অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16
  17. 17
  18. 18
  19. 19
  20. 20
  21. 21
  22. 22
  23. 23
  24. 24
  25. 25
  26. 26
  27. 27

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

লেবীয় 7 কিতাবুল মোকাদ্দস (BACIB)

1. আর দোষ-কোরবানীর এই ব্যবস্থা; তা অতি পবিত্র।

2. যে স্থানে লোকেরা পোড়ানো-কোরবানী জবেহ্‌ করে সেই স্থানে দোষ-কোরবানী জবেহ্‌ করবে এবং ইমাম কোরবানগাহ্‌র উপরে চারদিকে তার রক্ত ছিটিয়ে দেবে।

3. আর কোরবানীর সমস্ত চর্বি কোরবানী করবে, লেজ ও পাকস্থলীর উপরিস্থ চর্বি,

4. এবং দু’টি বৃক্ক ও তার উপরি-ভাগের চর্বি ও দু’টি বৃক্কের সঙ্গে কলিজার উপরিভাগের অংশগুলো ছাড়িয়ে নেবে।

5. আর ইমাম মাবুদের উদ্দেশে অগ্নিকৃত কোরবানীর জন্য কোরবানগাহ্‌র উপরে এসব পুড়িয়ে ফেলবে; এটি দোষ-কোরবানী।

6. ইমামদের মধ্যে সমস্ত পুরুষ তা ভোজন করবে, কোন পবিত্র স্থানে তা ভোজন করতে হবে; তা অতি পবিত্র।

7. গুনাহ্‌-কোরবানী যেরকম, দোষ-কোরবানীও সেরকম; উভয়েরই এক ব্যবস্থা; যে ইমাম তা দ্বারা কাফ্‌ফারা করে তা তারই হবে।

8. আর যে ইমাম যে কোন ব্যক্তির জন্য পোড়ানো-কোরবানীর পশু কোরবানী করে সেই ইমাম সেই পশুর চামড়াটি পাবে।

9. এবং তন্দুরে কিংবা কড়াইতে কিংবা ভাজবার পাত্রে পাক-করা যত শস্য-উৎসর্গ, সেসব উৎসর্গকারী ইমামের হবে।

10. তেল মিশানো কিংবা শুকনো সমস্ত শস্য-উৎসর্গ সমানভাবে হারুনের সকল পুত্রের হবে।

মঙ্গল-কোরবানীর নিয়ম

11. আর মাবুদের উদ্দেশে কোরবানীর জন্য আনা মঙ্গল-কোরবানীর এই ব্যবস্থা।

12. কেউ যদি শুকরিয়া-কোরবানী আনে তবে সে শুকরিয়া-কোরবানীর সঙ্গে তেল মিশানো খামিহীন রুটি, তৈলাক্ত খামিহীন চাপাটি, তৈলসিক্ত মিহি সুজি ও তৈলাক্ত পিঠা নিবেদন করবে।

13. সে মঙ্গলের নিমিত্ত শুকরিয়া-কোরবানী সঙ্গে খামিযুক্ত রুটি নিয়ে উপহার দেবে।

14. আর সে তা থেকে, অর্থাৎ প্রত্যেক উপহার থেকে, এক একখানি পিঠা নিয়ে উত্তোলনীয় উপহার হিসেবে মাবুদের উদ্দেশে নিবেদন করবে; যে ইমাম মঙ্গল-কোরবানীর রক্ত ছিটিয়ে দেবে সে তা পাবে।

15. আর মঙ্গলের নিমিত্ত আনা শুকরিয়া-কোরবানীর গোশ্‌ত কোরবানীর দিনেই ভোজন করতে হবে; তার কিছুই সকাল পর্যন্ত রাখা যাবে না।

16. কিন্তু তার কোরবানী যদি মানত অথবা স্বেচ্ছাকৃত উপহার হয় তবে কোরবানীর দিনে তা ভোজন করতে হবে এবং পরদিনেও তার অবশিষ্ট অংশ ভোজন করা যাবে।

17. কিন্তু তৃতীয় দিনে কোরবানীর অবশিষ্ট গোশ্‌ত আগুনে পুড়িয়ে দিতে হবে।

18. যদি তৃতীয় দিনে তার মঙ্গল-কোরবানীর কিঞ্চিৎ গোশ্‌তও ভোজন করা হয় তবে সেই কোরবানীকে কবুল করা হবে না এবং সেই কোরবানী-দাতার পক্ষে তা গণ্য হবে না, তা ঘৃণার বস্তু হবে এবং যে জন তা ভোজন করে সে অপরাধী বলে গণ্য হবে।

19. আর যে গোশ্‌তে কোন নাপাক বস্তুর স্পর্শ লাগে তা ভোজন করা যাবে না, আগুনে পুড়িয়ে দিতে হবে। অন্য গোশ্‌ত প্রত্যেক পাক-পবিত্র লোকের খাদ্য।

20. কিন্তু যে কেউ নাপাক অবস্থায় মাবুদের উদ্দেশে নিবেদিত মঙ্গল-কোরবানীর গোশ্‌ত ভোজন করে সে নিজের লোকদের মধ্য থেকে উচ্ছিন্ন হবে।

21. আর যদি কেউ কোন নাপাক বস্তু, অর্থাৎ মানুষের নাপাক বস্তু কিংবা নাপাক পশু কিংবা কোন নাপাক ঘৃণার বস্তু স্পর্শ করে মাবুদ সম্বন্ধীয় মঙ্গল-কোরবানীর গোশ্‌ত ভোজন করে তবে সেই ব্যক্তি নিজের লোকদের মধ্য থেকে উচ্ছিন্ন হবে।

22. আর মাবুদ মূসাকে বললেন,

23. তুমি বনি-ইসরাইলকে বল, তোমরা গরুর কিংবা ভেড়ার কিংবা ছাগলের চর্বি ভোজন করো না।

24. মৃত কিংবা কোন পশুর আঘাতে নিহত কোন পশুর চর্বি অন্যান্য কাজে ব্যবহার করবে; কিন্তু কোন মতে তা ভোজন করবে না;

25. কেননা তোমাদের মধ্যে যে কেউ মাবুদের উদ্দেশে অগ্নিকৃত কোরবানীর পশুর চর্বি ভোজন করে সেই ভোক্তা নিজের লোকদের মধ্য থেকে উচ্ছিন্ন হবে।

26. আর তোমাদের কোন বাসস্থানে তোমরা কোন পশুর কিংবা পাখির রক্ত পান করো না।

27. যে কেউ কোন প্রকারের রক্ত পান করে সেই লোক নিজের লোকদের মধ্য থেকে উচ্ছিন্ন হবে।

28. আর মাবুদ মূসাকে বললেন,

29. তুমি বনি-ইসরাইলকে বল, যে ব্যক্তি মাবুদের উদ্দেশে মঙ্গল-কোরবানী করে, সেই ব্যক্তি নিজের মঙ্গল-কোরবানী থেকে মাবুদের উদ্দেশে নিজের উপহার আনবে।

30. ফলত মাবুদের উদ্দেশে অগ্নিকৃত উপহার অর্থাৎ বুকের গোশ্‌তের সঙ্গে চর্বি নিজের হাতে আনবে; তাতে সেই বুকের গোশ্‌ত দোলনীয় উপহার হিসেবে মাবুদের সম্মুখে দোলায়িত হবে।

31. আর ইমাম কোরবানগাহ্‌র উপরে সেই চর্বি পুড়িয়ে ফেলবে, কিন্তু বুকের গোশ্‌তটি হারুন ও তার পুত্রদের হবে।

32. আর তোমরা নিজ নিজ মঙ্গল-কোরবানীর পশুর ডান ঊরু উত্তোলনীয় উপহার হিসেবে ইমামকে দেবে।

33. হারুনের পুত্রদের মধ্যে যে কেউ মঙ্গল-কোরবানীর পশুর রক্ত ও চর্বি কোরবানী করে সে তার অংশরূপে তার ডান ঊরু পাবে।

34. কেননা বনি-ইসরাইল থেকে আমি মঙ্গল-কোরবানীর দোলনীয় উপহার হিসেবে বক্ষ ও উত্তোলনীয় উপহার হিসেবে ঊরু নিয়ে বনি-ইসরাইলদের দেয় বলে চিরস্থায়ী অধিকার হিসেবে তা হারুন ইমাম ও তার পুত্রদেরকে দিলাম।

35. যে দিনে তারা মাবুদের ইমামের কাজ করতে নিযুক্ত হয় সেদিন থেকে মাবুদের উদ্দেশে অগ্নিকৃত উপহার হতে এটিই হারুনের ও তার পুত্রদের অভিষেকের জন্য অধিকার।

36. মাবুদ তাদের অভিষেকের দিনে পুরুষানুক্রমে বনি-ইসরাইলদের দেয় বলে চিরস্থায়ী অধিকার হিসেবে এটি তাদেরকে দিতে হুকুম করলেন।

37. পোড়ানো-কোরবানীর, শস্য-উৎসর্গের, গুনাহ্‌-কোরবানীর, দোষ-কোরবানীর অভিষেক করার ও মঙ্গল-কোরবানীর জন্য এ হল ব্যবস্থা।

38. মাবুদ যেদিন সিনাই মরু-ভূমিতে বনি-ইসরাইলকে মাবুদের উদ্দেশে নিজ নিজ উপহার কোরবানী করতে হুকুম দিলেন, সেদিন তুর পর্বতে মূসাকে এই বিষয়ে হুকুম দিলেন।