অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16
  17. 17
  18. 18
  19. 19
  20. 20
  21. 21
  22. 22
  23. 23
  24. 24
  25. 25
  26. 26
  27. 27
  28. 28
  29. 29
  30. 30
  31. 31
  32. 32
  33. 33
  34. 34
  35. 35
  36. 36
  37. 37
  38. 38
  39. 39
  40. 40
  41. 41
  42. 42
  43. 43
  44. 44
  45. 45
  46. 46
  47. 47
  48. 48
  49. 49
  50. 50

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

আদিপুস্তক 22 পবিত্র বাইবেল (SBCL)

ইস্‌হাককে উৎসর্গ করা

1. এই সমস্ত ঘটনার পর ঈশ্বর অব্রাহামকে এক পরীক্ষায় ফেললেন। ঈশ্বর তাঁকে ডাকলেন, “অব্রাহাম।”অব্রাহাম উত্তর দিলেন, “এই যে আমি।”

2. ঈশ্বর বললেন, “তোমার ছেলেকে, অদ্বিতীয় ছেলে ইস্‌হাককে, যাকে তুমি এত ভালবাস তাকে নিয়ে তুমি মোরিয়া এলাকায় যাও। সেখানে যে পাহাড়টার কথা আমি তোমাকে বলব তার উপরে তুমি তাকে পোড়ানো-উৎসর্গ হিসাবে উৎসর্গ কর।”

3. সেইজন্য অব্রাহাম খুব ভোরে উঠে একটা গাধার পিঠে গদি চাপালেন। তারপর তাঁর ছেলে ইস্‌হাক ও দু’জন দাসকে সংগে নিলেন, আর পোড়ানো-উৎসর্গের জন্য কাঠ কেটে নিয়ে যে জায়গার কথা ঈশ্বর তাঁকে বলেছিলেন সেই দিকে রওনা হলেন।

4. তিন দিনের দিন অব্রাহাম চোখ তুলে চাইতেই দূর থেকে সেই জায়গাটা দেখতে পেলেন।

5. তখন তিনি তাঁর দাসদের বললেন, “তোমরা গাধাটা নিয়ে এখানেই থাক; আমার ছেলে আর আমি ওখানে যাব। ওখানে আমাদের উপাসনা শেষ করে আবার আমরা তোমাদের কাছে ফিরে আসব।”

6. এই বলে অব্রাহাম পোড়ানো-উৎসর্গের জন্য কাঠের বোঝাটা তাঁর ছেলে ইস্‌হাকের কাঁধে চাপিয়ে দিয়ে নিজে আগুনের পাত্র ও ছোরা নিলেন। তারপর তাঁরা দু’জনে একসংগে হাঁটতে লাগলেন।

7. তখন ইস্‌হাক তাঁর বাবা অব্রাহামকে ডাকলেন, “বাবা।”অব্রাহাম বললেন, “কেন বাবা, কি বলছ?”ইস্‌হাক বললেন, “পোড়ানো-উৎসর্গের জন্য কাঠ আর আগুন রয়েছে দেখছি, কিন্তু ভেড়ার বাচ্চা কোথায়?”

8. অব্রাহাম বললেন, “বাবা, পোড়ানো-উৎসর্গের জন্য ঈশ্বর নিজেই ভেড়ার বাচ্চা যুগিয়ে দেবেন।” এই সব কথা বলতে বলতে তাঁরা এগিয়ে গেলেন।

9. যে জায়গার কথা ঈশ্বর অব্রাহামকে বলে দিয়েছিলেন তাঁরা সেখানে গিয়ে পৌঁছালেন। সেখানে পৌঁছে অব্রাহাম একটা বেদী তৈরী করে তার উপর কাঠ সাজালেন। পরে ইস্‌হাকের হাত-পা বেঁধে তাঁকে সেই বেদীর কাঠের উপর রাখলেন।

10. তারপর অব্রাহাম ছেলেটিকে মেরে ফেলবার জন্য ছোরা হাতে নিলেন।

11. এমন সময় সদাপ্রভুর দূত স্বর্গ থেকে তাঁকে ডাকলেন, “অব্রাহাম, অব্রাহাম!”অব্রাহাম উত্তর দিলেন, “এই যে আমি।”

12. দূত বললেন, “ছেলেটিকে মেরে ফেলবার জন্য হাত তুলো না বা তার প্রতি আর কিছুই কোরো না। তুমি যে ঈশ্বরভক্ত তা এখন বুঝা গেল, কারণ আমার উদ্দেশে তুমি তোমার ছেলেকে, অদ্বিতীয় ছেলেকেও উৎসর্গ করতে পিছ্‌পা হও নি।”

13. অব্রাহাম তখন চারদিকে তাকালেন এবং দেখলেন তাঁর পিছনে একটা ভেড়া রয়েছে আর তার শিং ঝোপে আট্‌কে আছে। তখন অব্রাহাম গিয়ে ভেড়াটা নিলেন এবং ছেলের বদলে সেই ভেড়াটাই তিনি পোড়ানো-উৎসর্গের অনুষ্ঠানে ব্যবহার করলেন।

14. তিনি সেই জায়গাটার নাম দিলেন যিহোবা-যিরি (যার মানে “সদাপ্রভু যোগান”)। সেইজন্য আজও লোকে বলে, “সদাপ্রভুর পাহাড়ে সদাপ্রভুই যুগিয়ে দেন।”

15-16. সদাপ্রভুর দূত স্বর্গ থেকে অব্রাহামকে আবার ডেকে বললেন, “তুমি তোমার ছেলেকে, অদ্বিতীয় ছেলেকে উৎসর্গ করতে পিছ্‌পা হও নি। সেইজন্য আমি সদাপ্রভু নিজের নামেই শপথ করে বলছি যে,

17. আমি নিশ্চয়ই তোমাকে অনেক আশীর্বাদ করব, আর আকাশের তারার মত এবং সমুদ্র-পারের বালুকণার মত তোমার বংশের লোকদের অসংখ্য করব। তোমার বংশের লোকেরা তাদের শত্রুদের শহরগুলো জয় করে নেবে,

18. আর তোমার বংশের মধ্য দিয়ে পৃথিবীর সমস্ত জাতি আশীর্বাদ পাবে। তুমি আমার আদেশ পালন করেছ বলেই তা হবে।”

19. এর পর অব্রাহাম তাঁর দাসদের কাছে ফিরে আসলেন। তখন সকলে একসংগে সেখান থেকে বের্‌-শেবাতে ফিরে গেলেন; এখানেই অব্রাহাম বাস করতেন।

নাহোরের বংশধর

20. এই সব ঘটনার পরে অব্রাহাম শুনতে পেলেন যে, এর মধ্যে তাঁর ভাই নাহোরের স্ত্রী মিল্‌কার কয়েকটি ছেলে হয়েছে।

21. নাহোরের বড় ছেলের নাম ছিল ঊষ। পরে বূষ আর কমূয়েলের জন্ম হয়েছিল। কমূয়েলের ছেলের নাম ছিল অরাম।

22. নাহোরের অন্য ছেলেদের নাম কেষদ, হসো, পিল্‌দশ, যিদ্‌লফ ও বথূয়েল।

23. বথূয়েলের মেয়ের নাম ছিল রিবিকা। অব্রাহামের ভাই নাহোরের স্ত্রী মিল্‌কার গর্ভে এই আটটি ছেলের জন্ম হয়েছিল।

24. নাহোরের একজন উপস্ত্রী ছিল; তার নাম ছিল রূমা। তার গর্ভে টেবহ, গহম, তহশ ও মাখার জন্ম হয়েছিল।