অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16
  17. 17
  18. 18
  19. 19
  20. 20
  21. 21
  22. 22
  23. 23
  24. 24
  25. 25
  26. 26
  27. 27
  28. 28
  29. 29
  30. 30
  31. 31
  32. 32
  33. 33
  34. 34
  35. 35
  36. 36

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

২ খান্দাননামা 28 কিতাবুল মোকাদ্দস (BACIB)

এহুদার বাদশাহ্‌ আহস

1. আহস বিশ বছর বয়সে রাজত্ব করতে আরম্ভ করেন এবং জেরুশালেমে ষোল বছর কাল রাজত্ব করেন; তিনি তাঁর পূর্বপুরুষ দাউদের মত মাবুদের দৃষ্টিতে যা ন্যায্য তা করতেন না;

2. কিন্তু ইসরাইলের বাদশাহ্‌দের পথে চলতেন, আর বাল দেবতাদের উদ্দেশে ছাঁচে ঢালা মূর্তি তৈরি করালেন।

3. আর তিনি হিন্নোমের পুত্রের উপত্যকাতে ধূপ জ্বালাতেন এবং মাবুদ বনি-ইসরাইলের সম্মুখ থেকে যে জাতিদেরকে অধিকারচ্যুত করেছিলেন তাদের ঘৃণিত উপায়ে তিনি তাঁর সন্তানদেরকে আগুনে পুড়িয়ে উৎসর্গ করলেন।

4. আর তিনি নানা উচ্চস্থলীতে, নানা পাহাড়ের উপরে ও প্রত্যেক সবুজ গাছের তলে কোরবানী করতেন ও ধূপ জ্বালাতেন।

অরাম ও ইসরাইলের কাছে এহুদার পরাজয়

5. অতএব তাঁর আল্লাহ্‌ মাবুদ তাঁকে অরামের বাদশাহ্‌র হাতে তুলে দিলেন, তাতে অরামীয়েরা তাঁকে পরাজিত করলো এবং তাঁর অনেক লোককে বন্দী করে দামেস্কে নিয়ে গেল। আবার তাঁকে ইসরাইলের বাদশাহ্‌র হাতে তুলে দেওয়া হল, তিনিও মহাসংহারে তাঁকে পরাজিত করলেন।

6. কারণ রমলিয়ের পুত্র পেকহ এহুদায় এক লক্ষ বিশ হাজার শক্তিশালী লোককে এক দিনে হত্যা করলেন, যেহেতু তারা তাদের পূর্বপুরুষদের আল্লাহ্‌ মাবুদকে ত্যাগ করেছিল।

7. আর সিখ্রি নামে এক আফরাহীমীয় বিক্রমশালী লোক বাদশাহ্‌র পুত্র মাসেয়, বাড়ির নেতা অস্রীকাম ও বাদশাহ্‌র প্রধান আমত্য ইলকানাকে হত্যা করলো।

এহুদার বন্দীদের ফিরিয়ে দেওয়া

8. আর বনি-ইসরাইল তাদের ভাইদের স্ত্রী, পুত্র, কন্যাসহ দুই লক্ষ লোককে বন্দী করে নিয়ে গেল এবং তাদের অনেক দ্রব্যও লুট করলো, আর সেসব লুণ্ঠিত বস্তু সামেরিয়াতে নিয়ে গেল।

9. কিন্তু সেখানে ওদেদ নামে মাবুদের এক জন নবী ছিলেন; তিনি সামেরিয়াতে প্রত্যাগত সৈন্যসামন্তের সঙ্গে সাক্ষাত করতে বের হয়ে তাদের বললেন, দেখ, তোমাদের পূর্বপুরুষদের আল্লাহ্‌ মাবুদ এহুদার উপরে ক্রুদ্ধ হওয়াতে তোমাদের হাতে তাদের তুলে দিয়েছেন, আর তোমরা ভীষণ ক্রোধে তাদেরকে যেভাবে হত্যা করেছ সেই কথা বেহেশতে গিয়ে পৌঁছেছে।

10. আর এখন এহুদা ও জেরুশালেমের লোকদেরকে তোমাদের গোলাম-বাঁদী করে বশে রাখার মানস করছো; কিন্তু তোমাদের আল্লাহ্‌ মাবুদের বিরুদ্ধে তোমাদের নিজেদেরও কি দোষ নেই?

11. অতএব এখন আমার কথা শোন; তোমরা তোমাদের ভাইদের মধ্যে থেকে যাদেরকে বন্দী করে এনেছ, তাদেরকে পুনরায় পাঠিয়ে দাও; কেননা মাবুদের প্রচণ্ড ক্রোধ তোমাদের উপরে রয়েছে।

12. তখন আফরাহীম সন্তানদের মধ্যে কয়েক জন প্রধান লোক, অর্থাৎ যিহোহাননের পুত্র অসরিয়, মশিল্লেমোতের পুত্র বেরিখিয়, শল্লুমের পুত্র যিহিষ্কিয় ও হদলয়ের পুত্র অমাসা যুদ্ধযাত্রা থেকে প্রত্যাগত লোকদের বিপক্ষে অবস্থান নিলেন,

13. এবং তাদেরকে বললেন, তোমরা বন্দীদেরকে এই স্থানে এনো না; কেননা আমাদের গুনাহ্‌ ও দোষগুলোর উপরে, তোমরা মাবুদের কাছে আমাদেরকে আরও দোষগ্রস্ত করতে মানস করছো; আমাদের তো মহাদোষ হয়েছে ও ইসরাইলের উপরে মাবুদের প্রচণ্ড ক্রোধ রয়েছে।

14. তখন অস্ত্রধারী লোকেরা সেই বন্দীদের ও লুণ্ঠিত সমস্ত বস্তু কর্মকর্তাদের ও সমস্ত সমাজের সম্মুখে রাখল।

15. পরে উপরোক্ত নাম বিশিষ্ট পুরুষেরা উঠে বন্দীদেরকে নিয়ে লুটের জিনিস দিয়ে তাদের মধ্যে যারা উলঙ্গ ছিল তাদের সকলকে কাপড় পরালেন, তাদের শরীরে কাপড় ও পায়ে জুতা দিলেন, তাদেরকে ভোজন পান করালেন, তাদের শরীরে তেল মাখালেন এবং দুর্বলদেরকে গাধার পিঠে চড়িয়ে খর্জুরপুর জেরিকোতে তাদের ভাইদের কাছে তাদেরকে নিয়ে গেলেন; পরে তারা নিজেরা সামেরিয়াতে ফিরে গেলেন।

এহুদাকে সাহায্য করতে আসেরিয়ার বাদশাহ্‌র অস্বীকার

16. ঐ সময়ে বাদশাহ্‌ আহস সাহায্য প্রার্থনা করতে আসেরিয়া বাদশাহ্‌দের কাছে লোক পাঠালেন।

17. কারণ ইদোমীয়েরা পুনর্বার এসে এহুদাকে আক্রমণ করে অনেক লোক বন্দী করে নিয়ে গিয়েছিল।

18. আর ফিলিস্তিনীরা নিম্নভূমি ও এহুদার দক্ষিণাঞ্চলের সমস্ত নগর আক্রমণ করে বৈৎশেমশ, অয়ালোন, গদেরোৎ, সোখো ও তার উপনগরগুলো, তিম্না ও তার উপনগরগুলো এবং গিম্‌সো ও তার উপনগরগুলো হস্তগত করে সেসব স্থানে বসতি করেছিল।

19. কেননা ইসরাইলের বাদশাহ্‌ আহসের জন্য মাবুদ এহুদাকে নত করলেন, কারণ তিনি এহুদায় স্বেচ্ছাচার এবং মাবুদের বিরুদ্ধে নিতান্তই বিশ্বাস ভঙ্গ করেছিলেন।

20. আর আসেরিয়ার বাদশাহ্‌ তিলগৎ-পিলনেষর তাঁর কাছে আসলেন বটে, কিন্তু তার বলবৃদ্ধি না করে তাঁকে কষ্ট দিলেন।

21. বস্তুত আহস মাবুদের গৃহের, রাজপ্রাসাদের ও কর্মকর্তাদের কাছ থেকে মূল্যবান ধন-সম্পদ নিয়ে আসেরিয়ার বাদশাহ্‌কে দিলেও তাঁর কিছু সাহায্য হল না।

গুনাহ্‌ ও বাদশাহ্‌ আহসের মৃত্যু

22. আর এই কষ্টের সময়ে বাদশাহ্‌ আহস মাবুদের বিরুদ্ধে আরও বিশ্বাস ভঙ্গ করলেন।

23. কারণ দামেস্কের যে দেবতারা তাঁকে আঘাত করেছিল, তিনি তাদের উদ্দেশে কোরবানী করলেন; আর বললেন, অরামীয় বাদশাহ্‌দের দেবতারাই তাঁদের সাহায্য করেন, অতএব আমি তাঁদেরই উদ্দেশে কোরবানী করবো, তাতে তাঁরা আমারও সাহায্য করবেন। কিন্তু তারাই তাঁর ও সমস্ত ইসরাইলের বিনাশের কারণ হল।

24. পরে আহস আল্লাহ্‌র গৃহের সমস্ত পাত্র একত্র করলেন, আল্লাহ্‌র গৃহের সেসব পাত্র কেটে খণ্ড খণ্ড করলেন, মাবুদের গৃহের সমস্ত দরজা রুদ্ধ করলেন এবং জেরুশালেমের প্রত্যেক কোণে তার জন্য কোরবানগাহ্‌ তৈরি করলেন।

25. আর তিনি অন্য দেবতাদের উদ্দেশে ধূপ জ্বালাবার জন্য এহুদার প্রত্যেক নগরে উচ্চস্থলী নির্মাণ করলেন; এভাবে তিনি তাঁর পূর্বপুরুষদের আল্লাহ্‌ মাবুদকে অসন্তুষ্ট করলেন।

26. তাঁর অবশিষ্ট কাজের বৃত্তান্ত ও প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত চরিত্র, দেখ, এহুদা ও ইসরাইলের বাদশাহ্‌দের ইতিহাস-পুস্তকে লেখা আছে।

27. পরে আহস তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে চির নিদ্রায় নিদ্রিত হলেন, আর লোকেরা তাঁকে নগরে অর্থাৎ জেরুশালেমে দাফন করলো, ইসরাইলের বাদশাহ্‌দের কবরে দাফন করে নি; পরে তাঁর পুত্র হিষ্কিয় তাঁর পদে বাদশাহ্‌ হলেন।