অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16
  17. 17
  18. 18
  19. 19
  20. 20
  21. 21
  22. 22
  23. 23
  24. 24
  25. 25
  26. 26
  27. 27
  28. 28
  29. 29
  30. 30
  31. 31
  32. 32
  33. 33
  34. 34
  35. 35
  36. 36
  37. 37
  38. 38
  39. 39
  40. 40
  41. 41
  42. 42
  43. 43
  44. 44
  45. 45
  46. 46
  47. 47
  48. 48
  49. 49
  50. 50

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

আদিপুস্তক 10 পবিত্র বাইবেল (SBCL)

নোহের বংশের কথা

1. এই হল নোহের ছেলে শেম, হাম আর যেফতের বংশের কথা। বন্যার পরে তাঁদেরও ছেলে হয়েছিল।

যেফতের বংশ-তালিকা

2. যেফতের ছেলেরা হল গোমর, মাগোগ, মাদয়, যবন, তূবল, মেশক ও তীরস।

3. গোমরের ছেলেরা হল অস্কিনস, রীফৎ ও তোগর্ম।

4. যবনের ছেলেরা হল ইলীশা, তর্শীশ, কিত্তীম ও দোদানীম।

5. এদের বংশের লোকেরাই শেষ পর্যন্ত বিভিন্ন ভাষা, পরিবার ও জাতি অনুসারে সাগর পারের ভিন্ন ভিন্ন দেশগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছিল।

হামের বংশ-তালিকা

6. হামের ছেলেরা হল কূশ, মিসর, পূট ও কনান।

7. কূশের ছেলেরা হল সবা, হবীলা, সপ্তা, রয়মা ও সপ্তকা। রয়মার ছেলেরা হল শিবা ও দদান।

8. কূশের একটি ছেলে হয়েছিল যাঁর নাম ছিল নিম্রোদ। এই নিম্রোদ পৃথিবীতে একজন ক্ষমতাশালী পুরুষ হয়ে উঠেছিলেন।

9. সদাপ্রভুর চোখে তিনি ছিলেন একজন বেপরোয়া শিকারী। সেইজন্য কথায় বলে, “লোকটা যেন সদাপ্রভুর চোখে একজন বেপরোয়া শিকারী নিম্রোদ।”

10. শিনিয়র দেশের বাবিল, এরক, অক্কদ ও কল্‌নী নামে জায়গাগুলো নিয়ে তিনি রাজত্ব করতে শুরু করলেন।

11-12. তিনি সেখান থেকে বের হয়ে তাঁর রাজ্য বাড়াতে বাড়াতে আসিরিয়া দেশ পর্যন্ত গেলেন। সেখানকার নীনবী, রহোবোৎ-পুরী, কেলহ ও রেষণ নামে শহরগুলো তাঁরই তৈরী। এর মধ্যে রেষণ ছিল নীনবী ও কেলহের মাঝামাঝি জায়গায়। এগুলো একসংগে মিলে একটা বড় শহরের সৃষ্টি হয়েছিল।

13-14. লূদীয়, অনামীয়, লহাবীয়, নপ্তুহীয়, পথ্রোষীয়, কস্‌লূহীয় ও ক্রীটীয়েরা ছিল মিসরের বংশের লোক। কস্‌লূহীয়েরা ছিল পলেষ্টীয়দের পূর্বপুরুষ।

15. কনানের বড় ছেলের নাম ছিল সীদোন। তার পরে হেতের জন্ম হয়েছিল।

16. যিবূষীয়, ইমোরীয়, গির্গাশীয়,

17. হিব্বীয়, অর্কীয়, সীনীয়,

18. অর্বদীয়, সমারীয় এবং হমাতীয়েরাও ছিল কনানের বংশের লোক। পরে এই সব কনানীয় পরিবারগুলো ছড়িয়ে পড়েছিল।

19. সীদোন শহর থেকে গরারে যাওয়ার পথে গাজা পর্যন্ত এবং গাজা থেকে সদোম, ঘমোরা, অদ্‌মা ও সবোয়ীমে যাওয়ার পথে লাশা পর্যন্ত কনানীয়দের দেশের সীমা ছিল।

20. পরিবার, ভাষা, দেশ ও জাতি হিসাবে এরাই ছিল হামের বংশের লোক।

শেমের বংশ-তালিকা

21. যেফতের বড় ভাই শেমেরও ছেলেমেয়ে হয়েছিল। শেম ছিলেন এবর ও তাঁর সন্তানদের পূর্বপুরুষ।

22. শেমের ছেলেরা হল এলম, অশূর, অর্ফক্‌ষদ, লূদ ও অরাম।

23. অরামের ছেলেরা হল ঊষ, হূল, গেথর ও মশ।

24. অর্ফক্‌ষদের ছেলের নাম শেলহ এবং শেলহের ছেলের নাম এবর।

25. এবরের দু’টি ছেলে হয়েছিল। তাদের একজনের নাম ছিল পেলগ। তার সময়ে পৃথিবী ভাগ হয়েছিল বলেই তার এই নাম দেওয়া হয়েছিল। পেলগের ভাইয়ের নাম ছিল যক্তন।

26. যক্তনের ছেলেরা হল অল্‌মোদদ, শেলফ, হৎসর্মাবৎ, যেরহ,

27. হদোরাম, ঊষল, দিক্ল,

28. ওবল, অবীমায়েল, শিবা,

29. ওফীর, হবীলা ও যোবব। এরা সবাই ছিল যক্তনের ছেলে।

30. মেষা থেকে পূর্ব দিকে সফারে যাওয়ার পথে যে পাহাড়ী এলাকা ছিল তার সমস্ত জায়গায় এরা বাস করত।

31. পরিবার, ভাষা, দেশ ও জাতি হিসাবে এরাই ছিল শেমের বংশের লোক।

32. এরাই হল বংশ এবং জাতি হিসাবে নোহের ছেলেদের বিভিন্ন পরিবার। বন্যার পরে এদের বংশের লোকেরাই বিভিন্ন জাতি হয়ে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছিল।