1. আর মাবুদ মূসাকে বললেন,
2. তুমি বনি-ইসরাইলকে বল, কেউ যদি ভুল-বশত গুনাহ্ করে, অর্থাৎ মাবুদের হুকুমে নিষেধ আছে এমন কোন কাজ করে;
3. বিশেষত অভিষিক্ত ইমাম যদি এমন গুনাহ্ করে যাতে লোকদের উপরে দোষ বর্তায়, তবে সে তার নিজের গুনাহ্র জন্য মাবুদের উদ্দেশে নিখুঁত একটি ষাঁড় গুনাহ্-কোরবানী হিসেবে কোরবানী করবে।
4. পরে সে জমায়েত-তাঁবুর দরজার কাছে মাবুদের সম্মুখে সেই ষাঁড় আনবে এবং তার মাথায় হাত রেখে মাবুদের সম্মুখে তাকে জবেহ্ করবে।
5. আর অভিষিক্ত ইমাম সেই বাছুরটির কিঞ্চিৎ রক্ত নিয়ে জমায়েত-তাঁবুর মধ্যে যাবে।
6. আর ইমাম সেই রক্তে তার আঙ্গুল ডুবিয়ে পবিত্র স্থানের পর্দার অগ্রভাগে মাবুদের সম্মুখে সাত বার তার কিঞ্চিৎ রক্ত ছিটিয়ে দেবে।
7. পরে ইমাম সেই রক্তের কিছু নিয়ে জমায়েত-তাঁবুর মধ্যে মাবুদের সম্মুখে অবস্থিত সুগন্ধি ধূপের কোরবানগাহ্র শিংগুলোতে লাগিয়ে দেবে, পরে বাছুরটির সমস্ত রক্ত নিয়ে জমায়েত-তাঁবুর দ্বারে অবস্থিত কোরবানগাহ্র গোড়ায় ঢালবে।
8. আর গুনাহ্-কোরবানীর বাছুরটির সমস্ত চর্বি, অর্থাৎ পাকস্থলীর উপরিভাগের চর্বি, অন্ত্রগুলোর উপরিভাগের সমস্ত চর্বি,
9. এবং দু’টি বৃক্ক ও তার উপরিভাগের চর্বি ও কলিজার উপরিভাগের অংশগুলো বৃক্কের সঙ্গে ছাড়িয়ে নেবে।
10. মঙ্গল-কোরবানীর ষাঁড় থেকে যেমন নিতে হয় তেমনি নেবে এবং ইমাম কোরবানগাহ্র উপরে তা পুড়িয়ে ফেলবে।
11. পরে ঐ বাছুরটির চামড়া, সমস্ত গোশ্ত, মাথা ও পা, অন্ত্র ও গোবর,
12. সবসুদ্ধ বাচ্চাটি নিয়ে শিবিরের বাইরে কোন পাক-পবিত্র স্থানে, ভস্ম ফেলে দেবার স্থানে এনে কাঠের উপরে আগুনে পুড়িয়ে দেবে; ভস্ম ফেলে দেবার স্থানেই তা পুড়িয়ে দিতে হবে।
13. আর ইসরাইলের সমস্ত মণ্ডলী যদি ভুলবশত গুনাহ্ করে এবং তা সমাজের দৃষ্টির অগোচর থাকে এবং মাবুদের হুকুমে নিষেধ আছে এমন কোন কাজ করে যদি দোষী হয়,
14. তবে তাদের কৃত সেই গুনাহ্র বিষয় যখন জানা যাবে তখন সমাজ গুনাহ্-কোরবানী হিসেবে একটি ষাঁড় কোরবানী করবে; লোকেরা জমায়েত-তাঁবুর সম্মুখে তাকে আনবে।
15. পরে মণ্ডলীর প্রাচীনবর্গরা মাবুদের সম্মুখে সেই বাছুরটির মাথায় হাত রাখবে এবং মাবুদের সম্মুখে সেটি জবেহ্ করা যাবে।
16. পরে অভিষিক্ত ইমাম সেই বাছুরটির কিঞ্চিৎ রক্ত জমায়েত-তাঁবুর মধ্যে নিয়ে যাবে।
17. আর ইমাম সেই রক্তে নিজের আঙ্গুল ডুবিয়ে তার কিঞ্চিৎ পর্দার সম্মুখে, মাবুদের সম্মুখে সাতবার ছিটিয়ে দেবে।
18. সে সেই রক্তের কিঞ্চিৎ নিয়ে জমায়েত-তাঁবুর মধ্যে মাবুদের সম্মুখে অবস্থিত কোরবানগাহ্র শিংগুলোর উপরে দেবে; পরে জমায়েত-তাঁবুর দরজার কাছে স্থাপিত কোরবানগাহ্র গোড়ায় অন্য সমস্ত রক্ত ঢেলে দেবে।
19. আর কোরবানী থেকে তার সমস্ত চর্বি নিয়ে কোরবানগাহ্র উপরে পুড়িয়ে ফেলবে।
