1. মহামারী থেমে যাওয়ার পরে মাবুদ মূসা ও ইমাম হারুনের ছেলে ইলিয়াসরকে বললেন,
2. “ইসরাইলীয়দের মধ্যে যাদের বয়স বিশ বা তার বেশী, অর্থাৎ যারা যুদ্ধে যাবার মত হয়েছে, পরিবার অনুসারে তোমরা তাদের সংখ্যা গণনা কর।”
3. কাজেই জেরিকোর উল্টা দিকে জর্ডান নদীর ধারে মোয়াবের যে সমভূমি আছে সেখানে ইমাম ইলিয়াসর ও মূসা নেতাদের বললেন,
4. “মাবুদ মূসাকে যে হুকুম দিয়েছেন সেই অনুসারে তোমরা বিশ বছর বা তার বেশী বয়সের পুরুষ লোকদের গণনা কর।”যে বনি-ইসরাইলরা মিসর দেশ থেকে বের হয়ে এসেছিল লোক গণনার সময় তাদের নাম লেখা হয়েছিল।
5. ইয়াকুবের প্রথম ছেলে রূবেণের বংশধর: এরা হল হনোক থেকে হনোকীয় বংশ, পল্লু থেকে পল্লুয়ীয় বংশ,
6. হিষ্রোণ থেকে হিষ্রোণীয় বংশ এবং কর্মী থেকে কর্মীয় বংশ।
7. এগুলো রূবেণ-গোষ্ঠীর বিভিন্ন বংশ। এদের মধ্য থেকে গণনা করা লোকদের সংখ্যা হল তেতাল্লিশ হাজার সাতশো ত্রিশ।
8. পল্লুর ছেলের নাম ছিল ইলীয়াব,
9. আর ইলীয়াবের ছেলেদের নাম হল নমূয়েল, দাথন ও অবীরাম। এই দাথন আর অবীরাম ছিল বনি-ইসরাইলদের সেই দু’জন নেতা যারা মূসা ও হারুনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল। আবার কারুনের দল যখন মাবুদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল তখন এরাও সেই দলের মধ্যে ছিল।
10. কারুনের সংগে এই দু’জনকেও দুনিয়া হাঁ করে গিলে ফেলেছিল; আর কারুনের দলের দু’শো পঞ্চাশ জন আগুনে পুড়ে মারা গিয়েছিল। এগুলো বনি-ইসরাইলদের জন্য সতর্ক করবার চিহ্ন হয়ে রইল।
11. তবে কারুনের ছেলেরা সেই সময় মারা যায় নি।
12. শিমিয়োনের বংশধর: এরা হল নমূয়েল থেকে নমূয়েলীয় বংশ, যামীন থেকে যামীনীয় বংশ, যাখীন থেকে যাখীনীয় বংশ,
13. সেরহ থেকে সেরহীয় বংশ এবং শৌল থেকে শৌলীয় বংশ।
14. এগুলো শিমিয়োন-গোষ্ঠীর বিভিন্ন বংশ। এদের মধ্য থেকে গণনা করা লোকদের সংখ্যা হল বাইশ হাজার দু’শো।
15. গাদের বংশধর: এরা হল সিফোন থেকে সিফোনীয় বংশ, হগি থেকে হগীয় বংশ, শূনি থেকে শূনীয় বংশ,
16. ওষ্ণি থেকে ওষ্ণীয় বংশ, এরি থেকে এরীয় বংশ,
17. আরোদ থেকে আরোদীয় বংশ এবং অরেলি থেকে অরেলীয় বংশ।
18. এগুলো গাদ-গোষ্ঠীর লোকদের বিভিন্ন বংশ। এদের মধ্য থেকে গণনা করা লোকদের সংখ্যা হল চল্লিশ হাজার পাঁচশো।
19-20. এহুদার বংশধর: এরা হল শেলা থেকে শেলায়ীয় বংশ, পেরস থেকে পেরসীয় বংশ এবং সেরহ থেকে সেরহীয় বংশ। এহুদার আরও দুই ছেলের নাম ছিল এর ও ওনন। এরা আগেই কেনান দেশে মারা গিয়েছিল।
21. পেরসের বংশধরদের বংশ হল হিষ্রোণ থেকে হিষ্রোণীয় বংশ এবং হামূল থেকে হামূলীয় বংশ।
