অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16
  17. 17
  18. 18
  19. 19
  20. 20
  21. 21
  22. 22
  23. 23
  24. 24
  25. 25
  26. 26
  27. 27
  28. 28
  29. 29
  30. 30
  31. 31
  32. 32
  33. 33
  34. 34
  35. 35
  36. 36
  37. 37
  38. 38
  39. 39
  40. 40
  41. 41
  42. 42
  43. 43
  44. 44
  45. 45
  46. 46
  47. 47
  48. 48

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

ইহিস্কেল 1 কিতাবুল মোকাদ্দস (BACIB)

হযরত ইহিস্কেলের দর্শন

1. ত্রিশ বছরের চতুর্থ মাসের পঞ্চম দিনে, যখন আমি কবার নদীতীরে নির্বাসিত লোকদের মধ্যে ছিলাম তখন বেহেশত খুলে গেল, আর আমি আল্লাহ্‌র দর্শন লাভ করলাম।

2. বাদশাহ্‌ যিহোয়াখীনের নির্বাসনের পঞ্চম বছরের ঐ মাসের পঞ্চম দিনে,

3. কল্‌দীয়দের দেশে কবার নদীতীরে বুষির পুত্র ইহিস্কেল ইমামের কাছে মাবুদের কালাম নাজেল হল এবং সেই স্থানে মাবুদ তাঁর উপরে হস্তার্পণ করলেন।

4. আমি দৃষ্টিপাত করলাম, আর দেখ, উত্তর দিক থেকে ঘূর্ণিবাতাস, বিরাট মেঘ ও তার মধ্যে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে এবং তার চারদিকে তেজ ও তার মধ্যস্থানে আগুনের মধ্যবর্তী জ্বলন্ত ধাতুর মত ঝক্‌মক করছিল।

5. আর তার মধ্য থেকে চারটি প্রাণীর মূর্তি প্রকাশ পেল। তাদের আকৃতি এই; তাদের রূপ মানুষের মত।

6. আর প্রত্যেকের চারটি মুখ ও চারটি পাখা।

7. তাদের পা সোজা, পায়ের তলা বাছুরের পায়ের তলার মত এবং তারা পরিষ্কার করা ব্রোঞ্জের উজ্জ্বলতার মত উজ্জ্বল।

8. তাদের চার পাশে পাখার নিচে মানুষের হাত ছিল; চারটি প্রাণীরই এরকম মুখ ও পাখা ছিল;

9. তাদের পাখা পরস্পর সংযুক্ত; গমন কালে তারা ফিরতো না, প্রত্যেকে সম্মুখদিকে গমন করতো।

10. তাদের মুখের আকৃতি এই; তাদের মানুষের মুখ ছিল, আর ডানদিকে চারটি সিংহের মুখ এবং বামদিকে চারটি গরুর মুখ, আবার প্রত্যেকেরই ঈগল পাখির মুখ ছিল।

11. উপরিভাগে তাদের মুখ ও পাখা বিছিন্ন্ন ছিল, এক একটির দু’টি পাখা পরস্পর সংযুক্ত ছিল এবং আর দু’টি পাখা দ্বারা শরীর আচ্ছাদিত ছিল।

12. আর তারা প্রত্যেকে সামনের দিকে গমন করতো; যে দিকে যেতে রূহের ইচ্ছা হত, তারা সেই দিকে গমন করতো; গমনকালে ফিরতো না।

13. এই আকৃতিবিশিষ্ট প্রাণীদের আভা জ্বলন্ত অঙ্গার ও মশালের আভার মত; সেই আগুন ঐ প্রাণীদের মধ্যে গমনাগমন করতো, সেই আগুন তেজোময় ও সেই আগুন থেকে বিদ্যুৎ বের হত।

14. আর ঐ প্রাণীদের দ্রুত যাতায়াত বিদ্যুতের ঝলকের আভার মত।

15. আমি যখন ঐ প্রাণীদেরকে অবলোকন করলাম, দেখলাম, ভূতলে ঐ প্রাণীদের পাশে চার মুখের এক একটির জন্য এক একটি চাকা ছিল।

