অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16
  17. 17
  18. 18
  19. 19
  20. 20
  21. 21
  22. 22
  23. 23
  24. 24
  25. 25
  26. 26
  27. 27
  28. 28
  29. 29
  30. 30
  31. 31
  32. 32
  33. 33
  34. 34
  35. 35
  36. 36
  37. 37
  38. 38
  39. 39
  40. 40
  41. 41
  42. 42
  43. 43
  44. 44
  45. 45
  46. 46
  47. 47
  48. 48
  49. 49
  50. 50
  51. 51
  52. 52
  53. 53
  54. 54
  55. 55
  56. 56
  57. 57
  58. 58
  59. 59
  60. 60
  61. 61
  62. 62
  63. 63
  64. 64
  65. 65
  66. 66

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

ইশাইয়া 38 কিতাবুল মোকাদ্দস (BACIB)

হিষ্কিয়ের অসুস্থতা

1. সেই সময়ে হিষ্কিয়ের সাংঘাতিক অসুখ হয়েছিল। আর আমোজের পুত্র নবী ইশাইয়া তাঁর কাছে এসে বললেন, মাবুদ এই কথা বলেন, তুমি তোমার বাড়ির ব্যবস্থা করে রাখ, কেননা তোমার মৃত্যু হবে, তুমি বাঁচবে না।

2. তখন হিষ্কিয় দেয়ালের দিকে মুখ ফিরিয়ে মাবুদের কাছে মুনাজাত করে বললেন,

3. হে মাবুদ, আরজ করি, তুমি এখন স্মরণ কর; আমি তোমার সাক্ষাতে বিশ্বস্ততায় ও একাগ্র চিত্তে চলেছি এবং তোমার দৃষ্টিতে যা ভাল, তা-ই করেছি। আর হিষ্কিয় ভীষণভাবে কান্নাকাটি করতে লাগলেন।

4. তখন ইশাইয়ার কাছে মাবুদের এই কালাম নাজেল হল,

5. যাও, হিষ্কিয়কে বল, তোমার পূর্বপুরুষ দাউদের আল্লাহ্‌ মাবুদ এই কথা বলেন, আমি তোমার মুনাজাত শুনলাম; আমি তোমার চোখের পানি দেখলাম; দেখ, আমি তোমার আয়ু পনের বছর বৃদ্ধি করবো,

6. এবং আসেরিয়া দেশের বাদশাহ্‌র হাত থেকে তোমাকে ও এই নগরকে উদ্ধার করবো; আমি এই নগরের ঢালস্বরূপ হবো।

7. আর মাবুদ যে কথা বলেছেন, তা যে সফল করবেন, তার এই চিহ্ন মাবুদ থেকে আপনাকে দেওয়া যাবে।

8. দেখ, আহসের সোপানে ছায়া সূর্যের সঙ্গে ধাপগুলোতে যত ধাপ নেমে গেছে, আমি তার দশ ধাপ পিছনে ফিরিয়ে দেব। পরে সূর্য যত ধাপ নেমে গিয়েছিল, তার দশ ধাপ ফিরে গেল।

9. এহুদার বাদশাহ্‌ হিষ্কিয়ের লেখা; তিনি অসুস্থ হয়ে যখন অসুস্থতা থেকে সুস্থতা লাভ করেন, তখন তিনি এই কথা লিখেছিলেন।

10. আমি বললাম, আমার আয়ুর মধ্যাহ্নে আমি পাতালের তোরণদ্বারে প্রবেশ করবো,আমার অবশিষ্ট বছরগুলো থেকে বঞ্চিত হলাম।

11. আমি বললাম, আমি মাবুদকে জীবিতদের দেশে তাঁকে আর দেখব না,দুনিয়ার নিবাসী মানুষকেও আর দেখব না।

12. ভেড়ার রাখালের তাঁবুর মত আমার আবাস উঠিয়ে আমার কাছ থেকে নিয়ে নেওয় হল;আমি তন্তুবায়ের মত আমার আয়ু গুটালাম;তিনি তাঁত থেকে আমাকে কেটে ফেললেন;তুমি এক দিবারাত্রের মধ্যে আমাকে শেষ করলে।

13. আমি সকাল পর্যন্ত নীরব থাকলাম;তিনি সিংহের মত আমার সমস্ত অস্থি চূর্ণ করলেন;তুমি এক দিবারাত্রের মধ্যে আমাকে শেষ করলে।

14. তালচোঁচ ও সারসের মত আমি চিঁচিঁ আওয়াজ করছিলাম,ঘুঘুর মত কাতরোক্তি করছিলাম;উপর দিকে দৃষ্টিপাত করতে করতে আমার চোখ ক্ষীণ হল;হে মাবুদ, আমি নির্যাতিত, তুমি আমার সহায় হও।

15. আমি কি বলবো? তিনি আমাকে বললেন,এবং নিজেই সাধন করলেন;আমার প্রাণের তিক্ততার কারণে অবশিষ্ট সমস্ত বছর আমি ধীরে ধীরে গমন করবো।

16. হে মালিক, এই সকলের দ্বারা লোকেরা জীবিত থাকে,কেবল এতেই আমার রূহের জীবন;আমাকে সুস্থ কর, আমাকে সঞ্জীবিত কর।

17. দেখ, আমার শান্তির জন্যই আমার তিক্ততা, তিক্ততা উপস্থিত হল;কিন্তু তুমি প্রেমে আমার প্রাণকে বিনাশকূপ থেকে উদ্ধার করলে,তুমি তো আমার সমস্ত গুনাহ্‌ তোমার পিছনে ফেলেছ।

18. পাতাল তো তোমার প্রশংসা-গজল করে না;মৃত্যু তোমার প্রশংসা করে না;পাতালবাসীরা তোমার বিশ্বস্ততার অপেক্ষা করে না।

19. জীবিত, জীবিত লোকই তোমার প্রশংসা-গজল করবে,আমি যেমন আজ করছি;পিতা সন্তানদেরকে তোমার বিশ্বস্ততার কথা জানাবে।

20. মাবুদ আমাকে নিস্তার করবেন;এবং আমরা তারযুক্ত যন্ত্রে কাওয়ালী গাইব,যত দিন জীবিত থাকি, মাবুদের গৃহে গাইব।

21. ইশাইয়া বলেছিলেন, ডুমুরফলের চাপ নিয়ে ছেঁচে স্ফোটকের উপরে প্রলেপ দেওয়া হোক, তাতে তিনি বাঁচবেন।

22. আর হিষ্কিয় বলেছিলেন, আমি যে মাবুদের গৃহে উঠতে পারব, এর চিহ্ন কি?