অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16
  17. 17
  18. 18
  19. 19
  20. 20
  21. 21
  22. 22
  23. 23
  24. 24
  25. 25
  26. 26
  27. 27
  28. 28
  29. 29
  30. 30
  31. 31
  32. 32
  33. 33
  34. 34
  35. 35
  36. 36
  37. 37
  38. 38
  39. 39
  40. 40
  41. 41
  42. 42
  43. 43
  44. 44
  45. 45
  46. 46
  47. 47
  48. 48
  49. 49
  50. 50
  51. 51
  52. 52
  53. 53
  54. 54
  55. 55
  56. 56
  57. 57
  58. 58
  59. 59
  60. 60
  61. 61
  62. 62
  63. 63
  64. 64
  65. 65
  66. 66

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

ইশাইয়া 57 কিতাবুল মোকাদ্দস (BACIB)

ইসরাইলের নিষ্ফল মূর্তিপূজা

1. ধার্মিক বিনষ্ট হচ্ছে, কিন্তু কেউ সেই বিষয়ে মনোযোগ করে না; আল্লাহ্‌ভক্ত ব্যক্তিরা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু কেউ বিবেচনা করে না। তবুও বিপদের সম্মুখ থেকে ধার্মিককে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

2. সে শান্তিতে প্রবেশ করে; সরল পথগামীরা প্রত্যেকে নিজ নিজ বিছানার উপরে বিশ্রাম করে।

3. কিন্তু, হে জাদুকারিণীর পুত্ররা, জেনাকারী ও পতিতার বংশ, তোমরা এগিয়ে এখানে এসো।

4. তোমরা কাকে উপহাস কর? কাকে দেখে মুখ বাঁকা কর ও জিহ্বা বের কর? তোমরা কি অধর্মের সন্তান ও মিথ্যাবাদীর বংশ নও?

5. তোমরা এলা গাছগুলোর মধ্যে সমস্ত সবুজ গাছের তলে কামনায় জ্বলে ওঠো, তোমরা নানা উপত্যকায় ও শৈল-ফাটলের তলে নিজ নিজ বালকদেরকে জবেহ্‌ করে থাক।

6. উপত্যকার মসৃণ পাথরগুলোর মধ্যে তোমার অংশ, সেগুলোই তোমার অধিকার; তাদেরই উদ্দেশে তুমি পানীয় দ্রব্য ঢেলেছ, নৈবেদ্য উৎসর্গ করেছ। এই সমস্ত দেখে আমি কি ক্ষান্ত হব?

7. তুমি উঁচু ও তুঙ্গ পর্বতের উপরে তোমার বিছানা পেতেছ; সেই স্থানেও তুমি কোরবানী করতে উঠেছিলে;

8. আর তোমার প্রতীক দরজা ও চৌকাঠের পিছনে রেখেছ; কেননা তুমি আমাকে ছেড়ে আর এক জনকে পেয়ে কাপড় খুলে পালঙ্কে উঠেছ, নিজের বিছানা বৃদ্ধি করে ওদের সঙ্গে নিয়ম করেছ, ওদের বিছানা দেখে তা ভালবেসেছ।

9. আর তুমি তেল মেখে বাদশাহ্‌র কাছে গমন করেছিলে, প্রচুর সুগন্ধিদ্রব্য ব্যবহার করেছিলে, দূরদেশে তোমার দূতদেরকে প্রেরণ করেছিলে এবং পাতাল পর্যন্ত নিজেকে অবনত করেছিলে।

10. বেশি যাতায়াতের দরুন তুমি পথশ্রান্তা হয়েছিলে, তবুও ‘আশা নেই’ এমন কথা বল নি; তোমার হাতের নাড়ী টের পেয়েছে, এজন্য তুমি ক্লান্ত হও নি।

11. বল দেখি, কার কাছ থেকে এমন ত্রাসযুক্ত ও ভীত হয়েছ যে, মিথ্যা কথা বলছো? এবং আমাকে ভুলে গিয়েছ, মনে স্থান দাও নি? আমি কি চিরকাল ধরে নীরব থাকি নি, তাই বুঝি আমাকে ভয় কর না?

12. আমি তোমার ধার্মিকতার তত্ত্ব আর তোমার সমস্ত কাজ দেখাব! সেসব তোমার উপকারী হবে না।

13. তুমি যখন সাহায্যের জন্য কান্নাকাটি কর, তখন তোমার সঞ্চিত মূর্তিরা তোমাকে উদ্ধার করুক। কিন্তু বায়ু তাদেরকে উড়িয়ে নিয়ে যাবে, একটি নিশ্বাস সেগুলোকে নিয়ে যাবে; কিন্তু যে ব্যক্তি আমার শরণাপন্ন সে দেশের অধিকার পাবে ও আমার পবিত্র পর্বত অধিকার করবে।

মাবুদের সাহায্যের ওয়াদা

14. আর বলা হবে,উঁচু কর, উঁচু কর, পথ পরিষ্কার কর,আমার লোকদের পথ থেকে সমস্ত বাধা দূর কর।

15. কেননা যিনি উঁচু ও উন্নত, যিনি অনন্তকাল-নিবাসী, যাঁর নাম “পবিত্র”, তিনি এই কথা বলেন, আমি ঊর্ধ্বলোকে ও পবিত্র স্থানে বাস করি, চূর্ণ ও নম্র রূহ্‌ সম্পন্ন মানুষের সঙ্গেও বাস করি, যেন নম্র লোকদের রূহ্‌ ও চূর্ণ লোকদের হৃদয়কে সঞ্জীবিত করি।

16. কারণ আমি প্রতিদিন ঝগড়া করবো না, সব সময় ক্রোধ করবো না; করলে রূহ্‌ এবং আমার নির্মিত সমস্ত প্রাণী, আমার সম্মুখে মূর্চ্ছা যাবে।

17. তার লোভরূপ অপরাধে আমি ক্রুদ্ধ হলাম ও তাকে আঘাত করলাম, আমার মুখ লুকিয়ে ক্রোধ করলাম, তবুও সে বিমুখ হয়ে তার মনের মত পথে চললো।

18. আমি তার সমস্ত পথ দেখেছি, আর তাকে সুস্থ করবো; আমি তার পথপ্রদর্শকও হব এবং তাকে ও তার শোকাকুলদেরকে সান্ত্বনারূপ ধন দেব। আমি ওষ্ঠাধরের ফল সৃষ্টি করি;

19. শান্তি, শান্তি নিকটবর্তী ও দূরবর্তী উভয়েরই, মাবুদ এই কথা বলেন; হ্যাঁ, আমি তাকে সুস্থ করবো!

20. কিন্তু দুষ্টরা আলোড়িত সমুদ্রের মত, তা তো স্থির হতে পারে না ও তার পানিতে পাঁক ও কাদা ওঠে।

21. আমার আল্লাহ্‌ বলেন, দুষ্ট লোকদের কোন কিছুতেই শান্তি নেই।