অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16
  17. 17
  18. 18
  19. 19
  20. 20
  21. 21
  22. 22
  23. 23
  24. 24
  25. 25
  26. 26
  27. 27

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

লেবীয় 25 কিতাবুল মোকাদ্দস (BACIB)

বিশ্রাম বছরের নিয়ম

1. আর মাবুদ তুর পর্বতে মূসাকে বললেন,

2. তুমি বনি-ইসরাইলকে বল, আমি তোমাদেরকে যে দেশ দেব, তোমরা সেই দেশে প্রবেশ করলে পর দেখো, মাবুদের উদ্দেশে ভূমি যেন বিশ্রাম ভোগ করে।

3. ছয় বছর কাল তুমি তার ক্ষেতে বীজ বপন করবে, ছয় বছর কাল তার আঙ্গুরলতা ছেঁটে দেবে ও তার ফল সংগ্রহ করবে।

4. কিন্তু সপ্তম বছর ভূমি বিশ্রাম নেবে, তা মাবুদের উদ্দেশে বিশ্রামকাল হবে; তুমি তোমার ক্ষেতে বীজ বপন করো না ও তোমার আঙ্গুরলতা ছেঁটো না;

5. তুমি তার ক্ষেতের নিজে থেকে উৎপন্ন শস্য কাটবে না ও আঝোড়া আঙ্গুরলতার ফল সংগ্রহ করবে না; তা ভূমির বিশ্রামের বছর হবে।

6. আর ভূমির বিশ্রাম তোমাদের খাদ্যের জন্য হবে; ভূমির সমস্ত দ্রব্যই তোমার, তোমার গোলাম ও বাঁদীর, তোমার বেতনজীবী ভৃত্য ও তোমার সহবাসী বিদেশীর,

7. এবং তোমার পশু ও তোমার দেশের বন্য পশুর খাদ্যের জন্য হবে।

জুবিলী বছরের নিয়ম

8. আর তুমি তোমার জন্য সাত বিশ্রাম-বছর, সাত গুণ সাত বছর, গণনা করবে; তাতে তোমার গণনকৃত সেই সাত গুণ সাত বিশ্রাম-বছরে ঊনপঞ্চাশ বছর হবে।

9. তখন সপ্তম মাসের দশম দিনে তুমি জয়ধ্বনির তূরীবাদ্য করবে; কাফ্‌ফারা দিনে তোমাদের সমস্ত দেশে তূরী বাজাবে।

10. আর তোমরা পঞ্চাশতম বছরকে পবিত্র করবে এবং সমস্ত দেশে সেখানকার সমস্ত নিবাসীর কাছে মুক্তি ঘোষণা করবে; সেটি তোমাদের জন্য জুবিলী (তূরীধ্বনির মহোৎসব) হবে এবং তোমরা প্রত্যেক জন নিজ নিজ অধিকারে ফিরে যাবে ও প্রত্যেক জন তার নিজের গোষ্ঠীর কাছে ফিরে যাবে।

11. তোমাদের জন্য পঞ্চাশতম বছর জুবিলী হবে; তোমরা বীজ বুনবে না, নিজে থেকে উৎপন্ন শস্য কেটো না এবং আছাঁটা আঙ্গুরলতার ফল সংগ্রহ করো না।

12. কেননা এটাই জুবিলী, সেটি তোমাদের পক্ষে পবিত্র হবে; তোমরা ক্ষেতে উৎপন্ন শস্যাদি ভোজন করতে পারবে।

13. ঐ জুবিলী বছরে তোমরা প্রত্যেক জন নিজ নিজ অধিকারে ফিরে যাবে।

14. যদি তুমি স্বজাতির কাছে কোন কিছু বিক্রি কর, কিংবা তোমার স্বজাতির হাত থেকে ক্রয় কর তবে তোমরা পরস্পর অন্যায় করো না।

15. তুমি জুবিলীর পরে বছর-সংখ্যা অনুসারে স্বজাতির কাছ থেকে ক্রয় করবে এবং ফল উৎপন্নের বছর-সংখ্যা অনুসারে তোমার কাছে সে বিক্রি করবে।

16. তুমি বছরের সংখ্যা বেশি হলে তার মূল্য বাড়াবে ও বছরের সংখ্যা কম হলে তার মূল্য কমাবে; কেননা সে তোমার কাছে ফল উৎপন্নের কালের সংখ্যা অনুসারে বিক্রি করে।

17. তোমরা তোমাদের স্বজাতির প্রতি অন্যায় করো না, কিন্তু তোমার আল্লাহ্‌কে ভয় করো, কেননা আমি মাবুদ তোমাদের আল্লাহ্‌।

18. আর তোমরা আমার বিধি অনুসারে আচরণ করবে, আমার সমস্ত অনুশাসন মানবে ও তা পালন করবে; তাতে দেশে নির্ভয়ে বাস করবে।

