অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16
  17. 17
  18. 18
  19. 19
  20. 20
  21. 21
  22. 22
  23. 23
  24. 24
  25. 25
  26. 26
  27. 27
  28. 28
  29. 29
  30. 30
  31. 31
  32. 32
  33. 33
  34. 34
  35. 35
  36. 36
  37. 37
  38. 38
  39. 39
  40. 40
  41. 41
  42. 42
  43. 43
  44. 44
  45. 45
  46. 46
  47. 47
  48. 48
  49. 49
  50. 50

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

আদিপুস্তক 11 পবিত্র বাইবেল (SBCL)

বাবিলের উঁচু ঘর

1. তখনকার দিনে সারা দুনিয়ার মানুষ কেবল একটি ভাষাতেই কথা বলত এবং তাদের শব্দগুলোও ছিল একই।

2. পরে তারা পূর্ব দিকে এগিয়ে যেতে যেতে শিনিয়র দেশে একটা সমভূমি পেয়ে সেখানেই বাস করতে লাগল।

3. তারা একে অন্যকে বলল, “চল, আমরা ইট তৈরী করে আগুনে পুড়িয়ে নিই।” এই বলে তারা পাথরের বদলে ইট এবং চুন-সুরকির বদলে আল্‌কাত্‌রা ব্যবহার করতে লাগল।

4. তারা বলল, “এস, আমরা নিজেদের জন্য একটা শহর তৈরী করি এবং এমন একটা উঁচু ঘর তৈরী করি যার চূড়া গিয়ে আকাশে ঠেকবে। এতে আমাদের সুনামও হবে আর আমরা সারা জগতে ছড়িয়েও পড়ব না।”

5. মানুষ যে শহর ও উঁচু ঘর তৈরী করছিল তা দেখবার জন্য সদাপ্রভু নেমে আসলেন।

6. তিনি বলেছিলেন, “এরা একই জাতির লোক এবং এদের ভাষাও এক; সেইজন্যই এই কাজে তারা হাত দিয়েছে। নিজেদের মতলব হাসিল করবার জন্য এর পর এরা আর কোন বাধাই মানবে না।

7. কাজেই এস, আমরা নীচে গিয়ে তাদের ভাষায় গোলমাল বাধিয়ে দিই যাতে তারা একে অন্যের কথা বুঝতে না পারে।”

8. তারপর সদাপ্রভু সেই জায়গা থেকে তাদের সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিলেন। এতে তাদের সেই শহর তৈরীর কাজও বন্ধ হয়ে গেল।

9. এইজন্য সেই জায়গার নাম হল বাবিল, কারণ সেখানেই সদাপ্রভু সারা পৃথিবীতে ভাষার মধ্যে গোলমাল বাধিয়ে দিয়েছিলেন। সেখান থেকেই তিনি তাদের পৃথিবীর সব জায়গায় ছড়িয়ে দিয়েছিলেন।

শেমের বংশের কথা

10. এই হল শেমের বংশের কথা। বন্যার দু’বছর পরে যখন শেমের বয়স একশো বছর তখন তাঁর ছেলে অর্ফক্‌ষদের জন্ম হল।

11. অর্ফক্‌ষদের জন্মের পরে শেম আরও পাঁচশো বছর বেঁচে ছিলেন। এর মধ্যে তাঁর আরও ছেলেমেয়ে হয়েছিল।

12. অর্ফক্‌ষদের পঁয়ত্রিশ বছর বয়সে তাঁর ছেলে শেলহের জন্ম হল।

13. শেলহের জন্মের পরে অর্ফক্‌ষদ আরও চারশো তিন বছর বেঁচে ছিলেন। এর মধ্যে তাঁর আরও ছেলেমেয়ে হয়েছিল।

14. শেলহের ত্রিশ বছর বয়সে তাঁর ছেলে এবরের জন্ম হল।

15. এবরের জন্মের পরে শেলহ আরও চারশো তিন বছর বেঁচে ছিলেন। এর মধ্যে তাঁর আরও ছেলেমেয়ে হয়েছিল।

16. এবরের চৌত্রিশ বছর বয়সে তাঁর ছেলে পেলগের জন্ম হল।

17. পেলগের জন্মের পরে এবর আরও চারশো ত্রিশ বছর বেঁচে ছিলেন। এর মধ্যে তাঁর আরও ছেলেমেয়ে হয়েছিল।

18. পেলগের ত্রিশ বছর বয়সে তাঁর ছেলে রিয়ূর জন্ম হল।

19. রিয়ূর জন্মের পরে পেলগ আরও দু’শো নয় বছর বেঁচে ছিলেন। এর মধ্যে তাঁর আরও ছেলেমেয়ে হয়েছিল।

20. রিয়ূর বত্রিশ বছর বয়সে তাঁর ছেলে সরূগের জন্ম হল।

21. সরূগের জন্মের পরে রিয়ূ আরও দু’শো সাত বছর বেঁচে ছিলেন। এর মধ্যে তাঁর আরও ছেলেমেয়ে হয়েছিল।

22. সরূগের ত্রিশ বছর বয়সে তাঁর ছেলে নাহোরের জন্ম হল।

23. নাহোরের জন্মের পরে সরূগ আরও দু’শো বছর বেঁচে ছিলেন। এর মধ্যে তাঁর আরও ছেলেমেয়ে হয়েছিল।

24. নাহোরের উনত্রিশ বছর বয়সে তাঁর ছেলে তেরহের জন্ম হল।

25. তেরহের জন্মের পরে নাহোর আরও একশো উনিশ বছর বেঁচে ছিলেন। এর মধ্যে তাঁর আরও ছেলেমেয়ে হয়েছিল।

26. তেরহের সত্তর বছর বয়সের পর তাঁর ছেলে অব্রাম, নাহোর ও হারণের জন্ম হয়েছিল।

তেরহের বংশের কথা

27. এই হল তেরহের বংশের কথা। তেরহের ছেলেদের নাম ছিল অব্রাম, নাহোর ও হারণ, আর হারণের ছেলের নাম লোট।

28. হারণ তাঁর বাবা বেঁচে থাকতেই তাঁর জন্মস্থান কল্‌দীয় দেশের ঊর শহরে মারা গিয়েছিলেন।

29. অব্রাম আর নাহোর দু’জনেই বিয়ে করেছিলেন। অব্রামের স্ত্রীর নাম ছিল সারী আর নাহোরের স্ত্রীর নাম ছিল মিল্‌কা। মিল্‌কা আর যিষ্কা ছিল হারণের মেয়ে।

30. সারী বন্ধ্যা ছিলেন; তাঁর কোন ছেলেমেয়ে হয় নি।

31. অব্রাম, লোট ও সারীকে নিয়ে তেরহ কনান দেশে যাবার জন্য কল্‌দীয় দেশের ঊর শহর থেকে যাত্রা করলেন। অব্রাম ছিলেন তেরহের ছেলে, লোট ছিলেন তেরহের নাতি, অর্থাৎ হারণের ছেলে, আর সারী ছিলেন তেরহের ছেলে অব্রামের স্ত্রী। প্রথমে তাঁরা হারণ নামে এক শহর পর্যন্ত গেলেন এবং সেখানে বাস করতে লাগলেন।

32. তেরহ দু’শো পাঁচ বছর বয়সে হারণ শহরেই মারা গেলেন।