অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16
  17. 17
  18. 18
  19. 19
  20. 20
  21. 21
  22. 22
  23. 23
  24. 24
  25. 25
  26. 26
  27. 27
  28. 28
  29. 29
  30. 30
  31. 31
  32. 32
  33. 33
  34. 34
  35. 35
  36. 36
  37. 37
  38. 38
  39. 39
  40. 40
  41. 41
  42. 42
  43. 43
  44. 44
  45. 45
  46. 46
  47. 47
  48. 48

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

ইহিস্কেল 47 কিতাবুল মোকাদ্দস (BACIB)

বায়তুল-মোকাদ্দস থেকে বের হওয়া নদী

1. পরে তিনি আমাকে ঘুরিয়ে এবাদতখানার প্রবেশস্থানে আনলেন, আর দেখ, এবাদতখানার গোবরাটের নিচে থেকে পানি বের হয়ে পূর্ব দিকে বইছে, কেননা এবাদতখানার সম্মুখভাগ পূর্ব দিকে ছিল; আর সেই পানি নিচে থেকে এবাদতখানার দক্ষিণ পাশ দিয়ে কোরবানগাহ্‌র দক্ষিণে নেমে যাচ্ছিল।

2. পরে তিনি আমাকে উত্তরদ্বারের পথ দিয়ে বের করলেন এবং ঘুরিয়ে বাইরের পথ দিয়ে, পূর্বমুখী পথ দিয়ে, বহির্দ্বার পর্যন্ত নিয়ে গেলেন; আর দেখ, দক্ষিণ পাশ দিয়ে পানি চুঁইয়ে পড়ছিল।

3. সে ব্যক্তি যখন পূর্ব দিকে গিয়েছিলেন, তখন তাঁর হাতে একটি মানসূত্র ছিল; তিনি এক হাজার হাত মেপে আমাকে পানির মধ্য দিয়ে গমন করালেন; তখন গোড়ালি পর্যন্ত পানি উঠলো।

4. আবার তিনি এক হাজার হাত মেপে আমাকে পানির মধ্য দিয়ে গমন করালেন, তখন হাঁটু পর্যন্ত পানি উঠলো। আবার তিনি এক হাজার হাত মেপে আমাকে পানির মধ্য দিয়ে গমন করালেন; তখন কোমর পর্যন্ত পানি উঠলো।

5. আবার তিনি এক হাজার হাত মাপলেন; তা আমার অগম্য নদী হল; কারণ পানি বেড়ে উঠেছিল, সাঁতার দেবার মত পানি, পায়ে হেঁটে পার হওয়া যায় না, এমন নদী হয়েছিল।

6. তখন তিনি আমাকে বললেন, হে মানুষের সন্তান, তুমি দেখলে? পরে তিনি আমাকে পুনরায় ঐ নদীর তীরে নিয়ে গেলেন।

7. আর আমি যখন ফিরে গেলাম, তখন দেখ, সেই নদীর তীরে এপারে ওপারে অনেক গাছ ছিল।

8. তখন তিনি আমাকে বললেন, এই পানি পূর্ব দিক্‌স্থ অঞ্চলে বইছে, অরাবা সমভূমিতে নেমে যাবে এবং সমুদ্রের দিকে যাবে; যে পানি বের করা হয়েছে তা সমুদ্রে যাবে ও এর পানি উত্তম হবে।

9. আর এই স্রোতের পানি যে কোন স্থানে বইবে সে স্থানের অসংখ্য জীবজন্তু বাঁচবে; আর যার-পর-নাই প্রচুর মাছ হবে; কেননা এই পানি সেখানে গেছে বলে সেখানকার পানি উত্তম হবে; এবং এই স্রোত যে কোন স্থান দিয়ে বইবে, সেই স্থানের সকলই সঞ্জীবিত হবে।