19. আর ভূমি নিজের ফল উৎপন্ন করবে, তাতে তোমরা তৃপ্তি পর্যন্ত ভোজন করবে ও দেশে নির্ভয়ে বাস করবে।

20. আর যদি তোমরা বল, দেখ, আমরা সপ্তম বছরে কি খাব? কেননা, আমরা তো ক্ষেতে বপন করবো না ও উৎপন্ন ফল সংগ্রহ করবো না;

21. তবে আমি ষষ্ঠ বছরে তোমাদেরকে দোয়া করবো; তাতে তিন বছরের জন্য শস্য উৎপন্ন হবে।

22. পরে অষ্টম বছরে তোমরা বপন করবে ও নবম বছর পর্যন্ত পুরানো শস্য ভোজন করবে; যতদিন ফল না হয় ততদিন পুরানো শস্য ভোজন করবে।

23. আর ভূমি চিরকালের জন্য বিক্রি করা চলবে না, কেননা ভূমির স্বত্ব আমার; তোমরা আমার সম্মুখে এই দেশে বিদেশী ও প্রবাসী।

24. তোমরা তোমাদের অধিকৃত দেশের সর্বত্র বিক্রি করা ভূমি পুনরুদ্ধার করতে সুযোগ দিও।

25. তোমার ভাই যদি দরিদ্র হয়ে তার অধিকারের কিঞ্চিৎ বিক্রি করে তবে তার মুক্তিকর্তা নিকটস্থ জ্ঞাতি এসে তার ভাইয়ের বিক্রি করা ভূমি পুনরুদ্ধার করে নেবে।

26. যার মুক্তিকর্তা নেই, সে যদি ধনবান হয়ে নিজেই তা উদ্ধার করতে সমর্থ হয়,

27. তবে সে তার বিক্রয়ের বছর গণনা করে সেই অনুসারে অতিরিক্ত মূল্য ক্রেতাকে ফিরিয়ে দেবে; এভাবে সে তার নিজের অধিকারে ফিরে যাবে।

28. কিন্তু যদি সে তা ফিরিয়ে নিতে অসমর্থ হয় তবে সেই বিক্রি করা অধিকার জুবিলী বছর পর্যন্ত ক্রেতার হাতে থাকবে; জুবিলী বছরে তা মুক্ত হবে এবং সে তার নিজের অধিকারে ফিরে যাবে।

29. আর যদি কেউ প্রাচীরবেষ্টিত নগরের মধ্যস্থিত বাসগৃহ বিক্রি করে তবে সে বিক্রি-বছরের শেষ পর্যন্ত তা মুক্ত করতে পারবে, পূর্ণ এক বছরের মধ্যে তা মুক্ত করার অধিকারী থাকবে।

30. কিন্তু যদি সমপূর্ণ এক বছর কালের মধ্যে তা মুক্ত না হয় তবে প্রাচীরবেষ্টিত নগরে স্থিত সেই বাড়ি বংশ পরম্পরায় ক্রয়কর্তার চিরস্থায়ী অধিকার হবে; তা জুবিলী বছরে মুক্ত হবে না।

31. কিন্তু প্রাচীরহীন গ্রামে অবস্থিত বাড়ি দেশের ভূমির মধ্যে গণ্য হবে; তা মুক্ত করা যেতে পারে এবং জুবিলী বছরে তা মুক্ত হবে।

32. কিন্তু লেবীয়দের সমস্ত নগর, তাদের অধিকৃত নগরের সমস্ত বাড়ি মুক্ত করার অধিকার লেবীয়দের সব সময়ই থাকবে।

33. যদি লেবীয়দের কেউ মুক্ত করে তবে সেই বিক্রি হওয়া বাড়ি এবং তার অধিকারস্থ নগর জুবিলী বছরে মুক্ত হবে; কেননা বনি-ইসরাইলদের মধ্যে লেবীয়দের নগরস্থ গৃহগুলো তাদের অধিকার।

34. আর তাদের নগরের চারণভূমি বিক্রি করা চলবে না; কেননা তা-ই তাদের চিরস্থায়ী অধিকার।

35. আর তোমার ভাই যদি দরিদ্র হয় ও তোমার কাছে শূন্য হাতে আসে তবে তুমি তার উপকার করবে; সে বিদেশী ও প্রবাসীর মত তোমার সঙ্গে জীবন ধারণ করবে।

36. তুমি তার কাছ থেকে সুদ কিংবা সুদের অগ্রিম নেবে না, কিন্তু তোমার আল্লাহ্‌কে ভয় করবে, তোমার ভাইকে তোমার সঙ্গে জীবন ধারণ করতে দেবে।

