অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16
  17. 17
  18. 18
  19. 19
  20. 20
  21. 21
  22. 22
  23. 23
  24. 24
  25. 25
  26. 26
  27. 27
  28. 28
  29. 29
  30. 30
  31. 31
  32. 32
  33. 33
  34. 34
  35. 35
  36. 36
  37. 37
  38. 38
  39. 39
  40. 40
  41. 41
  42. 42
  43. 43
  44. 44
  45. 45
  46. 46
  47. 47
  48. 48

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

ইহিস্কেল 44 কিতাবুল মোকাদ্দস (BACIB)

1. পরে তিনি পবিত্র স্থানের পূর্বমুখী বহির্দ্বারের দিকে আমাকে ফিরিয়ে আনলেন; তখন সেই দ্বার রুদ্ধ ছিল।

2. পরে মাবুদ আমাকে বললেন, এই দ্বার রুদ্ধ থাকবে, খোলা যাবে না; এবং এটি দিয়ে কেউ প্রবেশ করবে না; কেননা ইসরাইলের আল্লাহ্‌ মাবুদ এটি দিয়ে প্রবেশ করেছেন, সেজন্য এটি রুদ্ধ থাকবে।

3. শাসনকর্তা বলে কেবল শাসনকর্তাই মাবুদের সম্মুখে আহার করার জন্য এর মধ্যে বসবেন; তিনি এই দ্বারের বারান্দার পথ দিয়ে ভিতরে আসবেন ও সেই পথ দিয়ে বাইরে যাবেন।

নতুন এবাদতখানা সংক্রান্ত নিয়মাবলি

4. পরে তিনি উত্তরদ্বারের পথে আমাকে এবাদতখানার সম্মুখে আনলেন; তাতে আমি দৃষ্টিপাত করলাম, আর দেখ, মাবুদের বায়তুল-মোকাদ্দস মাবুদের প্রতাপে পরিপূর্ণ হল; তখন আমি উবুড় হয়ে পড়লাম।

5. মাবুদ আমাকে বললেন, হে মানুষের সন্তান, মাবুদের বায়তুল-মোকাদ্দসের সমস্ত বিধি ও সমস্ত অনুশাসনগুলোর বিষয়ে যা যা আমি তোমাকে বলবো, তুমি তাতে মনোযোগ দাও, স্বচক্ষে তা নিরীক্ষণ কর ও স্বকর্ণে শোন এবং এই এবাদতখানায় প্রবেশ করার ও পবিত্র স্থান থেকে বাইরে যাবার সমস্ত অনুশাসনের বিষয়ে মনোযোগ কর।

6. আর সেই বিদ্রোহী দলকে, ইসরাইল-কুলকে বল, সার্বভৌম মাবুদ এই কথা বলেন, হে ইসরাইল-কুল, তোমাদের সকল জঘন্য কাজ যথেষ্ট হয়েছে।

7. বস্তুত তোমরা খৎনা-না-করানো অন্তর ও খৎনা-না-করানো মাংসবিশিষ্ট বিজাতীয় লোকদেরকে আমার পবিত্র স্থানে থাকতে ও আমার সেই এবাদতখানা নাপাক করতে ভিতরে আনয়ন করেছ, তোমরা আমার উদ্দেশে খাবার, চর্বি ও রক্ত কোরবানী করেছ, আর তোমরা আমার নিয়ম ভঙ্গ করেছ, তোমাদের সকল জঘন্য কাজ ছাড়াও তা করেছ।

8. আর তোমরা আমার পবিত্র বিষয়গুলোর রক্ষণীয় রক্ষা কর নি; কিন্তু নিজেদের ইচ্ছামতে আমার পবিত্র স্থানের রক্ষণীয়ের রক্ষক নিযুক্ত করেছ।

9. সার্বভৌম মাবুদ এই কথা বলেন, বনি-ইসরাইলদের মধ্যে যেসব বিজাতীয় লোক আছে, তাদের মধ্যে খৎনা-না-করানো অন্তর ও খৎনা-না-করানো মাংসবিশিষ্ট কোন বিজাতীয় লোক আমার পবিত্র স্থানে প্রবেশ করবে না।

10. কিন্তু ইসরাইল যখন বিপথে গিয়েছিল, তাদের মূর্তিগুলোর পিছনে চলার জন্য আমাকে ছেড়ে বিপথে গিয়েছিল, তখন যে লেবীয়রা আমার কাছ থেকে দূরে গিয়েছিল, তারা নিজ নিজ গুনাহ্‌ বহন করবে।

11. তবুও তারা আমার পবিত্র স্থানের পরিচারক হবে, এবাদতখানার সকল দ্বারে পরিদর্শক ও এবাদতখানার পরিচারক হবে; তারা লোকদের জন্য পোড়ানো-কোরবানী ও অন্য কোরবানী করবে এবং তাদের পরিচর্যা করতে তাদের সম্মুখে দণ্ডায়মান হবে।

12. তাদের মূর্তিগুলোর সাক্ষাতে তারা লোকদের পরিচর্যা করতো এবং ইসরাইল-কুলের অপরাধজনক বিঘ্ন স্বরূপ হত; সেজন্য আমি তাদের বিরুদ্ধে আমার হাত তুললাম, এই কথা সার্বভৌম মাবুদ বলেন; তারা নিজ নিজ গুনাহ্‌ বহন করবে।

