অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16
  17. 17
  18. 18
  19. 19
  20. 20
  21. 21
  22. 22
  23. 23
  24. 24
  25. 25
  26. 26
  27. 27
  28. 28

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

প্রেরিত 11 কিতাবুল মোকাদ্দস (BACIB)

জেরুশালেমে হযরত পিতরের প্রতিবেদন দান

1. পরে প্রেরিতেরা এবং এহুদিয়ার ভাইয়েরা শুনতে পেলেন যে, অ-ইহুদী লোকেরাও আল্লাহ্‌র কালাম গ্রহণ করেছে।

2. আর যখন পিতর জেরুশালেমে আসলেন, তখন খৎনা করানো লোকেরা তাঁর সঙ্গে ঝগড়া করে বললেন,

3. তুমি খৎনা-না-করানো লোকদের বাড়িতে প্রবেশ করেছ ও তাদের সঙ্গে আহার করেছ।

4. তখন পিতর প্রথম থেকে আরম্ভ করে যা যা ঘটেছিল তাঁদেরকে সমস্ত বৃত্তান্ত বুঝিয়ে দিলেন,

5. বললেন, ‘আমি যাফো নগরে মুনাজাত করছিলাম, এমন সময়ে তন্দ্রার মত অবস্থায় একটি দর্শন পেলাম, দেখলাম, একখানা বড় চাদরের মত কোন পাত্র নেমে আসছে, তা চার কোণে ধরে আসমান থেকে নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে এবং তা আমার কাছ পর্যন্ত আসলো।

6. আমি তার প্রতি একদৃষ্টে চেয়ে চিন্তা করতে লাগলাম, আর দেখলাম, তার মধ্যে দুনিয়ার চতুস্পদ জন্তু, আর বন্য পশু, সরীসৃপ ও আসমানের পাখিগুলো আছে।

7. আর আমি একটি বাণীও শুনলাম, যা আমাকে বললো, উঠ, পিতর, মার, খাও।

8. কিন্তু আমি বললাম, প্রভু, এমন না হোক; কেননা নাপাক বা অপবিত্র কোন দ্রব্য কখনও আমার মুখের ভিতরে প্রবেশ করে নি।

9. কিন্তু দ্বিতীয় বার আসমান থেকে বাণী হল, আল্লাহ্‌ যা পাক-পবিত্র করেছেন, তুমি তা নাপাক বলো না।

10. এরকম তিন বার হল; পরে সেসব আবার আসমানে টেনে নেওয়া হল।

11. আর দেখ, অবিলম্বে তিন জন পুরুষ, যে বাড়িতে আমরা ছিলাম, সেখানে এসে দাঁড়ালো; সিজারিয়া থেকে তাদেরকে আমার কাছে পাঠানো হয়েছিল।

12. আর পাক-রূহ্‌ আমাকে সন্দেহ না করে তাদের সঙ্গে যেতে বললেন। আর এই ছয় জন ভাই আমার সঙ্গে গমন করলেন। পরে আমরা সেই ব্যক্তির বাড়িতে প্রবেশ করলাম।

13. তিনি আমাদেরকে বললেন, যে, তিনি এক জন ফেরেশতার দর্শন পেয়েছিলেন, সেই ফেরেশতা তাঁর বাড়িতে দাঁড়িয়ে বললেন, যাফোতে লোক পাঠিয়ে শিমোন, যাকে পিতর বলে, তাকে ডেকে আন;

14. সে তোমাকে এমন কথা বলবে, যা দ্বারা তুমি ও তোমার সমস্ত পরিবার নাজাত পাবে।

15. পরে আমি কথা বলতে আরম্ভ করলে, যেমন প্রথমে আমাদের উপরে হয়েছিল, তেমনি তাঁদের উপরেও পাক-রূহ্‌ নেমে আসলেন।

16. তাতে প্রভুর কথা আমার স্মরণ হল, যেমন তিনি বলেছিলেন, ‘ইয়াহিয়া পানিতে বাপ্তিস্ম দিতেন, কিন্তু তোমাদের পাক-রূহে বাপ্তিস্ম হবে।’

17. অতএব, তারা প্রভু ঈসা মসীহের উপর ঈমান আনলে পর, যেমন আমাদেরকে, তেমনি যখন তাদেরকেও আল্লাহ্‌ সমান বর দান করলেন, তখন আমি কে যে, আল্লাহ্‌কে নিবৃত্ত করতে পারি?