22. এগুলো এহুদা-গোষ্ঠীর বিভিন্ন বংশ। এদের মধ্য থেকে গণনা করা লোকদের সংখ্যা হল ছিয়াত্তর হাজার পাঁচশো।
23. ইষাখরের বংশধর: এরা হল তোলয় থেকে তোলয়ীয় বংশ, পূয় থেকে পূনীয় বংশ,
24. যাশূব থেকে যাশূবীয় বংশ এবং শিম্রোণ থেকে শিম্রোণীয় বংশ।
25. এগুলো ইষাখর-গোষ্ঠীর বিভিন্ন বংশ। এদের মধ্য থেকে গণনা করা লোকদের সংখ্যা হল চৌষট্টি হাজার তিনশো।
26. সবূলূনের বংশধর: এরা হল সেরদ থেকে সেরদীয় বংশ, এলোন থেকে এলোনীয় বংশ এবং যহলেল থেকে যহলেলীয় বংশ।
27. এগুলো সবূলূন-গোষ্ঠীর বিভিন্ন বংশ। এদের মধ্য থেকে গণনা করা লোকদের সংখ্যা হল ষাট হাজার পাঁচশো।
28. মানশা আর আফরাহীমের মধ্য দিয়ে ইউসুফের বংশধর:
29. মানশার বংশধরদের বংশ হল মাখীর থেকে মাখীরীয় বংশ এবং গিলিয়দ থেকে গিলিয়দীয় বংশ। গিলিয়দ ছিল মাখীরের ছেলে।
30. গিলিয়দের বংশধরদের বংশ হল ঈয়েষর থেকে ঈয়েষরীয় বংশ, হেলক থেকে হেলকীয় বংশ,
31. অস্রীয়েল থেকে অস্রীয়েলীয় বংশ, শেখম থেকে শেখমীয় বংশ,
32. শিমীদা থেকে শিমীদায়ীয় বংশ এবং হেফর থেকে হেফরীয় বংশ।
33. হেফরের ছেলে সলফাদের কোন ছেলে ছিল না, কেবল মেয়ে ছিল। সেই মেয়েদের নাম হল মহলা, নোয়া, হগ্লা, মিল্কা ও তির্সা।
34. এগুলো মানশা-গোষ্ঠীর বিভিন্ন বংশ। এদের মধ্য থেকে গণনা করা লোকদের সংখ্যা হল বাহান্ন হাজার সাতশো।
35. আফরাহীমের বংশধরদের বংশ হল শূথলহ থেকে শূথলহীয় বংশ, বেখর থেকে বেখরীয় বংশ এবং তহন থেকে তহনীয় বংশ।
36. শূথলহের বংশধরদের বংশ হল এরণ থেকে এরণীয় বংশ।
37. এগুলো আফরাহীম-গোষ্ঠীর লোকদের বিভিন্ন বংশ। এদের মধ্য থেকে গণনা করা লোকদের সংখ্যা হল বত্রিশ হাজার পাঁচশো। বংশ অনুসারে এরাই ছিল ইউসুফের বংশধর।
38. বিন্ইয়ামীনের বংশধর: এরা হল বেলা থেকে বেলায়ীয় বংশ, অস্বেল থেকে অস্বেলীয় বংশ, অহীরাম থেকে অহীরামীয় বংশ,
39. শূফম থেকে শূফমীয় বংশ এবং হূফম থেকে হূফমীয় বংশ।
40. অর্দ ও নামানের মধ্য দিয়ে বেলার বংশধরদের বংশ হল অর্দ থেকে অর্দীয় বংশ এবং নামান থেকে নামানীয় বংশ।
41. এগুলো বিন্যামীন-গোষ্ঠীর লোকদের বিভিন্ন বংশ। এদের মধ্য থেকে গণনা করা লোকদের সংখ্যা হল পয়তাল্লিশ হাজার ছ’শো।
42. দানের বংশধর: এরা হল শূহম থেকে শূহমীয় বংশ। এরাই ছিল দান-গোষ্ঠীর লোক।
43. এদের মধ্য থেকে গণনা করা লোকদের সংখ্যা হল চৌষট্টি হাজার চারশো।
44. আশেরের বংশধর: এরা হল যিম্ন থেকে যিম্নীয় বংশ, যিস্বি থেকে যিস্বীয় বংশ এবং বরিয় থেকে বরিয়ীয় বংশ।
45. বরিয়ের বংশধরদের বংশ হল হেবর থেকে হেবরীয় বংশ আর মল্কীয়েল থেকে মল্কীয়েলীয় বংশ।