16. চারটি চাকার আভা ও কাঠামো বৈদূর্যমণির মত উজ্জ্বল; চারটির রূপ একই এবং তাদের আভা ও রচনা চাকার মধ্যেকার চাকার মত ছিল।

17. গমনকালে ঐ চারটি চাকা চারপাশে গমন করতো, গমনকালে ফিরতো না।

18. তাদের নেমি উঁচু ও ভয়ঙ্কর এবং সেই চারটি নেমির চারদিক চোখে পরিপূর্ণ ছিল।

19. আর প্রাণীদের গমনকালে তাদের পাশে ঐ চাকাগুলোও গমন করতো; এবং প্রাণীদের ভূতল থেকে উপরে উঠবার সময়ে চাকাগুলোও উপরে উঠত।

20. যে কোন স্থানে রূহের ইচ্ছা হত, সেই স্থানে তারা যেত; সেই দিকেই রূহের যাবার ইচ্ছা হত; আর তাদের পাশে পাশে চাকাগুলোও উঠতো, কেননা সেই প্রাণীর রূহ্‌ ঐ চাকাগুলোর মধ্যে ছিল।

21. ওরা যখন চলতো, এরাও তখন চলতো; এবং ওরা যখন থামত, এরাও তখন থামত; আর ওরা যখন ভূতল থেকে উপরে উঠতো, চাকাগুলোও তখন পাশা পাশি উপরে উঠতো, কেননা সেই প্রাণীর রূহ্‌ ঐ সমস্ত চাকার মধ্যে ছিল।

22. আর সেই প্রাণীর মাথার উপরে এক শূন্যস্থানের আকৃতি ছিল, তা ভয়ঙ্কর স্ফটিকের আভার মত তাদের মাথার উপরে বিছানো ছিল।

23. সেই শূন্যস্থানের নিচে তাদের পাখা সকল পরস্পরের দিকে সোজাভাবে মেলে দেওয়া ছিল, প্রত্যেক প্রাণীর এই দিকে দুই, ওই দিকে দুই পাখা ছিল, সেগুলো তাদের শরীর আচ্ছাদন করেছিল।

24. আর তাদের গমনকালে আমি তাদের পাখাগুলোর ধ্বনিও শুনলাম, তা মহাজলরাশির কল্লোলের মত, সর্বশক্তিমানের রবের মত, সৈন্যসামন্তের ধ্বনির মত তুমুল ধ্বনি। দণ্ডায়মান হবার সময় তারা নিজ নিজ পাখা শিথিল করতো।

25. তাদের মাথার উপরিস্থ শূন্যস্থানের উপরে একটি শব্দ হচ্ছিল; দণ্ডায়মান হবার সময়ে তারা নিজ নিজ পাখা শিথিল করতো।

26. আর তাদের মাথার উপরিস্থ শূন্যস্থানের উপরে একটি সিংহাসনের, নীলকান্তমণির মত আভাবিশিষ্ট একটি সিংহাসনের মূর্তি ছিল; সেই সিংহাসন-মূর্তির উপরে মানুষের আকৃতির মত একটি মূর্তি ছিল, তা তার উপরে ছিল।

27. তাঁর কোমরের আকৃতি থেকে উপরের দিকে আমি জ্বলন্ত ধাতুর মত আভা দেখলাম; আগুনের আভা যেন তার মধ্যে চারদিকে ছিল; এবং তাঁর কোমরের আকৃতি থেকে নিচের দিকে আগুনের মত আভা দেখলাম এবং তাঁর চারদিকে তেজ ছিল।

28. বৃষ্টির দিনে মেঘে উৎপন্ন ধনুকের যেমন আভা, তাঁর চারদিকের তেজের আভা সেরকম ছিল। এ মাবুদের মহিমার মূর্তির আভা। আমি তা দেখামাত্র উবুড় হয়ে পড়লাম এবং কথা বলছে এমন এক জন ব্যক্তির কণ্ঠস্বর শুনতে পেলাম।