অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16
  17. 17
  18. 18
  19. 19
  20. 20
  21. 21
  22. 22
  23. 23
  24. 24
  25. 25
  26. 26
  27. 27
  28. 28
  29. 29
  30. 30
  31. 31
  32. 32
  33. 33
  34. 34
  35. 35
  36. 36
  37. 37
  38. 38
  39. 39
  40. 40
  41. 41
  42. 42
  43. 43
  44. 44
  45. 45
  46. 46
  47. 47
  48. 48
  49. 49
  50. 50
  51. 51
  52. 52

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

ইয়ারমিয়া 26 Kitabul Mukkadas (MBCL)

হযরত ইয়ারমিয়া (আঃ)-কে মৃত্যুর ভয় দেখানো

1. ইউসিয়ার ছেলে এহুদার বাদশাহ্‌ যিহোয়াকীমের রাজত্বের প্রথম দিকে মাবুদ ইয়ারমিয়াকে বললেন,

2. “আমি মাবুদ বলছি, তুমি আমার ঘরের উঠানে গিয়ে দাঁড়াও এবং এহুদার শহরগুলো থেকে যে সব লোক এবাদতের জন্য আমার ঘরে আসে তাদের সবাইকে আমি তোমাকে যে সব কথা বলতে হুকুম দিয়েছি তার প্রত্যেকটি কথা বল, একটা কথাও বাদ দিয়ো না।

3. হয়তো তারা শুনবে এবং প্রত্যেকে তার খারাপ পথ থেকে ফিরে আসবে। তাহলে তাদের অন্যায় কাজের জন্য আমি তাদের উপর যে বিপদ আনবার পরিকল্পনা করেছি তা আর আনব না।

4. তুমি তাদের এই কথা বলবে যে, মাবুদ বলছেন, ‘তোমরা এতদিন আমার কথা শোন নি এবং তোমাদের সামনে আমি যে শরীয়ত রেখেছি তা পালন কর নি;

5. এছাড়া আমি বারে বারে আমার যে গোলামদের, অর্থাৎ নবীদের তোমাদের কাছে পাঠিয়েছি তাদের কথাও শোন নি।

6. তোমরা যদি এই রকম করতেই থাক তবে আমি এই ঘরটাকে শীলোর মত করব এবং এমন করব যাতে দুনিয়ার সমস্ত জাতি এই শহরের নাম নিয়ে বদদোয়া দেয়।’ ”

7. মাবুদের ঘরে ইয়ারমিয়া যখন এই সব কথা বললেন তখন ইমাম, নবী ও সব লোকেরা তা শুনল।

8. কিন্তু মাবুদের হুকুম মত ইয়ারমিয়া সব কথা বলা যেই শেষ করলেন তখনই ইমাম, নবী ও সমস্ত লোকেরা তাঁকে ধরে বলল, “তোমাকে মরতে হবে।

9. কেন তুমি মাবুদের নাম নিয়ে এই ভবিষ্যদ্বাণী করছ যে, এই ঘর শীলোর মত হবে এবং এই শহরটা ধ্বংস ও জনশূন্য হবে?” এই বলে সব লোক মাবুদের ঘরে ইয়ারমিয়াকে ঘিরে ধরল।

10. এহুদার রাজকর্মচারীরা এই সব কথা শুনে রাজবাড়ী থেকে মাবুদের ঘরে আসলেন এবং মাবুদের ঘরের নতুন দরজায় ঢুকবার পথে বসলেন।

11. তখন ইমাম ও নবীরা সেই রাজকর্মচারীদের ও সব লোকদের বললেন, “এই লোকটি মৃত্যুর শাস্তি পাওয়ার যোগ্য, কারণ সে এই শহরের বিরুদ্ধে ভবিষ্যদ্বাণী বলেছে; আর তোমরা নিজের কানেই তা শুনেছ।”

12. তখন ইয়ারমিয়া সব রাজকর্মচারী ও সব লোকদের বললেন, “আপনারা এই ঘর ও শহরের বিরুদ্ধে যা শুনলেন সেই সব কথা বলতে মাবুদই আমাকে পাঠিয়েছেন।

