অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5
  6. 6
  7. 7
  8. 8
  9. 9
  10. 10
  11. 11
  12. 12
  13. 13
  14. 14
  15. 15
  16. 16
  17. 17
  18. 18
  19. 19
  20. 20
  21. 21
  22. 22
  23. 23
  24. 24
  25. 25
  26. 26
  27. 27
  28. 28
  29. 29
  30. 30
  31. 31
  32. 32
  33. 33
  34. 34
  35. 35
  36. 36

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

শুমারী 1 Kitabul Mukkadas (MBCL)

বনি-ইসরাইলদের প্রথম আদমশুমারী

1. বনি-ইসরাইলরা মিসর দেশ থেকে বের হয়ে আসবার পর দ্বিতীয় বছরের দ্বিতীয় মাসের প্রথম দিনে মাবুদ সিনাই মরুভূমিতে মিলন-তাম্বুর মধ্যে মূসার সংগে কথা বললেন। তিনি বললেন,

2-3. “তুমি বংশ ও পরিবার অনুসারে বনি-ইসরাইলদের মধ্যে যে সমস্ত পুরুষের বয়স বিশ বা তার বেশী, অর্থাৎ যারা যুদ্ধে যাওয়ার মত হয়েছে তাদের নাম এক এক করে লিখে প্রত্যেকের দল অনুসারে তুমি ও হারুন লোকদের গণনা করবে।

4. প্রত্যেক গোষ্ঠী থেকে একজন করে লোক তোমাকে সাহায্য করবে, আর সেই লোকটিকে হতে হবে তার বংশের নেতা।

5. যারা তোমাকে সাহায্য করবে তাদের নাম হল রূবেণ-গোষ্ঠীর শদেয়ূরের ছেলে ইলীষূর,

6. শিমিয়োন-গোষ্ঠীর সূরীশদ্দয়ের ছেলে শলুমীয়েল,

7. এহুদা-গোষ্ঠীর অম্মীনাদবের ছেলে নহশোন,

8. ইষাখর-গোষ্ঠীর সূয়ারের ছেলে নথনেল,

9. সবূলূন-গোষ্ঠীর হেলোনের ছেলে ইলীয়াব,

10. ইউসুফের ছেলেদের মধ্যে আফরাহীম-গোষ্ঠীর অম্মীহূদের ছেলে ইলীশামা আর মানশা-গোষ্ঠীর পদাহসূরের ছেলে গমলীয়েল,

11. বিন্যামীন-গোষ্ঠীর গিদিয়োনির ছেলে অবীদান,

12. দান-গোষ্ঠীর অম্মীশদ্দয়ের ছেলে অহীয়েষর,

13. আশের-গোষ্ঠীর অক্রণের ছেলে পগীয়েল,

14. গাদ-গোষ্ঠীর দ্যূয়েলের ছেলে ইলীয়াসফ,

15. আর নপ্তালি-গোষ্ঠীর ঐননের ছেলে অহীরঃ।”

16. বনি-ইসরাইলদের মধ্য থেকে এই সব লোকদের নিযুক্ত করা হল। এঁরা হলেন তাঁদের পূর্বপুরুষদের গোষ্ঠীর নেতা এবং বনি-ইসরাইলদের বিভিন্ন বংশের কর্তা।

17-18. মাবুদ যাঁদের নাম বলেছিলেন মূসা ও হারুন তাদের ডেকে নিলেন এবং সেই বছরের দ্বিতীয় মাসের প্রথম দিনে তাঁরা সমস্ত বনি-ইসরাইলদের একসংগে জমায়েত করলেন। বনি-ইসরাইলরা বংশ ও পরিবারের নাম বলে তাদের পূর্বপুরুষদের পরিচয় দিল। বিশ বা তার বেশী বয়সের পুরুষদের নাম এক এক করে লিখে নেওয়া হল।

19. সিনাই মরুভূমিতে মূসা মাবুদের হুকুম অনুসারে লোকদের গণনা করলেন।

20. ইসরাইলের বড় ছেলে রূবেণের বংশধরদের মধ্যে যাদের বয়স বিশ বা তার বেশী, অর্থাৎ যারা যুদ্ধে যাওয়ার মত হয়েছিল, বংশ ও পরিবারের পরিচয় অনুসারে এক এক করে তাদের নাম লিখে নেওয়া হল।

