অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16
  17. 17
  18. 18
  19. 19
  20. 20
  21. 21
  22. 22
  23. 23
  24. 24
  25. 25
  26. 26
  27. 27
  28. 28
  29. 29
  30. 30
  31. 31
  32. 32
  33. 33
  34. 34
  35. 35
  36. 36
  37. 37
  38. 38
  39. 39
  40. 40
  41. 41
  42. 42
  43. 43
  44. 44
  45. 45
  46. 46
  47. 47
  48. 48
  49. 49
  50. 50

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

পয়দায়েশ 8 কিতাবুল মোকাদ্দস (BACIB)

মহা বন্যার সমাপ্তি

1. আর আল্লাহ্‌ নূহ্‌কে ও তাঁর সঙ্গে জাহাজে অবস্থিত বন্য পশু ও গৃহপালিত পশুদের কথা স্মরণ করলেন; আল্লাহ্‌ দুনিয়াতে বায়ু বহালেন, তাতে পানি কমতে আরম্ভ করলো।

2. আর ভূগর্ভের সমস্ত উৎস ও আসমানের জানালাগুলো বন্ধ হল এবং আসমানের মহাবৃষ্টি নিবৃত্ত হল।

3. আর পানি ক্রমশ ভূমির উপর থেকে সরে গিয়ে এক শত পঞ্চাশ দিনের শেষে হ্রাস পেল।

4. তাতে সপ্তম মাসে, সপ্তদশ দিনে অরারট পর্বতমালার একটি শৃঙ্গে জাহাজ আট্‌কে রইলো।

5. পরে দশম মাস পর্যন্ত পানি ক্রমশ সরে হ্রাস পেল; ঐ দশম মাসের প্রথম দিনে পর্বতমালার চূড়া দেখা গেল।

6. চল্লিশ দিন গত হলে নূহ্‌ তাঁর নিজের তৈরি জাহাজের জানালা খুলে একটা দাঁড়কাক ছেড়ে দিলেন;

7. তাতে সে উড়ে ভূমির উপরিস্থ পানি শুকিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত যত্রতত্র উড়ে বেড়াতে লাগল।

8. আর ভূমির উপরে পানি হ্রাস পেয়েছে কি না, তা জানবার জন্য তিনি নিজের কাছ থেকে একটি কবুতর ছেড়ে দিলেন।

9. তাতে সমস্ত দুনিয়া পানিতে ঢাকা থাকাতে কবুতরটি পা রাখার কোন স্থান পেল না, তাই জাহাজে তাঁর কাছে ফিরে আসল। তখন তিনি হাত বাড়িয়ে তাকে ধরলেন ও জাহাজের ভিতরে নিজের কাছে রাখলেন।

10. পরে তিনি আর সাত দিন বিলম্ব করে জাহাজ থেকে সেই কবুতরটি পুনর্বার ছেড়ে দিলেন,

11. আর সেই কবুতরটি সন্ধ্যাকালে তাঁর কাছে ফিরে আসল; দেখ, তার ঠোঁটে জলপাই গাছের একটি নতুন পাতা ছিল; এতে নূহ্‌ বুঝলেন যে, ভূমির উপরে পানি হ্রাস পেয়েছে।

12. পরে তিনি আর সাত দিন বিলম্ব করে সেই কবুতরটি পুনরায় ছেড়ে দিলেন, তখন সে তাঁর কাছে আর ফিরে আসল না।

13. নূহের বয়সের ছয় শত এক বছরের প্রথম মাসের প্রথম দিনে ভূমির উপরে পানি শুকিয়ে গেল; তাতে নূহ্‌ জাহাজের ছাদ খুলে দৃষ্টিপাত করলেন, আর দেখ, ভূতলের পানি সমপূর্ণভাবে শুকিয়ে যেতে শুরু করেছে।

14. পরে দ্বিতীয় মাসের সাতাশ দিনে ভূমি সম্পূর্ণভাবে শুকিয়ে গেল।

15. পরে আল্লাহ্‌ নূহ্‌কে বললেন,

16. তুমি তোমার স্ত্রী, পুত্রদের ও পুত্রবধূদেরকে সঙ্গে নিয়ে জাহাজ থেকে নেমে বাইরে যাও।

17. আর তোমার সঙ্গে যত পশু, পাখি ও ভূচর সরীসৃপ প্রভৃতি জীবজন্তু আছে, সেই সকলকে তোমার সঙ্গে বাইরে আন, তারা দুনিয়াকে প্রাণীময় করুক এবং দুনিয়াতে তারা প্রজাবন্ত ও বহুবংশ হোক।

18. তখন নূহ্‌ তাঁর পুত্রদের এবং তাঁর স্ত্রী ও পুত্রবধূদেরকে সঙ্গে নিয়ে বের হলেন।

19. আর নিজ নিজ জাতি অনুসারে প্রত্যেক পশু, সরীসৃপ ও পাখি, সমস্ত ভূচর প্রাণী জাহাজ থেকে বের হল।

হযরত নূহের কোরবানী ও আল্লাহ্‌র ওয়াদা

20. পরে নূহ্‌ মাবুদের উদ্দেশে কোরবানগাহ্‌ তৈরি করলেন এবং সব রকম পাক-পবিত্র পশু ও সব রকম পাক-পবিত্র পাখি থেকে কতগুলো নিয়ে কোরবানগাহ্‌র উপরে আগুনে পুড়িয়ে কোরবানী করলেন।

21. তাতে মাবুদ তার সৌরভের ঘ্রাণ নিলেন, আর মাবুদ মনে মনে বললেন, আমি মানবজাতি জন্য ভূমিকে আর বদদোয়া দেব না, কারণ বাল্যকাল থেকে মানুষের মনস্কল্পনা দুষ্ট; যেমন করলাম, তেমন আর কখনও সমস্ত প্রাণীকে সংহার করবো না।

22. যে পর্যন্ত দুনিয়া থাকবে, সেই পর্যন্ত শস্য বপনের ও শস্য কাটবার সময়, শীত ও উত্তাপ, গ্রীষ্মকাল ও হেমন্তকাল, দিবা ও রাত— এই সকলের অবসান হবে না।