13. এখন আপনারা আপনাদের চলাফেরা ও কাজ সংশোধন করুন এবং আপনাদের মাবুদ আল্লাহ্‌র কথা শুনুন। তাহলে মাবুদ আপনাদের বিরুদ্ধে যে বিপদ পাঠাবার কথা বলেছেন তা আর পাঠাবেন না।

14. দেখুন, আমি তো আপনাদের হাতেই রয়েছি; আপনারা যা ভাল ও ন্যায্য মনে করেন তা-ই আমার প্রতি করুন।

15. তবে এটা নিশ্চয়ই জানবেন যে, আপনারা যদি আমাকে মেরে ফেলেন তবে নির্দোষের রক্তপাতের অন্যায় আপনারা নিজেদের উপরে এবং এই শহরের উপরে ও যারা এখানে বাস করে তাদের উপরে নিয়ে আসবেন; কারণ এই সব কথা আপনাদের শোনাবার জন্য সত্যিই মাবুদ আমাকে পাঠিয়েছেন।”

16. তখন রাজকর্মচারীরা ও সব লোকেরা ইমাম ও নবীদের বললেন, “এই লোকটি মৃত্যুর শাস্তির উপযুক্ত নয়। তিনি আমাদের মাবুদ আল্লাহ্‌র নাম করে আমাদের কাছে কথা বলেছেন।”

17. এর পর দেশের বৃদ্ধ নেতাদের মধ্যে কয়েকজন এগিয়ে এসে জমায়েত হওয়া সমস্ত লোকদের বললেন,

18. “এহুদার বাদশাহ্‌ হিষ্কিয়ের সময়ে মোরেষ্টীয় মিকাহ্‌ নবী হিসাবে কথা বলতেন। তিনি এহুদার লোকদের বলেছিলেন, ‘আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামীন বলছেন যে, সিয়োনকে ক্ষেতের মত করে চাষ করা হবে, জেরুজালেম হবে ধ্বংসের স্তূপ আর বায়তুল-মোকাদ্দসের পাহাড়টা ঘন ঝোপ-ঝাড়ে ঢাকা পড়বে।’

19. এহুদার বাদশাহ্‌ হিষ্কিয় কিংবা এহুদার অন্য কেউ কি মিকাহ্‌কে হত্যা করেছিলেন? হিষ্কিয় কি মাবুদকে ভয় করেন নি এবং তাঁর রহমত ভিক্ষা করেন নি? এতে মাবুদ লোকদের উপর যে বিপদ পাঠাবার কথা বলেছিলেন তা আর পাঠান নি। কিন্তু আমরা তো নিজেদের উপর একটা ভীষণ বিপদ ডেকে আনছি।”

20. কিরিয়ৎ-যিয়ারীমের শময়িয়ের ছেলে উরিয়া ছিলেন আর একজন যিনি মাবুদের নামে নবী হিসাবে কথা বলতেন। তিনিও ইয়ারমিয়ার মত এই শহর ও এই দেশের বিরুদ্ধে একই রকম কথা বললেন।

21. বাদশাহ্‌ যিহোয়াকীম ও তাঁর সব সেনাপতি ও রাজকর্মচারীরা যখন উরিয়ার কথা শুনলেন তখন বাদশাহ্‌ তাঁকে হত্যা করবার চেষ্টা করলেন। কিন্তু উরিয়া সেই কথা শুনে ভয়ে মিসর দেশে পালিয়ে গেলেন।

22. বাদশাহ্‌ যিহোয়াকীম তখন অক্‌বোরের ছেলে ইল্‌নাথনকে এবং তাঁর সংগে আরও কয়েকজনকে মিসরে পাঠিয়ে দিলেন।

23. তারা মিসর থেকে উরিয়াকে নিয়ে এসে বাদশাহ্‌ যিহোয়াকীমের কাছে নিয়ে গেল; বাদশাহ্‌ তাঁকে তলোয়ার দিয়ে হত্যা করে তাঁর লাশ সাধারণ লোকদের কবরস্থানে ফেলে দিলেন।

24. কিন্তু শাফনের ছেলে অহীকাম ইয়ারমিয়ার পক্ষে ছিলেন, তাই ইয়ারমিয়াকে হত্যা করবার জন্য লোকদের হাতে দেওয়া হয় নি।