46. আশেরের মেয়ের নাম ছিল সারহ।
47. এগুলো আশের-গোষ্ঠীর লোকদের বিভিন্ন বংশ। এদের মধ্য থেকে গণনা করা লোকদের সংখ্যা ছিল তিপ্পান্ন হাজার চারশো।
48. নপ্তালির বংশধর: এরা হল যহসীয়েল থেকে যহসীয়েলীয় বংশ, গূনি থেকে গূনীয় বংশ,
49. যেৎসর থেকে যেৎসরীয় বংশ এবং শিল্লেম থেকে শিল্লেমীয় বংশ।
50. এগুলো নপ্তালি-গোষ্ঠীর বিভিন্ন বংশ। এদের মধ্য থেকে গণনা করা লোকদের সংখ্যা হল পঁয়তাল্লিশ হাজার চারশো।
51. গণনা করা বনি-ইসরাইলদের মোট সংখ্যা হয়েছিল ছয় লক্ষ এক হাজার সাতশো ত্রিশ।
52. মাবুদ মূসাকে বললেন,
53. “গণনা করা লোকদের সংখ্যা অনুসারে দেশটা ভাগ করে দিতে হবে যাতে তারা তার অধিকারী হয়।
54. যে গোষ্ঠীর লোকসংখ্যা বেশী সেই গোষ্ঠীকে বেশী এবং যে গোষ্ঠীর লোকসংখ্যা কম সেই গোষ্ঠীকে কম জায়গা দিতে হবে। প্রত্যেক গোষ্ঠী তার গণনা করা লোকদের সংখ্যা অনুসারে জায়গার অধিকারী হবে।
55. কোথায় কোন্ গোষ্ঠী জায়গা পাবে তা গুলিবাঁট করে ঠিক করতে হবে। প্রত্যেক বংশের পাওনা অংশ তার গোষ্ঠীর নামে দেওয়া এলাকার মধ্যেই থাকবে।
56. গোষ্ঠীর লোকসংখ্যা কম হোক বা বেশী হোক গুলিবাঁটের মধ্য দিয়েই জায়গা ঠিক করা হবে।”
57. বংশ হিসাবে গণনা করা লেবীয়রা হল গের্শোন থেকে গের্শোনীয় বংশ, কহাৎ থেকে কহাতীয় বংশ এবং মরারি থেকে মরারীয় বংশ।
58. গের্শোন, কহাৎ ও মরারির বংশধরদের বংশ হল লিব্নীয় বংশ, হেবরনীয় বংশ, মহলীয় বংশ, মূশীয় বংশ এবং কারুনীয় বংশ। কহাতের এক বংশধরের নাম ছিল ইমরান।
59. ইমরানের স্ত্রীর নাম ছিল ইউখাবেজ। মিসর দেশে লেবি-গোষ্ঠীর মধ্যে তাঁর জন্ম হয়েছিল। তাঁর গর্ভে ইমরানের ছেলে হারুন ও মূসা এবং তাঁদের বোন মরিয়মের জন্ম হয়েছিল।
60. হারুনের ছেলেদের নাম ছিল নাদব, অবীহূ, ইলিয়াসর ও ঈথামর।
61. মাবুদের কাছে নিয়মের বাইরের আগুনে ধূপ কোরবানী করতে গিয়ে নাদব আর অবীহূ মারা গিয়েছিলেন।
62. এক মাস বা তার বেশী বয়সের লেবীয় পুরুষের সংখ্যা ছিল তেইশ হাজার। বনি-ইসরাইলদের মধ্যে এদের কোন জায়গার অধিকার দেওয়া হয় নি বলে অন্যান্য বনি-ইসরাইলদের সংগে এদের গোণা হয় নি।
63. জেরিকোর উল্টাদিকে জর্ডান নদীর ধারে মোয়াবের সমভূমিতে আদমশুমারীর সময় মূসা ও ইমাম ইলিয়াসর এই লোকদেরই গণনা করেছিলেন।
64. কিন্তু মূসা ও ইমাম হারুন যখন সিনাই মরুভূমিতে বনি-ইসরাইলদের গণনা করেছিলেন তখন এই সব লোকদের কেউ তাদের মধ্যে ছিল না।
65. ঐ সব বনি-ইসরাইলদের সম্বন্ধেই মাবুদ বলেছিলেন যে, তারা নিশ্চয়ই মরুভূমিতে মারা পড়বে। আর সত্যিই তাদের মধ্যে যিফুন্নির ছেলে কালুত ও নূনের ছেলে ইউসা ছাড়া আর কেউই বেঁচে ছিল না।