অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16
  17. 17
  18. 18
  19. 19
  20. 20
  21. 21
  22. 22
  23. 23
  24. 24
  25. 25
  26. 26
  27. 27

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

লেবীয় 5 কিতাবুল মোকাদ্দস (BACIB)

1. আর যদি কেউ এভাবে গুনাহ্‌ করে, সাক্ষী হয়ে, শপথ করাবার কথা শুনলেও যা দেখেছে কিংবা জানে তা সে প্রকাশ না করে তবে সে নিজের অপরাধ বহন করবে।

2. কিংবা যদি কেউ কোন নাপাক জিনিস স্পর্শ করে— সেটা নাপাক জন্তুর মৃতদেহ হোক, কিংবা নাপাক গোমেষাদির মৃতদেহ হোক, কিংবা নাপাক সরীসৃপের মৃতদেহ হোক— সে তা না জানলেও নাপাক হবে এবং সে দোষী হবে।

3. কিংবা মানুষের কোন নাপাকীতা, অর্থাৎ যা দ্বারা মানুষ নাপাক হয়, এমন কিছু যদি কেউ স্পর্শ করে ও তা জানতে না পারে তবে সে তা জানলে পর দোষী হবে।

4. আর কেউ অবিবেচনা-পূর্বক যে কোন বিষয়ে শপথ করুক না কেন, যদি কেউ অবিবেচনাপূর্বক ভাল বা মন্দ কাজ করবো বলে শপথ করে ও তা জানতে না পারে, তবে সে তা জানলে পর সেই বিষয়ে দোষী হবে।

5. আর সেরকম কোন বিষয়ে দোষী হলে সে তার গুনাহ্‌ স্বীকার করবে।

6. পরে সে গুনাহ্‌-কোরবানীর জন্য পাল থেকে ভেড়ীর বাচ্চা কিংবা বাচ্চা-ছাগী নিয়ে মাবুদের উদ্দেশে তার গুনাহ্‌র জন্য উপযুক্ত দোষ-কোরবানী করবে; তাতে ইমাম তার গুনাহ্‌ মাফের জন্য কাফ্‌ফারা দেবে।

7. আর সে যদি ভেড়ীর বাচ্চা আনতে অসমর্থ হয় তবে তার গুনাহ্‌র জন্য দু’টি ঘুঘু কিংবা দু’টি কবুতরের বাচ্চা, এই দোষ-কোরবানী মাবুদের কাছে আনবে; তার একটি গুনাহ্‌র জন্য এবং অন্যটি পোড়ানো-কোরবানীর জন্য।

8. সে তাদেরকে ইমামের কাছে আনবে ও ইমাম প্রথমে গুনাহ্‌-কোরবানী করে তার গলা মুচড়ো দেবে, কিন্তু ছিঁড়ে ফেলবে না।

9. পরে গুনাহ্‌-কোরবানীর কিঞ্চিৎ রক্ত নিয়ে কোরবানগাহ্‌র শরীরে ছিটাবে এবং অবশিষ্ট রক্ত কোরবানগাহ্‌র গোড়ায় ঢেলে দিতে হবে; এটি হল গুনাহ্‌-কোরবানী।

10. পরে সে নিয়ম অনুসারে দ্বিতীয়টি পোড়ানো-কোরবানী হিসেবে কোরবানী করবে; এভাবে ইমাম তার কৃত গুনাহ্‌র জন্য কাফ্‌ফারা দেবে, তাতে তার গুনাহ্‌ মাফ করা হবে।

11. আর সে যদি দু’টি ঘুঘু কিংবা দু’টি কবুতরের বাচ্চা আনতেও অসমর্থ হয় তবে তার কৃত গুনাহ্‌র জন্য তার উপহার হিসেবে ঐফার দশ ভাগের এক ভাগ সুজি গুনাহ্‌-কোরবানী হিসেবে আনবে; তার উপরে তেল দেবে না ও কুন্দুরু রাখবে না, কেননা তা গুনাহ্‌-কোরবানী।

12. পরে সে তা ইমামের কাছে আনলে ইমাম তার স্মরণ চিহ্নরূপে তা থেকে এক মুষ্টি নিয়ে মাবুদের উদ্দেশে অগ্নিকৃত কোরবানীর রীতি অনুসারে কোরবানগাহের উপর পুড়িয়ে ফেলবে; এ হল গুনাহ্‌-কোরবানী।

13. এভাবে ইমাম সে যে সমস্ত গুনাহ্‌ করেছে তার সেই সমস্ত গুনাহ্‌র জন্য কাফ্‌ফারা দেবে, তাতে তার গুনাহ্‌ মাফ করা হবে এবং অবশিষ্ট দ্রব্য শস্য-উৎসর্গের মতই ইমামের হবে।

দোষ-কোরবানী

14. পরে মাবুদ মূসাকে বললেন,

15. যদি কেউ মাবুদের পবিত্র বস্তুর বিষয়ে ভুলবশত সত্য লঙ্ঘন করে গুনাহ্‌ করে তবে সে মাবুদের কাছে দোষ-কোরবানী আনবে, পবিত্র স্থানের শেকলের মাপ অনুসারে তোমার নিরূপিত পরিমাণে রূপা দিয়ে পাল থেকে একটি নিখুঁত ভেড়া এনে দোষ-কোরবানী উপস্থিত করবে।

16. আর সে পবিত্র বস্তুর বিষয়ে যে গুনাহ্‌ করেছে তার পরিশোধ করবে, এছাড়া, পাঁচ অংশের এক অংশও দেবে এবং ইমামের কাছে তা আনবে। পরে ইমাম সেই দোষের জন্য ভেড়া কোরবানী দ্বারা তার জন্য কাফ্‌ফারা দেবে, তাতে তার গুনাহ্‌ মাফ করা হবে।

17. আর যদি কেউ মাবুদের হুকুম অনুসারে নিষিদ্ধ এমন কোন কাজ করে গুনাহ্‌ করে তবে সে তা না জানলেও দোষী, সে নিজের অপরাধ বহন করবে।

18. সে তোমার নিরূপিত মূল্য দিয়ে পাল থেকে একটি নিখুঁত ভেড়া এনে দোষ-কোরবানী হিসেবে ইমামের কাছে উপস্থিত করবে এবং সে ভুলবশত অজ্ঞাতসারে যে দোষ করেছে ইমাম তার জন্য কাফ্‌ফারা দেবে, তাতে তার গুনাহ্‌ মাফ করা হবে।

19. এটি হচ্ছে দোষ-কোরবানী, সে অবশ্য মাবুদের কাছে দোষী।