অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

মার্ক 13 কিতাবুল মোকাদ্দস (BACIB)

জেরুশালেমের বিনাশ সম্বন্ধে ভবিষ্যদ্বাণী

1. পরে ঈসা বায়তুল-মোকাদ্দস থেকে বাইরে যাবার সময়ে তাঁর সাহাবীদের মধ্যে এক জন তাঁকে বললেন, হুজুর, দেখুন, কেমন পাথর ও কত বড় দালান!

2. ঈসা তাঁকে বললেন, তুমি কি এসব বড় বড় দালান দেখছো? এর একটি পাথর আর একটি পাথরের উপরে থাকবে না, সকলই ভূমিসাৎ হবে।

3. পরে তিনি জৈতুন পর্বতে বায়তুল-মোকাদ্দসের উল্টো দিকে বসলে পর পিতর, ইয়াকুব, ইউহোন্না ও আন্দ্রিয় বিরলে তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন,

4. আমাদেরকে বলুন দেখি, এসব ঘটনা কখন হবে? আর এই সমস্ত কিছু পূর্ণ হবার সময়ের চিহ্নই বা কি?

5. ঈসা তাঁদেরকে বলতে লাগলেন, দেখো কেউ যেন তোমাদেরকে না ভুলায়।

6. অনেকে আমার নাম ধরে আসবে, বলবে, আমিই সেই, আর অনেক লোককে ভুলাবে।

7. কিন্তু তোমরা যখন যুদ্ধের কথা ও যুদ্ধের জনরব শুনবে, তখন ব্যাকুল হয়ো না; এসব অবশ্যই ঘটবে, কিন্তু তখনও শেষ নয়।

8. কারণ জাতির বিপক্ষে জাতি ও রাজ্যের বিপক্ষে রাজ্য উঠবে। স্থানে স্থানে ভূমিকমপ হবে; দুর্ভিক্ষ হবে; এসব যাতনার আরম্ভ মাত্র।

নির্যাতনের বিষয়ে ভবিষ্যদ্বাণী

9. তোমরা নিজেদের বিষয়ে সাবধান থেকো। লোকে তোমাদেরকে বিচার-সভার লোকদের হাতে তুলে দেবে এবং মজলিস-খানায় তোমাদের বেত মারা হবে; আর আমার জন্য তোমরা শাসনকর্তা ও বাদশাহ্‌দের কাছে সাক্ষ্য দেবার জন্য তাদের সম্মুখে দাঁড়াবে।

10. আর প্রথমে সর্বজাতির কাছে সুসমাচার তবলিগ হওয়া আবশ্যক।

11. কিন্তু লোকে যখন তোমাদেরকে ধরিয়ে দেবার জন্য নিয়ে যাবে, তখন কি বলবে সেজন্য আগেই চিন্তিত হয়ো না; বরং সেই দণ্ডে যে কথা তোমাদেরকে দেওয়া যাবে, তা-ই বলো; কেননা তোমরাই যে কথা বলবে, তা নয়, কিন্তু পাক-রূহ্‌ই বলবেন।

12. তখন ভাই ভাইকে ও পিতা সন্তানকে মেরে ফেলবার জন্য ধরিয়ে দেবে এবং সন্তানেরা আপন আপন মাতা-পিতার বিপক্ষে উঠে তাদেরকে খুন করাবে।

13. আর আমার নামের জন্য তোমরা সকলের ঘৃণিত হবে; কিন্তু যে কেউ শেষ পর্যন্ত স্থির থাকবে, সেই নাজাত পাবে।

ধ্বংসের ঘৃণার বস্তু

14. কিন্তু যখন তোমরা দেখবে, ধ্বংসের সেই ঘৃণার বস্তু যেখানে দাঁড়াবার নয়, সেখানে দাঁড়িয়ে আছে— যে পাঠ করে, সে বুঝুক, —তখন যারা এহুদিয়াতে থাকে, তারা পাহাড়ী এলাকায় পালিয়ে যাক,

15. এবং যে কেউ ছাদের উপরে থাকে, সে বাড়ি থেকে জিনিসপত্র নেবার জন্য নিচে না নামুক ও তার মধ্যে প্রবেশ না করুক;

16. এবং যে কেউ ক্ষেতে থাকে, সে নিজের কাপড় নেবার জন্য পিছনে ফিরে না যাক।

17. হায়, সেই সময় গর্ভবতী এবং স্তন্যদাত্রী নারীদের অবস্থা কি ভীষণই না হবে!

