশের নব্বই বছর বয়সে তাঁর ছেলে কীনানের জন্ম হল।

10. কীনানের জন্মের পর আনুশ আরও আটশো পনেরো বছর বেঁচে ছিলেন। এর মধ্যে তাঁর আরও ছেলেমেয়ে হয়েছিল।

11. মোট ন’শো পাঁচ বছর বেঁচে থাকবার পর আনুশ ইন্তেকাল করলেন।

12. কীনানের সত্তর বছর বয়সে তাঁর ছেলে মাহলাইলের জন্ম হল।

13. মাহলাইলের জন্মের পর কীনান আরও আটশো চল্লিশ বছর বেঁচে ছিলেন। এর মধ্যে তাঁর আরও ছেলেমেয়ে হয়েছিল।

14. মোট ন’শো দশ বছর বেঁচে থাকবার পর কীনান ইন্তেকাল করলেন।

15. মাহলাইলের পঁয়ষট্টি বছর বয়সে তাঁর ছেলে ইয়ারুদের জন্ম হল।

16. ইয়ারুদের জন্মের পর মাহলাইল আরও আটশো ত্রিশ বছর বেঁচে ছিলেন। এর মধ্যে তাঁর আরও ছেলেমেয়ে হয়েছিল।

17. মোট আটশো পঁচানব্বই বছর বেঁচে থাকবার পর মাহলাইল ইন্তেকাল করলেন।

18. ইয়ারুদের একশো বাষট্টি বছর বয়সে তাঁর ছেলে ইনোকের জন্ম হল।

19. ইনোকের জন্মের পর ইয়ারুদ আরও আটশো বছর বেঁচে ছিলেন। এর মধ্যে তাঁর আরও ছেলেমেয়ে হয়েছিল।

20. মোট ন’শো বাষট্টি বছর বেঁচে থাকবার পর ইয়ারুদ ইন্তেকাল করলেন।

21. ইনোকের পঁয়ষট্টি বছর বয়সে তাঁর ছেলে মুতাওশালেহের জন্ম হল।

22. মুতাওশালেহের জন্মের পর তিনশো বছর পর্যন্ত আল্লাহ্‌র সংগে ইনোকের যোগাযোগ-সম্বন্ধ ছিল। এর মধ্যে তাঁর আরও ছেলেমেয়ে হয়েছিল।

23. ইনোক মোট তিনশো পঁয়ষট্টি বছর এই দুনিয়াতে ছিলেন।

24. তারপর তাঁকে আর দেখা গেল না। আল্লাহ্‌র সংগে তাঁর যোগাযোগ-সম্বন্ধ ছিল বলে আল্লাহ্‌ তাঁকে নিজের কাছেই নিয়ে গিয়েছিলেন।

25. মুতাওশালেহের একশো সাতাশি বছর বয়সে তাঁর ছেলে লামাকের জন্ম হল।

26. লামাকের জন্মের পর মুতাওশালেহ আরও সাতশো বিরাশি বছর বেঁচে ছিলেন। এর মধ্যে তাঁর আরও ছেলেমেয়ের জন্ম হয়েছিল।

27. মোট ন’শো উনসত্তর বছর বেঁচে থাকবার পর মুতাওশালেহ ইন্তেকাল করলেন।

28. লামাকের একশো বিরাশি বছর বয়সে তাঁর একটি ছেলের জন্ম হল।

29. তিনি বললেন, “আমাদের সব পরিশ্রমের মধ্যে, বিশেষ করে মাবুদ মাটিকে বদদোয়া দেবার পর তার উপর আমাদের যে পরিশ্রম করতে হয় তার মধ্যে এই ছেলেটিই আমাদের সান্ত্বনা দেবে।” এই বলে তিনি তাঁর নাম দিলেন নূহ্‌।

30. নূহের জন্মের পর লামাক আরও পাঁচশো পঁচানব্বই বছর বেঁচে ছিলেন। এর মধ্যে তাঁর আরও ছেলেমেয়ে হয়েছিল।

31. মোট সাতশো সাতাত্তর বছর বেঁচে থাকবার পর লামাক ইন্তেকাল করলেন।

32. নূহের বয়স পাঁচশো বছর পার হয়ে গেলে পর তাঁর ছেলে সাম, হাম আর ইয়াফসের জন্ম হয়েছিল।