অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16
  17. 17
  18. 18
  19. 19
  20. 20
  21. 21
  22. 22
  23. 23
  24. 24
  25. 25
  26. 26
  27. 27
  28. 28

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

প্রেরিত 15 কিতাবুল মোকাদ্দস (BACIB)

জেরুশালেমে প্রেরিতদের সভা

1. পরে এহুদিয়া থেকে কয়েক জন লোক এসে ভাইদেরকে শিক্ষা দিতে লাগল যে, তোমরা যদি মূসার শরীয়ত অনুসারে নিজদেরকে সুন্নত না করাও, তবে নাজাত পেতে পারবে না।

2. আর তাদের সঙ্গে পৌলের ও বার্নাবাসের অনেক বাকযুদ্ধ ও বাদানুবাদ হলে পর ভাইয়েরা স্থির করলেন, সেই তর্কের মীমাংসা করার জন্য পৌল ও বার্নাবাস এবং তাঁদের মধ্যে আরও কয়েক জন, জেরুশালেমে প্রেরিতদের ও প্রাচীনদের কাছে যাবেন।

3. অতএব মণ্ডলী তাদেরকে যাবার ব্যবস্থা করে দিল। তাঁরা ফিনিশিয়া ও সামেরিয়া দেশ দিয়ে গমন করতে করতে অ-ইহুদীরা কিভাবে ঈমান আনছে সেই বিষয় বর্ণনা করলেন এবং সকল ভাইদের পরমানন্দ জন্মালেন।

4. পরে তাঁরা জেরুশালেমে উপস্থিত হলে পর মণ্ডলী, প্রেরিতেরা ও প্রাচীনবর্গরা তাঁদের গ্রহণ করলেন এবং আল্লাহ্‌ তাঁদের সঙ্গে সঙ্গে থেকে যেসব কাজ করেছিলেন, তাঁরা সেসবই বর্ণনা করলেন।

5. কিন্তু ফরীশী দলের কয়েক জন ঈমানদার উঠে বলতে লাগল, সেই লোকদের খৎনা করা এবং মূসার শরীয়ত পালনের হুকুম দেওয়া আবশ্যক।

6. পরে এই বিষয়ে আলোচনা করার জন্য প্রেরিতেরা ও প্রাচীনবর্গরা সমবেত হলেন।

7. আর অনেক বাদানুবাদ হলে পিতর উঠে তাঁদেরকে বললেন— ‘হে ভাইয়েরা, তোমরা জান, এর অনেক দিন আগে আল্লাহ্‌ তোমাদের মধ্যে আমাকে মনোনীত করেছিলেন, যেন আমার মুখে অ-ইহুদীরা সুসমাচারের কালাম শুনে ঈমান আনে।

8. আর আল্লাহ্‌, যিনি অন্তঃকরণ জানেন, তিনি তাদের পক্ষে সাক্ষ্য দিয়েছেন, আমাদেরকে যেমন, তেমনি তাদেরকেও পাক-রূহ্‌ দান করেছেন;

9. এবং আমাদের ও তাদের মধ্যে কোন পার্থক্য রাখেন নি, ঈমান দ্বারাই তাদের অন্তর পাক-পবিত্র করেছেন।

10. অতএব এখন তোমরা কেন আল্লাহ্‌কে পরীক্ষা করছো, সাহাবীদের কাঁধে সেই জোয়াল দিচ্ছ, যার ভার না আমাদের পূর্বপুরুষেরা, না আমরা বহন করতে সমর্থ হয়েছি?

11. কিন্তু আমরা বিশ্বাস করি, ওরা যেমন, আমরাও তেমনি প্রভু ঈসার রহমত দ্বারাই নাজাত পাব।’

12. তখন সমস্ত লোক নীরব হয়ে রইলো; আর বার্নাবাসের ও পৌলের দ্বারা অ-ইহুদীদের মধ্যে আল্লাহ্‌ কি কি চিহ্ন-কাজ ও অদ্ভুত লক্ষণ সাধন করেছেন, তা তাঁদের কাছেই শুনতে লাগল।

13. তাঁদের কথা শেষ হলে পর ইয়াকুব জবাবে বললেন, ‘হে ভাইয়েরা, আমার কথা শোন।

14. আল্লাহ্‌ তাঁর নামের জন্য অ-ইহুদীদের মধ্য থেকে এক দল লোক গ্রহণ করবার জন্য কিভাবে প্রথমে তাদের তত্ত্ব নিয়েছিলেন তা শিমোন বর্ণনা করেছেন।

15. আর নবীদের কালাম তার সঙ্গে মিলে, যেমন লেখা আছে,

16. “এর পরে আমি ফিরে আসবো,দাউদের পড়ে যাওয়া কুটির পুনরায় গাঁথব,তার ধ্বংসস্থানগুলো পুনরায় গাঁথব,আর তা পুনরায় স্থাপন করবো;

17. যেন অবশিষ্ট লোকেরা প্রভুর খোঁজ করে,আর যে জাতিদের উপরে আমার নাম কীর্তিত হয়েছে,তারা সকলেও করে, প্রভু এই কথা বলেন,

18. তিনি অনেক কাল আগে থেকেই এসব বিষয় জানিয়ে দেন।”

19. অতএব আমার বিচার এই, অ-ইহুদীদের মধ্যে যারা আল্লাহ্‌র প্রতি ফিরে, তাদেরকে আমরা কষ্ট দেব না, কেবল তাদেরকে লিখে পাঠাব,

