অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16
  17. 17
  18. 18
  19. 19
  20. 20
  21. 21
  22. 22
  23. 23
  24. 24
  25. 25
  26. 26
  27. 27
  28. 28
  29. 29
  30. 30
  31. 31
  32. 32
  33. 33
  34. 34
  35. 35
  36. 36

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

২ বংশাবলি 13 পবিত্র বাইবেল (SBCL)

যিহূদার রাজা অবিয় (অবিয়াম)

1. যারবিয়ামের রাজত্বের আঠারো বছরের সময় অবিয় যিহূদার রাজা হলেন।

2. তিনি যিরূশালেমে তিন বছর রাজত্ব করেছিলেন। তাঁর মায়ের নাম ছিল মাখা; তিনি ছিলেন গিবিয়ার ঊরীয়েলের মেয়ে।অবিয় আর যারবিয়ামের মধ্যে যুদ্ধ হয়েছিল।

3. অবিয় চার লক্ষ বাছাই-করা বীর যোদ্ধার একটা দল নিয়ে যুদ্ধ করতে গেলেন আর যারবিয়াম আট লক্ষ বাছাই-করা বীর যোদ্ধা নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য সারি বাঁধলেন।

4. অবিয় ইফ্রয়িমের পাহাড়ী এলাকার মধ্যে সমারয়িম পাহাড়ের উপরে দাঁড়িয়ে বললেন, “যারবিয়াম ও ইস্রায়েলের সমস্ত লোকেরা, আমার কথা শুনুন।

5. আপনারা কি জানেন না যে, ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভু চিরকালের অটল ব্যবস্থার দ্বারা দায়ূদ ও তাঁর বংশের লোকদের কাছে চিরদিনের জন্য ইস্রায়েলের রাজপদ দিয়েছেন?

6. তবুও দায়ূদের ছেলে শলোমনের কর্মচারী নবাটের ছেলে যারবিয়াম তাঁর মনিবের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করলেন।

7. কয়েকজন অপদার্থ ও দুষ্ট লোক যারবিয়ামের চারপাশে জড়ো হয়ে শলোমনের ছেলে রহবিয়ামের বিরুদ্ধে দাঁড়াল। সেই সময় রহবিয়াম ছিলেন যুবক এবং তাঁর অভিজ্ঞতা ছিল কম; তাদের বাধা দেবার মত যথেষ্ট শক্তি তাঁর ছিল না।

8. “এখন দায়ূদের বংশধরদের হাতে সদাপ্রভুর যে রাজ্য রয়েছে আপনারা তার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে চাইছেন। সত্যিই আপনারা বিরাট একদল সৈন্য এবং আপনাদের মধ্যে রয়েছে সেই সোনার বাছুরের মূর্তিগুলো যা আপনাদের দেবতা হবার জন্য যারবিয়াম তৈরী করেছেন।

9. আপনারা তো সদাপ্রভুর পুরোহিতদের, অর্থাৎ হারোণের ছেলেদের এবং লেবীয়দের তাড়িয়ে দিয়েছেন এবং অন্যান্য দেশের জাতিদের মত নিজেদের জন্য পুরোহিতদের নিযুক্ত করেছেন। পুরোহিত হিসাবে নিজেকে আলাদা করবার জন্য যে কেউ একটা এঁেড় বাছুর ও সাতটা ভেড়া নিয়ে আসে সে-ই ঐ সব দেবতার পুরোহিত হতে পারে যারা ঈশ্বর নয়।

10. “কিন্তু আমরা সেই রকম নই, সদাপ্রভুই আমাদের ঈশ্বর। আমরা তাঁকে ত্যাগ করি নি। যে পুরোহিতেরা সদাপ্রভুর সেবা করেন তাঁরা হারোণের বংশের লোক, আর লেবীয়েরাও তাদের নির্দিষ্ট কাজ করে।

11. প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায় পুরোহিতেরা সদাপ্রভুর উদ্দেশে পোড়ানো-উৎসর্গের অনুষ্ঠান করেন ও সুগন্ধি ধূপ জ্বালান। তাঁরা শুচি করা টেবিলের উপর সম্মুখ-রূটি সাজিয়ে রাখেন এবং প্রতিদিন সন্ধ্যাবেলায় সোনার বাতিদানের উপর বাতিগুলো জ্বালিয়ে দেন। আমরা আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর আদেশ অনুসারে কাজ করি, কিন্তু আপনারা তাঁকে ত্যাগ করেছেন।

12. ঈশ্বর আমাদের সংগে আছেন; তিনিই আমাদের নেতা। তাঁর পুরোহিতেরা তাঁদের তূরী বাজিয়ে আপনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ডাক দেবার জন্য আমাদের সংগে আছেন। হে ইস্রায়েলের লোকেরা, আপনাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে আপনারা যুদ্ধ করবেন না, কারণ তাতে আপনারা সফল হবেন না।”

13. যারবিয়াম গোপনে যিহূদার সৈন্যদের পিছনের দিকে একদল সৈন্য পাঠিয়ে দিলেন; তাতে তাঁর একদল সৈন্য যিহূদার সামনের দিকে আর একদল সৈন্য যিহূদার পিছন দিকে রইল।

14-15. যিহূদার লোকেরা ফিরে দেখতে পেল যে, তাদের সামনে ও পিছনে দু’দিকে সৈন্য। তখন তারা সদাপ্রভুর কাছে কান্নাকাটি করল। পুরোহিতেরা তাঁদের তূরী বাজালেন আর যিহূদার লোকেরা যুদ্ধের হাঁক দিল। তারা যখন যুদ্ধের হাঁক দিল তখন অবিয় ও যিহূদার লোকদের সামনে থেকে ঈশ্বর যারবিয়াম ও সমস্ত ইস্রায়েলকে সম্পূর্ণভাবে পরাজিত করলেন।

16. যিহূদার সামনে থেকে ইস্রায়েলীয়েরা পালিয়ে যেতে লাগল আর ঈশ্বর তাদের যিহূদার লোকদের হাতে তুলে দিলেন।

17. অবিয় ও তাঁর লোকেরা অনেক লোককে মেরে ফেললেন। এতে ইস্রায়েলীয়দের বাছাই-করা লোকদের মধ্য থেকে পাঁচ লক্ষ লোক মারা পড়ল।

18. এইভাবে ইস্রায়েলের লোকেরা হেরে গেল, আর যিহূদার লোকেরা জয়ী হল, কারণ তারা তাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর উপর নির্ভর করেছিল।

19. অবিয় যারবিয়ামের পিছনে তাড়া করে গিয়ে তাঁর হাত থেকে বৈথেল, যিশানা ও ইফ্রোণ এবং সেগুলোর আশেপাশের জায়গাগুলো দখল করে নিলেন।

20. অবিয়ের সময়ে যারবিয়াম আর শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারেন নি। পরে সদাপ্রভু তাঁকে আঘাত করলে পর তিনি মারা গেলেন।

21. এদিকে অবিয় শক্তিশালী হয়ে উঠতে লাগলেন। তাঁর চৌদ্দজন স্ত্রী এবং বাইশজন ছেলে ও ষোলজন মেয়ে ছিল।

22. অবিয়ের অন্যান্য সমস্ত কাজের কথা এবং তিনি যা কিছু বলেছিলেন তা নবী ইদ্দোর ইতিহাসের বইয়ে লেখা আছে।