অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16
  17. 17
  18. 18
  19. 19
  20. 20
  21. 21
  22. 22
  23. 23
  24. 24
  25. 25
  26. 26
  27. 27
  28. 28
  29. 29
  30. 30
  31. 31
  32. 32
  33. 33
  34. 34
  35. 35
  36. 36

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

২ বংশাবলি 12 পবিত্র বাইবেল (SBCL)

শীশকের যিরূশালেম আক্রমণ

1. রহবিয়ামের রাজপদ যখন শক্ত হল এবং তিনি শক্তিশালী হয়ে উঠলেন তখন তিনি ও তাঁর সংগে সমস্ত ইস্রায়েলীয়েরা সদাপ্রভুর আইন-কানুন পালন করা ত্যাগ করলেন।

2. সদাপ্রভুর প্রতি অবিশ্বস্ত হওয়াতে রাজা রহবিয়ামের রাজত্বের পঞ্চম বছরে মিসরের রাজা শীশক যিরূশালেম আক্রমণ করলেন।

3. শীশকের সংগে বারোশো রথ, ষাট হাজার ঘোড়সওয়ার এবং অসংখ্য লূবীয়, সুক্কীয় ও কূশীয় সৈন্য মিসর থেকে এসেছিল।

4. তিনি যিহূদার দেয়াল-ঘেরা শহরগুলো অধিকার করে নিয়ে যিরূশালেম পর্যন্ত চলে আসলেন।

5. নবী শময়িয় তখন রহবিয়াম ও যিহূদার নেতাদের কাছে আসলেন। সেই নেতারা শীশকের ভয়ে যিরূশালেমে এসে জড়ো হয়েছিলেন। শময়িয় তাঁদের বললেন, “সদাপ্রভু এই কথা বলছেন, ‘তোমরা আমাকে ত্যাগ করেছ, সেইজন্য আমিও এখন শীশকের হাতে তোমাদের তুলে দিয়েছি।’ ”

6. এতে রাজা ও ইস্রায়েলীয় নেতারা নিজেদের নত করলেন ও বললেন, “সদাপ্রভু ন্যায় বিচারক।”

7. সদাপ্রভু যখন দেখলেন যে, তাঁরা নিজেদের নত করেছেন তখন তিনি শময়িয়কে বললেন, “তারা নিজেদের নত করেছে বলে আমি তাদের ধ্বংস না করে শাস্তির হাত থেকে কিছুটা রেহাই দেব। আমার ক্রোধ শীশকের মধ্য দিয়ে যিরূশালেমের উপর ঢেলে দেওয়া হবে না,

8. কিন্তু তারা তার অধীন হবে। এতে তারা আমার সেবা করবার ও অন্যান্য দেশের রাজাদের সেবা করবার মধ্যে যে পার্থক্য রয়েছে তা বুঝতে পারবে।”

9. মিসরের রাজা শীশক যিরূশালেম আক্রমণ করে সদাপ্রভুর ঘরের ও রাজবাড়ীর সমস্ত ধন-দৌলত নিয়ে চলে গেলেন। তিনি সব কিছুই নিয়ে গেলেন, এমন কি, শলোমনের তৈরী সোনার ঢালগুলোও নিয়ে গেলেন।

10. কাজেই রাজা রহবিয়াম সেগুলোর বদলে ব্রোঞ্জের ঢাল তৈরী করালেন। রাজবাড়ীর দরজায় যে সব সৈন্যেরা পাহারা দিত তাদের সেনাপতিদের কাছে তিনি সেগুলো রক্ষা করবার ভার দিলেন।

11. রাজা যখন সদাপ্রভুর ঘরে যেতেন তখন পাহারাদার সৈন্যেরা সেই ঢালগুলো নিয়ে তাঁর সংগে যেত এবং পরে তারা সেগুলো পাহারা-ঘরে জমা দিত।

12. রহবিয়াম নিজেকে নত করেছিলেন বলে তাঁর উপর সদাপ্রভুর যে ক্রোধ ছিল তা থেমে গেল এবং তাঁর সর্বনাশ হল না। তখনও যিহূদার মধ্যে কিছু ভাল ছিল।

13. রাজা রহবিয়াম যিরূশালেমে নিজেকে শক্তভাবে প্রতিষ্ঠা করে রাজত্ব করেছিলেন। তিনি যখন রাজা হয়েছিলেন তখন তাঁর বয়স ছিল একচল্লিশ। ইস্রায়েলের গোষ্ঠীগুলোর সমস্ত জায়গার মধ্য থেকে যে শহরটা সদাপ্রভু নিজের বাসস্থান হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন সেই যিরূশালেম শহরে রহবিয়াম সতেরো বছর রাজত্ব করেছিলেন। রহবিয়ামের মায়ের নাম ছিল নয়মা; তিনি ছিলেন অম্মোনীয়া।

14. সদাপ্রভুর ইচ্ছামত চলবার জন্য মন স্থির করেন নি বলে রহবিয়াম যা মন্দ তা-ই করতেন।

15. রহবিয়ামের অন্যান্য কাজের কথা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত নবী শময়িয়ের লেখা এবং দর্শক ইদ্দোর লেখা বংশ-তালিকায় লেখা আছে। রহবিয়াম ও যারবিয়ামের মধ্যে অনবরত যুদ্ধ চলত।

16. পরে রহবিয়াম তাঁর পূর্বপুরুষদের কাছে চলে গেলেন এবং দায়ূদ-শহরে তাঁকে কবর দেওয়া হল। তাঁর জায়গায় তাঁর ছেলে অবিয় রাজা হলেন।