অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16
  17. 17
  18. 18
  19. 19
  20. 20
  21. 21
  22. 22
  23. 23
  24. 24
  25. 25
  26. 26
  27. 27
  28. 28
  29. 29
  30. 30
  31. 31
  32. 32
  33. 33
  34. 34
  35. 35
  36. 36
  37. 37
  38. 38
  39. 39
  40. 40
  41. 41
  42. 42
  43. 43
  44. 44
  45. 45
  46. 46
  47. 47
  48. 48

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

ইহিস্কেল 33 কিতাবুল মোকাদ্দস (BACIB)

প্রহরী হযরত ইহিস্কেল

1. আর মাবুদের এই কালাম আমার কাছে নাজেল হল,

2. হে মানুষের সন্তান, তুমি তোমার জাতির লোকদের সঙ্গে আলাপ কর, তাদের বল, আমি কোন দেশের বিরুদ্ধে তলোয়ার ব্যবহার করলে, যদি সেই দেশের লোকেরা নিজেদের মধ্য থেকে কোন ব্যক্তিকে নিয়ে নিজেদের প্রহরী নিযুক্ত করে;

3. সে তলোয়ারকে দেশের বিরুদ্ধে আসতে দেখলে যদি তূরী বাজিয়ে লোকদের সচেতন করে,

4. তবে কোন ব্যক্তি যদি তূরীর আওয়াজ শুনেও সচেতন না হয়, যদি তলোয়ার উপস্থিত হয় ও তাকে সংহার করে, তার রক্ত তারই মাথায় বর্তাবে।

5. সে তূরীর আওয়াজ শুনেও সচেতন হয় নি; তার রক্ত তারই উপরে বর্তাবে; যদি সচেতন হত, তবে প্রাণ বাঁচাতে পারত।

6. কিন্তু সেই প্রহরী তলোয়ার আসতে দেখলে যদি তূরী না বাজায় এবং লোকদের সচেতন করা না হয়, আর যদি তলোয়ার উপস্থিত হয় ও তাদের মধ্যে কোন প্রাণীকে সংহার করে, তবে তার অপরাধের দরুনই তাকে সংহার করা হবে, কিন্তু আমি সেই প্রহরীর হাত থেকে তার রক্তের পরিশোধ নেব।

7. হে মানুষের সন্তান, আমি তোমাকেই ইসরাইল-কুলের প্রহরী নিযুক্ত করলাম; অতএব তুমি আমার মুখে কালাম শোন ও আমার নামে তাদেরকে সচেতন কর।

8. আমি যখন দুষ্ট লোককে বলি, হে দুষ্ট, তোমাকে অবশ্যই মরতে হবে, তখন তুমি তার পথের বিষয়ে সেই দুষ্ট লোককে সচেতন করার জন্য যদি কিছু না বল, তবে সেই দুষ্ট নিজের অপরাধের জন্য মারা যাবে; কিন্তু আমি তোমার হাত থেকে তার রক্তের পরিশোধ নেব।

9. কিন্তু তুমি সেই দুষ্টকে তার পথ থেকে ফিরাবার জন্য তার পথের বিষয়ে সচেতন করলে যদি সে তার পথ থেকে না ফেরে, তবে সে নিজের অপরাধের কারণেই মারা যাবে, কিন্তু তুমি তোমার প্রাণ রক্ষা করলে।

আল্লাহ্‌র বিচার ও করুণা

10. আর, হে মানুষের সন্তান, তুমি ইসরাইল-কুলকে বল, তোমরা এরকম বলে থাক, আমাদের অধর্ম ও গুনাহ্‌র ভার আমাদের উপরে আছে এবং তাতেই আমরা ক্ষয় পাচ্ছি, তবে কেমন করে বাঁচবো?

11. তুমি তাদের বল, সার্বভৌম মাবুদ বলেন, আমার জীবনের কসম, দুষ্ট লোকের মরণে আমার সন্তোষ নেই; বরং দুষ্ট লোক যে তার পথ থেকে ফিরে বাঁচে, তাতেই আমার সন্তোষ। তোমরা ফির, নিজ নিজ কুপথ থেকে ফির; কারণ, হে ইসরাইল-কুল, তোমরা কেন মরবে?

12. আর হে মানুষের সন্তান, তুমি তোমার জাতির সন্তানদেরকে বল, ধার্মিকের ধার্মিকতা তার অধর্মের দিনে তাকে রক্ষা করবে না; আবার দুষ্টের যে নাফরমানী, তাতে সে তার নাফরমানী থেকে ফিরবার দিনে হোঁচট খাবে না; এবং ধার্মিক লোক গুনাহ্‌ করার দিনে ধার্মিকতা দ্বারা বাঁচবে না।

13. যখন আমি ধার্মিকের উদ্দেশে বলি, সে অবশ্য বাঁচবে, তখন যদি সে তার ধার্মিকতায় নির্ভর করে অন্যায় করে, তবে তার সমস্ত ধর্মকর্ম আর স্মরণ করা হবে না; সে যে অন্যায় করেছে, তাতেই মরবে।

14. আর, যখন আমি দুষ্টকে বলি, তুমি মরবেই মরবে, তখন যদি সে তার গুনাহ্‌ থেকে ফিরে ন্যায় ও সঠিক কাজ করে— সেই দুষ্ট যদি বন্ধক ফিরিয়ে দেয়,

