অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16
  17. 17
  18. 18
  19. 19
  20. 20
  21. 21
  22. 22
  23. 23
  24. 24
  25. 25
  26. 26
  27. 27
  28. 28
  29. 29
  30. 30
  31. 31
  32. 32
  33. 33
  34. 34
  35. 35
  36. 36
  37. 37
  38. 38
  39. 39
  40. 40
  41. 41
  42. 42
  43. 43
  44. 44
  45. 45
  46. 46
  47. 47
  48. 48
  49. 49
  50. 50

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

পয়দায়েশ 28 Kitabul Mukkadas (MBCL)

পুত্রের প্রতি পিতার হুকুম

1. রেবেকার কথা শুনে ইসহাক ইয়াকুবকে ডেকে দোয়া করলেন এবং তাঁকে এই হুকুম দিলেন, “তুমি কেনান দেশের কোন মেয়েকে বিয়ে কোরো না।

2. তুমি পদ্দন-ইরাম দেশে তোমার নানা বথূয়েলের বাড়ীতে যাও। সেখানে থাকবার সময় তোমার মামা লাবনের কোন মেয়েকে তুমি বিয়ে কোরো।

3. সর্বশক্তিমান আল্লাহ্‌ তোমাকে দোয়া করুন আর তোমাকে অনেক সন্তানের পিতা হবার ক্ষমতা দিন। তিনি তোমার বংশের লোকদের সংখ্যা বাড়িয়ে তুলুন। তাতে তারা হবে একটা বহু গোষ্ঠীর জাতি।

4. যে দোয়া তিনি ইব্রাহিমকে দান করেছিলেন সেই দোয়াই তিনি তোমাকে এবং তোমার পরে তোমার বংশের লোকদের দান করুন। যে দেশ আল্লাহ্‌ ইব্রাহিমকে দিয়েছিলেন, যেখানে তুমি এখন বিদেশী হিসাবে আছ, সেই দেশটা যেন তোমার অধিকারে আসে।”

5. এই বলে ইসহাক ইয়াকুবকে পাঠিয়ে দিলেন, আর ইয়াকুবও পদ্দন-ইরামে সিরীয় বথূয়েলের ছেলে লাবনের কাছে গেলেন। লাবন ছিলেন ইয়াকুব ও ইসের মা রেবেকার ভাই।

6. পরে ইস্‌ শুনলেন যে, ইসহাক ইয়াকুবকে দোয়া করে পদ্দন-ইরামের কোন মেয়েকে বিয়ে করবার জন্য সেখানে পাঠিয়ে দিয়েছেন। তিনি আরও শুনলেন, ইসহাক ইয়াকুবকে দোয়া করবার সময় হুকুম দিয়ে বলেছিলেন যেন সে কোন কেনানীয় মেয়েকে বিয়ে না করে।

7. ইস্‌ দেখলেন, ইয়াকুব তাঁর পিতা-মাতার কথামত পদ্দন-ইরামে চলে গেছেন।

8. এতে ইস্‌ বুঝলেন যে, তাঁর পিতা ইসহাক কেনানীয় স্ত্রীলোকদের উপর খুশী নন।

9. তাই দু’টি স্ত্রী থাকলেও তিনি ইব্রাহিমের ছেলে ইসমাইলের বাড়ীতে গিয়ে তাঁর মেয়ে মহলত্‌কে বিয়ে করলেন। মহলৎ ছিল নাবায়ুতের বোন।

হযরত ইয়াকুব (আঃ)-এর অস্বাভাবিক স্বপ্ন

10. এদিকে ইয়াকুব বের্‌-শেবা ছেড়ে হারণ শহরের দিকে যাত্রা করলেন।

11. পথে এক জায়গায় বেলা ডুবে গেলে পর তিনি সেখানেই রাতটা কাটালেন। সেখানে কতগুলো পাথর পড়ে ছিল। ইয়াকুব সেগুলোর একটা মাথার নীচে দিয়ে শুয়ে পড়লেন।

12. তিনি স্বপ্নে দেখলেন মাটির উপরে একটা সিঁড়ি দাঁড়িয়ে আছে এবং তার মাথাটা গিয়ে বেহেশতে ঠেকেছে। তিনি দেখলেন আল্লাহ্‌র ফেরেশতারা তার উপর দিয়ে ওঠা-নামা করছেন,

13. আর মাবুদ তার উপরে দাঁড়িয়ে বলছেন, “আমি মাবুদ। আমি তোমার পূর্বপুরুষ ইব্রাহিমের আল্লাহ্‌ এবং ইসহাকেরও আল্লাহ্‌। তুমি যেখানে শুয়ে আছ সেই দেশ আমি তোমাকে এবং তোমার বংশের লোকদের দেব।

14. তোমার বংশের লোকেরা দুনিয়ার ধূলিকণার মত অসংখ্য হবে। পূর্ব-পশ্চিমে এবং উত্তর-দক্ষিণে তোমার বংশ ছড়িয়ে পড়বে। দুনিয়ার সমস্ত জাতি তোমার ও তোমার বংশের মধ্য দিয়ে দোয়া পাবে।

15. আমি তোমার সংগে সংগে আছি; তুমি যেখানেই যাও না কেন আমি তোমাকে রক্ষা করব। এই দেশেই আবার আমি তোমাকে ফিরিয়ে আনব। আমি তোমাকে যা বলেছি তা পূর্ণ না করা পর্যন্ত আমি তোমাকে ছেড়ে যাব না।”

16. পরে ইয়াকুব ঘুম থেকে উঠে বললেন, “তাহলে মাবুদ নিশ্চয়ই এই জায়গায় আছেন অথচ আমি তা বুঝতে পারি নি।”

17. এই কথা ভেবে তাঁর মনে ভয় হল। তিনি বললেন, “কি ভয়ংকর এই জায়গা! এটা আল্লাহ্‌র থাকবার জায়গা ছাড়া আর কিছু নয়; বেহেশতের দরজা এখানেই।”

18. ইয়াকুব খুব ভোরে উঠলেন এবং যে পাথরটা তিনি মাথার নীচে দিয়েছিলেন সেটা থামের মত করে দাঁড় করিয়ে তার উপরে তেল ঢেলে দিলেন।

19. তিনি জায়গাটার নাম দিলেন বেথেল (যার মানে “আল্লাহ্‌র ঘর”)। এই জায়গাটার কাছের শহরটার আগের নাম ছিল লূস।

20. এর পর ইয়াকুব কসম খেয়ে বললেন, “যদি আল্লাহ্‌ আমার এই যাত্রাপথে আমাকে রক্ষা করেন, যদি তিনি আমাকে খোরাক-পোশাক যুগিয়ে দেন,

21. যদি আমি আবার আমার পিতার বাড়ীতে সহিসালামতে ফিরে আসতে পারি, তবে এই মাবুদকেই আমি আমার আল্লাহ্‌ বলে মানব।

22. এই যে পাথর আমি এখানে থামের মত করে দাঁড় করিয়ে রাখলাম এখানেই হবে আল্লাহ্‌র ঘর। হে আল্লাহ্‌, তুমি আমাকে যা কিছু দেবে তার দশ ভাগের এক ভাগ নিশ্চয়ই আমি তোমাকে ফিরিয়ে দেব।”