10. আর তার তীরে জেলেরা দাঁড়াবে, ঐন্‌গদী থেকে ঐন্‌-ইগ্লয়িম পর্যন্ত জাল মেলে রাখাবার স্থান হবে; মহাসমুদ্রের মাছের মত বিভিন্ন জাতের মাছ জন্মে যার-পর-নাই প্রচুর হবে।

11. কিন্তু তার বিল ও জলাভূমির প্রতিকার হবে না; তা লবণের জন্য নিরূপিত।

12. আর নদীর ধারে এপারে ওপারে সব রকমের খাবার ফলের গাছ হবে, তার পাতা শুকিয়ে যাবে না ও ফল শেষ হবে না; প্রতিমাসে তার ফল পাকবে, কেননা তার সেচনের পানি পবিত্র স্থান থেকে বের হবে; আর তার ফল খাবারের জন্য ও পাতা সুস্থতার জন্য ব্যবহৃত হবে।

ইসরাইল দেশের নতুন সীমানা

13. সার্বভৌম মাবুদ এই কথা বলেন, তোমরা ইসরাইলের বারো বংশকে যে দেশ অধিকার জন্য দেবে, তার সীমা এই; ইউসুফের দুই অংশ হবে।

14. আর তোমরা সকলে সমান অংশ অধিকার বলে তা পাবে, কারণ আমি তোমাদের পূর্বপুরুষদেরকে এই দেশ দেব বলে শপথ করেছিলাম; এই দেশ অধিকার হিসেবে তোমাদের হবে।

15. আর দেশের সীমা এই; উত্তর দিকে মহাসমুদ্র থেকে সদাদের প্রবেশস্থান পর্যন্ত হিৎলোনের পথ;

16. হমাৎ, বরোথা, সিব্রয়িম, যা দামেস্কের সীমার ও হমাতের সীমার মধ্যস্থিত; হৌরণের সীমার নিকটস্থ হৎসর-হত্তীকোন।

17. আর সমুদ্র থেকে সীমা দামেস্কের সীমাস্থ হৎসোর-ঐনন পর্যন্ত যাবে, আর উত্তর দিকে হমাতের সীমা; এটা উত্তরপ্রান্ত।

18. আর পূর্বপ্রান্ত হৌরণ, দামেস্ক ও গিলিয়দের এবং ইসরাইল-দেশের মধ্যবর্তী জর্ডান; তোমরা উত্তর সীমা থেকে পূর্ব সমুদ্র পর্যন্ত মাপবে; এটা পূর্বপ্রান্ত।

19. আর দক্ষিণপ্রান্ত দক্ষিণে তামর থেকে কাদেশস্থ মরীবৎ জলাশয় মিসরের স্রোতোমার্গ ও মহাসমুদ্র পর্যন্ত; দক্ষিণ দিকের এটা দক্ষিণপ্রান্ত।

20. আর পশ্চিমপ্রান্ত মহাসমুদ্র; দক্ষিণ সীমা থেকে হমাতের প্রবেশস্থানের সম্মুখ পর্যন্ত এটা পশ্চিমপ্রান্ত।

21. এভাবে তোমরা ইসরাইলের বংশানুক্রমে নিজেদের মধ্যে এই দেশ বিভাগ করবে।

22. তোমরা নিজেদের জন্য এবং যে বিদেশী লোকেরা তোমাদের মধ্যে প্রবাস করে তোমাদের মধ্যে সন্তান উৎপন্ন করে, তাদের জন্য তা অধিকার করার জন্য গুলিবাঁট দ্বারা বিভাগ করবে; এবং এরা বনি-ইসরাইলদের মধ্যে স্বজাতীয় লোকদের মত গণিত হবে, তোমাদের সঙ্গে ইসরাইল-বংশগুলোর মধ্যে অধিকার পাবে।

23. তোমাদের যে বংশের মধ্যে যে বিদেশী লোক প্রবাস করবে, তার মধ্যে তোমরা তাকে অধিকার দেবে, এই কথা সার্বভৌম মাবুদ বলেন।