37. তুমি সুদের জন্য তাকে টাকা ও লাভের জন্য তাকে খাদ্য দেবে না।

38. আমি মাবুদ তোমাদের সেই আল্লাহ্‌, যিনি তোমাদেরকে কেনান দেশ দেবার জন্য ও তোমাদের আল্লাহ্‌ হবার জন্য তোমাদেরকে মিসর দেশ থেকে বের করে এনেছেন।

39. আর তোমার ভাই যদি দরিদ্র হয়ে তোমার কাছে নিজেকে বিক্রি করে তবে তুমি তাকে গোলামের মত গোলামীর কাজ করাবে না।

40. সে বেতনজীবী ভৃত্যের মত কিংবা প্রবাসীর মত তোমার সঙ্গে থাকবে, জুবিলী বছর পর্যন্ত তোমার গোলামীর কাজ করবে।

41. পরে সে তার আপন সন্তানদের সঙ্গে তোমার কাছ থেকে মুক্ত হয়ে নিজের গোষ্ঠীর কাছে ফিরে যাবে ও তার পৈতৃক অধিকারে ফিরে যাবে।

42. কেননা তারা আমারই গোলাম, যাদেরকে আমি মিসর দেশ থেকে বের করে এনেছি; তাদের গোলামের মত বিক্রি করা হবে না।

43. তুমি তার উপরে কঠিন কর্তৃত্ব করো না, কিন্তু তোমার আল্লাহ্‌কে ভয় করো।

44. তোমাদের চারদিকের জাতিগুলোর মধ্য থেকে তোমরা গোলাম ও বাঁদী রাখতে পারবে; তাদের হতেই তোমরা গোলাম ও বাঁদী ক্রয় করো।

45. আর তোমাদের মধ্যে প্রবাসী বিদেশীদের সন্তানদের থেকে এবং তোমাদের দেশে তাদের থেকে উৎপন্ন তাদের যে যে গোষ্ঠী তোমাদের সঙ্গে আছে, তাদের মধ্য থেকেও ক্রয় করো; তারা তোমাদের অধিকার হবে।

46. আর তোমরা নিজ নিজ ভাবী সন্তানদের অধিকারের জন্য উত্তরাধিকার হিসেবে তাদেরকে দিতে পার এবং নিত্য তোমাদের গোলামীর কাজ তাদেরকে দিয়ে করাতে পার; কিন্তু তোমাদের ভাই বনি-ইসরাইলদের মধ্যে তোমরা কেউ কারো উপরে কঠিন কর্তৃত্ব করবে না।

47. আর যদি তোমাদের মধ্যে কোন বিদেশী কিংবা প্রবাসী ধনবান হয় এবং তার নিকটবর্তী তোমার ভাই দরিদ্র হয়ে যদি তোমার সহবর্তী প্রবাসী, বিদেশী কিংবা বিদেশী গোত্রস্থ কোন লোকের কাছে নিজেকে বিক্রি করে,

48. তবে সে বিক্রি হবার পরে মুক্ত হতে পারবে; তার জ্ঞাতির মধ্যে কেউ তাকে মুক্ত করতে পারবে;

49. তার চাচা কিংবা চাচার পুত্র তাকে মুক্ত করবে, কিংবা তার গোষ্ঠীভুক্ত নিকটবর্তী কোন জ্ঞাতি তাকে মুক্ত করবে; কিংবা যদি সে ধনবান হয়ে উঠে তবে সে নিজেকে মুক্ত করবে।

50. তাতে তার বিক্রি-বছর থেকে জুবিলী বছর পর্যন্ত ক্রেতার সঙ্গে হিসাব হলে বছরের সংখ্যা অনুসারে তার মূল্য হবে; ওর কাছে তার থাকবার সময় বেতনজীবীর দিনের মত হবে।

51. যদি অনেক বছর অবশিষ্ট থাকে তবে সেই অনুসারে সে ক্রয়-মূল্য থেকে নিজের মুক্তির মূল্য ফিরিয়ে দেবে।

52. যদি জুবিলী বছরের অল্প বছর অবশিষ্ট থাকে তবে সে তার সঙ্গে হিসাব করে সেই কয়েক বছর অনুসারে তার নিজের মুক্তির মূল্য ফিরিয়ে দেবে।

53. বার্ষিক বেতনভুক্ত ভৃত্যের মত সে তার সঙ্গে থাকবে; তোমার সাক্ষাতে সে তার উপরে কঠিন কর্তৃত্ব করবে না।

54. আর যদি সে ঐ সমস্ত বছরে মুক্ত না হয় তবে জুবিলী বছরে তার সন্তানদের সঙ্গে মুক্ত হয়ে যাবে।

55. কেননা বনি-ইসরাইল আমারই গোলাম; তারা আমার গোলাম, যাদেরকে আমি মিসর দেশ থেকে বের করে এনেছি; আমি মাবুদ তোমাদের আল্লাহ্‌।