21. রূবেণ-গোষ্ঠী থেকে যাদের পাওয়া গেল তাদের সংখ্যা হল ছেচল্লিশ হাজার পাঁচশো।

22. শিমিয়োনের বংশধরদের মধ্যে যাদের বয়স বিশ বা তার বেশী, অর্থাৎ যারা যুদ্ধে যাওয়ার মত হয়েছিল, বংশ ও পরিবারের পরিচয় অনুসারে গণনা করে এক এক করে তাদের নাম লিখে নেওয়া হল।

23. শিমিয়োন-গোষ্ঠী থেকে যাদের পাওয়া গেল তাদের সংখ্যা হল ঊনষাট হাজার তিনশো।

24. গাদের বংশধরদের মধ্যে যাদের বয়স বিশ বা তার বেশী, অর্থাৎ যারা যুদ্ধে যাওয়ার মত হয়েছিল, বংশ ও পরিবারের পরিচয় অনুসারে তাদের নাম লিখে নেওয়া হল।

25. গাদ-গোষ্ঠী থেকে যাদের পাওয়া গেল তাদের সংখ্যা হল পঁয়তাল্লিশ হাজার ছ’শো পঞ্চাশ।

26. এহুদার বংশধরদের মধ্যে যাদের বয়স বিশ বা তার বেশী, অর্থাৎ যারা যুদ্ধে যাওয়ার মত হয়েছিল, বংশ ও পরিবারের পরিচয় অনুসারে তাদের নাম লিখে নেওয়া হল।

27. এহুদা-গোষ্ঠী থেকে যাদের পাওয়া গেল তাদের সংখ্যা হল চুয়াত্তর হাজার ছ’শো।

28. ইষাখরের বংশধরদের মধ্যে যাদের বয়স বিশ বা তার বেশী, অর্থাৎ যারা যুদ্ধে যাওয়ার মত হয়েছিল, বংশ ও পরিবারের পরিচয় অনুসারে তাদের নাম লিখে নেওয়া হল।

29. ইষাখর-গোষ্ঠী থেকে যাদের পাওয়া গেল তাদের সংখ্যা হল চুয়ান্ন হাজার চারশো।

30. সবূলূনের বংশধরদের মধ্যে যাদের বয়স বিশ বা তার বেশী, অর্থাৎ যারা যুদ্ধে যাওয়ার মত হয়েছিল, বংশ ও পরিবারের পরিচয় অনুসারে তাদের নাম লিখে নেওয়া হল।

31. সবূলূন-গোষ্ঠী থেকে যাদের পাওয়া গেল তাদের সংখ্যা হল সাতান্ন হাজার চারশো।

32. ইউসুফের ছেলেদের মধ্যে আফরাহীমের বংশধরদের মধ্যে যাদের বয়স বিশ বা তার বেশী, অর্থাৎ যারা যুদ্ধে যাওয়ার মত হয়েছিল, বংশ ও পরিবারের পরিচয় অনুসারে তাদের নাম লিখে নেওয়া হল।

33. আফরাহীম-গোষ্ঠী থেকে যাদের পাওয়া গেল তাদের সংখ্যা হল চল্লিশ হাজার পাঁচশো।

34. মানশার বংশধরদের মধ্যে যাদের বয়স বিশ বা তার বেশী, অর্থাৎ যারা যুদ্ধে যাওয়ার মত হয়েছিল, বংশ ও পরিবারের পরিচয় অনুসারে তাদের নাম লিখে নেওয়া হল।

35. মানশা-গোষ্ঠী থেকে যাদের পাওয়া গেল তাদের সংখ্যা হল বত্রিশ হাজার দু’শো।

36. বিন্‌ইয়ামীনের বংশধরদের মধ্যে যাদের বয়স বিশ বা তার বেশী, অর্থাৎ যারা যুদ্ধে যাওয়ার মত হয়েছিল, বংশ ও পরিবারের পরিচয় অনুসারে তাদের নাম লিখে নেওয়া হল।

37. বিন্যামীন-গোষ্ঠী থেকে যাদের পাওয়া গেল তাদের সংখ্যা হল পঁয়ত্রিশ হাজার চারশো।