20. সে ঐ গুনাহ্-কোরবানীর বাছুরকে যেরকম করে, একেও সেরকম করবে। এভাবে ইমাম তাদের জন্য কাফ্ফারা দেবে, তাতে তাদের গুনাহ্ মাফ করা হবে।
21. পরে সেই বাছুরকে শিবিরের বাইরে নিয়ে গিয়ে প্রথম বাছুরটি যেমন পুড়িয়ে দিয়েছিল তেমনি তাকেও পুড়িয়ে দেবে; এটি সমাজের গুনাহ্-কোরবানী।
22. আর যদি কোন শাসনকর্তা গুনাহ্ করে, অর্থাৎ ভুলবশত তার আল্লাহ্ মাবুদের হুকুমে নিষেধ আছে এমন কোন কাজ করে দোষী হয়,
23. তবে তার কৃত সেই গুনাহ্র বিষয় যখন সে জানবে তখন নিজের উপহারস্বরূপ একটি নিখুঁত ছাগল আনবে।
24. পরে ঐ ছাগলের মাথায় হাত রেখে পোড়ানো-কোরবানী জবেহ্ করার স্থানে মাবুদের সম্মুখে তাকে জবেহ্ করবে; এটি হল গুনাহ্-কোরবানী।
25. পরে ইমাম তার আঙ্গুল দ্বারা সেই গুনাহ্-কোরবানীর কিঞ্চিৎ রক্ত নিয়ে কোরবানগাহ্র শিংগুলোর উপরে দেবে এবং তার রক্ত কোরবানগাহ্র গোড়ায় ঢেলে দেবে।
26. আর মঙ্গল-কোরবানীর চর্বির মত তার সমস্ত চর্বি নিয়ে কোরবানগাহের উপর পুড়িয়ে ফেলবে; এভাবে ইমাম তার গুনাহ্ মোচনের জন্য কাফ্ফারা দেবে, তাতে তার গুনাহ্ মাফ করা হবে।
27. আর সাধারণ লোকদের মধ্যে যদি কেউ ভুলবশত মাবুদের হুকুমে নিষেধ আছে এমন কোন কাজ দ্বারা গুনাহ্ করে দোষী হয়,
28. তবে সে যখন তার কৃত গুনাহ্ জানবে তখন তার কৃত সেই গুনাহ্র জন্য তার নিজের উপহারস্বরূপ পালের মধ্য থেকে একটি নিখুঁত ছাগী আনবে।
29. পরে ঐ গুনাহ্-কোরবানীর জন্য আনা পশুটির মাথায় হাত রেখে পোড়ানো-কোরবানী স্থানে সেই গুনাহ্-কোরবানীর পশু জবেহ্ করবে।
30. পরে ইমাম আঙ্গুল দিয়ে তার কিঞ্চিৎ রক্ত নিয়ে কোরবানগাহ্র শিংগুলোর উপরে লাগিয়ে দেবে এবং তার সমস্ত রক্ত কোরবানগাহ্র গোড়ায় ঢেলে দেবে।
31. আর মঙ্গল-কোরবানী থেকে নেওয়া চর্বির মত তার সমস্ত চর্বি ছাড়িয়ে নেবে। পরে ইমাম মাবুদের উদ্দেশে খোশবুর জন্য কোরবানগাহ্র উপরে তা পুড়িয়ে ফেলবে; এভাবে ইমাম তার জন্য কাফ্ফারা দেবে, তাতে তার গুনাহ্ মাফ করা হবে।
32. যদি সে গুনাহ্-কোরবানীর উপহার হিসেবে ভেড়ার বাচ্চা আনে তবে একটি নিখুঁত ভেড়ীর বাচ্চা আনবে।
33. আর সেই গুনাহ্-কোরবানীর জন্য আনা পশুটির মাথায় হাত রেখে পোড়ানো-কোরবানী জবেহ্ করার স্থানে সেই গুনাহ্-কোরবানীর পশু জবেহ্ করবে।
34. পরে ইমাম আঙ্গুল দ্বারা সেই গুনাহ্-কোরবানীর কিঞ্চিৎ রক্ত নিয়ে কোরবানগাহ্র শিংগুলোর উপরে দেবে ও সমস্ত রক্ত কোরবানগাহ্র গোড়ায় ঢালবে।
35. পরে মঙ্গল-কোরবানীর ভেড়ার বাচ্চার মতই ইমাম এর সমস্ত চর্বি ছাড়িয়ে নেবে এবং মাবুদের উদ্দেশে অগ্নিকৃত কোরবানীর রীতি অনুসারে তা কোরবানগাহের উপর পুড়িয়ে ফেলবে; এভাবে ইমাম তার কৃত গুনাহ্র কাফ্ফারা দেবে; তাতে তার গুনাহ্ মাফ করা হবে।