অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16
  17. 17
  18. 18
  19. 19
  20. 20
  21. 21
  22. 22
  23. 23
  24. 24
  25. 25
  26. 26
  27. 27
  28. 28
  29. 29
  30. 30
  31. 31
  32. 32
  33. 33
  34. 34
  35. 35
  36. 36
  37. 37
  38. 38
  39. 39
  40. 40
  41. 41
  42. 42
  43. 43
  44. 44
  45. 45
  46. 46
  47. 47
  48. 48
  49. 49
  50. 50

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

পয়দায়েশ 46 Kitabul Mukkadas (MBCL)

হযরত ইয়াকুব (আঃ)-এর মিসরে যাত্রা

1. ইসরাইল তাঁর সব কিছু নিয়ে বেরিয়ে পড়লেন। বের্‌-শেবাতে এসে তিনি তাঁর পিতা ইসহাকের আল্লাহ্‌র প্রতি কয়েকটা কোরবানী দিলেন।

2. আল্লাহ্‌ রাতের বেলায় ইসরাইলকে দর্শনের মধ্য দিয়ে তাঁর সংগে কথা বললেন। তিনি ডাকলেন, “ইয়াকুব, ইয়াকুব।”ইয়াকুব জবাব দিলেন, “এই যে আমি।”

3. আল্লাহ্‌ বললেন, “আমি আল্লাহ্‌, তোমার বাবার আল্লাহ্‌। মিসর দেশে যেতে ভয় কোরো না, কারণ আমি সেখানে তোমার মধ্য থেকে একটা মস্ত বড় জাতির সৃষ্টি করব।

4. আমি তোমার সংগে সংগে মিসরে যাব এবং আবার আমি তোমাকে নিশ্চয়ই ফিরিয়ে নিয়ে আসব। মৃত্যুকালে ইউসুফ নিজের হাতে তোমার চোখ বন্ধ করে দেবে।”

5. এর পর ইয়াকুব বের্‌-শেবা ছেড়ে রওনা হলেন। ফেরাউন তাঁদের নিয়ে যাবার জন্য যে সব গাড়ী পাঠিয়েছিলেন ইসরাইলের ছেলেরা তাতে করেই তাদের বাবাকে এবং স্ত্রী ও ছেলেমেয়েদের নিয়ে চলল।

6. যে সব পশু ও ধন-সম্পত্তি তারা কেনান দেশে লাভ করেছিল সেই সব নিয়ে ইয়াকুব ও তাঁর পরিবারের সবাই মিসরে গেলেন।

7. ইয়াকুব তাঁর ছেলেমেয়ে ও নাতি-নাত্‌নীদের, অর্থাৎ তাঁর বংশের সবাইকে নিয়ে মিসরে গেলেন।

হযরত ইয়াকুব (আঃ)-এর বংশ-তালিকা

8. ইসরাইলীয়রা, অর্থাৎ ইয়াকুব ও তাঁর বংশের লোকেরা যারা মিসরে গিয়েছিল তাদের তালিকা:ইয়াকুবের বড় ছেলে রূবেণ।

9. রূবেণের ছেলে হনোক, পল্‌লু, হিষ্রোণ ও কর্মি।

10. শিমিয়োনের ছেলে যিমূয়েল, যামীন, ওহদ, যাখীন, সোহর ও শৌল। শৌল একজন কেনানীয় স্ত্রীলোকের সন্তান।

11. লেবির ছেলে গের্শোন, কহাৎ ও মরারি।

12. এহুদার ছেলে এর, ওনন, শেলা, পেরস ও সেরহ। এর ও ওনন কেনান দেশেই মারা গিয়েছিল। পেরসের ছেলে হিষ্রোণ ও হামূল।

13. ইষাখরের ছেলে তোলয়, পূয়, যোব ও শিম্রোণ।

14. সবূলূনের ছেলে সেরদ, এলোন ও যহলেল।

15. মেয়ে দীণাসুদ্ধ এরা ছিল লেয়ার মধ্য দিয়ে ইয়াকুবের বংশধর। এরা পদ্দন-ইরামে জন্মেছিল। ইয়াকুবের এই বংশধরেরা ছিল মোট তেত্রিশজন।

16. গাদের ছেলে সিফিয়োন, হগি, শূনী, ইষ্‌বোন, এরি, অরোদী ও অরেলী।

17. আশেরের ছেলে যিম্না, যিশ্‌বা, যিশ্‌বি, বরিয় ও তাদের বোন সেরহ। বরিয়ের ছেলে হেবর ও মল্কীয়েল।

