অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16
  17. 17
  18. 18
  19. 19
  20. 20
  21. 21
  22. 22
  23. 23
  24. 24
  25. 25
  26. 26
  27. 27
  28. 28
  29. 29
  30. 30
  31. 31
  32. 32
  33. 33
  34. 34
  35. 35
  36. 36
  37. 37
  38. 38
  39. 39
  40. 40
  41. 41
  42. 42
  43. 43
  44. 44
  45. 45
  46. 46
  47. 47
  48. 48
  49. 49
  50. 50

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

পয়দায়েশ 12 Kitabul Mukkadas (MBCL)

হযরত ইব্রাম (আঃ)-এর প্রতি আল্লাহ্‌র ডাক

1. পরে মাবুদ ইব্রামকে বললেন, “তুমি তোমার নিজের দেশ, তোমার আত্মীয়-স্বজন এবং তোমার পিতার বাড়ী-ঘর ছেড়ে আমি তোমাকে যে দেশ দেখাব সেই দেশে যাও।

2. তোমার মধ্য থেকে আমি একটি মহাজাতি সৃষ্টি করব। আমি তোমাকে দোয়া করব এবং এমন করব যাতে তোমার সুনাম চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে আর তোমার মধ্য দিয়ে লোকে দোয়া পায়।

3. যারা তোমাকে দোয়া করবে আমি তাদের দোয়া করব, আর যারা তোমাকে বদদোয়া দেবে আমি তাদের বদদোয়া দেব। তোমার মধ্য দিয়েই দুনিয়ার প্রত্যেকটি জাতি দোয়া পাবে।”

4. মাবুদের কথামতই ইব্রাম তখন বেরিয়ে পড়লেন আর লুতও তাঁর সংগে গেলেন। হারণ শহর ছেড়ে যাবার সময় ইব্রামের বয়স ছিল পঁচাত্তর বছর।

5. তিনি তাঁর স্ত্রী সারী আর ভাইপো লুতকে নিয়ে বের হলেন। নিজেদের সব কিছু নিয়ে এবং যে সব গোলামের তাঁরা হারণে পেয়েছিলেন তাদের নিয়ে তিনি কেনান দেশের দিকে যাত্রা করে সেখানে গিয়ে পৌঁছালেন।

কেনান দেশে হযরত ইব্রাম (আঃ)

6. কেনান দেশের মধ্য দিয়ে যেতে যেতে ইব্রাম শিখিম শহরের কাছে মোরির এলোন গাছ পর্যন্ত গেলেন। তখনও কেনানীয়রা সেই দেশে বাস করছিল।

7. পরে মাবুদ ইব্রামকে দেখা দিয়ে বললেন, “এই দেশটাই আমি তোমার বংশকে দেব।” যিনি তাঁকে দেখা দিয়েছিলেন সেই মাবুদের প্রতি ইব্রাম তখন সেখানে একটা কোরবানগাহ্‌ তৈরী করলেন।

8. তারপর সেখান থেকে তিনি বেথেল শহরের পূর্ব দিকের পাহাড়ী এলাকায় এগিয়ে গেলেন এবং পশ্চিমে বেথেল আর পূর্বে অয় শহরের মাঝামাঝি এক জায়গায় তাঁর তাম্বু ফেললেন। মাবুদের প্রতি সেখানেও তিনি একটা কোরবানগাহ্‌ তৈরী করলেন এবং মাবুদের এবাদত করলেন।

9. পরে তিনি সেখান থেকে সরতে সরতে নেগেভ নামে দক্ষিণের মরুভূমির দিকে চলে গেলেন।

হযরত ইব্রাম (আঃ)-এর মিসরে যাত্রা

10. পরে কেনান দেশে এক দুর্ভিক্ষ দেখা দিল। সেই দুর্ভিক্ষ এত ভীষণ হয়ে উঠল যে, ইব্রাম কিছুকালের জন্য মিসর দেশে বাস করতে গেলেন।

11. মিসর দেশের কাছাকাছি এসে ইব্রাম তাঁর স্ত্রী সারীকে বললেন, “শোন, আমি জানি তুমি খুব সুন্দরী।

12. তুমি যখন মিসরীয়দের চোখে পড়বে তখন তারা ভাববে তুমি আমার স্ত্রী। আর এই ভেবে তারা তোমাকে রেখে আমাকে হত্যা করবে।

13. সেইজন্য তুমি তাদের বোলো যে, তুমি আমার বোন। তাতে তোমার দরুন তারা আমার সংগে ভাল ব্যবহার করবে এবং আমাকে বাঁচিয়ে রাখবে।”

14. ইব্রাম যখন মিসরে গেলেন তখন মিসরীয়রা দেখল সারী খুব সুন্দরী।

15. ফেরাউনের, অর্থাৎ বাদশাহ্‌র দরবারের লোকেরাও তাঁকে দেখে ফেরাউনের কাছে তাঁর তারিফ করে অনেক কথা বলল। ফলে সারীকে রাজমহলে নিয়ে যাওয়া হল।

16. আর সারীর দরুন ফেরাউন ইব্রামের সংগে ভাল ব্যবহার করতে লাগলেন। তিনি ইব্রামকে অনেক ভেড়া, গরু, গাধা, গাধী, উট এবং গোলাম ও বাঁদী দিলেন।

17. কিন্তু ইব্রামের স্ত্রী সারীর দরুন মাবুদ ফেরাউন ও তাঁর বাড়ীর সমস্ত লোকের মধ্যে নানা রকমের ভীষণ অসুখের সৃষ্টি করলেন।

18-19. তখন ফেরাউন ইব্রামকে ডেকে বললেন, “আপনি আমার সংগে এ কি রকম ব্যবহার করলেন? কেন আপনি তাঁকে আপনার স্ত্রী না বলে বোন বলেছিলেন? সেইজন্যই তো আমি তাঁকে বিয়ে করবার জন্য আনিয়েছিলাম। এই যে আপনার স্ত্রী; এঁকে নিয়ে আপনি চলে যান।”

20. এই বলে ফেরাউন তাঁর লোকদের হুকুম দিলেন আর তারা ইব্রামের সব কিছু সুদ্ধ তাঁকে ও তাঁর স্ত্রীকে বিদায় দিল।