অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16
  17. 17
  18. 18
  19. 19
  20. 20
  21. 21
  22. 22
  23. 23
  24. 24
  25. 25
  26. 26
  27. 27
  28. 28
  29. 29
  30. 30
  31. 31
  32. 32
  33. 33
  34. 34
  35. 35
  36. 36
  37. 37
  38. 38
  39. 39
  40. 40
  41. 41
  42. 42
  43. 43
  44. 44
  45. 45
  46. 46
  47. 47
  48. 48
  49. 49
  50. 50

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

পয়দায়েশ 14 কিতাবুল মোকাদ্দস (BACIB)

হযরত লূতের বন্দীত্ব্ব ও পুনরুদ্ধার

1. শিনিয়রের বাদশাহ্‌ অম্রাফল, ইল্লাসরের বাদশাহ্‌ অরিয়োক, এলমের বাদশাহ্‌ কদর্লায়োমর

2. এবং গোয়ীমের বাদশাহ্‌ তিদিয়লের সময়ে ঐ বাদশাহ্‌রা সাদুমের বাদশাহ্‌ বিরা, আমুরার বাদশাহ্‌ বির্শা, অদ্‌মার বাদশাহ্‌ শিনাব, সবোয়িমের বাদশাহ্‌ শিমেবর ও বিলার অর্থাৎ সোয়রের বাদশাহ্‌র সঙ্গে যুদ্ধ করলেন।

3. এঁরা সকলে সিদ্দীম উপত্যকাতে অর্থাৎ লবণ-সমুদ্রে একত্র হয়েছিলেন।

4. এঁরা বারো বছর পর্যন্ত কদর্লায়োমরের গোলামী থেকে ত্রয়োদশ বছরে বিদ্রোহী হন।

5. পরে চতুর্দশ বছরে কদর্লায়োমর ও তাঁর সহায় বাদশাহ্‌রা এসে অস্তরোৎ-কর্ণয়িমে রফায়ীয়দেরকে, হমে সুষীয়দেরকে, শাবিকিরিয়াথয়িমে এমীয়দেরকে

6. ও মরু-ভূমির পাশে অবস্থিত এল-পারণ পর্যন্ত সেয়ীর পর্বতে সেখানকার হোরীয়দেরকে আঘাত করলেন।

7. পরে সেই স্থান থেকে ফিরে ঐনমিষ্পটে অর্থাৎ কাদেশে গিয়ে আমালেকীয়দের সমস্ত দেশকে এবং হৎসসোন-তামর নিবাসী ইমোরীয়দেরকে আঘাত করলেন।

8. আর সাদুমের বাদশাহ্‌, আমুরার বাদশাহ্‌, অদ্‌মার বাদশাহ্‌, সবোয়িমের বাদশাহ্‌ ও বিলার অর্থাৎ সোয়রের বাদশাহ্‌ বের হয়ে এলমের কদর্লায়োমর বাদশাহ্‌র,

9. গোয়ীমের বাদশাহ্‌ তিদিয়লের, শিনিয়রের বাদশাহ্‌ অম্রাফলের ও ইল্লাসরের বাদশাহ্‌ অরিয়োকের সঙ্গে পাঁচ জন বাদশাহ্‌ চার জন বাদশাহ্‌র সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য ‘সিদ্দীম উপত্যকাতে’ সৈন্য স্থাপন করলেন।

10. ঐ সিদ্দীম উপত্যকাতে মেটে তেলের অনেক খাত ছিল; আর সাদুম ও আমুরার বাদশাহ্‌রা পালিয়ে গেলেন। তখন তাদের মধ্যে কেউ কেউ সেই মেটে তেলের খাতে পড়ে গেলেন এবং অবশিষ্টেরা পর্বতে পালিয়ে গেলেন।