18. লাবন তাঁর মেয়ে লেয়াকে সিল্পা নামে যে বাঁদী দিয়েছিলেন এরা সবাই তার মধ্য দিয়ে ইয়াকুবের বংশধর। সিল্পা ও ইয়াকুবের এই বংশধরেরা ছিল মোট ষোলজন।

19. ইয়াকুবের স্ত্রী রাহেলার ছেলে ইউসুফ ও বিন্‌ইয়ামীন।

20. ইউসুফের ছেলে মানশা ও আফরাহীম মিসর দেশে জন্মেছিল। এদের মা ছিলেন হেলিওপলিস শহরের পুরোহিত পোটীফেরের মেয়ে আসনৎ।

21. বিন্‌ইয়ামীনের ছেলে বেলা, বেখর, অস্‌বেল, গেরা, নামন, এহী, রোশ, মুপ্‌পীম, হুপ্‌পীম ও অর্দ।

22. এরা ছিল রাহেলার মধ্য দিয়ে ইয়াকুবের বংশধর। এরা ছিল মোট চৌদ্দজন।

23. দানের ছেলে হূশীম।

24. নপ্তালির ছেলে যহসিয়েল, গূনি, যেৎসর ও শিল্লেম।

25. লাবন তাঁর মেয়ে রাহেলকে বিল্‌হা নামে যে বাঁদী দিয়েছিলেন, এরা সবাই তার মধ্য দিয়ে ইয়াকুবের বংশধর। ইয়াকুব ও বিল্‌হার এই বংশধরেরা মোট ছিল সাতজন।

26. ইয়াকুবের সংগে যারা মিসর দেশে গিয়েছিল, অর্থাৎ তাঁর নিজের বংশধরেরা ছিল মোট ছেষট্টিজন; এই সংখ্যার মধ্যে তাঁর ছেলেদের স্ত্রীদের ধরা হয় নি।

27. মিসর দেশে ইউসুফের যে দু’টি ছেলের জন্ম হয়েছিল এবং ইয়াকুবের পরিবারের যারা মিসরে গিয়েছিল তারা ছিল মোট সত্তরজন।

হযরত ইয়াকুবের সংগে ইউসুফ (আঃ)-এর সাক্ষাৎ

28. ইয়াকুব আগে এহুদাকে ইউসুফের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন যাতে ইউসুফ এহুদাকে গোশনে যাবার পথ দেখিয়ে দেন। শেষ পর্যন্ত তাঁরা সবাই সেখানে গিয়ে উপস্থিত হলেন।

29. ইউসুফ তাঁর বাবা ইসরাইলের সংগে দেখা করবার জন্য তাঁর রথ সাজিয়ে নিয়ে গোশনে গেলেন। বাবার সংগে দেখা হতেই তিনি তাঁর গলা জড়িয়ে ধরে অনেকক্ষণ কাঁদলেন।

30. পরে ইসরাইল ইউসুফকে বললেন, “তুমি যে এখনও বেঁচে আছ তা আমি নিজের চোখেই দেখলাম। এখন আমি মরতে প্রস্তুত আছি।”

31. এর পর ইউসুফ তাঁর ভাইদের ও তাঁর বাবার পরিবারের অন্যান্য লোকদের বললেন, “আমি ফেরাউনের কাছে গিয়ে বলব, ‘আমার ভাইয়েরা ও আমার বাবার বংশের লোকজন কেনান দেশ থেকে আমার কাছে এসেছেন।

32. পশুপালনই তাঁদের কাজ; তাঁরা ছাগল-ভেড়া চরান, আর সেইজন্য সংগে করে তাঁরা তাঁদের ছাগল, ভেড়া, গরু ও সমস্ত জিনিসপত্র এনেছেন।’

33. ফেরাউন তোমাদের ডেকে যখন জিজ্ঞাসা করবেন, ‘আপনারা কি কাজ করেন?’

34. তখন তোমরা বলবে, ‘আপনার এই গোলামেরা ও তাদের পূর্বপুরুষেরা ছোটকাল থেকে এই পর্যন্ত পশু পালন করে আসছে।’ তাতে তোমরা গোশনে বাস করবার অনুমতি পাবে। যারা ছাগল-ভেড়া চরায় মিসরীয়রা তাদের ঘৃণার চোখে দেখে।”