অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16
  17. 17
  18. 18
  19. 19
  20. 20
  21. 21
  22. 22
  23. 23
  24. 24
  25. 25
  26. 26
  27. 27
  28. 28
  29. 29
  30. 30
  31. 31
  32. 32
  33. 33
  34. 34
  35. 35
  36. 36
  37. 37
  38. 38
  39. 39
  40. 40
  41. 41
  42. 42
  43. 43
  44. 44
  45. 45
  46. 46
  47. 47
  48. 48
  49. 49
  50. 50
  51. 51
  52. 52

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

ইয়ারমিয়া 14 Kitabul Mukkadas (MBCL)

খরা, দুর্ভিক্ষ ও যুদ্ধ

1. খরা সম্বন্ধে মাবুদ ইয়ারমিয়াকে বললেন,

2. “এহুদা শোক করছে, কারণ তার শহরগুলো দুর্বল হয়ে পড়েছে; সেখানকার লোকেরা মাটিতে পড়ে শোক করছে, আর জেরুজালেম থেকে একটা কান্নার শব্দ উপরে উঠছে।

3. গণ্যমান্য লোকেরা পানির জন্য তাদের চাকরদের পাঠায়; তারা পানির জায়গায় এসে পানি না পেয়ে খালি কলসী নিয়ে ফিরে যায়; তারা লজ্জিত ও হতাশ হয়ে মাথা ঢাকে।

4. মাটি ফেটে গেছে, কারণ দেশে কোন বৃষ্টি হয় নি; চাষীরা হতাশ হয়ে মাথায় হাত দেয়।

5. এমন কি, মাঠে ঘাস নেই বলে হরিণী প্রসব করে তার বাচ্চাকে ফেলে যায়।

6. বুনো গাধারা গাছপালাশূন্য পাহাড়ের উপরে দাঁড়িয়ে শিয়ালের মত হাঁপায়; ঘাসের অভাবে তাদের চোখের তেজ কমে যায়।”

7. হে মাবুদ, আমাদের গুনাহ্‌ যদিও আমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেয় তবুও তোমার সুনামের জন্য কিছু কর। আমরা অনেকবার বিপথে গিয়েছি; আমরা তোমার বিরুদ্ধে গুনাহ্‌ করেছি।

8. হে ইসরাইলের আশা, কষ্টের সময়কার উদ্ধারকর্তা, কেন তুমি দেশের মধ্যে অচেনার মত, এক রাত থাকা পথিকের মত হয়েছ?

9. কেন তুমি হতভম্ব হয়ে যাওয়া লোকের মত, রক্ষা করতে পারে না এমন যোদ্ধার মত হয়েছ? হে মাবুদ, তুমি আমাদের মধ্যেই আছ আর আমরা তো তোমারই; তুমি আমাদের ত্যাগ কোরো না।

10. এই লোকদের বিষয়ে মাবুদ বলছেন, “তারা ঘুরে বেড়াতে ভালবাসে; তারা তাদের পা থামায় না। তাই আমি তাদের কবুল করি না; আমি এবার তাদের দুষ্টতার বিষয় মনে আনব আর গুনাহের জন্য শাস্তি দেব।”

11. তারপর মাবুদ আমাকে বললেন, “তুমি এই লোকদের উপকারের জন্য মুনাজাত কোরো না।

12. তারা যদিও বা রোজা রাখে তবুও তাদের কান্না আমি শুনব না; পোড়ানো-কোরবানী ও শস্য-কোরবানী দিলেও আমি তা কবুল করব না। তার বদলে যুদ্ধ, দুর্ভিক্ষ ও মহামারী দিয়ে আমি তাদের ধ্বংস করব।”

13. এতে আমি বললাম, “হায়, আল্লাহ্‌ মালিক! নবীরা তাদের বলছে, ‘তোমরা যুদ্ধ দেখবে না কিংবা দুর্ভিক্ষেও কষ্ট পাবে না। মাবুদ সত্যিই এই জায়গায় তোমাদের স্থায়ী শান্তি দান করবেন।’ ”

14. তখন মাবুদ আমাকে বললেন, “নবীরা আমার নাম করে মিথ্যা ভবিষ্যদ্বাণী বলছে। আমি তাদের পাঠাই নি, তাদের হুকুম দিই নি কিংবা তাদের কাছে কোন কথাও বলি নি। তারা তোমাদের কাছে মিথ্যা দর্শন, মিথ্যা গোণাপড়া ও নিজেদের মনগড়া মিথ্যা কথা বলে।

15. কাজেই যে সব নবীরা আমার নাম করে কথা বলছে তাদের সম্বন্ধে আমি মাবুদ এই কথা বলছি যে, আমি তাদের পাঠাই নি, তবুও তারা বলছে, ‘কোন যুদ্ধ বা দুর্ভিক্ষ এই দেশে আসবে না।’ ঐ সব নবীরাই যুদ্ধ বা দুর্ভিক্ষে ধ্বংস হয়ে যাবে।

16. যে সব লোকদের কাছে তারা নবী হিসাবে কথা বলছে তাদের লাশ দুর্ভিক্ষ ও যুদ্ধের ফলে জেরুজালেমের রাস্তায় রাস্তায় ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হবে। তাদের কিংবা তাদের স্ত্রী ও ছেলেমেয়েদের দাফন করবার জন্য কেউ থাকবে না। তাদের পাওনা দুর্দশা আমি তাদের উপরেই ঢেলে দেব।

17. “তুমি লোকদের কাছে এই কথা বল, ‘আমার চোখের পানি না থেমে দিনরাত আমার চোখ থেকে উপ্‌চে পড়ুক, কারণ আমার জাতির লোকেরা ভীষণ আঘাত, চুরমার-করা আঘাত পেয়েছে।

18. আমি বের হয়ে মাঠে গেলে নিহত লোকদের দেখতে পাই; আর শহরে গেলে দেখি দুর্ভিক্ষের দরুন ধ্বংস। নবী ও ইমামেরা এমন দেশে ঘুরে বেড়াচ্ছে যার সম্বন্ধে তারা কিছুই জানে না।’ ”

19. হে মাবুদ, তুমি কি এহুদাকে একেবারে অগ্রাহ্য করেছ? তুমি কি সিয়োনকে ঘৃণা করেছ? তুমি আমাদের কেন এমন কষ্ট দিয়েছ যে, আমরা সুস্থ হতে পারছি না? আমরা শান্তির আশা করেছিলাম কিন্তু কোন উপকার হল না, আমরা সুস্থ হবার আশা করেছিলাম কিন্তু ভীষণ ভয় উপস্থিত হল।

20. হে মাবুদ, আমরা আমাদের দুষ্টতা ও আমাদের পূর্বপুরুষদের দোষের কথা স্বীকার করছি; আমরা সত্যিই তোমার বিরুদ্ধে গুনাহ্‌ করেছি।

21. তোমার সুনাম রক্ষার জন্য তুমি আমাদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ো না; তোমার গৌরবময় সিংহাসনের জায়গাকে অসম্মানিত হতে দিয়ো না। আমাদের জন্য তোমার স্থাপন করা ব্যবস্থার কথা মনে কর; তুমি তা বাতিল কোরো না।

22. জাতিদের অসার মূর্তিগুলো কি বৃষ্টি আনতে পারে? আকাশ নিজে নিজে কি এক পশলা বৃষ্টি দিতে পারে? হে আমাদের মাবুদ আল্লাহ্‌, কেবল তুমিই তা পার। কাজেই তোমার উপরেই আমরা আশা রাখি, কারণ তুমিই এই সব করে থাক।