অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16
  17. 17
  18. 18
  19. 19
  20. 20
  21. 21
  22. 22
  23. 23
  24. 24
  25. 25
  26. 26
  27. 27
  28. 28
  29. 29
  30. 30
  31. 31

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

১ শমূয়েল 21 পবিত্র বাইবেল (SBCL)

নোব গ্রামে দায়ূদ

1. এর পর দায়ূদ নোব গ্রামে পুরোহিত অহীমেলকের কাছে গেলেন। অহীমেলক তখন ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে বের হয়ে দায়ূদের সামনে আসলেন। তিনি দায়ূদকে জিজ্ঞাসা করলেন, “আপনি একা কেন? কেন আপনার সংগে আর কেউ নেই?”

2. উত্তরে দায়ূদ পুরোহিত অহীমেলককে বললেন, “রাজা আমাকে একটা কাজের ভার দিয়ে বলেছেন, তিনি যে কাজের হুকুম দিয়ে আমাকে পাঠিয়েছেন তার কিছুই যেন আর কেউ জানতে না পারে। সেইজন্য আমার লোকদের আমি একটা নির্দিষ্ট জায়গায় আমার জন্য অপেক্ষা করতে বলেছি।

3. আপনার কাছে কি আছে? পাঁচখানা রুটি আমাকে দিন, কিম্বা যা আছে তা-ই দিন।”

4. পুরোহিত উত্তরে দায়ূদকে বললেন, “আমার কাছে কোন সাধারণ রুটি নেই, তবে পবিত্র সম্মুখ-রুটি আছে। যদি আপনার লোকেরা কোন স্ত্রীলোকের কাছে না গিয়ে থাকে তবে তা খেতে পারবে।”

5. দায়ূদ বললেন, “আমাদের নিয়ম মত আমরা সত্যিই কোন স্ত্রীলোকের কাছে যাই নি। সৈন্যদের নিয়ে আমি যখন কোন সাধারণ কাজে বের হই তখনও আমার সৈন্যেরা শুচি থাকে। তবে আজ তারা কত না বেশী শুচি আছে।”

6. কাজেই পুরোহিত দায়ূদকে সেই পবিত্র রুটি দিলেন, কারণ সেই রুটি ছাড়া আর অন্য কোন রুটি তাঁর কাছে ছিল না। ঐ দিনই সেই রুটি সদাপ্রভুর সামনে থেকে সরিয়ে নিয়ে তার জায়গায় গরম রুটি রাখা হয়েছিল।

7. দোয়েগ নামে শৌলের একজন ইদোমীয় কর্মচারী সেই দিন সদাপ্রভুর উদ্দেশে কোন কাজে সেখানে আট্‌কে গিয়েছিল। সে ছিল শৌলের প্রধান রাখাল।

8. দায়ূদ অহীমেলককে জিজ্ঞাসা করলেন, “এখানে আপনার কাছে কোন বর্শা বা তলোয়ার নেই? রাজার কাজ জরুরী ছিল বলে আমি নিজের তলোয়ার বা অন্য কোন অস্ত্র সংগে আনতে পারি নি।”

9. পুরোহিত বললেন, “এলা উপত্যকায় আপনি যে পলেষ্টীয় গলিয়াত্‌কে মেরে ফেলেছিলেন তার তলোয়ারখানা এখানে আছে। ওটা এফোদের পিছনে কাপড়ে জড়িয়ে রাখা হয়েছে। ইচ্ছা করলে আপনি ওটা নিতে পারেন। ওটা ছাড়া আর কোন তলোয়ার এখানে নেই।”দায়ূদ বললেন, “ওটার মত তলোয়ার আর কোথায় আছে? ওটাই আমাকে দিন।”

গাৎ শহরে দায়ূদ

10. দায়ূদ সেই দিনই শৌলের কাছ থেকে পালিয়ে গিয়ে গাৎ শহরের রাজা আখীশের কাছে উপস্থিত হলেন;

11. কিন্তু আখীশের লোকেরা আখীশকে বলল, “ইনি কি তাঁর দেশের রাজা নন? এর সম্বন্ধেই কি লোকেরা নেচে নেচে গান গেয়ে বলে নি,‘শৌল মারলেন হাজার হাজারআর দায়ূদ মারলেন অযুত অযুত? ’ ”

12. এই কথা শুনে দায়ূদ চিন্তিত হলেন এবং গাতের রাজা আখীশকে খুব ভয় করতে লাগলেন।

13. সেইজন্যই যতদিন তিনি তাদের কাছে ছিলেন ততদিন তাদের সামনে পাগলের ভান করতে লাগলেন। যখন তারা তাঁকে ধরল তখন তিনি পাগলের মত দরজার উপর হাবিজাবি আঁকতে এবং নিজের দাড়ির উপর মুখের লালা ফেলতে লাগলেন।

14. তখন আখীশ তাঁর লোকদের বললেন, “তোমরা তো দেখতেই পাচ্ছ লোকটা পাগল, তবে কেন ওকে আমার কাছে এনেছ?

15. পাগলের কি আমার এতই অভাব হয়েছে যে, তোমরা আমার সামনে পাগলামী করবার জন্য এই লোকটাকে ধরে এনেছ? এই রকমের একটা লোককে আমার বাড়ীতে এনেছ কেন?”