18. এসব কথা শুনে তারা চুপ করে রইলেন এবং আল্লাহ্‌র গৌরব করলেন, বললেন, তবে তো আল্লাহ্‌ অ-ইহুদীদেরকেও মন পরিবর্তনের সুযোগ দান করেছেন যেন তারা জীবন পেতে পারে।

এণ্টিয়ক শহরে মণ্ডলী স্থাপন

19. ইতোমধ্যে স্তিফানের উপলক্ষে যে নির্যাতন নেমে এসেছিল, তার ফলে যারা ছড়িয়ে পড়েছিল, তারা ফিনিশিয়া, সাইপ্রাস ও এণ্টিয়ক পর্যন্ত চারদিকে ভ্রমণ করে কেবল ইহুদীদেরই কাছে আল্লাহ্‌র কালাম তবলিগ করতে লাগল।

20. কিন্তু তাদের মধ্যে কয়েক জন সাইপ্রাস দ্বীপের লোক ও কুরীণীয় লোক ছিল; এরা এণ্টিয়কে এসে গ্রীক ভাষাভাষী ইহুদীদের কাছেও কথা বললো, প্রভু ঈসার বিষয়ে সুসমাচার তবলিগ করলো।

21. আর প্রভুর হাত তাদের সহবর্তী ছিল এবং বহুসংখ্যক লোক ঈমান এনে প্রভুর প্রতি ফিরলো।

22. পরে তাদের বিষয় জেরুশালেমের মণ্ডলীর কর্ণগোচর হল; তাতে এঁরা এণ্টিয়ক পর্যন্ত বার্নাবাসকে প্রেরণ করলেন।

23. বার্নাবাস সেখানে উপস্থিত হয়ে আল্লাহ্‌র রহমত দেখে আনন্দ করলেন; এবং সকলকে উৎসাহ দিতে লাগলেন, যেন তারা হৃদয়ের একাগ্রতায় প্রভুতে স্থির থাকে।

24. বার্নাবাস এক জন সৎ লোক ছিলেন এবং পাক-রূহে ও বিশ্বাসে পরিপূর্ণ ছিলেন। আর অনেক লোক প্রভুতে সংযুক্ত হল।

25. পরে তিনি শৌলের খোঁজ করতে তার্ষ নগরে গমন করলেন এবং তাঁকে পেয়ে এণ্টিয়কে আনলেন।

26. আর তাঁরা সমপূর্ণ এক বছর কাল মণ্ডলীতে একত্র হয়ে অনেক লোককে উপদেশ দিলেন; আর প্রথমে এণ্টিয়কেই সাহাবীরা ‘ঈসায়ী’ নামে আখ্যাত হল।

27. সেই সময়ে কয়েক জন নবী জেরুশালেম থেকে এণ্টিয়কে আসলেন।

28. তাঁদের মধ্যে আগাব নামে এক ব্যক্তি উঠে পাক-রূহের আবেশে জানালেন যে, সারা দুনিয়াতে মহাদুর্ভিক্ষ হবে; তা ক্লৌদিয়ের রাজত্বের সময়ে ঘটলো।

29. তাতে সাহাবীরা প্রতি জন স্ব স্ব সঙ্গতি অনুসারে এহুদিয়া-নিবাসী ভাইদের পরিচর্যার জন্য তাঁদের কাছে সাহায্য পাঠাতে স্থির করলেন।

30. তারা সেই মত কাজ করলেন এবং বার্নাবাসের ও শৌলের হাত দিয়ে প্রাচীনদের কাছে অর্থ পাঠিয়ে দিলেন।