38. দানের বংশধরদের মধ্যে যাদের বয়স বিশ বা তার বেশী, অর্থাৎ যারা যুদ্ধে যাওয়ার মত হয়েছিল, বংশ ও পরিবারের পরিচয় অনুসারে তাদের নাম লিখে নেওয়া হল।

39. দান-গোষ্ঠী থেকে যাদের পাওয়া গেল তাদের সংখ্যা হল বাষট্টি হাজার সাতশো।

40. আশেরের বংশধরদের মধ্যে যাদের বয়স বিশ বা তার বেশী, অর্থাৎ যারা যুদ্ধে যাওয়ার মত হয়েছিল, বংশ ও পরিবারের পরিচয় অনুসারে তাদের নাম লিখে নেওয়া হল।

41. আশের-গোষ্ঠী থেকে যাদের পাওয়া গেল তাদের সংখ্যা হল একচল্লিশ হাজার পাঁচশো।

42. নপ্তালির বংশধরদের মধ্যে যাদের বয়স বিশ বা তার বেশী, অর্থাৎ যারা যুদ্ধে যাওয়ার মত হয়েছিল, বংশ ও পরিবারের পরিচয় অনুসারে তাদের নাম লিখে নেওয়া হল।

43. নপ্তালি-গোষ্ঠী থেকে যাদের পাওয়া গেল তাদের সংখ্যা হল তিপ্পান্ন হাজার চারশো।

44. মূসা, হারুন ও বনি-ইসরাইলদের বারোজন নেতা এই সব লোকদের সংখ্যা গণনা করলেন। এঁরা প্রত্যেকেই তাঁর নিজের বংশের নেতা ছিলেন।

45. সমস্ত বনি-ইসরাইলদের মধ্যে যাদের বয়স বিশ বা তার বেশী, অর্থাৎ যারা যুদ্ধে যাওয়ার মত হয়েছিল পরিবার অনুসারে তাদের গণনা করা হল।

46. তাদের মোট সংখ্যা ছিল ছয় লক্ষ তিন হাজার পাঁচশো পঞ্চাশ।

47. কিন্তু এদের সংগে লেবি-গোষ্ঠীর লোকদের গণনা করা হয় নি।

48. মাবুদ মূসাকে বলেছিলেন,

49. “তুমি লেবি-গোষ্ঠীকে গণনা করবে না, কিংবা আদমশুমারীর সময় অন্যান্য বনি-ইসরাইলদের মধ্যে তাদের ধরবে না।

50. সাক্ষ্য-তাম্বুর সাজ-সরঞ্জাম ও তার সমস্ত কিছুর দেখাশোনার ভার তুমি তাদের উপর দেবে। তাদের কাজ হবে আবাস-তাম্বু এবং তার সমস্ত সাজ-সরঞ্জাম বয়ে নেওয়া। এর দেখাশোনার ভার তাদেরই নিতে হবে এবং তাদেরই এর চারপাশে তাম্বু খাটিয়ে থাকতে হবে।

51. আবাস-তাম্বুটা যখন অন্য কোথাও নিয়ে যেতে হবে তখন লেবীয়রাই সেটা খুলে নেবে এবং যখন সেটা খাটাতে হবে তখন তাদেরই তা খাটাতে হবে। অন্য কেউ তার কাছে গেলে তাকে মেরে ফেলা হবে।

52. নিজের নিজের দল অনুসারে বনি-ইসরাইলরা তাদের তাম্বু খাটাবে। প্রত্যেককেই তার নিজের বিভাগীয় জায়গায় বিভাগীয় নিশানের নীচে থাকতে হবে।

53. যাতে বনি-ইসরাইলদের উপর মাবুদের গজব নেমে না আসে সেইজন্য সাক্ষ্য-তাম্বুর চারপাশে লেবীয়দের তাম্বু খাটিয়ে থাকতে হবে। সাক্ষ্য-তাম্বুর দেখাশোনার জন্য লেবীয়রাই দায়ী থাকবে।”

54. মাবুদ মূসাকে যা হুকুম দিয়েছিলেন বনি-ইসরাইলরা ঠিক তা-ই করল।