অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16
  17. 17
  18. 18
  19. 19
  20. 20
  21. 21
  22. 22
  23. 23
  24. 24
  25. 25
  26. 26
  27. 27
  28. 28

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

প্রেরিত 24 কিতাবুল মোকাদ্দস (BACIB)

শাসনকর্তার সম্মুখে হযরত পৌলের বিচার

1. পাঁচ দিন পরে অননিয় মহা-ইমাম কয়েক জন প্রাচীন এবং তর্তুল্ল নামে এক জন উকিলকে সঙ্গে করে সেখানে গেলেন এবং তাঁরা পৌলের বিরুদ্ধে শাসনকর্তার কাছে আবেদন করলেন।

2. পৌলকে ডেকে আনা হলে পর তর্তুল্ল তাঁর নামে এই বলে দোষারোপ করতে লাগল, হে মহামহিম ফীলিক্স, আপনার দ্বারা আমরা মহাশান্তি ভোগ করে আসছি এবং আপনার দূরদর্শিতার গুণে এই জাতি নানা রকম মঙ্গলের কাজ দেখতে পেয়েছে,

3. এই কথা আমরা সর্বতোভাবে সর্বত্র সমপূর্ণ কৃতজ্ঞতা সহকারে স্বীকার করছি।

4. কিন্তু কথার বাহুল্যে যেন আপনাকে কষ্ট না দিই, এজন্য ফরিয়াদ করি, আপনি নিজের দয়াগুণে আমাদের অল্প কিছু কথা শুনুন।

5. কারণ আমরা দেখতে পেলাম, এই ব্যক্তি মহামারীস্বরূপ, দুনিয়ার সমস্ত ইহুদীর মধ্যে কলহজনক এবং নাসরতীয় দলের অগ্রণী,

6. আর সে বায়তুল-মোকাদ্দসও নাপাক করার চেষ্টা করেছিল। সেজন্য আমরা একে ধরেছি।

7. আমরা যেসব বিষয়ে এর উপরে দোষারোপ করছি,

8. আপনি নিজে একে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সেসব জানতে পারবেন।

9. ইহুদীরাও সায় দিয়ে বললো, এসব কথা ঠিক।

শাসনকর্তার সম্মুখে পৌলের আত্মপক্ষ সমর্থন

10. পরে শাসনকর্তা পৌলকে কথা বলবার জন্য ইশারা করলে তিনি এর জবাবে বললেন, আপনি অনেক বছর থেকে এই জাতির বিচার করে আসছেন, এই কথা জানাতে আমি স্বচ্ছন্দে আত্মপক্ষ সমর্থন করছি।

11. আপনি খোঁজ নিলে জানতে পারবেন, আজ বারো দিনের বেশি হয় নি, আমি এবাদত করার জন্য জেরুশালেমে গিয়েছিলাম।

12. আর এরা বায়তুল-মোকাদ্দসে আমাকে কারো সঙ্গে বাক্‌বিতণ্ডা করতে, কিংবা জনতাকে উত্তেজিত করতে দেখে নি, মজলিস-খানাতেও নয়, নগরেও নয়।

13. আর এখন এরা আমার উপরে যেসব দোষারোপ করছে, আপনার কাছে সেই সমস্ত বিষয়ের কোন প্রমাণ উপস্থিত করতে পারবে না।

14. কিন্তু আপনার কাছে আমি এই কথা স্বীকার করি, এরা যাকে দল বলে, সেই পথ অনুসারে আমি আমার পূর্বপুরুষের আল্লাহ্‌র এবাদত করে থাকি। যা যা শরীয়ত অনুযায়ী এবং যা যা নবীদের কিতাবে লেখা আছে, সেসব বিশ্বাস করি।

15. আর এরাও যেমন প্রতীক্ষা করে থাকে, তেমনি আমি আল্লাহ্‌র উপরে এই প্রত্যাশা করছি যে, ধার্মিক অধার্মিক উভয় রকম লোকের পুনরুত্থান হবে।

16. আর এই বিষয়ে আমিও আল্লাহ্‌র ও মানুষের প্রতি পরিষ্কার বিবেক রক্ষা করতে সব সময় যত্ন করে থাকি।

17. অনেক বছর পরে আমি স্বজাতির লোকদের কিছু দান দেবার জন্য এবং নৈবেদ্য কোরবানী করার জন্য এসেছিলাম;

18. এই উপলক্ষে লোকেরা আমাকে বায়তুল-মোকাদ্দসে পাক-পবিত্র অবস্থায় দেখেছিল, কোন ভিড়ও হয় নি, গণ্ডগোলও হয় নি;

19. কিন্তু এশিয়া প্রদেশের কয়েকজন ইহুদী উপস্থিত ছিল, তাদেরই উচিত ছিল, যেন আপনার কাছে আমার বিরুদ্ধে যদি তাদের কোন কথা থাকে, তবে উপস্থিত হয় এবং দোষারোপ করে।

20. নতুবা এই উপস্থিত লোকেরাই বলুক, আমি মহাসভার সম্মুখে দাঁড়ালে এরা আমার কি অপরাধ পেয়েছে?

21. না, কেবল এই এক কথা, যা তাদের মধ্যে দাঁড়িয়ে উচ্চৈঃস্বরে বলেছিলাম ‘মৃতদের পুনরুত্থান বিষয়ে আজ আপনাদের সম্মুখে আমার বিচার হচ্ছে’।

22. তখন ফীলিক্স, সেই পথের বিষয়ে ভাল করে জানতেন বলে বিচার স্থগিত রাখলেন, বললেন, প্রধান সেনাপতি লুষিয় যখন আসবেন, তখন আমি তোমাদের বিচার নিষ্পত্তি করবো।

23. পরে তিনি শতপতিকে এই হুকুম দিলেন, তুমি একে আবদ্ধ রাখ, কিন্তু স্বচ্ছন্দে রেখো, যদি এর কোন আত্মীয় এর সেবা করার জন্য আসে তবে তাকে বারণ করো না।

হযরত পৌলকে বন্দী রাখা

24. কয়েক দিন পরে ফীলিক্স তাঁর ইহুদী স্ত্রী দ্রুষিল্লার সঙ্গে এসে পৌলকে ডেকে পাঠালেন ও তাঁর মুখে মসীহ্‌ ঈসার উপর ঈমান আনার বিষয় শুনলেন।

25. পৌল স্বার্থপরতার, ইন্দ্রিয় দমনের এবং আগামী বিচারের বিষয় বর্ণনা করলে ফীলিক্স ভয় পেয়ে জবাবে বললেন, এখনকার মত যাও, উপযুক্ত সময় পেলে আমি তোমাকে ডেকে আনবো।

26. তিনি এও আশা করেছিলেন যে, পৌল তাঁকে টাকা দেবেন, এজন্য পুনঃ পুনঃ তাঁকে ডেকে এনে তাঁর সঙ্গে আলাপ করতেন।

27. কিন্তু দু’বছর অতীত হলে পর্কিয় ফীষ্ট ফীলিক্সের পদ পেলেন, আর ফীলিক্স ইহুদীদের প্রীতির পাত্র হবার ইচ্ছা করে পৌলকে বন্দী রেখে গেলেন।