20. যেন তারা মূর্তি সংক্রান্ত নাপাকীতা, জেনা, গলা টিপে মারা প্রাণীর গোশ্‌ত এবং রক্ত, এসব থেকে পৃথক থাকে।

21. কেননা প্রতি নগরে অতি পূর্বকাল থেকে মূসার এমন লোক আছে, যারা তাঁকে তবলিগ করে, প্রতি বিশ্রামবারে মজলিস-খানায় মজলিস-খানায় তাঁর কিতাব পাঠ করা হচ্ছে।’

অ-ইহুদী ঈমানদারদের কাছে লেখা পত্র

22. তখন প্রেরিতেরা ও প্রাচীনবর্গরা সমস্ত মণ্ডলীর সহযোগে, নিজেদের মধ্যে থেকে মনোনীত কোন কোন লোককে, অর্থাৎ বার্শব্বা নামে আখ্যাত এহুদা এবং সীল, ভাইদের মধ্যে অগ্রগণ্য এই দু’জনকে পৌল ও বার্নাবাসের সঙ্গে এণ্টিয়কে পাঠাতে ভাল মনে করলেন;

23. এবং তাঁদের হাতে এরকম পত্র লিখে পাঠালেন— এণ্টিয়ক, সিরিয়া ও কিলিকিয়া-নিবাসী ভাইদের কাছে প্রেরিতদের ও প্রাচীনদের, অর্থাৎ তোমাদের ভাইদের মঙ্গলবাদ।

24. আমরা শুনতে পেয়েছি যে, আমরা যাদেরকে কোন হুকুম দিই নি, এমন কয়েক ব্যক্তি আমাদের মধ্য থেকে গিয়ে নানা কথা বলে তোমাদের প্রাণ অস্থির করে তোমাদেরকে কষ্ট দিয়েছে।

25. এজন্য আমরা একমত হয়ে কয়েক জনকে মনোনীত করে তাদেরকে আমাদের প্রিয় বার্নাবাস ও পৌলের সঙ্গে তোমাদের কাছে পাঠাতে ভাল মনে করলাম।

26. বার্নাবাস ও পৌল আমাদের প্রভু ঈসার মসীহের নামের জন্য প্রাণপণ করেছেন।

27. অতএব এহুদা ও সীলকে প্রেরণ করলাম, এঁরা মুখেও তোমাদেরকে সেসব বিষয় জানাবেন।

28. কারণ পাক-রূহের এবং আমাদের এই বিষয় ভাল মনে হল, যেন এই কয়েকটি প্রয়োজনীয় বিষয় ছাড়া তোমাদের উপরে আর কোন ভার না দিই।

29. ফলে মূর্তির প্রসাদ এবং রক্ত ও গলা টিপে মারা প্রাণীর গোশ্‌ত খাওয়া ও জেনা থেকে পৃথক থাকা তোমাদের উচিত; এসব থেকে নিজেদের সযত্নে রক্ষা করলে তোমাদের কুশল হবে। তোমাদের মঙ্গল হোক।’

30. তখন তারা বিদায় হয়ে এণ্টিয়কে আসলেন এবং লোকদেরকে একত্র করে পত্রখানি দিলেন।

31. তা পাঠ করে তারা সেই আশ্বাসের কথায় আনন্দিত হল।

32. আর এহুদা ও সীল নিজেরাও নবী ছিলেন বলে অনেক কথা দ্বারা ভাইদেরকে উৎসাহ দিলেন ও ঈমানে শক্তিশালী করে তুললেন।

33. তাঁরা সেই স্থানে কিছু কাল যাপন করার পর যাঁরা তাঁদেরকে পাঠিয়েছিলেন,

34. তাঁদের কাছে ফিরে যাবার জন্য ভাইয়েরা তাঁদের শান্তিতে বিদায় দিলেন।

35. কিন্তু পৌল ও বার্নাবাস এণ্টিয়কে অবস্থিতি করলেন, তাঁরা অন্যান্য অনেক লোকের সঙ্গে প্রভুর কালাম নিয়ে শিক্ষা দিতেন ও সুসমাচার তবলিগ করতেন।

হযরত পৌল ও হযরত বার্নাবাসের পৃথক হওয়া

36. কয়েক দিন পরে পৌল বার্নাবাসকে বললেন, চল, আমরা যেসব নগরে প্রভুর কালাম তবলিগ করেছিলাম, সেসব নগরে এখন ফিরে গিয়ে ভাইদের তত্ত্বাবধান করি, দেখি, তারা কেমন আছে।

37. আর বার্নাবাস চাইলেন, ইউহোন্না যাঁকে মার্ক বলে, তাঁকেও সঙ্গে নিয়ে যাবেন;

38. কিন্তু পৌল মনে করলেন, যে ব্যক্তি পাম্ফুলিয়াতে তাঁদেরকে ছেড়ে গিয়েছিল, তাঁদের সঙ্গে কাজে যান নি, এমন লোককে সঙ্গে করে নেওয়া উচিত নয়।

39. এতে এমন মতবিরোধ হল যে, তাঁরা পরস্পর পৃথক হলেন; বার্নাবাস মার্ককে সঙ্গে করে জাহাজে সাইপ্রাস দ্বীপে গমন করলেন;

40. কিন্তু পৌল শীলকে মনোনীত করলেন, ঈমানদার ভাইয়েরা প্রভুর রহমতের হাতে তাঁদের তুলে দিলে তাঁরা প্রস্থান করলেন।

41. আর তিনি সিরিয়া ও কিলিকিয়া দিয়ে গমন করতে করতে মণ্ডলীগুলোকে শক্তিশালী করে তুললেন।