15. অপহৃত দ্রব্য পরিশোধ করে এবং অন্যায় না করে জীবনদায়ক বিধিপথে চলে— তবে অবশ্য বাঁচবে, সে মরবে না।

16. তার কৃত সমস্ত গুনাহ্‌ আর তার বলে স্মরণ করা হবে না; সে ন্যায় ও সঠিক কাজ করেছে, অবশ্য বাঁচবে।

17. তবুও তোমার জাতির লোকেরা বলছে, প্রভুর পথ সরল নয়; কিন্তু আসলে তাদেরই পথ অসরল।

18. ধার্মিক লোক যখন তার ধার্মিকতা থেকে ফিরে অন্যায় করে, তখন সে তাতেই মরবে।

19. আর দুষ্ট লোক যখন তার নাফরমানী থেকে ফিরে ন্যায় ও সঠিক কাজ করে, তখন সে সেকারণেই বাঁচবে।

20. তবুও তোমরা বলেছো, প্রভুর পথ সরল নয়। হে ইসরাইল-কুল, আমি তোমাদের প্রত্যেকের পথ অনুসারে তোমাদের বিচার করবো।

জেরুশালেমের পতন

21. আর আমাদের নির্বাসনের বারো বছরের দশম মাসের পঞ্চম দিনে জেরুশালেম থেকে এক জন পলাতক আমার কাছে এসে বললো, নগরের পতন হয়েছে।

22. আর সেই পলাতকের আসার আগে সন্ধ্যাবেলা মাবুদ আমার উপরে হস্তার্পণ করেছিলেন এবং খুব ভোরে সেই পলাতকের উপস্থিত হবার অপেক্ষায় তিনি আমার মুখ খুলে দিলেন, তখন আমার মুখ খুলে গেল, আমি আর বোবা রইলাম না।

23. পরে মাবুদের এই কালাম আমার কাছে নাজেল হল,

24. হে মানুষের সন্তান, ইসরাইল-দেশে যারা সেসব উৎসন্ন স্থানে বাস করে, তারা বলছে, ইব্রাহিম মাত্র এক জন লোক ছিলেন, আর দেশের অধিকার পেয়েছিলেন; কিন্তু আমরা অনেক লোক, আমাদেরকেই দেশ অধিকার হিসেবে দেওয়া হয়েছে।

25. অতএব তুমি তাদেরকে বল, সার্বভৌম মাবুদ এই কথা বলেন, তোমরা রক্তসুদ্ধ গোশ্‌ত ভোজন করে থাক, নিজ নিজ মূর্তিগুলোর প্রতি চোখ তুলে রক্তপাত করে থাক; তোমরা কি দেশের অধিকারী হবে?

26. তোমরা তোমাদের তলোয়ারের শক্তিতে নির্ভর করে থাক, ঘৃণার কাজ করে থাক ও প্রত্যেকে নিজ নিজ প্রতিবেশীর স্ত্রীকে নাপাক করে থাক; তোমরা কি দেশের অধিকারী হবে?

27. তুমি তাদেরকে এই কথা বলবে, সার্বভৌম মাবুদ এই কথা বলেন, আমার জীবনের কসম, যারা সেসব উৎসন্ন স্থানে আছে, তারা তলোয়ারের আঘাতে মারা যাবে; এবং যে কেউ মাঠে আছে, তাকে আমি খাবার হিসেবে পশুদের কাছে তুলে দিলাম; এবং যারা দুর্গে বা গুহাতে থাকে, তারা মহামারীতে মারা যাবে।

28. আর আমি দেশকে ধ্বংস ও বিস্ময়ের স্থান করবো, তার পরাক্রমের গর্ব নিবৃত্ত হবে এবং ইসরাইলের পর্বতমালা ধ্বংস হবে, কেউ তা দিয়ে চলাচল করবে না।

29. তখন তারা জানবে যে, আমিই মাবুদ, যখন আমি তাদের কৃত সমস্ত ঘৃণার কাজের জন্য দেশকে ধ্বংস ও বিস্ময়ের স্থান করবো।

30. আর হে মানুষের সন্তান, তোমার জাতির লোকেরা দেয়ালের কাছে ও বাড়িগুলোর প্রবেশ পথে তোমার বিষয়ে কথাবার্তা বলে ও প্রত্যেকে নিজ নিজ প্রতিবেশীকে ও ভাইকে বলে, চল, আমরা গিয়ে শুনি, মাবুদের কাছ থেকে যে কালাম বের হয়, তা কি।

31. আর লোকেরা যেমন আসে, তেমনি তারা তোমার কাছে আসে, আমার লোক বলে তোমার সম্মুখে বসে ও তোমার কথাগুলো শোনে, কিন্তু তা পালন করে না; কেননা মুখে তারা বিলক্ষণ মহব্বত দেখায়, কিন্তু তাদের অন্তর তাদের লাভের দিকে যায়।

32. আর দেখ, তাদের কাছে তুমি মধুর স্বরবিশিষ্ট নিপুণ বাদ্যকরের সুচারু কাওয়ালীস্বরূপ; তারা তোমার কথা শোনে, কিন্তু পালন করে না।

33. যখন এসব ঘটবে, আর দেখ তা নিশ্চয়ই ঘটবে, তখন তারা জানবে যে, তাদের মধ্যে এক জন নবী রয়েছে।