13. আমার উদ্দেশে ইমামের কাজ করতে তারা আমার কাছে আসবে না; এবং আমার পবিত্র দ্রব্যগুলোর, বিশেষত আমার অতি পবিত্র দ্রব্যগুলোর কাছে আসবে না, কিন্তু নিজেদের অপমান ও নিজেদের কৃত জঘন্য কাজের ভার বহন করবে।

14. তবুও আমি তাদেরকে এবাদতখানার সমস্ত সেবাকর্মে ও তন্মধ্যে কর্তব্য সমস্ত কাজে এবাদতখানার রক্ষণীয়ের রক্ষক করবো।

লেবীয় ইমামদের পরিচর্যা

15. কিন্তু বনি-ইসরাইল যখন আমাকে ছেড়ে বিপথে গিয়েছিল, তখন সাদোকের সন্তান যে লেবীয় ইমামেরা আমার পবিত্র স্থানের রক্ষণীয় দ্রব্য রক্ষা করতো, তারাই আমার পরিচর্যা করার জন্য আমার কাছে আসবে এবং আমার উদ্দেশে চর্বি ও রক্ত কোরবানী করার জন্য আমার সম্মুখে দণ্ডায়মান হবে, এই কথা সার্বভৌম মাবুদ বলেন।

16. তারাই আমার পবিত্র স্থানে প্রবেশ করবে এবং তারাই আমার পরিচর্যা করার জন্য আমার টেবিলের কাছে আসবে ও আমার রক্ষণীয় রক্ষা করবে।

17. ভিতরের প্রাঙ্গণের দ্বারে প্রবেশ করার সময়ে তারা মসীনার পোশাক পরবে; ভিতরের প্রাঙ্গণের সকল দ্বারে ও গৃহের মধ্যে পরিচর্যা করার সময় তাদের শরীরে ভেড়ার লোমের কাপড় উঠবে না।

18. তাদের মস্তকে মসীনার পাগড়ী ও কটীদেশে মসীনার জাঙ্গিয়া থাকবে; ঘাম হয় এমন কিছুই তারা পরবে না।

19. আর যখন তারা বাইরের প্রাঙ্গণে, অর্থাৎ লোকদের কাছে বাইরের প্রাঙ্গণে বের হবে, তখন নিজেদের পরিচর্যার পোশাকগুলো ত্যাগ করে পবিত্র কুঠরীতে রেখে দেবে এবং অন্য কাপড় পরবে; নিজেদের ঐ পোশাক দিয়ে লোকদেরকে পবিত্র করবে না।

20. তারা মাথা মুণ্ডন করবে না ও চুল লম্বা হতে দেবে না, কেবল মাথার চুল ছোট করে কাটবে।

21. আর অন্তঃপ্রাঙ্গণে প্রবেশ করার সময়ে ইমামদের মধ্যে কেউই আঙ্গুর-রস পান করবে না।

22. তারা বিধবাকে কিংবা পরিত্যক্তা স্ত্রীকে বিয়ে করবে না, কিন্তু ইসরাইল-কুলজাত কুমারী কন্যাকে, কিংবা ইমামের বিধবাকে বিয়ে করবে।

23. আর তারা আমার লোকদেরকে পবিত্র ও সাধারণ বস্তুর প্রভেদ শিক্ষা দেবে এবং পাক ও নাপাকের প্রভেদ জানাবে।

24. আর ঝগড়া হলে তারা বিচারের জন্য উপস্থিত হবে; আমার সকল শাসনানুসারে বিচার নিষ্পন্ন করবে; এবং আমার সমস্ত ঈদে আমার শরীয়ত ও আমার বিধিগুলো পালন করবে এবং আমার বিশ্রামবারগুলো পবিত্র করবে।

25. তারা কোন মৃত লোকের লাশের কাছে গিয়ে নিজেদের নাপাক করবে না, কেবল পিতা বা মাতা, পুত্র বা কন্যা, ভাই বা অনূঢ়া বোনের জন্য তারা নাপাক হতে পারবে।

26. ইমাম পাক-পবিত্র হলে পর তাকে সাত দিন অপেক্ষা করতে হবে।

27. পরে যেদিন সে বায়তুল-মোকাদ্দসের মধ্যে পরিচর্যা করার জন্য পবিত্র স্থানে অর্থাৎ অন্তঃপ্রাঙ্গণে প্রবেশ করবে, সেদিন নিজের জন্য গুনাহ্‌-কোরবানী করবে, এই কথা সার্বভৌম মাবুদ বলেন।

28. আর তাদের একটি অধিকার হবে, আমিই তাদের অধিকার; তোমরা ইসরাইলের মধ্যে তাদেরকে কোন অধিকার দেবে না, আমিই তাদের অধিকার।

29. শস্য-উৎসর্গ, গুনাহ্‌-কোরবানী ও দোষ-কোরবানী তাদের খাদ্য হবে এবং ইসরাইলের মধ্যে সমস্ত বর্জিত দ্রব্য তাদের হবে।

30. আর সমস্ত প্রথমে পাকা শস্যাদির মধ্যে প্রত্যেকের অগ্রিমাংশ এবং তোমাদের সমস্ত উপহারের মধ্যে প্রত্যেক উপহারের সকলই ইমামদের হবে; এবং তোমরা নিজ নিজ ছানা ময়দার অগ্রিমাংশ ইমামকে দেবে, তা করলে নিজ নিজ বাড়িতে দোয়া অবস্থিতি করাবে।

31. পাখি হোক বা পশু হোক, স্বয়ং মৃত কিংবা বিদীর্ণ কিছুই ইমামদের খাদ্য হবে না।