11. আর দুশমনরা সাদুম ও আমুরার সমস্ত সম্পত্তি ও খাদ্যদ্রব্য নিয়ে প্রস্থান করলেন।

12. বিশেষতঃ তাঁরা ইব্রামের ভ্রাতুষ্পুত্র লূতকে ও তাঁর সমস্ত সম্পদ নিয়ে গেলেন, কেননা তিনি সাদুমে বাস করছিলেন।

13. তখন এক জন লোক পালিয়ে এসে ইবরানী ইব্রামকে সংবাদ দিল; ঐ সময়ে তিনি ইষ্কোলের ভাই ও আনেরের ভাই আমোরীয় মম্রির এলোন বনে বাস করছিলেন এবং তাঁরা ইব্রামের সঙ্গে বন্ধুত্বের বন্ধনে আবদ্ধ ছিলেন।

14. ইব্রাম যখন শুনলেন যে, তাঁর জ্ঞাতিকে ধরে নিয়ে গেছে তখন তিনি তাঁর বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেছে এমন তিন শত আঠার জন যুদ্ধে প্রশিক্ষণ পাওয়া গোলামকে নিয়ে দান পর্যন্ত তাড়া করে নিয়ে গেলেন।

15. পরে রাতের বেলায় তাঁর গোলামদেরকে দুই দলে ভাগ করে তিনি দুশমনদেরকে আঘাত করলেন এবং দামেস্কের উত্তরে অবস্থিত হোবা পর্যন্ত তাড়িয়ে দিলেন।

16. তিনি সমস্ত সম্পদ, আর তাঁর জ্ঞাতি লূত ও তাঁর সমস্ত সম্পদ এবং স্ত্রীলোকদেরকে ও লোক সকলকে ফিরিয়ে আনলেন।

হযরত ইব্রামের প্রতি মাল্‌কীসিদ্দিকের দোয়া

17. ইব্রাম কদর্লায়োমরকে ও তাঁর সঙ্গী বাদশাহ্‌দেরকে জয় করে ফিরে আসলে পর সাদুমের বাদশাহ্‌ তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে শাবী উপত্যকায় অর্থাৎ বাদশাহ্‌র উপত্যকায় গমন করলেন।

18. তখন শালেমের বাদশাহ্‌ মাল্‌কীসিদ্দিক রুটি ও আঙ্গুর-রস বের করে আনলেন; তিনি ছিলেন সর্বশক্তিমান আল্লাহ্‌র ইমাম।

19. তিনি ইব্রামকে দোয়া করে বললেন, ইব্রাম বেহেশত ও দুনিয়ার অধিকারী সর্বশক্তিমান আল্লাহ্‌র দোয়ার পাত্র হোন,

20. আর সর্বশক্তিমান আল্লাহ্‌ ধন্য হোন, যিনি আপনার বিপক্ষদেরকে আপনার হাতে তুলে দিয়েছেন। তখন ইব্রাম সমস্ত দ্রব্যের দশমাংশ তাঁকে দিলেন।

21. আর সাদুমের বাদশাহ্‌ ইব্রামকে বললেন, সমস্ত মানুষ আমাকে দিন, ধন-সম্পদ আপনার জন্য নিন।

22. তখন ইব্রাম সাদুমের বাদশাহ্‌কে জবাবে বললেন, আমি বেহেশত ও দুনিয়ার অধিকারী সর্বশক্তিমান আল্লাহ্‌ মাবুদের উদ্দেশে হাত উঠিয়ে বলছি,

23. আমি আপনার কিছুই নেব না, এক গাছি সুতা বা জুতার ফিতাও নেব না; পাছে আপনি বলেন, আমি ইব্রামকে ধনবান করেছি।

24. কেবল (আমার) যুবকেরা যা খেয়েছে তা নেব এবং যে ব্যক্তিরা আমার সঙ্গে গিয়েছিলেন, আনের, ইষ্কোল ও মম্রি, তাঁরা তাঁদের নিজ নিজ পাপ্য অংশ গ্রহণ করুন।