অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16
  17. 17
  18. 18
  19. 19
  20. 20
  21. 21
  22. 22
  23. 23
  24. 24
  25. 25
  26. 26
  27. 27
  28. 28
  29. 29
  30. 30
  31. 31
  32. 32
  33. 33
  34. 34
  35. 35
  36. 36
  37. 37
  38. 38
  39. 39
  40. 40
  41. 41
  42. 42
  43. 43
  44. 44
  45. 45
  46. 46
  47. 47
  48. 48
  49. 49
  50. 50
  51. 51
  52. 52
  53. 53
  54. 54
  55. 55
  56. 56
  57. 57
  58. 58
  59. 59
  60. 60
  61. 61
  62. 62
  63. 63
  64. 64
  65. 65
  66. 66

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

ইশাইয়া 59 কিতাবুল মোকাদ্দস (BACIB)

ইসরাইলের গুনাহ্‌

1. দেখ, মাবুদের হাত এমন সংকীর্ণ নয় যে, তিনি উদ্ধার করতে পারেন না; তাঁর কান এমন ভারী নয় যে, তিনি শুনতে পান না;

2. কিন্তু তোমাদের অপরাধগুলো তোমাদের আল্লাহ্‌র সঙ্গে তোমাদের বিচ্ছেদ সৃষ্টি করেছে, তোমাদের সমস্ত গুনাহ্‌ তোমাদের থেকে তাঁর শ্রীমুখ আচ্ছাদন করেছে, এজন্য তিনি শোনেন না।

3. বস্তুত তোমাদের হাত রক্তে ও তোমাদের অঙ্গুল অপরাধে নাপাক হয়েছে, তোমাদের ঠোট মিথ্যা কথা বলেছে, তোমাদের জিহ্বা নাফরমানীর কথা বলে।

4. কেউ ধার্মিকতায় অভিযোগ করে না, কেউ সত্যে যুক্তি প্রদর্শন করে না; তারা অবস্তুতে নির্ভর করে ও মিথ্যা বলে, গর্ভে অনিষ্ট ধারণ করে ও অন্যায় প্রসব করে।

5. তারা কালসাপের ডিম ফুটায় ও মাকড়সার জাল বুনে; যে তাদের ডিম খায়, সে মারা পড়ে, তা ফুটলে কালসাপ বের হয়।

6. তাদের জালের সুতায় কাপড় হবে না, তাদের কাজে তারা আচ্ছাদিত হবে না, তাদের সমস্ত কাজ অধর্মের কাজ, তাদের হাতে দৌরাত্ম্যের কাজ থাকে।

7. তাদের পা দুষ্কর্মের দিকে দৌড়ে যায়, তারা নির্দোষের রক্তপাত করতে ত্বরান্বিত হয়; তাদের সমস্ত চিন্তা অধর্মের চিন্তা, তাদের পথে ধ্বংস ও বিনাশ থাকে।

8. তারা শান্তির পথ জানে না, তাদের পথে বিচার নেই; তারা নিজেদের পথ বাঁকা করেছে; যে কেউ সেই পথে যায়, সে শান্তি কি তা জানে না।

9. এজন্য বিচার আমাদের থেকে দূরে থাকে, ধার্মিকতা আমাদের সঙ্গ ধরতে পারে না; আমরা আলোর অপেক্ষা করি, কিন্তু দেখ, অন্ধকার; আলোর অপেক্ষা করি, কিন্তু অন্ধকারে ভ্রমণ করি।

10. আমরা অন্ধ লোকদের মত দেওয়ালের জন্য হাতড়াই, চোখহীন লোকদের মত হাতড়াই; যেমন সন্ধ্যাবেলা তেমনি মধ্যাহ্নে আমরা হোঁচট খাই, মৃতদের মত আমরা অন্ধকার-স্থানে থাকি।

11. আমরা সকলে ভল্লুকের মত গর্জন করি, ঘুঘুর মত দারুণ মাতম করি; আমরা বিচারের অপেক্ষা করি, কিন্তু তা নেই; উদ্ধারের অপেক্ষা করি, কিন্তু তা আমাদের থেকে দূরবর্তী।

12. কেননা তোমার সাক্ষাতে আমাদের অধর্ম অনেক হয়েছে, আমাদের গুনাহ্‌গুলো আমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিচ্ছে; ফলে আমাদের সমস্ত অধর্ম আমাদের সঙ্গে সঙ্গে রয়েছে, আর আমরা নিজেদের অপরাধগুলো জানি;

13. সেগুলো অধর্ম ও মাবুদকে অস্বীকার, তার আল্লাহ্‌র পিছনে চলা থেকে বিমুখ হওয়া, উপদ্রবের ও বিদ্রোহের কথাবার্তা, মিথ্যা কথা দিলে ধারণ ও দিল থেকে বের করণ।

14. আর ন্যায়বিচারকে পিছনে হটিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং ধার্মিকতা দূরে দাঁড়িয়ে রয়েছে; বস্তুত চকে সত্য হোঁচট খেয়ে পড়েছে ও সরলতা প্রবেশ করতে পায় না।

15. সত্য হারিয়ে গেছে, দুষ্কর্মত্যাগী লোক লুণ্ঠিত হচ্ছে। আর মাবুদ দৃষ্টিপাত করলেন, ন্যায়বিচার না থাকাতে অসন্তুষ্ট হলেন।

16. তিনি দেখলেন, সেখানে এমন কেউ নেই দেখে অবাক হলেন, কারণ সেখানে অনুরোধকারীও কেউ নেই; এই জন্য তাঁরই বাহু তাঁর জন্য উদ্ধার সাধন করলো, তাঁরই ধর্মশীলতা তাঁকে তুলে ধরলো।

17. তিনি ধর্মশীলতারূপ বুকপাটা বাঁধলেন, মাথায় উদ্ধাররূপ শিরস্ত্র ধারণ করলেন, তিনি প্রতিশোধরূপ পোশাক পরলেন, পরিচ্ছদের মত উদ্যোগ-পরিহিত হলেন।

18. লোকদের কাজ যেমন, তদনুসারেই তিনি প্রতিফল দেবেন; তার বিপক্ষদের ক্রোধরূপ, তার দুশমনদের প্রতিশোধরূপ দণ্ড দেবেন; উপকূলগুলোকে অপকারের প্রতিফল দেবেন।

19. তাতে পশ্চিম দেশীয়েরা মাবুদের নাম ভয় করবে, সূর্যোদয়স্থানের লোকেরা তাঁর প্রতাপ থেকে ভয় পাবে; কারণ তিনি এমন প্রবল বন্যার মত আসবেন, যা মাবুদের বায়ু দ্বারা তাড়িত।

20. আর এক জন মুক্তিদাতা আসবেন, সিয়োনের জন্য, ইয়াকুবের মধ্যে যারা অধর্ম থেকে ফিরে আসে তাদের জন্য, মাবুদ এই কথা বলেন।

21. মাবুদ বলেন, তাদের সঙ্গে আমার নিয়ম এই, আমার রূহ্‌, যিনি তোমাতে অবস্থিতি করেছেন ও আমার সমস্ত কালাম, যা আমি তোমার মুখে দিয়েছি, সেসব তোমার মুখ থেকে, তোমার বংশের মুখ থেকে ও তোমার বংশোৎপন্ন বংশের মুখ থেকে আজ থেকে অনন্তকাল পর্যন্ত কখনও দূর করা যাবে না; মাবুদ এই কথা বলেন।