18. আর মুনাজাত করো, যেন এই অবস্থা শীতকালে না হয়।

19. কেননা সেই সময় এরকম দুঃখ-কষ্ট উপস্থিত হবে, যেরকম দুঃখ-কষ্ট আল্লাহ্‌র কৃত সৃষ্টির প্রথম থেকে এই পর্যন্ত কখনও হয় নি, কখনও হবে না।

20. আর প্রভু যদি সেই দিনের সংখ্যা কমিয়ে না দিতেন, তবে কোন প্রাণীই রক্ষা পেত না; কিন্তু তিনি যাদেরকে মনোনীত করেছেন, সেই মনোনীতদের জন্য সেই দিনের সংখ্যা কমিয়ে দিলেন।

21. আর সেই সময়ে যদি কেউ তোমাদেরকে বলে, দেখ, সেই মসীহ্‌ এখানে, কিংবা দেখ, ওখানে, তোমরা বিশ্বাস করো না।

22. কেননা ভণ্ড মসীহ্‌রা ও ভণ্ড নবীরা উঠবে এবং নানা চিহ্ন-কাজ ও অদ্ভুত লক্ষণ দেখাবে, যেন, যদি হতে পারে, তবে মনোনীতদেরকেও ভুলায়।

23. কিন্তু তোমরা সাবধান থেকো। দেখ, আমি আগেই তোমাদেরকে সকলই জানালাম।

ইবনুল-ইনসানের ফিরে আসা

24. আর সেই সময়ে, সেই কষ্টের পরে, সূর্য অন্ধকার হবে, চন্দ্র জ্যোৎস্না দেবে না,

25. আসমান থেকে তারাগুলোর পতন হবে ও আসমানের পরাক্রমগুলো বিচলিত হবে।

26. আর তখন লোকেরা দেখবে, ইবনুল-ইনসান মহাপরাক্রম ও মহিমার সঙ্গে মেঘযোগে আসছেন।

27. তখন তিনি ফেরেশতাদেরকে প্রেরণ করে দুনিয়ার সীমা থেকে আসমানের সীমা পর্যন্ত চার দিক থেকে তাঁর মনোনীতদেরকে একত্র করবেন।

ডুমুর গাছ থেকে শিক্ষা লাভ

28. আর ডুমুরগাছ দেখে তা থেকে শিক্ষা লাভ কর; যখন তার ডাল কোমল হয়ে পাতা বের হয়, তখন তোমরা জানতে পার যে, গ্রীষ্মকাল সন্নিকট;

29. সেভাবে তোমরা ঐ সমস্ত ঘটনা দেখলেই জানতে পারবে যে, তিনি সন্নিকট, এমন কি, দ্বারে উপস্থিত।

30. আমি তোমাদেরকে সত্যি বলছি, যে পর্যন্ত এ সব পূর্ণ না হবে, সেই পর্যন্ত এই কালের লোকদের লোপ হবে না।

31. আসমানের ও দুনিয়ার লোপ হবে, কিন্তু আমার কথার লোপ কখনও হবে না।

জেগে থাকার ও মুনাজাত করার প্রয়োজনীয়তা

32. কিন্তু সেই দিনের বা সেই দণ্ডের তত্ত্ব কেউই জানে না; বেহেশতী ফেরেশতারাও জানেন না, পুত্রও জানেন না, কেবল পিতা জানেন।

33. সাবধান, তোমরা জেগে থেকো ও মুনাজাত করো; কেননা সেই সময় কবে হবে, তা জান না।

34. কোন ব্যক্তি যেন তার বাড়ি ছেড়ে বিদেশে গিয়ে প্রবাস করছেন; আর তিনি তার গোলামদেরকে ক্ষমতা দিয়েছেন, প্রত্যেকের কাজ নির্ধারণ করে দিয়েছেন এবং দারোয়ানকে জেগে থাকতে হুকুম করেছেন।

35. অতএব তোমরা জেগে থেকো, কেননা বাড়ির মালিক কখন আসবেন, কি সন্ধ্যাবেলা, কি দুপুর রাতে, কি মোরগ ডাকার সময়ে, কি ভোর বেলায়, তোমরা তা জান না;

36. তিনি হঠাৎ এসে তোমাদেরকে যেন না দেখেন, তোমরা ঘুমিয়ে রয়েছ।

37. আর আমি তোমাদেরকে যা বলছি, তা-ই সকলকে বলি, জেগে থাক।